Category Archives: মালদহ

Malda News: রোজগারের আশায় গিয়েছিলেন ভিন রাজ্যে! বাড়িতে ফিরল কফিন বন্দি দেহ

মালদহ: গ্রামে নেই কাজ। বাধ্য হয়ে মালদহের শ্রমিকদের পাড়ি দিতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে। সংসারের খরচ চালাতে ভিন রাজ্যে দূর্গম এলাকায় বিভিন্ন নির্মীয়মান কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে একাধিক শ্রমিকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। আবারও ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে কফিন বন্দি হয়ে দেহ ফিরল এক শ্রমিকের। মালদহের মানিকচক থানার নতুনটোলা গ্রামে ওই শ্রমিকের বাড়ি। ঘটনার জেরে রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম মহম্মদ মোস্তফা(২৪)। পরিবারের রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা, মা এবং দুই বোন। পরিবারের একমাত্র রোজগারকারী ছিলেন মোস্তফা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক মাস আগে বিহারের পাটনায় কাজে যান তিনি। ব্রিজ নির্মাণের কাজে করতে গিয়েছিলেন। সহকর্মী শ্রমিকেরা জানান, বুধবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মোস্তফা। হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় মুস্তাফার। খবর পেয়ে পাটনায় ছুটে যান পরিবারের লোকেরা। শুক্রবার ভোর নাগাদ মৃতদেহটি গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসা হয়।

আরও পড়ুন: কী চরম দুর্দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে! যা বললেন আইনজীবী, মাথায় হাত অনুগামীদের

আরও পড়ুন: দক্ষিণ দমদমে বেআইনি নির্মাণ, পুরপ্রধানকে হাজিরার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

স্থানীয় বাসিন্দা মাসের আলি বলেন, “শ্রমিকরা কাজে গিয়েছিল। শুনলাম, মোস্তফা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে। পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ল। আমরা সরকার ও ওই ঠিকা সংস্থার কাছে আবেদন করছি, পরিবারটিকে সাহায্যের জন্য।”

নিথর মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার লোকজন পরিবারের একমাত্র রোজকারীর মৃত্যুতে অথৈ জলে গোটা পরিবার। কাজে নিয়ে যাওয়া ঠিকা সংস্থার কাছে বা সরকারী সাহায্যের দাবি তুলেছেন পাড়া প্রতিবেশীরা।

হরষিত সিংহ

Mushroom: হাড়ের ক্ষয়জনিত রোগে ভুগছেন? মাশরুম খেলেই বাজিমাত! ওষুধ ছাড়াই ভিটামিন ডি পাবেন!

মালদহ: মাশরুম কেন খাবেন? আপনি হয়ত জানেন না, জানলে অবাক হবেন! এমনি পুষ্টিগুণ জানলে নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখবেন এই খাবার। খেতে তো অবশ্যই সুস্বাদু সঙ্গে মাশরুম একমাত্র সবজি যার মধ্যে ভিটামিন- ডি ৩ রয়েছে। একমাত্র অপ্রাণীজ খাবার যার মধ্যে এই ভিটামিনের গুণ রয়েছে। অধিকাংশ মানুষ না জেনেই খাচ্ছেন এই খাবার।

তবে সত্যি মানবদেহে হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে এই খাবারের বিকল্প কিছু নেই। মাশরুম ছাড়া ডিমের কুসুম ও সামুদ্রিক তিন প্রজাতির মাছে ভিটামিন ডি রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন ডি একমাত্র পাওয়া যায় সূর্যের আলোয়। আমরা সকলেই জানি ভিটামিন ডি মানব শরীরে তৈরি হয় সূর্যের আলো থেকে। মালদহ জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লাইক বলেন, মাশরুম একমাত্র সবজি যার মধ্যে ভিটামিন ডি রয়েছে। এছাড়া সামুদ্রিক কিছু মাছ ডিমের কুসুমের মধ্যে এই ভিটামিন রয়েছে। মাশরুম মানবদেহে হাড় ক্ষয় রোধ করতে। তাই এই খাবার খুবই উপকারী।

আরও পড়ুন: ছাদে দাঁড়িয়ে পেত্নি! চিল চিৎকার দিয়ে ছুটছে মানুষ! এসব কী হচ্ছে কল্যানগড়ে? জানুন

