Tag Archives: Bishnupur

Old Rituals: শব্দকে ব্রহ্মজ্ঞান করে তোপধ্বনি, বিষ্ণুপুরে শুরু মল্লরাজাদের কুলদেবীর আরাধনা

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়,  বাঁকুড়া: দশভুজা আগমনের সপ্তাহ দুয়েক আগেই ঘনঘন তোপধ্বনি দিয়ে শুরু হল মল্লরাজাদের কুলদেবী মৃন্ময়ীর আরাধনা। আকাশে পেঁজা সাদা তুলোর মতো মেঘ, সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে কাশফুলের দোলা। জানান দিচ্ছে দেবী দশভুজার আগমন আসন্ন। তাই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে এখনও সপ্তাহ দু’য়েক বাকি, এরই মধ্যে উৎসবের মেজাজ বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ পরিবারে। প্রায় হাজার বছরেরও বেশী প্রাচীন রীতি মেনে আজ থেকে দেবী মৃন্ময়ীর পুজো শুরু হল।দেবী মৃন্ময়ী হলেন মল্লরাজ পরিবারের কুলদেবী। সারা বছরই তিনি বিষ্ণুপুর শহরে রাজ পরিবারের যে মন্দির রয়েছে সেখানে অধিষ্ঠান করেন।

মল্ল পরিবারের যে ইতিহাস রয়েছে সেই সূত্রে জানা যায় ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের আগে মল্লরাজাদের রাজধানী ছিল জয়পুরের প্রদ্যুম্নপুর এলাকায়। রাজা জগৎমল্ল বটগাছের নীচে দেবীর সুবিশাল মন্দির তৈরি করিয়েছিলেন। পাশাপাশি, ঘন জঙ্গল কেটে রাজধানী সরিয়ে আনেন বিষ্ণুপুরে। তার পর দীর্ঘ ১০২৮ বছর ধরে বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী রয়েছেন দেবী মৃন্ময়ী। পরবর্তীতে মল্ল রাজারা বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হলেও শব্দকে ব্রহ্মজ্ঞান করে তোপধ্বনির প্রচলন শুরু হয়। সেই প্রথা আজও চলে আসছে।

আরও পড়ুন : সেন বংশের আমল থেকে হয়ে আসছে আলিপুরদুয়ারের চৌধুরী পরিবারের দুর্গাপুজো

নবমাদি কল্পারম্ভে সাত সকালে দেবীর আগমন ঘটে প্রাচীন মন্দিরে। প্রাচীন রীতি অনুসারে বৃহস্পতিবার রাজ দরবার সংলগ্ন গোপালসায়রে স্নানপর্ব সেরে মন্দিরে আনা হল বড় ঠাকুরানি অর্থাৎ মহাকালীকে। দেবীপক্ষের চতুর্থী তিথিতে মন্দিরে আসবেন মেজ ঠাকুরানি অর্থাৎ মহালক্ষ্মী। সপ্তমীর দিন আনা হবে ছোট ঠাকুরানি অর্থাৎ মহা সরস্বতীকে। এই তিন ঠাকুরানি আসলে স্থানীয় ফৌজদার পরিবারের হাতে আঁকা তিনটি বিশেষ পট। আরাধনা শুরু হয় নিয়ম মেনে।

কালের নিয়মের সঙ্গে রাজার রাজপাট চলে গিয়েছে, মাটিতে মিশেছে মল্লদের রাজপ্রাসাদ। গড়ের আকারে থাকা প্রাচীন মল্ল রাজধানী বিষ্ণুপুর আজ একটি আধুনিক শহর। তবুও রয়ে গেছে মল্লদের ফেলে যাওয়া সেই আদি নিদর্শন। নেই রাজত্ব নেই রাজাও তবুও নিষ্ঠা ভরে পালিত হয়ে আসছে শতাব্দীপ্রাচীন এই রীতি।

Durga Puja 2024: জড়িয়ে আছে ১০০০ বছরের ইতিহাস, বীরভূমে মল্লরাজাদের দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য এর প্রাচীনত্বে

বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজ পরিবারের ১০২৭ বছরের কূলদেবী মৃন্ময়ী
বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজ পরিবারের ১০২৭ বছরের কূলদেবী মৃন্ময়ী
গোটা পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম দুর্গাপুজো গুলোর মধ্যে অন্যতম, বিরাট ইতিহাস।
গোটা পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম দুর্গাপুজো র মধ্যে অন্যতম, বিরাট ইতিহাস
৯৯৭ খ্রীষ্টাব্দের আগে ছোট এলাকায় বিস্তৃত ছিল মল্ল রাজত্ব। রাজধানী ছিল জয়পুরের প্রদ্যুম্নপুর এলাকায়।
৯৯৭ খ্রীষ্টাব্দের আগে ছোট এলাকায় বিস্তৃত ছিল মল্ল রাজত্ব। রাজধানী ছিল জয়পুরের প্রদ্যুম্নপুর এলাকায়।
বিষ্ণুপুরের রাজপরিবারের মৃন্ময়ীয় পুজো হয় একটি প্রাচীন বিশেষ পুঁথি অনুসারে। বলিনারায়নি নামের সেই পুঁথির নিয়ম নীতি মেনে
বিষ্ণুপুরের রাজপরিবারের মৃন্ময়ীয় পুজো হয় একটি প্রাচীন বিশেষ পুঁথি অনুসারে। বলিনারায়নি নামের সেই পুঁথির নিয়ম নীতি মেনে
সময়ের সাথে সাথে মল্ল রাজারা রাজ্যপাট হারিয়েছে। ধুলোয় মিশে গেছে বিশাল রাজপ্রাসাদ।
সময়ের  সঙ্গে মল্ল রাজারা রাজ্যপাট হারিয়েছে। ধুলোয় মিশে গেছে বিশাল রাজপ্রাসাদ।
পুজোর বোধনের ১৫ দিন আগে থেকেই উদযাপনে মেতে ওঠেন প্রাচীন মল্লভূমের আপামর মানুষ।
পুজোর বোধনের ১৫ দিন আগে থেকেই উদযাপনে মেতে ওঠেন প্রাচীন মল্লভূমের আপামর মানুষ।

Ramsagar Old Age Home: বিষ্ণুপুর যাওয়ার পথে ঢুঁ মারুন এই বৃদ্ধাশ্রমে, তিক্ত অতীত ভুলে হাসিতে ভরুক বয়স্কদের দিন

