এই সমস্ত স্টেশনে রয়েছে একটি করে সেড

Eastern Railway: রোদ উঠুক বা ঝড় বৃষ্টি, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বেহাল দশা রেল যাত্রীদের

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বারুইপুর স্টেশন থেকে শুরু করে বহডু, কল্যাণপুর, মথুরাপুর সহ সব স্টেশনেই ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সফর করেন যাত্রীরা। অধিকাংশ প্ল্যাটফর্মেই শেড বলতে রয়েছে একটি। ভরদুপুরের চড়া গরমে কিংবা বৃষ্টির সময় ওই শেডের নিচেই গাদাগাদি করে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করেন যাত্রীরা। রেল কর্তৃপক্ষের এই ব্যাপারে হেলদোল নেই। এমন অব্যবস্থার ফলে ক্রমশ ভোগান্তি বাড়ছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার যাত্রীদের।

শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন হল বারুইপুর। এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এখানে চারটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এরমধ্যে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বড় শেড থাকলেও ৩ এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রয়েছে মাত্র একটি ছোট শেড। ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানা যাওয়ার ট্রেন থাকে অধিকাংশ সময়। ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সাধারণত বারুইপুর লোকাল বা আপ ট্রেন ছাড়ে। বৃষ্টি নামলে শেডের নিচে দাঁড়ানোর জন্য যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে মাঝেমধ্যে। এক যাত্রীদের কথায়, এই স্টেশনে যাত্রীদের ভালমন্দের দিকে রেলের কোনও নজর নেই। বৈধ টিকিট থাকলেও বৃষ্টিতে ভিজে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

আর‌ও পড়ুন: মালাবদল করে শুরু ফুটবল ম্যাচ!

এছাড়া শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার আরও একটি বড় স্টেশন বহুডু। জয়নগরের মোয়ার জন্য বহুডুর নাম জগৎজোড়া। এই বহডুতেই বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটে। এই স্টেশনে দু’টি প্ল্যাটফর্ম থাকলেও মাত্র একটি করে শেড রয়েছে। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যেখানে শেডটি রয়েছে, সেখানে পৌঁছতেই যাত্রীদের অনেকটা সময় লেগে যায়। তাঁদের বক্তব্য, শুধু শেড নয়, পানীয় জলও সব সময় মেলে না। অন্যান্য স্টেশনেও কমবেশি এই সমস্যাগুলো বজায় আছে। এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখছি।

সুমন সাহা