তাদের নিয়ে আসা হয়েছিল শান্তিপুর হাসপাতালে

Road Accident: দাদার স্কুটিতে করে নবদ্বীপ থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন, দুর্ঘটনায় বাদ গেল বোনের পা

শান্তিপুর: পথ দুর্ঘটনায় বাদ গেল অতীতে অপারেশন হওয়া পা। মাথায় হেলমেট থাকায় কোনরকমে বেঁচে গিয়েছে প্রাণটা। নবদ্বীপে পুজো দিয়ে কলকাতার বাড়িতে ফেরার সময় পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হল দাদা ও বোন।

কলকাতা থেকে স্কুটিতে মাসতুতো বোন রিতা দত্ত চৌধুরীকে নিয়ে নবদ্বীপে পুজো দিতে গিয়েছিলেন ৫২ বছর বয়সী বাদল রায়। বেলেঘাটার সেল ট্যাক্স অফিসের কাছে খালপোলের বাসিন্দা তিনি। পার্শ্ববর্তী বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় থাকেন রিতা। দুজনেই অবিবাহিত। সম্প্রতি বোনের দুই পায়ে জোর না পাওয়ার কারণে ভেলোরে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন করিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করেছিলেন। সেই উপলক্ষেই নবদ্বীপে পুজো দিতে এসেছিলেন দুই ভাই-বোন মিলে ‌। সেখান থেকেই ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় চিরজীবনের মত বাদ পড়ে গেল রিতার পা।

আরও পড়ুন: ভোটের আগে চমক, অধিকারী ‘গড়ে’ তিন পুলিশকর্তাকে সরিয়ে দিল কমিশন

শান্তিপুর বাথনা এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি মাঠ থেকে ট্রাক্টর হঠাৎই উঠে পড়ে রাস্তায়। সেই সময় এসে পড়ে বাদল রায়ের স্কুটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। রাস্তায় ছিটকে পড়েন পঞ্চাশোর্ধ দাদা-বোন দুজনেই। বোনের দুই পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় চার চাকা গাড়ির চাকা। দাদার একটি হাত ভেঙে যায়। দুজনেরই কোমর, পিঠ এবং শরীরের বেশকিছু জায়গায় গুরুতর আঘাত লাগে। তবে দুজনেই হেলমেট পরে ছিলেন বলে মাথায় আঘাত পাননি।

পথ চলতে মানুষজনই আহত দাদা-বোনকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ার কারণে কলকাতায় এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে দুজনের ক্ষেত্রেই বয়স হলেও মানসিক দৃঢ়তা অত্যন্ত বেশি, তাই পরিবারকে খবর দেওয়া এবং ধাক্কা লাগা স্কুটি শান্তিপুর থানায় রেখে দেওয়ার সুব্যবস্থা করেন নিজেরাই। এদিকে যে ট্রাক্টরের জন্যই দুর্ঘটনা সেটিকে আটক করেছে পুলিশ।

মৈনাক দেবনাথ