বাঁকুড়ার এই বিশেষ জায়গায় গেলে আপনার মন ভাল হয়ে যাবে। পাবেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সান্নিধ্য। অনেকেই শান্তি পেতে এই জায়গায় আসেন। আপনিও যেতে পারেন।
বাঁকুড়ার এই বিশেষ জায়গায় গেলে আপনার মন ভাল হয়ে যাবে। পাবেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সান্নিধ্য। অনেকেই শান্তি পেতে এই জায়গায় আসেন। আপনিও যেতে পারেন।
বাঁকুড়ার ওন্দা রামসাগরে রয়েছে অমর সেবা সংঘ নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম। এই বৃদ্ধাশ্রমে বসবাস করেন প্রাণোচ্ছ্বল বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা।
বাঁকুড়ার ওন্দা রামসাগরে রয়েছে অমর সেবা সংঘ নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম। এই বৃদ্ধাশ্রমে বসবাস করেন প্রাণোচ্ছ্বল বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা।
অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে খরচ বহন করে চলেছে এই বৃদ্ধাশ্রমে। বর্তমানে বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছেন ২৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। যাঁদের প্রত্যেকেরই দেখার কেউ নেই। কারও হাত নেই ,কারও পা নেই, কেউ আবার চোখে দেখতে পান না।
অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে খরচ বহন করে চলেছে এই বৃদ্ধাশ্রমে। বর্তমানে বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছেন ২৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। যাঁদের প্রত্যেকেরই দেখার কেউ নেই। কারও হাত নেই ,কারও পা নেই, কেউ আবার চোখে দেখতে পান না।
বৃদ্ধাশ্রমে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই রয়েছে একটি তিক্ত অতীত। কিন্তু শত সহস্র না পাওয়ার মধ্যেও এই বৃদ্ধাশ্রমে কেউ একাকী নন।
বৃদ্ধাশ্রমে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই রয়েছে একটি তিক্ত অতীত। কিন্তু শত সহস্র না পাওয়ার মধ্যেও এই বৃদ্ধাশ্রমে কেউ একাকী নন।
মানসিক শান্তি ,সাহচর্য এবং একরাশ গল্প আড্ডা ও হাসির মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে প্রত্যেকের।
মানসিক শান্তি ,সাহচর্য এবং একরাশ গল্প আড্ডা ও হাসির মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে প্রত্যেকের।
এই বৃদ্ধাশ্রমে ঘুরতে আসেন অনেকেই। সময় কাটান বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সঙ্গে। উঠে আসে একরাশ গল্প। কেটে যায় সময়। বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসেন দাদু দিদারা। সেই কারণে বাচ্চাদের ও খুব প্রিয় জায়গা এটি।
এই বৃদ্ধাশ্রমে ঘুরতে আসেন অনেকেই। সময় কাটান বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সঙ্গে। উঠে আসে একরাশ গল্প। কেটে যায় সময়। বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসেন দাদু দিদারা। সেই কারণে বাচ্চাদের ও খুব প্রিয় জায়গা এটি।
বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর রাস্তা ধরে বিষ্ণুপুর যাওযার পথে রামসাগরে একবার ঢুঁ মারতেই পারেন এই বৃদ্ধাবাসে। দেখতে পাবেন মানুষের জীবনের এক অন্য দিক। খুঁজে পাবেন মনের প্রশান্তি।
বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর রাস্তা ধরে বিষ্ণুপুর যাওযার পথে রামসাগরে একবার ঢুঁ মারতেই পারেন এই বৃদ্ধাবাসে। দেখতে পাবেন মানুষের জীবনের এক অন্য দিক। খুঁজে পাবেন মনের প্রশান্তি।

Durga Puja Fashion: অ্যান্টিক-রূপোর জুয়েলারি ছেড়ে এবার পরুন দশাবতার গয়না! পুজোর সেরা লুকে নজর কাড়বেন আপনিই

বাঁকুড়া: দেখুন বিষ্ণুপুরের এক মেয়ে তৈরি করছেন দশাবতার গয়না। দশাবতার গয়না আসলে কি? বিষ্ণুপুরের দশাবতার তাস একটি অদ্ভুত সৃষ্টি। সুতির কাপড়কে তেঁতুল বীজের আঠার সঙ্গে মিশিয়ে শুকিয়ে গোল চাকতির মতো করে কেটে চাকতির উপর রাখা হয় বিষ্ণুর দশ অবতারকে। এরকম একটি পুরো সেটকে বলে দশাবতার তাস। এবার সেই তাস জায়গা পাচ্ছে গয়নায়। গলার হার এবং কানের দুল, একদম ম্যাচ করা সেট।

মোগল ইতিহাস এবং বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্য। দুর্গাপুজোকে উপলক্ষ করে তৈরি করা হচ্ছে এই গয়না। তৈরি করছেন বিষ্ণুপুরের শিল্পী শিল্পা সূত্রধর। দুর্গাপুজোর আগে মার্কেটের ট্রেন্ড ধরতে এমন নতুনত্ব একটা আইডিয়া নিয়ে আসেন শিল্পা। শিল্পা বলেন যে এই গয়নাগুলি তিনি দশবতার তাস যেভাবে তৈরি হয় ঠিক সেভাবেই তৈরি করেছেন। সেট গুলি তৈরি করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মার্কেটিং করেন শিল্পা। এরপর অর্ডার অনুযায়ী বিক্রি করে থাকেন রাজ্যের বিভিন্ন অংশে।

আরও পড়ুন-   বলুন তো, এমন কোন প্রাণী দুধ ও ডিম দু’টোই দেয়? ৯৯ শতাংশই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! আপনি কি জানেন?