বর্তমানে দূষণ, জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পেতে অধিকাংশ মানুষ শরীরের সমস্ত অংশ ঢেকে রাখছেন। মুখে মাস্ক পর্যন্ত পড়ছেন অনেকেই। তাই শরীরের সূর্যের আলো সরাসরি পৌঁছাচ্ছে না। ভিটামিন ডি ও তৈরি হচ্ছে না। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ হাড়ের ক্ষয় জনিত সমস্যায় ভুগছে। হাড়ের রোগে আক্রান্ত অনেকেই। ভিটামিন ডি এর অভাবে এই রোগ হচ্ছে। তাই এই হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে অবশ্যই মাশরুম খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে।

আরও পড়ুন: ট্রায়াল রুম বা হোটেলের ঘরে গোপন ক্যামেরা নেই তো? বুঝুন এই সহজ উপায়ে

যদিও অনেকেই এখন নিয়মিত এই খাবার মেনুতে রাখছেন।বর্তমানে মাশরুম অনেকটাই সহজলভ্য। এখন বিভিন্ন জায়গায় মাশরুম চাষ হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকাতেও মাশরুম খাওয়ার ও চাষের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে এই সবজির। তাই অনেকেই এখন চাষ করছেন। এমনকি সরকারি ভাবেও মাশরুম চাষে সহযোগিতা করা হচ্ছে কৃষকদের। মাশরুম চাষের জন্য চাষের জমির প্রয়োজন হয় না। সামান্য ফাঁকা জায়গায় এই সবজি চাষ হয়। এই সবজি চাষে সূর্যের আলোর প্রয়োজন হয় না। ছায়া বা অন্ধকার চাষ হয়। তাই এই সবজির পুষ্টিগুণ অন্যান্য সবজির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

হরষিত সিংহ

Kulthi Roti Benefits: আটার রুটিতো অনেক খেলেন, এবার এই রুটি খান! স্বাস্থ্য উজ্জ্বল হবে-ওজন কমবে

মালদহ: কাঠের উনাকে সেঁকা। গমের আটার রুটি তৈরির পদ্ধতিতেই হয়। তবে স্বাদে অনেক ফারাক। সুস্বাদু, মুচমুচে এই রুটি। তৈরি করাটাও একটু অদ্ভুদ। কারণ হাতে ময়দার দলা নিয়ে থাপড়ে থাপড়ে রুটি গোল করা হয়। হাতে তৈরি করায় অনেকটা মোটা হয় এই রুটি। কাঁচা রুটি সেঁক দেওয়া হয় কাঠের উনুনে মাটির পাত্রে।

এই ভাবেই তৈরি হয় কলাইয়ের রুটি। মূলত শীতের মরশুমে গ্রামীণ মালদহের বেশ কিছু এলাকায় এই কলাইয়ের রুটি খেতে দেখা যায়। তবে বর্তমানে মালদহের গ্রামীণ এলাকার এই খাবার শহরেও প্রভাব বিস্তার করতে শুরু হয়েছে। বর্তমানে মালদহ শহরের একাধিক রাস্তার মোড় থেকে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে পাওয়া যায় কলাইয়ের রুটি।

আরও পড়ুন: উঠে দাঁড়ালেই মাথা ঘোরে? শরীরে রক্তের ঘাটতি আপনাকে শেষ করে দিতে পারে! জানুন

শুধুমাত্র শীতের মরশুম নয়, বর্তমানে মালদহ শহরে গোটা বছর বিক্রি হচ্ছে হাতে তৈরি কলাইয়ের রুটি। বিক্রেতা সনকা মণ্ডল বলেন, কলাই, চাল ও গম দিয়ে প্রথমে আটা তৈরি করা হয়। সেই আটা দিয়েই রুটি হয়। হাতেই রুটি গোল করা হয়। এই রুটির বিশেষত্ব এটাই। বাজারে চাহিদাও ভাল রয়েছে।

সাধারণ গমের আটার রুটির থেকে এই রুটি অনেক মোটা। তাই একটি বা দুটির খেলেই পেট ভরে যায়। সেঁক দেওয়া রুটির সঙ্গে ধনেপাতা চাটনি বা বেগুন পোড়া সাধারণ দেওয়া হয়। এই ভাবেই এই রুটি খাওয়ার চল রয়েছে। বহু মানুষ এই রুটি এখন খাচ্ছেন। খেতে যেমন সুস্বাদু সঙ্গে কোনও ক্ষতি নেই। কারণ উনুনে সেঁক দিয়ে তৈরি করা হয়।

