ভাবাদিঘী

Lok Sabha Election 2024: ভবাদিঘি বাঁচাতে ভোট, লোকসভা নির্বাচনে ওয়ান পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা!

হুগলি: সোমবার পঞ্চম দফার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়ে গেল আরামবাগ কেন্দ্রে। এরই মধ্যে একটি প্রাচীন দিঘিকে কেন্দ্র করে ভোটে নিজেদের মতামত জানালেন আরামবাগের একটি গ্রামের বাসিন্দারা।

আরামবাগ লোকসভার অন্তর্গত গোঘাটের ভবাদিঘির নাম অনেকেই জানেন। গোঘাট-১ ব্লকের অন্তর্গত এই ভাবাদিঘি গ্রাম। এখানকার বাসিন্দারা গত কয়েক বছর ধরে দিঘিটি বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে লড়াই আন্দোলন করে চলেছেন। কারণ রেলপথ সম্প্রসারণের জন্য এই দিঘিটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মত একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, রেলপথ ঘুরিয়ে পাশ থেকে নিয়ে যাওয়া হোক, কিন্তু ভবাদিঘির ক্ষতি করা চলবে না।

আরও পড়ুন: ক্যারাটে-তে রাজ্যের সেরা কাটোয়ার সাত্ত্বিক

দিঘি বাঁচিয়েই করতে হবে রেলপথ, এটাই এবারের নির্বাচনে মূল দাবি ছিল এখানকার বাসিন্দাদের। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল যোগাযোগের জন্য ভাবাদিঘির উপর দিয়ে রেললাইন নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ২০১০ সালে এই পরিকল্পনা সামনে আসার পরই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন এখানকার গ্রামবাসীরা। সেই ইস্যু আজও জিইয়ে আছে। ভোট দিয়ে বুথের বাইরে বেরিয়ে ভাবাদিঘির মানুষজন এদিন বলেন, আমাদের আশা যাতে এই দিঘিটা বাঁচে। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাঁরা জানান, এলাকায় আর কোনও পুকুর বা জলাশয় নেই। গবাদি পশু থেকে শুরু করে মানুষ, সকলেই নির্ভরশীল এই দিঘির উপরে। সেই কারণে নির্বাচনের দিনও যেন ভাবাদিঘির কথা ভেবেই ভোট দিলেন সবাই। সকাল থেকেই মহিলারা ভোট দিতে ভিড় করেন ভাবাদিঘি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮১ নম্বর বুথে।

বিরাট এই ভবাদিঘি। প্রায় ৫২ বিঘা জমির উপর দাঁড়িয়ে আছে। এই দিঘিতে করা হয় মাছ চাষ। সেই মাছ চাষের টাকা থেকে সংসার চলে গ্রামের বড় অংশের মানুষের। এলাকার বহু পরিবার এখনও দিঘির জল ব্যবহার করেন। দিঘিটা এলাকাবাসীদের কাছে অন্নদাতা মায়ের মত। কিন্তু তার উপর দিয়ে রেললাইন গেলে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী