বিষ্ণুপুর: বাজনা নিয়ে খন্ডঘোষে পায়ে হেঁটে রবিবারের প্রচার চালালেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মন্ডল।প্রথমে তিনি খণ্ডঘোষের বুড়ো শিবতলায় পুজো দেন। তারপর খণ্ডঘোষের বিভিন্ন এলাকা তিনি পদযাত্রা করেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান। এদিন খণ্ডঘোষ বিধায়ক কার্যালয়ের পাশেই একটি সভা করা হয়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুজাতা মন্ডল জানান, খণ্ডঘোষে প্রচারে এসে মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি।
মহিলাদের বলেন, দিদিরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ঢুকে গেছে তো? এবার থেকে বেড়ে যাবে, আগামী মাস থেকে। জানো তো এবার বেড়ে গেল? রবিবাসরীয় প্রচারের বেড়িয়ে এভাবেই ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডলকে।
আরও পড়ুন- গুরুতর অসুস্থ হিনা খান, রোজা চলাকালীন হঠাৎ কী হল? কাতর আর্জি নায়িকার, বাড়ছে উদ্বেগ!
এদিন তিনি বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের খন্ডঘোষের বোসপাড়ায় শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ ও দলের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলামকে নিয়ে এলাকায় জনসংযোগ করেন। একই সঙ্গে বিধায়ক অফিসের পাশে প্রচুর কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একটি জনসভাও করেন সুজাতা মন্ডল। বোসপাড়াতেই প্রচারে নেমে ভোটার উদ্দেশ্যে সুজাতা মন্ডলকে বলতে শোনা যায়, বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন তো? একই ঘরে এতগুলো মানুষ যখন উপকার পাই তখন মাথাটা বারবার নেত্রীর চরণে নত হয়ে যায়। আমি মমতাদির সৈনিক, আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক, আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক।গ্রাম বাংলা ও আমার এই বিষ্ণুপুর লোকসভার এই খণ্ডঘোষ বিধানসভার এমন একটি ঘর খুঁজে পাওয়া যায় নি বা যাবে না যেখানে মমতাদির উন্নয়নের প্রকল্প পৌঁছায়নি।একই ঘরে একাধিক মানুষ এবং মহিলারা বিশেষত সম্মানিত।
এরপরই বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ কে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন। বলা হয়, বিজেপির প্রার্থী কখনও ট্রেনে কখনও সাইকেল চালিয়ে প্রচার করছেন কি বলবেন? উত্তরে সুজাতা বলেন, আসলে এতদিন তিনি রাস্তাঘাটে নামেননি। শুধু বিলাসিতা করেছেন। তাই এখন অনেক কিছুই করতে হচ্ছে। এইসব ভেকধারি করে কোনও লাভ হবে না। ভেকধারি নাগিনদের মানুষ বুঝে গেছে। যতই উনি নাটক করে যান ভোট উনি পাবেন না। খণ্ডঘোষ বিধানসভা থেকে সাংসদ হয়ে তিনি কোনও উন্নয়ন করেননি, কোনও কাজ করেননি। উনি নির্লজ্জ বলেই মানুষের কাছে ভোট চাইতে আসছেন।