Tag Archives: Adhir Choudhury

Lok Sabha Election 2024: বহরমপুর লোকসভাতে বেশ কিছু বুথে পুনরায় নির্বাচনের দাবি অধীরের

মুর্শিদাবাদ: শেষ হয়েছে চতুর্থ দফার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন পর্ব। মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হলেও বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি দেখা যায়। তবে নির্বাচন সম্পন্ন করেই মঙ্গলবার দুপুরে চেনা ছন্দে সাংবাদিক বৈঠক করলেন কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

মঙ্গলবার বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী জানান, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সালারের বেশ কিছু জায়গায় রিগিং করা হয়েছে। আমরা ৬ থেকে ৭টি বুথে নতুন করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করব। অন্য দিকে অধীর চৌধুরী এও বলেন, পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিকের হাব। দক্ষিণ ভারতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশি পরিমাণ শ্রমিক যায় কাজের উদ্দেশ্যে, তার কারণ পশ্চিমবঙ্গে কোনও কাজ নেই।

অন্য দিকে অধীরের গলায় শোনা যায় বীরভূমে কংগ্রেস প্রার্থী মিলটন রসিদ-এবং তাঁর এবার জয়ের সম্ভাবনা প্রবল। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে অধীর এও বলেন, এত আনন্দ ও মশকরা করার সময় এটা নয়, বীরভূমে তৃণমূলের আসন হাতছাড়া প্রবল বলেই মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার বহরমপুর লোকসভা-সহ রাজ্যের আটটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সালার-সহ বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি সৃষ্টি হয়। ছাপ্পা ও রিগিং করার অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। অভিযোগ ওঠে শাসকদল তৃণমূলের দিকে। আর সেই সমস্ত বুথেই এবার নতুন করে পুনঃনির্বাচনের দাবি করলেন বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী ।

কৌশিক অধিকারী

Lok Sabha Election 2024: অধীরের বিরুদ্ধে আর এক অধীর, সেলিমের বিরুদ্ধে সেলিম! মর্শিদাবাদে লোকসভা ভোট অবাক কাণ্ড

বহরমপুর: বহরমপুরে অধীরের বিরুদ্ধে প্রার্থী আরেক ‘অধীর, মুর্শিদাবাদের সেলিমের পাল্টা ‘সেলিম’! এ কি কান্ড রাজনৈতিক ময়দানে। তাপমাত্রার পারদের মতোই এবার বাড়তে শুরু করেছে ভোটের তাপমাত্রার পারদ। তাবড় তাবড় হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে সেলিব্রেটিদের প্রচারে এখন দেশের পাশাপাশি বাংলার বিভিন্ন জেলায় জমজমাট ভোট প্রচার। তবে এসবের মধ্যেই বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ এই দুই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকায় দেখা গেল বিরাট চমক। একদিকে অধীরের বিরুদ্ধে আরেক অধীর। অন্যদিকে, সেলিমের বিরুদ্ধে আরেক সেলিম।

দেখুনঃ রচনার ভোট প্রচারে সঙ্গী দেব! বিদায়ী সাংসদ কী পরামর্শ দিলেন Didi No 1-কে 

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল স্লোগান তুলেছিল ‘খেলা হবে’। সেই খেলা হবে স্লোগান আজও একইভাবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয়। তবে এবার বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকায় যাদের যাদের নাম দেখা যাচ্ছে তাতে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, প্রার্থী তালিকাতেও ‘খেলা হবে’।

আসলে বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদের লোকসভা কেন্দ্রে যে সকল প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের মধ্যে জনপ্রিয় বাম নেতা মহঃ সেলিম ছাড়াও রয়েছেন আরও এক মহঃ সেলিম। আবার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রেও হেভিওয়েট জনপ্রিয় কংগ্রেস নেতা অধীরের পাল্টা রয়েছেন আরেক অধীর। সচরাচর এমন ঘটনা দেখা যায় না বললেই চলে, অথবা এই ধরনের ঘটনা অনেকের কাছে বিশ্বাস নাও হতে পারে। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে এমন ঘটনায় ঘুরতে দেখা গেল বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে।

মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে এবার কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী মহঃ সেলিম। আবার ওই কেন্দ্রেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে আরেক মহঃ সেলিম সেলিম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে একই নামের দু’জন প্রার্থী থাকার কারণে ভোট এদিক ওদিক হওয়ার প্রবল সম্ভবনা থাকে। তবে বাম প্রার্থী মহঃ সেলিম এই যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন মূলত নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা করা মহঃ সেলিমের প্রার্থী পদ বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে।

অন্যদিকে, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আরও এক অধীরকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেখা গিয়েছে। তিনিও নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এই প্রার্থীর প্রার্থী পদ কিন্তু বাতিল হয়নি। যে কারণে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ভোট নিয়ে একটি চিন্তার কারণ থেকেই যায়। যদিও তাকে এই চিন্তা থেকে একমাত্র উদ্ধার করতে পারে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীর পদবী। কেননা তিনি হলেন অধীর স্বর্ণকার। তবে সে যাই হোক, এর আগে কোন কেন্দ্রে এইভাবে নামের ক্ষেত্রে খুব কমই সামঞ্জস্য নজরে এসেছে বলেই জানা যাচ্ছে।

কৌশিক অধিকারী

Adhir Ranjan Chowdhury: গড় রক্ষায় এই নিয়ে ষষ্ঠ বার! বামেদের মীনাক্ষীকে পাশে নিয়ে মনোনয়ন জমা অধীর চৌধুরীর

দক্ষিণবঙ্গ: টানা ৫ বারের সাংসদ। এক সময়ে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিচিত ছিল তাঁর গড় হিসেবেই। ১৯৯৯ সাল থেকে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে নিজের শিকড় আঁকড়ে ধরে রেখেছেন একদা বহরমপুরের রবিনহুড অধীর চৌধুরী। আর নিজের গড় পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ৬ বারের জন্য নিজের মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

বুধবার উৎসবের মেজাজে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় বিশাল মিছিল করে এসে বহরমপুর প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন এদিনের মিছিলে। অধীর চৌধুরীর সমর্থনে এদিনের মনোনয়ন জমা করার মিছিলে বাম-কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের ঢল নামে বহরমপুরের রাস্তায়।

আরও পড়ুন: তৃণমূলপ্রার্থীর প্রচারে গিয়ে বিরোধী সুকান্তর প্রশংসা! এ কী বললেন দেব…ভাইরাল ভিডিও

ডিওয়াইএফআই -এর রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাংলায় দুর্নীতি, চুরি, লুটের বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাই সাধারণ মানুষও পরিবর্তন চাইছে। বহরমপুরবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে জোটের সমর্থনে অধীর চৌধুরীর হাত শক্ত করবে বলেই আমি নিশ্চিত।’’

এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমাকে প্রার্থী মনোনীত করেছে। আমি মানুষের জন্য লড়াই করতে চাই। বহরমপুরের মানুষের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। আমার প্রতি মানুষের সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আজকের মিছিলে।’’

আরও পড়ুন: কপালে গেরুয়া তিলক, হাতে ডমরু! মনোনয়ন জমা দেওয়ার শোভাযাত্রাতেও তাক লাগালেন দিলীপ ঘোষ

বুধবার ডমরু বাজিয়ে রোড শো করে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষও। তার আগে করেন বিশেষ পূজার্চনা। মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার পথে বলেন, ‘‘বাবা ভোলানাথের আশীর্বাদ নিয়েছি। তাই হাতে ডমরু।’’

Abhishek Banerjee Exclusive Interview: ‘অধীর চৌধুরীকে হারাতে যাইনি, বহরমপুর জিততে গিয়েছি’, কংগ্রেসকে তোপ অভিষেকের

বহরমপুর: রাজনৈতিক ভাবে সারা বছর নজর থাকে রাজ্যের বহরমপুর লোকসভা আসনে। এবার সেই লড়াই আরও অনেক বেশি আকর্ষণীয়৷ কারণ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস এবার প্রার্থী করেছে প্রখ্যাত ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে৷ যদিও তাকে আক্রমণ শানাতে ছাড়ছে না কংগ্রেস শিবির৷ অধীর চৌধুরীর শিবির জানাচ্ছে বহরমপুর জেতার ব্যাপারে তারা নিশ্চিত। এই অবস্থায় বহরমপুর নিয়ে ফের অধীরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ প্রচারে বেরিয়ে সবজি তুললেন তৃণমূল প্রার্থী! পাকা রাঁধুনির মতো রান্না করলেন মিতালি বাগ  

অধীরের বিরুদ্ধে ইউসুফ প্রার্থী, কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে নিউজ ১৮ বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “আমরা অধীর চৌধুরীকে হারাতে যাইনি। আমরা বহরমপুর জিততে গিয়েছি। কে দ্বিতীয় হবে আর কে তৃতীয় হবে সেটা আমাদের বিষয় নয়।” কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে এই রাজ্যে আসন সমঝোতা হয়নি৷ রাজনৈতিক শিবির এর পেছনে অধীর বনাম তৃণমূলের দ্বন্দ্বের কথা বলে৷ অধীর অবশ্য রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন রোজ।

গত জানুয়ারি মাসে লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। তিনি জানিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটে বহরমপুরে হেরে গেলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে আগামী লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার বিরোধিতা করে অধীরের মন্তব্য ছিল, ‘‘বহরমপুরে তো হারাবে বলছে, মালদায় তো হারাবে বলছে। ওপেন চ্যালেঞ্জ করছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে, যে কোনও মামুকে এখানে পাঠিয়ে দাও। যদি হারাতে পারে, রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘২০২১ সালে তৃণমূল আলাদা লড়ে সরকার গড়েছে। সিপিএমের সঙ্গে জোট করে অধীর পেয়েছিলেন শূন্য।’’

অধীর চৌধুরীর ভূমিকাকে অবশ্য তীব্র আক্রমণ করেছেন অভিষেক৷ তিনি জানিয়েছেন, “অধীর চৌধুরী কার হাত শক্তিশালী করতে চাইছেন। সকলে বুঝতে পারছে। ওনার নিরাপত্তা অমিত শাহের বাহিনী দেয়। রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা তিনি নেন না৷ অধীর চৌধুরী বিজেপির বিরুদ্ধে একটা কথা বলুক। তিনি বলেন না।”

Adhir Choudhury: জলের প্রকল্প শিল‍্যানাসে বিক্ষোভের মুখে অধীর চৌধুরী, দেওয়া হল গো ব্যাক স্লোগান!

বহরমপুরঃ গো ব্যাক স্লোগান অধীরকে। বুধবার বহরমপুর জে এন একাডেমি স্কুলের পাশে সাংসদ তহবিলের জল প্রকল্পের শিলান্যাসে যান অধীর চৌধুরী। সেখানে গেলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা অধীর চৌধুরীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। এবং গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে। অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ বিগত ৫বছরে এই এলাকার কোনওরকম উন্নয়নে হস্তক্ষেপ করেননি সাংসদ অধীর চৌধুরী। ঠিক ভোটের আগে রাজনৈতিক স্বার্থে জল প্রকল্পের শিলান্যাস করতে এসেছেন। সেই কারণে তাঁকে বাঁধা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ লণ্ডভণ্ড দিঘা! কয়েক মিনিটের ঝড়বৃষ্টি, উপরে ভেঙে পড়ল গাছ! থমকে গেল যান চলাচল!

বিক্ষোভকারী সুবীর সেন বলেন, ‘বিগত ৫ বছর ধরে আমরা এই এলাকায় সাংসদকে দেখতে পায়নি। আমাদের কোনও সমস্যা অসুবিধায় উনাকে পাশে পাইনি। এখন ভোটের আগে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে জল প্রকল্পের শিলান্যাস করছে এসেছেন। আমরা এটা মানব না।’ যদিও অধীর চৌধুরীর দাবি, ‘সাংসদ তহবিলের বরাদ্দ টাকা খরচ করার জন্য জেলাশাসক সহযোগিতা করছেন না। এরই প্রতিবাদে বুধবার বহরমপুরে বিক্ষোভ মিছিল করে টাউন ও ব্লক কংগ্রেস নেতা কর্মীরা।’

জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতা কর্মীরা এই মিছিলে শামিল হন।’ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘জেলাশাসক সাংসদ তহবিলের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে অসহযোগিতা করছেন। জেলাশাসককে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। সেই দাবিতেই আমাদের বিক্ষোভ মিছিল।’ এই বিষয়ে সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি নানান বাধার কারনে সাংসদ তহবিলের টাকা আমাকে এতদিন খরচ করতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি অনুমোদন পাওয়া মাত্র বিভিন্ন এলাকায় কাজ শুরু করা হয়েছে। সুযোগ পাওয়া মাত্র আমি আমার লোকসভা কেন্দ্রে আর্সেনিক মুক্ত পানীয়জল, সৌরবিদ্যুৎ ও স্মার্ট ক্লাসের কাজ শুরু করি। কিন্তু এখন জেলাশাসক আমাকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিতে বলছেন। সেই কারণে আমার কাজ আটকে দেওয়া হচ্ছে। আরও ৮০টি জায়গায় এই পানীয় জলের কাজ হয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি।শাসকদলের উস্কানিতে স্থানীয় কয়েকজন এই কাজে বাধা দিয়েছে। কিন্তু এলাকার উন্নয়নে আমাদের কাজ থেমে থাকবে না।’

Congress-BJP: রেলব্রিজ পরিদর্শনে অধীর চৌধুরী! কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক শ্লোগান বিজেপির

নশিপুরঃ নশিপুর রেলব্রিজ পরিদর্শনে এলে অধীর চৌধুরীকে কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক শ্লোগান বিজেপির। বুধবার শিয়ালদহ ডিভিশনের ডি আর এম, রেল আধিকারিক-সহ পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি-র চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী রেল স্টেশনগুলি পরিদর্শন করতে বের হন। বহরমপুর বেলডাঙ্গা, কাশিমবাজার-সহ একাধিক স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ নিয়ে সরোজমিনে ঘুরে দেখেন। এদিন আজিমগঞ্জ নশিপুর রেল ব্রিজে কাজ দেখতে গেলে বিজেপি কর্মীরা কালো পতাকা দেখান ও গো ব্যাক শ্লোগান  দিতে থাকে। আর যা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ ভোট ঘোষণা এখনও বাকি! তার আগেই ময়দানে সাংসদ, প্রচারে করলেন দেওয়াল লিখন

প্রসঙ্গত, আজিমগঞ্জ নশিপুর রেলব্রিজের কাজ প্রায় ১০ বছর ধরে জমি জটের কারনে আটকে ছিল। বছর খানেক ধরে জমিজট কাটিয়ে খুব দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হয়। কয়েকদিনের মধ্যে চালু হয়ে যাবে বহু প্রতীক্ষিত নশিপুর রেলব্রিজ। কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে রেল লাইনের উপর দিয়ে ট্রায়াল রান হয়েছে। এই রেল ব্রিজ হয়ে গেলে শুধু উত্তরবঙ্গের সঙ্গেই নয় উত্তর ভারতের সঙ্গেও যোগাযোগ করা খুব সহজেই হবে।

কারণ মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ার জেলা মানুষকে উত্তর ভারত যেতে গেলে হাওড়া বা শিয়ালদহ হয়ে যেতে হয়। কিন্তু লালবাগের সঙ্গে আজিমগঞ্জের নশিপুরের এই রেল ব্রিজ সংযোগ স্থাপন হলে খুব সহজেই ফরাক্কা হয়ে পাটনা দিয়ে উত্তর ভারতের সঙ্গে রেল পথের যোগাযোগ হবে। যদিও বিজেপির কালো পতাকা দেখানোটাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘পি এ সি-র চেয়ারম্যান হিসাবে রেল আধিকারিকদের সঙ্গে সরকারী কাজে এসেছি। নশিপুর রেল ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচল না হওয়া পর্যন্ত আমি লড়াই চালিয়ে যাব।’

বিজেপি নেতা সুজিত হালদার বলেন, ‘অধীর চৌধুরীর জন্য এই রেল ব্রিজের কাজ আটকে ছিল। উদ্বোধনের আগে এসে তিনি নাম কিনতে চাইছেন। নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগেই এই জমি জট কাটিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার অপেক্ষায়।’

Adhir Choudhury: রাহুলের মিছিলে এখনও পর্যন্ত বারবার বাধা পেতে হয়েছে রাজ্যে, বললেন অধীর চৌধুরী

