মাটির ভাঁড় তৈরিতে ব্যস্ত কুমোর।

Clay Cup: চা খেতে মাটির ভাঁড়ের চাহিদা আবার বাড়ছে, তবুও হতাশ কুমোররা

পশ্চিম বর্ধমান: একটা সময় বাইরে বেরিয়ে চা খাওয়ার জন্য ভরসা ছিল মাটির ভাঁড়। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই জায়গা দখল করে নিয়েছিল কাগজের কাপ। ফলে চাহিদা কমে গিয়েছিল মাটির ভাঁড়ের। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাগজের কাপে চা খাওয়ার থেকে মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাছাড়া চা-প্রেমীদের কাছে মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়ার একটি আলাদা জনপ্রিয়তার রয়েছে।

যে মাটির ভাঁড়ের চাহিদা একেবারে তলানিতে চলে গিয়েছিল, এইসব কারণে সেই মাটির ভাঁড়ের চাহিদা আবার ধীরে ধীরে বাড়ছে। আবার বিভিন্ন চায়ের দোকানে দেখা পাওয়া যাচ্ছে মাটির ভাঁড়ের।ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে আবার মাটির ভাঁড়ে চা বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ফলে প্রস্তুতকারকদের কাছে আবার বেশি অর্ডার আসতে শুরু করেছে।

আর‌ও পড়ুন: রিমল তাণ্ডবে ধ্বংস বাগান, হাহাকারের মধ্যেই ফুল চাষে আশার আলো

কিন্তু বেশি বেশি অর্ডার এলেও মুখে হাসি ফুটছে না এই ভাঁড় প্রস্তুতকারকদের। কারণ চাহিদা বেড়েছে, তবে লাভ বাড়েনি সেই অর্থে। তারা বলছেন, প্রথমদিকে যে পরিমাণ অর্ডার আসত, তাতে লাভ হত ভালই। মাঝে একদম চাহিদা কমে গিয়েছিল। এখন চাহিদা বেড়েছে কিন্তু তৈরি করতে খরচ বেড়েছে অনেক। ডিজাইনার মাটির ভার তৈরি করতে যতটা সময় দিতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়, সেই অনুযায়ী দাম পাওয়া যায় না।

মাটির ভাঁড় প্রস্তুতকারকরা বলছেন, চা বিক্রেতারা নিজেদের লাভের কারণে কাগজের কাপে চা বিক্রি করার দিকে মনোযোগ দেন। তবে এখন ক্রেতাদের চাহিদার কারণে মাটির ভাঁড়ও রাখেন। কিন্তু কাগজের কাপের তুলনায় সেই সংখ্যা অনেক কম। তাছাড়াও বিক্রেতারা সেই অর্থে দাম দিতে চান না। পাশাপাশি আগে দইয়ের জন্য মাটির ভাঁড়ের যে চাহিদা ছিল, এখন সেই দইও দেওয়া হয় প্লাস্টিক কাপে। সবমিলিয়ে লাভের মুখ দেখতে না পেয়ে হতাশ এই সমস্ত কারিগররা।

নয়ন ঘোষ