শিল্পা সূত্রধর বলেন, পুজোর আগে বিষ্ণুপুরের ক্লাসিক দশাবতার তাসের গয়নাগুলির চাহিদা দিন দিন ঊর্ধ্বমুখী পারদের মতো বাড়ছে। এক একটি সেট প্রায় ১২০০ টাকায় বিক্রি করছেন শিল্পা। তবেই দাম আলোচনা সাপেক্ষ। দশাবতার তাস তৈরি করতে যা যা ব্যবহার করা হয় ঠিক সেই উপকরণ ব্যবহার করি তৈরি করছেন তিনি, ফলে বিষ্ণুপুরি ঘরানার মধ্যে কোনও পরিবর্তন আনছেন না এই শিল্পী। ঘোড়া নাকি সম্মান জানিয়ে আধুনিক নারীদের জন্য তৈরি করেছেন এই গয়না।

আরও পড়ুন-   বলুন তো, এমন কোন প্রাণী দুধ ও ডিম দু’টোই দেয়? ৯৯ শতাংশই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! আপনি কি জানেন?

“ইভোলিউশন” বলে একটা কথা আছে, যার অর্থ হল বিবর্তন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্পী শিল্পাও যেন বিবর্তন করলেন। মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে ঠিক দুর্গাপুজোর আগে নিজের শহরের অন্যতম বিশেষ শৈল্পিক ঘরানাকে ফুটিয়ে তুলেছেন গয়নার সেটে। যাতে সাধারণ মানুষের হাত ধরে আরও পৌঁছে যাবে দশাবতার তাসের অনন্য গল্প।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Local News: বিষ্ণুপুরে বৃষ্টির জলে ডুবেছে ক্লাসরুম, তার মধ্যেই চলছে পড়াশোনা, ভোগান্তি চরমে

বিষ্ণুপুরে বৃষ্টির জলে ডুবেছে ক্লাসরুম, তার মধ্যেই চলছে পড়াশোনা, ভোগান্তি চরমে। বৃষ্টির জলে ডুবেছে ক্লাসরুম।জমা জলের মধ্যেই ক্লাস করছে পড়ুয়ারা। চরম জলযন্ত্রণায় বিষ্ণুপুরের রামানন্দ কলেজের পড়ুয়ারা। নিকাশি আটকে বাঁধ নির্মাণের জেরেই বিপত্তি। জলে পা ডুবিয়েই ক্লাস করছেন পড়ুয়ারা।

Indian Railways: তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর লাইনের কাজ এগলো কতদূর? বড় আপডেট দিল ভারতীয় রেল

তারকেশ্বর: তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলওয়ে প্রকল্পের গোঘাট ও ময়নাপুর এরমধ্যে লাইন সংযোগের কাজ পুরোদমে চলছে। আশা করা হচ্ছে যে ময়নাপুর এবং বড় গোপীনাথপুরের মধ্যে ৭.৫২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেললাইনের প্রসারণের কাজটি শীঘ্রই সম্পন্ন হবে এবং তারপরে বড় গোপিনাথপুর এবং জয়রামবাটির মধ্যে পরবর্তী প্রকল্প চালু করা হবে।

বড় গোপীনাথপুর-ময়নাপুর লাইনের নির্মাণ কাজ ৯০% সম্পন্ন হয়েছে। বড় গোপীনাথপুরে রেলওয়ে ট্র্যাক ও স্টেশন বিল্ডিং স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সমস্ত বড় এবং ছোট সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে (৩৩টির মধ্যে, ৩১টি ছোট সেতু / সীমিত উচ্চতার সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ৩টি বড় সেতু নির্মাণের কাজের জন্য সাবস্ট্রাকচার এবং গার্ডার তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে)। পয়েন্ট ও ক্রসিং এর সাথে ট্র্যাকের সংযোগ  এবং ব্যালাস্টিং এর কাজ চলছে। ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনের জন্য ভিত্তি  নির্মাণ করা হয়েছে। সিগন্যালিং ক্যাবল (ওএফসি) বসানোর কাজও শুরু হতে চলেছে ১ বা ২ দিনের মধ্যে।

আরও পড়ুন-  বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

বড় গোপীনাথপুর এবং জয়রামবাটি (৭.১ কিমি) এর মধ্যে ট্র্যাকের ভিত্তি স্থাপন এবংসেতু নির্মানের কাজ চলছে। ২৬টির মধ্যে ২১টি ছোট সেতু/সীমিত উচ্চতার সাবওয়ে/রোড আন্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, ৮ টির মধ্যে ৫ টি বড় সেতুর জন্য পরিকাঠামো ও গার্ডার তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জয়রামবাটিতে স্টেশন বিল্ডিং এর  নির্মাণ কাজ চলছে।  আশা করা হচ্ছে যে, বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত পুরো সংযোজনের কাজ এই বছরের শেষের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

কামারপুকুর স্টেশন বিল্ডিংঅনেক আগেই নির্মিত হয়েছে এবং সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু কামারপুকুরে স্লিপার এবং লাইন ইতিমধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে এবং এই স্টেশনটিতে এখন জয়রামবাটির সাথে সংযোগ করার জন্য ট্র্যাকের সংযোজনের  অবশিষ্ট অংশ নির্মাণের জন্য  প্রস্তুতি চলছে। যদিও জয়রামবাটি এবং কামারপুকুরের মধ্যে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা ইতিমধ্যেই সমাধান করা হয়েছে কিন্তু প্রায় ১.৫ কিলোমিটার প্রসারিত এই দুটি স্টেশনের মধ্যে একটি নিচু এলাকা রয়েছে যার জন্য এই এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য রেলওয়ে সেতু নির্মাণের প্রয়োজন এবং সেই অনুযায়ী পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-  গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

গোঘাট প্রান্ত থেকে রেলওয়ে ট্র্যাকটি গোঘাট স্টেশনের বাইরে প্রায় ১.৫ কিমি পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়েছে এবং গোঘাটকে কামারপুকুরের সাথে সংযুক্ত করার জন্য উভয় দিক থেকে মাটির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, সমস্ত (২৮টি) ছোট সেতু/সীমিত উচ্চতার সেতুর কাজ গোঘাট ও কামারপুকুরের মধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু ভবাদিঘির ওপর দিয়ে প্রায় ৯০০ মিটার দীর্ঘ রেলপথ নির্মাণের কাজ স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে থমকে আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সক্রিয় সহযোগিতায় খুব শীঘ্রই এই সমস্যারও সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রেলওয়ে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ব্যাবস্থার উন্নতির জন্ন্য ও পরিবহন সহজলভ্য করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই প্রোজেক্টটিতে  বিশেষ আলোকপাত করেছে এবং সুসম্পন্ন হওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি উচ্চ ফলনশীল কৃষিপ্রধান প্রকৃতির, তাই তারকেশ্বর এবং বিষ্ণুপুরের মধ্যে উচ্চগতির যোগাযোগ একটি নতুন পরিবর্তন  নিয়ে আসবে যেটি ভবিষ্যতে উন্নত পরিকাঠামো এবং আধুনিক পরিবহনের  সহযোগী হয়ে উঠবে।

Election Violence: সৌমিত্র-সুজাতার ‘লড়াই’ চলছে ফলের মাঝেই, বিজেপি পার্টি অফিসে ভয়ঙ্কর কাণ্ড তৃণমূলের

*বিষ্ণুপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। ব্যপক উত্তেজনা। গণনার দিন সকাল থেকেই  বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ছিল চাপা উত্তেজনা। তৃতীয় রাউন্ডের গণনার ফল ঘোষণা হতেই বিষ্ণুপুর হাইস্কুল ময়দানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। 
*বিষ্ণুপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। ব্যপক উত্তেজনা। গণনার দিন সকাল থেকেই  বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ছিল চাপা উত্তেজনা। তৃতীয় রাউন্ডের গণনার ফল ঘোষণা হতেই বিষ্ণুপুর হাইস্কুল ময়দানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। 
*অভিযোগ তৃতীয় রাউন্ডে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ ১০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন, এই ঘোষণা হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুই শিবিরের মধ্যে।
*অভিযোগ তৃতীয় রাউন্ডে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ ১০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন, এই ঘোষণা হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুই শিবিরের মধ্যে।
*তৃণমূল কর্মীরা লাঠি, রড, ইট নিয়ে তেড়ে যান বিজেপি শিবিরের দিকে। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধরের পাশাপাশি বিজেপির জেলা সভাপতি-সহ একাধিক গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। প্রতিবেদন ও ছবিঃ নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। 
*তৃণমূল কর্মীরা লাঠি, রড, ইট নিয়ে তেড়ে যান বিজেপি শিবিরের দিকে। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধরের পাশাপাশি বিজেপির জেলা সভাপতি-সহ একাধিক গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। প্রতিবেদন ও ছবিঃ নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। 
*বিজেপির দাবি, তৃনমূল পিছিয়ে থাকায় হতাশায় এই কাজ করেছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি বিজেপি আগে হামলা চালিয়েছিল, এটা তারই পাল্টা।
*বিজেপির দাবি, তৃনমূল পিছিয়ে থাকায় হতাশায় এই কাজ করেছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি বিজেপি আগে হামলা চালিয়েছিল, এটা তারই পাল্টা।
*বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে ১৮,৩৮৫ ভোটে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র খাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৪,৪২৪৯। সুজাতা মণ্ডলের প্রাপ্ত ভোট ২২,৫৮৬৪। প্রতিবেদন ও ছবিঃ নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়।
*বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে ১৮,৩৮৫ ভোটে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র খাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৪,৪২৪৯। সুজাতা মণ্ডলের প্রাপ্ত ভোট ২২,৫৮৬৪। প্রতিবেদন ও ছবিঃ নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়।

Bankura Viral News: একের পর এক ডুব, জমে গেল ভিড়! জলে ১৪৩১ বার ওঠানামা ‘বিষ্ণুপুরের পানকৌড়ি’র, কেন এমন কাণ্ড!

বাঁকুড়া: অভিনব বর্ষবরণ বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী যমুনা বাঁধের জলে। ১৪৩১টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করলেন বিষ্ণুপুরের যুবক সদানন্দ দত্ত। সদানন্দের এই কীর্তি দেখার জন্য প্রতি বছর অপেক্ষায় থাকেন সাধারণ মানুষ। ইংরেজি বর্ষ বরণ এবং বাংলা বর্ষবরণের দিন এক অসাধ্য সাধন করেন সদানন্দ।

আরও পড়ুন: চিনি নয়, চায়ে মেশান এক চিমটে নুন…! ৪ কঠিন রোগ থেকে মুক্তি দেবে এই লবণ চা, শুনে অবিশ্বাস্য লাগলেও সত্যি!

সদানন্দের এই কাণ্ড দেখতে যমুনা বাঁধের চারপাশে ভিড় করতে দেখা গেল স্থানীয়দের। সদানন্দের ইচ্ছে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এ নাম তোলার। সেই কারণেই বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী লালবাঁধে ২০২৪টি এবং যমুনাবাঁধে ১৪৩১টি ডুব দিলেন তিনি। তাঁর নাম ‘বিষ্ণুপুরের পানকৌড়ি’। বিষ্ণুপুরের যুবক সদানন্দ দত্ত জানান, “অনেকেই অনেক কিছু করছে, আমার ইচ্ছা জলে ডুব দিয়ে রেকর্ড বুকে নাম তোলার, সঙ্গে বিষ্ণুপুরবাসী হিসেবে বিষ্ণুপুরের নাম উজ্জ্বল করতে চাই।”

বিষ্ণুপুরের যুবক সদানন্দ অভিনব পদ্ধতিতে নতুন বছরকে বরণ করে নিলেন। বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের ইতিহাস জড়িয়ে যমুনাবাঁধে। এই বাঁধে প্রতি বছরই বাংলা এবং ইংরেজির নতুন বছরকে এই ভাবেই বরণ করেন সদানন্দ দত্ত। ১৪২৯ সালে ১৪২৯টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করেছেন। ১৪৩০ সালে ১৪৩০টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করেছেন সদানন্দ। এবার ১৪৩১ সাল, তাই ১৪৩১টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করলেন বিষ্ণুপুরের যুবক।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী