মালদহ: গ্রামে নেই কাজ। বাধ্য হয়ে মালদহের শ্রমিকদের পাড়ি দিতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে। সংসারের খরচ চালাতে ভিন রাজ্যে দূর্গম এলাকায় বিভিন্ন নির্মীয়মান কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে একাধিক শ্রমিকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। আবারও ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে কফিন বন্দি হয়ে দেহ ফিরল এক শ্রমিকের। মালদহের মানিকচক থানার নতুনটোলা গ্রামে ওই শ্রমিকের বাড়ি। ঘটনার জেরে রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম মহম্মদ মোস্তফা(২৪)। পরিবারের রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা, মা এবং দুই বোন। পরিবারের একমাত্র রোজগারকারী ছিলেন মোস্তফা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক মাস আগে বিহারের পাটনায় কাজে যান তিনি। ব্রিজ নির্মাণের কাজে করতে গিয়েছিলেন। সহকর্মী শ্রমিকেরা জানান, বুধবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মোস্তফা। হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় মুস্তাফার। খবর পেয়ে পাটনায় ছুটে যান পরিবারের লোকেরা। শুক্রবার ভোর নাগাদ মৃতদেহটি গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: কী চরম দুর্দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে! যা বললেন আইনজীবী, মাথায় হাত অনুগামীদের
আরও পড়ুন: দক্ষিণ দমদমে বেআইনি নির্মাণ, পুরপ্রধানকে হাজিরার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
স্থানীয় বাসিন্দা মাসের আলি বলেন, “শ্রমিকরা কাজে গিয়েছিল। শুনলাম, মোস্তফা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে। পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ল। আমরা সরকার ও ওই ঠিকা সংস্থার কাছে আবেদন করছি, পরিবারটিকে সাহায্যের জন্য।”
নিথর মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার লোকজন পরিবারের একমাত্র রোজকারীর মৃত্যুতে অথৈ জলে গোটা পরিবার। কাজে নিয়ে যাওয়া ঠিকা সংস্থার কাছে বা সরকারী সাহায্যের দাবি তুলেছেন পাড়া প্রতিবেশীরা।
হরষিত সিংহ