Tag Archives: soil erosion

River Erosion: রায়মঙ্গলের পাড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে সুন্দরবনের শিশু উদ্যান

উত্তর ২৪ পরগনা: রায়মঙ্গলের পাড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে সুন্দরবনের শিশু উদ্যান। নদী কিংবা স্থলপথে সুন্দরবনে বেড়াতে যেতে গেলে অনেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জের লেবুখালি ও দুলদুলির মাঝে রায়মঙ্গল নদী পেরিয়ে সুন্দরবনে পৌঁছন।

সুন্দরবন যাওয়ার সময় অথবা পথ চলতি অনেকে লেবুখালি শিশু উদ্যানে বিশ্রাম করতেন। কেউ কেউ আবার অবসর সময় কাটাতেন। আর সেই শিশু উদ্যান‌‌ই আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সাধারণ মানুষ তথা ছেলেমেয়েদের মনোরঞ্জনের কথা ভেবে বাম আমলে রায়মঙ্গল নদীর তীরে তৈরি হয়েছিল শিশু উদ্যান পিকনিক স্পট, যা লেবুখলি উদ্যান নামে পরিচিত। অনেকে এখানে ঘুরতে আসতেন, আবার কেউ কেউ দলবল নিয়ে পিকনিক করতে আসতেন। তবে সেই পার্কটি বর্তমানে সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদীর করাল গ্রাসে পড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: বৃষ্টি শুরু হতেই আস্ত রাস্তা তলিয়ে গেল গঙ্গায়! আবার ভাঙন আতঙ্ক সামশেরগঞ্জে

শিশু উদ্যানটির একাধিক খেলনা উপকরণ থেকে শুরু করে কংক্রিটের প্রাচীর ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। পাশাপাশি নদীর পাড়ের মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে সেটিও নদীবক্ষে বিলীন হচ্ছে। এভাবেই আলগা হচ্ছে চার দেওয়ালের ভিত। কালের প্রবাহে অবহেলা-অযত্নে নদীর তীরে গড়ে ওঠা শিশু উদ্যানটি রায়মঙ্গলের বুকে মিশে যেতে চলেছে। উদ্যানটির যে পিলারগুলো এখনও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে তার সিংহভাগই ভাঙাচোরা। কোনও কোনও অংশ ভেঙে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছে। ঢেউয়ের ধাক্কায় প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে ইটের পাঁজর।

ভবঘুরে আর বাউণ্ডুলেদের আড্ডায় পরিণত হয়েছে এই পার্ক। সন্ধে নামতেই জুয়া ও মদের আসর বসে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন এখানে আসা ভ্রমণকারীরা। তবে এই উদ্যানটি আবার স্বমহিমায় আগের অবস্থায় ফিরুক এমনটি চাইছেন এলাকার মানুষ।

জুলফিকার মোল্যা

Broken Road Problem: বৃষ্টির পরই ভাঙন! বেহাল রাস্তায় আতঙ্কের দিন কাটছে কোচবিহারের নথিবাড়ির

কোচবিহার: টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। তার মধ্যেই উঠে আসছে ভাঙনের ছবি। চলাচলের মূল রাস্তা জুড়ে ফাটলের রেখা। ধসে গেছে পার। কোচবিহারের উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বাসদহ নথিবাড়ি এলাকায় সর্বত্র এই হাল। ভাঙনের জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার উপক্রম। স্থানীয়দের আশঙ্কা, যে কোনও মুহূর্তেই রাস্তার কারণে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। জলের তোরে রাস্তার এক বিশাল অংশ ধসে গিয়েছে।

কী ভাবে হল এই হাল? স্থানীয় বাসিন্দা আরতি বর্মনের কথায়, “এলাকায় একটি পিএইচই-র জলের ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছিল। সেই কারণে দেওয়াল তুলে দেওয়া হয়। ফলে জল বেরোনোর রাস্তা আটকে যায়। এতেই এই রাস্তার ভাঙন হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, রাস্তাটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। বহু মানুষ এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করেন। বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার জন্যও এই একটি মাত্র রাস্তা রয়েছে। বেহাল রাস্তা যে এলাকার সকলেরই অসুবিধের কারণ হয়ে উঠেছে তা আরও এক বাসিন্দার কথা থেকেও স্পষ্ট।

স্থানীয় বাসিন্দা চিরঞ্জিত বর্মনের দাবি, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। তবে বার বার পঞ্চায়েতে স্তরে আবেদন জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি বলে জানান তিনি। চিরঞ্জিতের কথায়, “এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে। দ্রুতই সমস্যা সমাধান না করা হলে, সবাই আন্দোলনের পথ বেছে নেবেন।”

আরও পড়ুন: ৭৫ বছর বয়সে একমাত্র এই ফল চাষ করে লাভ করছেন বৃদ্ধ! জলও লাগে না

সম্প্রতি এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং বিডিও। তাঁরা গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত সমাধান হবে। বিডিও বিশ্বজিৎ মন্ডল জানান, রাস্তা সংস্কার করা হবে। মূলত পিএইচই-র কাজের কারণেই রাস্তাটির এই দশা হয়েছে। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য। আগামী এক থেকে দু’দিনের মধ্যে রাস্তাসংস্কার করে আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনা হবে। আস্বাস বিডিওর।

সার্থক পন্ডিত

River Erosion: বর্ষা এলেই প্রাণ কাঁপে নদী পাড়ের মানুষগুলোর! সুন্দরবন জুড়ে এখন শুধুই আতঙ্কের ছবি

উত্তর ২৪ পরগনা: বর্ষা এলেই প্রাণ কাঁপে সুন্দরবনের নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। প্রাকৃতিক দুর্যোগের করাল গ্রাসে বারেবারে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সুন্দরবন। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মাঝে কেটেছে দীর্ঘ একটা যুগের বেশি সময়। কিন্তু সুন্দরবন সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষের চোখে আজও টাটকা আয়লা, ইয়াস, আমফানের মত একের পর এক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের দুঃসহ স্মৃতি।

সুন্দরবনের নদীর পাড়ের বাসিন্দারা দুর্যোগের আশঙ্কায় সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকেন। এই বর্ষাকাল এলে সেই বিপদ বহুগুণ বেড়ে ওঠে। কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে বসবাস করেন তাঁরা। আজও সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের নির্মম স্মৃতি। এই পরিস্থিতিতে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সুন্দরবনবাসীর। সুন্দরবনের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ সহ সর্বত্র নদী বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে নদী বাঁধ ভাঙলে ঘর ছাড়া হতে হবে।

আরও পড়ুন: মাত্র ৩৫০ টাকায় দিন গুজরান! তাও কাজ জোটে না প্রতিদিন

এমন বিপদ থেকে স্থায়ীভাবে বাঁচার জন্য সুন্দরবনের মানুষ চাইছে, এখানকার নদীগুলির বাঁধ কংক্রিট দিয়ে বাঁধিয়ে দেওয়া হোক। কংক্রিটের নদী বাঁধ পেলে হয়ত কিছুটা নিরাপদ বোধ করবেন এই প্রান্তিক মানুষগুলো। তবে আজও সেই দাবি সামগ্রিকভাবে পূরণ না হওয়ায় বর্ষা আসতেই দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে।

জুলফিকার মোল্যা