হরিহরপাড়া থানা চত্বরে ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র 

Bengal Tourism: থানায় এখন থেকে রাত কাটাতে পারবেন পর্যটকরা!

মুর্শিদাবাদ: থানা তো নয় যেন আস্ত একটা ট্যুরিজম স্পট। মুর্শিদাবাদ জেলা নবাবের ঐতিহাসিক জেলা হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু এই জেলাতে এবার থানাকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হল ট্যুরিজম কেন্দ্র। পুলিশি আঁটসাঁটো নিরাপত্তার মধ্যেই উপভোগ করা যাবে প্রাকৃতির সৌন্দর্য্য। থানার মধ্যেই রয়েছে ডিয়ার পার্ক, লাইব্রেরি, জিম। খেলার জন্য রয়েছে সুবিশাল মাঠ। সর্বোপরি আছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর।

মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানায় থাকা, ঘোরা, খাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ব্রিটিশ আমলের নীলকুঠি এখন থানায় রূপান্তরিত হয়েছে। হরিহরপাড়া থানার বিল্ডিংটি হেরিটেজ বিল্ডিং। তাই সেখানে পুলিশ স্টেশন ট্যুরিজম-এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূলত, হরিহরপাড়া থানা ও চন্দ্রদ্বীপের উদ্যোগে পর্যটকের কথা মাথায় রেখে এবার গেস্ট হাউস চালু করা হল। এই প্রথম থানার উদ্যোগে কোন‌ও গেস্ট হাউস পরিষেবা চালু করা হল। পুলিশের কাজ অনেকেই মনে করেন শুধু চোর-ডাকাত ধরা। কিন্তু সেই প্রথা থেকে বেড়িয়ে এসে এক অন্য ভুমিকায় হরিহরপাড়া থানার আইসি অরুপ রায়। মানুষের সঙ্গে আরও জনসংযোগ বাড়াতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: ঘোষ বাড়ির ‘গরিবের হাটে’ বাজারের থেকে কম দামে বিকিকিনি

মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এসপি সুর্য প্রতাপ যাদব এই গেস্ট হাউসের উদ্বোধন করেছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই গেস্ট হাউসে যারা হরিহরপাড়া থানা চত্বরে আসবেন তাঁরা অনায়াসে একটি রাত কাটাতে পারবেন। মুর্শিদাবাদ জেলায় ভ্রমণ পিপাসু সাধারণ মানুষজন সারা বছরই আসতে থাকেন। ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কথা মাথায় রেখেই হরিহরপাড়া থানার আইসি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। ইতিমধ্যেই হরিহরপাড়া থানা চত্বরকে সাজানো হয়েছে পাশাপাশি একাধিক প্রকল্প উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। থানার মধ্যে সকাল-সন্ধে ভ্রমণের জন্য বিশাল মাঠ রয়েছে। রয়েছে ফুটবল ও ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প, আলাদাভাবে শিশু উদ্যান, লাইব্রেরি, জিম। থানার ভেতরেই রয়েছে ফুলের বাগান এবং ডিয়ার পার্ক।

এই গেস্ট হাউস চালু হল‌ওয়ায় খুশি সকলেই । অতিথিদের রাখার জন্য সুখনীড় এবং শান্তিনীড় চালু করা হয়েছে। সুখনীড় বিভিন্ন হোটেলের ডিলাক্স রুমের আদলে তৈরি এবং শান্তিনীড় এসি রুম। ফলে দুটি ক্ষেত্রেই ভাড়ার তারতম্য রয়েছে। অনলাইন এবং অফলাইনে যোগাযোগ করা সম্ভব এই দুই জায়গায়। ডবল বেডরুমে চারজন থাকতে পারবেন। তার জন্য খরচ হবে ১৬০০ টাকা, এক রাতের জন্য। খোলা হাওয়া থেকে পাওয়া যাবে খাবার। অপর একটি এসি রুম রয়েছে, যেখানে সর্বাধিক দুই জন থাকতে পারবেন। সেখানের ভাড়া ১০০০ টাকা। অতিথিরা যেমন জিম, লাইব্রেরি, আশ্রম, গ্রাম্য পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন, তেমনই ইচ্ছে হলে কাছেপিঠে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন তাঁরা। ফোন করেও বুকিং করা যাবে। নম্বর হল- ৮৯২৬৯০০৮৫১, ৯০০২৭৯৬৩৩৫, ৮০০১১৭৫৪৯৬-এ।

কৌশিক অধিকারী