আরও পড়ুন: ডিম সেদ্ধ করার সময় ফেটে যায়? খোসা ছাড়াতে হিমশিম! সমাধানের সহজ টিপস

কলাই-এর সঙ্গে চাল একত্রিত করে আটা তৈরি করা হয়। সেই আটা জল দিয়ে দলা তৈরি করা হয় সাধারণ রুটির তৈরির মতো। তবে বেলনায় রুটি তৈরি করা হয় না। মহিলারা আটার দলা হাতে নিয়ে থাপড়ে থাপড়ে গোল রুটি তৈরি করেন। যদিও সকলে হাতে তৈরি করতে পারেন না। কারিগরেরা জানান, হাতের তৈরি রুটির টেস্ট বেশি হয়। তাই তাঁরা হাতেই তৈরি করেন। বিক্রেতা বাসন্তী সাহা বলেন, শীতের সময় বেশি বিক্রি হয়। এই রুটির সঙ্গে ধনের পাতার চাটনি, বেগুন পোড়া, সরিষা বাটা এই সমস্ত কিছু দেওয়া হয়।

মালদহ শহরে বাজারে ২০ টাকা পিস করে বিক্রি হয় একটি রুটি। এক সময় গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষের মূলত শহরে বিভিন্ন কাজে এসে এই রুটি কিনে খেতেন। তবে বর্তমানে শহরের অনেকেই নিয়মিত এই রুটি খাচ্ছেন। বছরের অন্যান্য সময়ে বিক্রি কম হলেও শীতের মরশুমে চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শুধুমাত্র মালদহ শহর নয়, জেলার বিভিন্ন ব্লকেও এখন বাজার গুলিতে কলাইয়ের রুটি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে দেশি-বিদেশি হরেকরকম আধুনিক খাবার ছেয়ে গিয়েছে। চাইনিজ খাবার থেকে দক্ষিণী খাবারের চাহিদা বাড়ছে বর্তমান প্রজন্মের কাছে। তবে পিছিয়ে নেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার। বাংলার খাবারও এখন বিক্রি হচ্ছে গ্রাম থেকে শহরে। ঝাঁ চকচকে রেস্টুরেন্টে বিক্রি না হলেও ফুটপাতে দেদার বিক্রি হচ্ছে বাংলার কলাইয়ের রুটি।

হরষিত সিংহ

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Malda News: মহদিপুর বন্দর খোলা থাকার সময় বাড়তে চলেছে! শুধু সরকারি সিলমোহরের অপেক্ষা! জানুন

মালদহ: মহদিপুর আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর খোলা রাখার সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। দুই দেশের সরকারী প্রতিনিধি, আমদানি রফতানিকারক ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মধ্যে যৌথ বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের রফতানিকারকেরা বন্দর খোলা রাখার সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে। অবশেষে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠকে সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সরকারি সিলমোহর পেলেই মালদহে মহদীপুর আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর খোলা রাখার সময়সীমা বৃদ্ধি পাবে। এতে রফতানি কারকেরা আরও বেশি করে পণ্য বোঝায় লরি বাংলাদেশে পাঠাতে পারবেন। দেশের অর্থনীতি অনেকটাই সমৃদ্ধ হবে। রফতানি কারক হৃদয় ঘোষ বলেন, আমদানি রফতানির ক্ষেত্রে আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বন্দর খোলা রাখার সময়সীমা বাড়ানোর।

আরও পড়ুন:সোনার গয়না পড়ে রাস্তায় বেরোচ্ছেন! সাবধান! আপনার সঙ্গেও ঘটতে পারে এই ঘটনা

এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। রাত আটটা পর্যন্ত বন্দর খোলা থাকলে বেশি পরিমাণে লরি যেতে পারবে। দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।
বর্তমানে মহদিপুর স্থল বন্দর সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত খোলা থাকে। দুই দেশের রফতানি আমদানি কারকেরা রাত আটটা পর্যন্ত খোলা রাখার প্রস্তাব জানিয়েছিলেন। বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধি কাস্টম সকলেই এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন। এখন সরকারি সিলমোহর পেলে চালু হবে নতুন নিয়ম।

আরও পড়ুন:শিব্রাম চক্রবর্তী নিয়মিত পাঠক ছিলেন, সেই গ্রন্থাগারে এ কী ঘটল! ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা

ভারতের কাস্টমস সুপার দেবদুলাল চ্যাটার্জি বলেন, সময়সীমা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিভাবে সময় বৃদ্ধি করা যাবে সে বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। বন্দর খোলা রাখার সময়সীমা বৃদ্ধি পেলে দুই দেশেরই উপকার হবে। বর্তমানে মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে রফতানি করা হয় পাথর, পেঁয়াজ, আলু, টি-শার্ট, তুলা, জুট ব্যাগ সহ অন্যান্য পণ্য। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ টি লড়ি পাড়ি দিচ্ছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বন্দর খোলা রাখার সময় বৃদ্ধি পেলে আরো বেশি করে লরি পাড়ি দিতে পারবে বাংলাদেশ।

হরষিত সিংহ

Malda News: সোনার গয়না পড়ে রাস্তায় বেরোচ্ছেন! সাবধান! আপনার সঙ্গেও ঘটতে পারে এই ঘটনা

মালদহ: সোনার গয়না পরে রাস্তায় বেরচ্ছেন। এদিক ওদিক ঘোরাঘুরির সময় বেশি করে সোনার গয়না শরীরে পরছেন। তবে সাবধান! ফাঁদ পেতে রয়েছেন ভয়াবহ বিপদ। আপনি ভাবতেও পারবেনা কি ঘটতে পারে আপনার সঙ্গে। সতর্ক সজাগ থাকলেও আপনার সোনার গয়না খোয়া যেতে পারে। মালদহ শহরের জনবহুল রাস্তার উপর এমনি এক ঘটনাকে ঘিরে হতবাক সকলেই। চুরি, ছিনতাই বা জোর করে ছিনিয়ে নয়, আপনি নিজে থেকেই সোনার গয়না খুলে দিতে বাধ্য হবেন।

এক শ্রেণির পান্ডা এখন অভিনব কায়দায় মহিলাদের সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিচ্ছে। খোদ পুলিশ পরিচয় দিয়ে এমন বেআইনি কাজ করছে একদল যুবক। মালদহ শহরের কুট্টিটোলা লেনে রাস্তায় টোটো দাঁড় করিয়ে পুলিশ পরিচয় দিয়ে টোটোর নথিপত্র যাঁচাইয়ের সঙ্গে সিটে বসে থাকা মহিলার যাত্রীর সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিল।

আরও পড়ুন: কী চরম দুর্দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে! যা বললেন আইনজীবী, মাথায় হাত অনুগামীদের

বিষয়টি পরে বুঝতে পেরে ইংরেজবাজার থানার দারস্থ হয়েছেন বছর ষাটের ওই মহিলা।মালদহ শহরের মহেশমাটি এলাকার বাসিন্দা ওইমহিলার নাম গায়ত্রী সরকার(৬০)। এদিন সকালে ওই মহিলা মালদহ শহরের কালিতলা এলাকা থেকে একটি টোটোতে করে নিজের বাড়ি মহেশমাটি ফেরছিলেন । সেই সময় মোটরবাইকে করে কুট্টিটোলা এলাকায় দুই যুবক টোটো আটকায়। নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে টোটোর নথিপত্র যাঁচাই শুরু করে। তারপর মহিলাকে সোনার গয়না খুলতে বলে। মহিলা সোনার গয়না খুলতে রাজি হয়নি।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ দমদমে বেআইনি নির্মাণ, পুরপ্রধানকে হাজিরার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

তখন ওই যুবক বলে, পুলিশকে সহযোগিতা না করলে কিভাবে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। বেশকিছু পর মহিলা বাধ্য হন খুলতে। হাতের সোনার অলংকার ও গলার অলংকার খুলতেই একজন সেগুলি নিয়ে নেয়। পকেট থেকে কাগজ বার করে তারমধ্যে মুড়ে দেয় গয়নাগুলি। কাগজে মোড়ানো গয়না মহিলার হতে দিয়ে বাইক নিয়ে চলে যায় যুববকেরা। কিছুক্ষণ পর মহিলা মোড়ানো কাগজ খুলে দেখেন সেখানে তাঁর গয়না নেই। ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহিলা। মহিলার মেয়ে দেবলীনা চক্রবর্তী বলেন, দিনের আলোয় এই ধরনের ঘটনা। দিনেও আমরা নিরাপদে নেই। আজ আমার মায়ের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা সত্যিই বেদনাদায়ক। পুলিশকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অতি শীঘ্রই নেওয়া উচিত।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কুট্টিটোলা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয় , এর আগেও শহরে বহুবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কোন কিনারা করতে পারেনী এখনো। যার জেরে ক্রমশ এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে মালদহ শহরে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।

—- হরষিত সিংহ

Malda News: শিব্রাম চক্রবর্তী নিয়মিত পাঠক ছিলেন, সেই গ্রন্থাগারে এ কী ঘটল! ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা

মালদহ: এই গ্রন্থাগারের নিয়মিত আসতেন বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক শিব্রাম চক্রবর্তী। বই পড়তেন। তবে শিব্রাম চক্রবর্তীর পরিচয় শুধু শিশু সাহিত্যিক হিসেবে নয়। তিনি হাস্যরসের মধ্য দিয়ে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে গিয়েছেন, যা আজও প্রবল জনপ্রিয়। মালদহের সেই বিখ্যাত গ্রন্থাগারের এখন বেহাল দশা। পরিচর্যা ও কর্মীর অভাবে ধুঁকছে।

ভারতী ভবন সাধারণ পাঠাগার শুধু যে শিব্রাম চক্রবর্তীর স্মৃতি বিজড়িত তাই নয়, এখানে আছে বহু প্রাচীন পুঁথি। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বহু পুরনো বই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গোটা ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। সম্প্রতি এই গ্রন্থাগারে চুরি হয়েছে। বইয়ের একাধিক আলমারি লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছিল। গ্রন্থাগারের দুইটি কম্পিউটার নিয়ে উধাও হয়েছে চোরের দল। কিছু প্রাচীন পুঁথিও চুরি হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা।

আরও পড়ুন: চা বাগানে কাজ করতে গিয়ে চমকে উঠলেন শ্রমিকরা, গাছের ঝোপের আড়ালে ওটা কী!

মালদহের চাঁচল-১ ব্লকের শতবর্ষ প্রাচীন কলিগ্রামের ভারতী ভবন সাধারণ পাঠাগার বই প্রেমীদের অন্যতম পিঠস্থান। সেই তার এমন বেহাল অবস্থা প্রসঙ্গে এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা মোহিতলাল চৌধুরী বলেন, জরাজীর্ণ অবস্থা এই গ্রন্থাগারের। অনেক মূল্যবান বই চুরি গিয়েছে। দুটি কম্পিউটার‌ও চুরি হয়ে গেল। পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে বই, দেখভাল করার লোকজন নেই। সরকারের কাছে বহুবার আমরা আবেদন জানিয়েছি, কিন্তু তারপরও কোনরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

গ্রন্থাগার বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে রাতের অন্ধকারে জানালার শিক কেটে চুরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, রস সাহিত্যিক শিব্রাম চক্রবর্তীর মুরলী পত্রিকার পুঁথি ও পান্ডুলপি চুরি যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীরা। ব্যাপক ক্ষুব্ধ এলাকার বইপ্রেমীরা। গত দু’বছর ধরে এই গ্রন্থাগার নিয়মিত খোলে না। বর্তমানে সেখানে তালা ঝুলছে। দীর্ঘ দুই বছর ধরে নিয়মিতভাবে খোলে না গ্রন্থাগার। সপ্তাহে শুধু মঙ্গলবার গ্রন্থাগারের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এসে কিছুক্ষণের জন্য খোলেন। এই গ্রন্থাগারের দ্রুত হাল না ফিরলে এখানকার সমস্ত বই ও মূল্যবান পুঁথি সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যাবে বলে এলাকার মানুষের আশঙ্কা।

হরষিত সিংহ

Malda News: বক্সিংয়ে তিনটি সোনা মালদহের ঝুলিতে

মালদহ: বক্সিংয়ে দারুণ সাফল্য জেলার। তিনটি সোনা জিতল মালদহের বক্সাররা। জেলার তিন প্রতিভাবান খেলোয়ার রাজ্য স্তরের বক্সিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এতে খুশির হাওয়া জেলার ক্রীড়া মহলে।

আরও পড়ুন: শীতে ছাদ বাগান সাজাতে ডালিয়ার জুরি মেলা ভার, এইভাবে পরিচর্যা করলে হবে দারুন ফুল

দীর্ঘদিন পর মালদহ জেলার ক্রীড়াবিদরা বক্সিং প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেল। ওপেন বেঙ্গল চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় এই সোনা জয়। সোনা জয়ী খেলোয়াড়দের মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা জানান মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক তথা ইংরেজবাজারের পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কৃষ্ণেন্দু নারায়ণচৌধুরী বলেন, বক্সিং ছাড়াও অন্যান্য খেলাধুলোতে ভাল ফল করছে মালদহের খেলোয়ারেরা। আমরা সব সময় তাদের পাশে থেকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। আরও ভাল খেলাধুলোর মান বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করেছি। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১৮ এবং ১৯ তারিখ ওপেন বেঙ্গল চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় আলিপুরদুয়ার জেলায়। পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ১২ টি রাজ্যের খেলোয়াররা অংশগ্রহণ করেছিল ওই প্রতিযোগিতায়। অংশগ্রহণ করেছিল বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে রবি শেখ, দেবরাজ বাসফোর ও প্রিয়াঙ্কা রায় নিজেদের বিভাগে সোনা জেতেন। এছাড়াও রুপো পেয়েছে সোমনাথ দাস এবং ব্রোঞ্জ পেয়েছে দীপ বর্মন।

হরষিত সিংহ

Vande Bharat Accident: ঝড়ের বেগে ছুটে গেল বন্দে ভারত! রেললাইনে ধারে ছিটকে পড়ল দশমের পড়ুয়া! মালদহে ভয়ঙ্কর ঘটনা

মালদহ: রেললাইনের ধারে শৌচকর্ম করতে যাওয়ায় কাল হল। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত্যু দশম শ্রেণির ছাত্রীর। হাওয়ায় গতিতে ছুটে আসা বন্দে ভারত দেখে হতভম্ব হয়ে যায় দশম শ্রেণির ছাত্রী। দূরে সরতে না পারায় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়।‌ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। মালদহের সামসী রেল গেটের ঘটনা।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত স্কুল ছাত্রীর নাম বাসন্তী মণ্ডল (১৬)। বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার চাকলাঘাটে। জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ আগে মালদহের ভুতনি থানার নীলকন্ঠ গ্রামে ঘুরতে আসে।

আরও পড়ুনঃ বালিশ জড়িয়ে ঘুমের অভ্যাস! আজই ছাড়ুন…নচেৎ শরীরে দেখা দিতে পারে ভয়ঙ্কর এই সমস্যা

এ দিন জামাইবাবুর বাইকে করে বাড়ি ফিরছিল। দিদিও ছিল। সন্ধ্যা নাগাদ সামসি রেল গেটের কাছে পৌঁছয় তারা। রেলগেট পড়ে থাকায় জামাইবাবু বাইক দাঁড় করায়। সেই সময় বাসন্তী মণ্ডলের প্রস্রাব পায়। বাইক থেকে নেমে দিদিকে সঙ্গে নিয়ে রেললাইনের ধারে কিছুটা দূরে প্রস্রাব করতে যায়। ঠিক সেই সময়ে ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছুটে আসছিল। হঠাৎ দ্রুত গতিতে ট্রেন ছুটে আসায় হতভম্ব হয়ে পড়ে দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। কী করবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের নিমেষে ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে।

ট্রেন চলে যেতেই দিদি জামাইবাবু ছুটে গিয়ে দেখে তার ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন দেহ রেললাইনের ধারে পড়ে রয়েছে। মৃত স্কুল ছাত্রীর জামাইবাবু পাণ্ডব মণ্ডল বলেন, আমার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলাম। সামসি রেল গেটের কাছে আমার শ্যালিকা প্রস্রাব করার জন্য বাইক থেকে নামে। হঠাৎ দ্রুতগতিতে ট্রেন চলে আসায় পালাতে পারেনি। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে তার। পুলিশ এসে পড়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। আমি শ্বশুর বাড়িতে খবর জানিয়েছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সামসী রেল স্টেশনে কর্তব্যরত রেল পুলিশ ও জিআরপি। দ্রুত পুলিশ রেললাইনের ধার থেকে স্কুল ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য দেহ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

হরষিত সিংহ

Malda News: ভাই মেধাবী পড়ুয়া, দাদা অস্থায়ী সরকারি কর্মী, দুই ভাইয়ের কীর্তিতে দুর্নাম গ্রামের

মালদহ: গ্রামে মেধাবী পড়ুয়া হিসাবে পরিচিত। বিজ্ঞানের ছাত্র ফারুক আজম। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিস্ট্রি নিয়ে মাস্টার্স করছে।গ্রামের সকলেই তার মেধার তারিফ করেন। মেধা ছাত্রের এমন কাণ্ডে  হতবাক সকলেই। প্রশ্ন উঠছে তবে কী পড়াশোনার আড়ালে নিয়মিত অস্ত্রের কারবারের সঙ্গে যুক্ত। শুধু ফারুক নয়, সঙ্গে তার দাদা জুবায়ের আলম এই বেআইনি কার্যকলাপ চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ।

জুবায়ের আলম একজন অস্থায়ী সরকারী কর্মী। স্থানীয় ব্লক দফতরে কাজ করেন। পুলিশ এই দুই ভাইকেই বেআইনি অস্ত্র কারবারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের হেফাজত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। মালদহের কালিয়াচক থানার রাজনগর মডেল এলাকা থেকে ধৃতদের গ্রেফতার করা হয়। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী পড়ুয়া অপর ভাই সরকারি দফতরের অস্থায়ী কর্মী। দুই ভাই বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে তার স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এলাকার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন –  রেশন দুর্নীতি তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়? ইডির জালে এবার ‘যাঁরা’…! জেলায় জেলায় জাল

আরও পড়ুন –  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের জলাশয় থেকে উদ্ধার তরুণীর পচাগলা দেহ, হঠাৎ চাঞ্চল্য

গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআইডি কর্মীরা দু’জনকে গ্রেফতার করে। তারপর থেকেই গোটা এলাকা জুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআইডি তদন্তকারী অফিসাররা কালিয়াচক থানার রাজনগর মডেল এলাকায় হানা দেয়। সেখানে হানা দিয়ে জুবায়ের আলম এবং ফারুক আজমকে গ্রেফতার করে। তাদের বাড়ি তল্লাশি করে উদ্ধার হয় চারটি পাইপগান এবং চার রাউন্ড কার্তুজ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত জুবায়ের আলম মালদহ কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের অস্থায়ী সরকারি কর্মী। অন্যদিকে ফারুক আজম গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কেমিস্ট্রির পড়ুয়া। ধৃত দুই ভাইকে আটক করার পর কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে সিআইডি কর্তারা। কালিয়াচক থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দু’জনকেই মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশে হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।

হরষিত সিংহ

প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রেল লাইনে ছাত্রী, হঠাৎ চলে এল বন্দে ভারত!নিমেষে সব শেষ

মালদহ: প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রেল লাইনে ছাত্রী, হঠাৎ চলে এল বন্দে ভারত!নিমেষে সববন্দে ভারত এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর। সোমবার মালদহের সামসি রেল রেলগেটের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত ওই স্কুল ছাত্রীর নাম বাসন্তী মণ্ডল (১৬)। তার বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার চাকলাঘাট গ্রামে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে ওই কিশোরী মালদহেরই ভূতনি থানার নীলকণ্ঠ গ্রামে দিদির বাড়িতে বেড়াতে যায়। আজ দিদি ও জামাইবাবুর সঙ্গে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিল সে। মাঝ পথে সামসি রেল গেটের কাছে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে রেল লাইন ধরে কিছু দূর এগিয়ে যায় ওই স্কুল ছাত্রী।

আরও পড়ুন: কোলাঘাটে শ্যুটআউট, সোনা ব্যবসায়ীকে খুন করে লুঠ! কলকাতা-খড়্গপুর জাতীয় সড়ক অবরোধ

সেই সময়ই ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে ওই রেল লাইনেই চলে আসে৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিছন থেকে ওই ছাত্রীকে ধাক্কা মারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস৷ মুহূর্তের মধ্যে তার দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চাকায়৷ বিপদ আন্দাজ করে ওই ছাত্রীর কাছে ছুটে যান তার দিদি ও জামাইবাবু৷ কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ৷

ঘটনার খবর পেয়ে রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়৷ ছুটি কাটাতে গিয়ে যে মেয়ে আর বাড়িতেই ফিরবে না, তা ভাবতেও পারছে না ওই ছাত্রীর পরিবার৷ চোখের সামনে এমন বিপর্যয় ঘটে গেল, তা যেন ভাবতে পারছেন না ওই ছাত্রীর দিদি এবং জামাইবাবু৷