Tag Archives: potters

Durga Puja 2024: আকাশ ছোঁয়া দাম! বাজেটে প্রতিমা গড়তে হিমশিম খাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা

নদিয়া: শুধুমাত্র কাঠ বাঁশ বিচুলিই নয়! প্রতিমা নির্মাণে প্রচুর পরিমাণে পাটের আঁশ লাগে মৃৎশিল্পীদের। এ বিষয়ে শিল্পীরা জানাচ্ছেন, চলতি সিজনে প্রায় ৪০ কেজি পাট এবং চার পাঁচ কাউন বিচুলি লাগে। বিভিন্ন পুজো কমিটির প্রতিযোগিতা এবং সম্প্রতি রাজ্য সরকারের অনুদান বৃদ্ধি পাওয়ার পর দুর্গা প্রতিমার আকার আকৃতি অনেকটাই বেড়েছে। তবে শুধু দুর্গা প্রতিমাই বা কেন, সম্প্রতি অত্যাধিক পুজোবৃদ্ধি হওয়া গণেশ চতুর্দশীর গণেশ মূর্তি , বিশ্বকর্মা, কালী, দুর্গা, সরস্বতী, জগদ্ধাত্রী সব প্রতিমাই যেমন উচ্চতা বৃদ্ধি হয়েছে তেমনই বেড়েছে মাটি দিয়ে কাঠামো কিংবা চালির বিভিন্ন মাটির নকশা।

আরও পড়ুনঃ ভারত বাংলাদেশ বিথারী সীমান্তে অবৈধ প্রবেশ! তারপর ‌যা হল ‌যুবকের

আর এ ধরনের নকশা করতে গেলে এটেল মাটি দরকার হয় কিন্তু সে ক্ষেত্রেও রোদে কিংবা ঘন বর্ষায় আগুনের তাতে শুকাতে গেলে ফেটে যায় সৌখিন ডিজাইন কিংবা সু বিশাল আকৃতির মূর্তি। তবে পাটের আঁশ মিশ্রিত মাটি ব্যবহার করলে সে সম্ভাবনা থাকে না আবার ওজনেও হয় হালকা। যদিও প্রাথমিকভাবে বিচুলি ব্যবহার করা হয় কিন্তু তার পরে যে মাটি লাগানো হয় ১০-১৫ কিংবা ২০ ফুট উচ্চতা দুর্গা প্রতিমা মাটি দিয়ে প্রস্তুত করলে ওজন দাঁড়িয়ে যায় প্রায় দু টনের কাছাকাছি। যা বহন করতে গিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই কারণেই ইদানিং এই পাটের আঁশ ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে অনেকটাই।

তবে সে ক্ষেত্রে পাটকাঠির গায়ে লেগে থাকা ফেঁশো কিংবা বাতিল পাট দিয়ে হয় না তাই বাজার থেকে উৎকৃষ্ট মানের লম্বা পাট উপযুক্ত দামে কিনে তার টুকরো টুকরো করে কেটে তুলোর মতন ফাটিয়ে সেই আঁশ ব্যবহার করা হয় মাটি মাখার সময়। নদিয়ার শান্তিপুর শ্যামবাজার সৌরাজ বিশ্বাসের কারখানায় ইতিমধ্যেই সুউচ্চ ২১ টি দুর্গা প্রতিমা প্রস্তুত করা হয়ে গেছে যার মধ্যে কোনটি যাবে ব্যাঙ্গালোর কোনটি বা ভিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কলকাতাও আছে আবার শান্তিপুরের রয়েছে।কারখানা থেকে জানা গেছে উপকরণ হিসেবে বাঁশ কাঠ দড়ি সুতুলি বিচুলি রং তুলি এমনকি পাটের দামও যথেষ্ট চড়া তাই নির্মাণ খরচও বাড়ছে। তবে অনেকেরই ধারণা থাকতে পারে মাটি পাওয়া যায় বিনামূল্যে কিন্তু তা নয় বরং উল্টোটা, বর্ষার মধ্যে মাটিরও দাম বেড়েছে যথেষ্ট। আর এই সব মিলিয়ে প্রতিমা নির্মাণে লভ্যাংশ কমেছে বলেই জানাচ্ছেন প্রতিমা নির্মাণের শিল্পীরা।

মৈনাক দেবনাথ

Clay Cup: চা খেতে মাটির ভাঁড়ের চাহিদা আবার বাড়ছে, তবুও হতাশ কুমোররা

পশ্চিম বর্ধমান: একটা সময় বাইরে বেরিয়ে চা খাওয়ার জন্য ভরসা ছিল মাটির ভাঁড়। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই জায়গা দখল করে নিয়েছিল কাগজের কাপ। ফলে চাহিদা কমে গিয়েছিল মাটির ভাঁড়ের। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাগজের কাপে চা খাওয়ার থেকে মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাছাড়া চা-প্রেমীদের কাছে মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়ার একটি আলাদা জনপ্রিয়তার রয়েছে।

যে মাটির ভাঁড়ের চাহিদা একেবারে তলানিতে চলে গিয়েছিল, এইসব কারণে সেই মাটির ভাঁড়ের চাহিদা আবার ধীরে ধীরে বাড়ছে। আবার বিভিন্ন চায়ের দোকানে দেখা পাওয়া যাচ্ছে মাটির ভাঁড়ের।ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে আবার মাটির ভাঁড়ে চা বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ফলে প্রস্তুতকারকদের কাছে আবার বেশি অর্ডার আসতে শুরু করেছে।

আর‌ও পড়ুন: রিমল তাণ্ডবে ধ্বংস বাগান, হাহাকারের মধ্যেই ফুল চাষে আশার আলো

কিন্তু বেশি বেশি অর্ডার এলেও মুখে হাসি ফুটছে না এই ভাঁড় প্রস্তুতকারকদের। কারণ চাহিদা বেড়েছে, তবে লাভ বাড়েনি সেই অর্থে। তারা বলছেন, প্রথমদিকে যে পরিমাণ অর্ডার আসত, তাতে লাভ হত ভালই। মাঝে একদম চাহিদা কমে গিয়েছিল। এখন চাহিদা বেড়েছে কিন্তু তৈরি করতে খরচ বেড়েছে অনেক। ডিজাইনার মাটির ভার তৈরি করতে যতটা সময় দিতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়, সেই অনুযায়ী দাম পাওয়া যায় না।

মাটির ভাঁড় প্রস্তুতকারকরা বলছেন, চা বিক্রেতারা নিজেদের লাভের কারণে কাগজের কাপে চা বিক্রি করার দিকে মনোযোগ দেন। তবে এখন ক্রেতাদের চাহিদার কারণে মাটির ভাঁড়ও রাখেন। কিন্তু কাগজের কাপের তুলনায় সেই সংখ্যা অনেক কম। তাছাড়াও বিক্রেতারা সেই অর্থে দাম দিতে চান না। পাশাপাশি আগে দইয়ের জন্য মাটির ভাঁড়ের যে চাহিদা ছিল, এখন সেই দইও দেওয়া হয় প্লাস্টিক কাপে। সবমিলিয়ে লাভের মুখ দেখতে না পেয়ে হতাশ এই সমস্ত কারিগররা।

নয়ন ঘোষ