 বহরমপুর: ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে শুরু করে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক, কংগ্রেসের অবস্থান, বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এ সমস্ত বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন অধীর চৌধুরী৷ বললেন, ‘রাহুল গান্ধির যাত্রার প্রথম দিন থেকে বকশিরহাট থেকে এখনও পর্যন্ত প্রশাসনিক সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি না। আমরা এটা আশা করিনি যে পশ্চিমবঙ্গে রাহুল গান্ধিকে এখানে অসহযোগিতার মধ্যে পড়তে হবে৷ বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার ঐতিহ্য, মানুষ সব সময় অতিথি, যাঁরা তাঁদের প্রতি সহৃদয়তা ও আন্তরিকতা প্রকাশ করে থাকেন,  আমাদের সংস্কৃতি বলে ‘অতিথি দেব ভব’। সেই মানুষের আদর্শের সঙ্গে কোনও বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু তোমার ঘরে এলে অতিথেয়তায়  ত্রুটি না রাখাই বাঙালির সংস্কৃতি৷

তিনি আরও বলেন, সেই রাহুল গান্ধি, ভারতবর্ষে পার্লামেন্টে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য যাঁকে সদস্যপথ হারাতে হয়েছিল৷ সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার পরেও আজও তিনি যে জায়গায় থাকতে চাইছেন যে জায়গাটাকে দেওয়া হচ্ছে সেটা নিয়ে আমি দিল্লিতে বহুবার প্রতিবাদ করেছি৷ দিল্লিতে তাঁকে ঘরছাড়া করা হয়েছে। তাঁকে থাকার জায়গা বরাদ্দ করা হচ্ছে না৷’

তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, যদি পশ্চিমবঙ্গে চুরি হয়, তাহলে কী আমি বলব যে পশ্চিমবঙ্গের চুরি হচ্ছে না? পশ্চিমবঙ্গে চুরি কাণ্ডে  কারা জড়িত আমরা কি দেখতে পাচ্ছি না? ইডিকে আমরা ইডিয়েট বলি। আনিস খানের মৃত্যু থেকে শিক্ষক দুর্নীতি এমনকি রেশনের দুর্নীতির কারণে রেশন সামগ্রী পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ৷ তাই আমরা কোর্টে যাচ্ছি৷’

Adhir Choudhury: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে একটি নির্বাচন হোক, বললেন অধীর চৌধুরী

বহরমপুর: সাংবাদিক সম্মেলনে অধীর চৌধুরী বলেন, বাংলার মানুষের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভরসা অর্জন করেছেন। আমি চাই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে একটি নির্বাচন হোক। এই মানুষটিকে ভোট দিতে আমি আগে লাইনে দাঁড়াব। এরপরে তার সংযোজন এই ধরনের মানুষ যদি রাজনীতিতে আসেন তাহলে একটা নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। প্রসঙ্গত, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আমন্ত্রনে একদিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদে আসেন।

শনিবার সকালে রেলপথে বহরমপুর স্টেশনে এসে নামেন তিনি। তারপর সার্কিট হাউসে চলে যান। সেখান থেকে সরাসরি হাজারদুয়ারী প্যালেস পরিদর্শন করেন। এরপর শহীদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারে ক্যান্সার পলিয়েটিভ কেয়ার ইউনিট ও লাইব্রেরীর রিডিং রুমের উদ্বোধন করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই অধীরের প্রস্তাব শুনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমি এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না। অবসরের পর আমি রাজনীতিতে আসতে পারি। কিন্তু সেটা কোনও দলীয় রাজনীতি হবে না। তবে অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার। তিনি বলেন, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আমি চাইব অধীরবাবু বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তার নিজের সিটটা ছেড়ে দিক। তাহলেই বোঝা যাবে ওঁর কথার মধ্যে কতটা সত্যতা ও সততা রয়েছে।

বিজেপির জেলা সভাপতি শাখার সরকার বলেন, অধীরবাবু রাজনীতিতে দেওলিয়া হয়ে গিয়েছেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেহেতু যুব সমাজের কাছে আইকন। তাই তাকে ধরে রাজনীতিতে আবার প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আইন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার। বর্তমান আইনব্যবস্থা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষা।

১৫০কোটি লোকসংখ্যার ভারতবর্ষে সাধারন মানুষের সমস্যার সমাধানে আরও দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। এই ব্যাপারে সকলকেই পদক্ষেপ করতে হবে।সাংবাদিক সম্মেলনে অধীর চৌধুরী বলেন, বাংলার মানুষের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভরসা অর্জন করেছেন। আমি চাই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে একটি নির্বাচন হোক। এই মানুষটিকে ভোট দিতে আমি আগে লাইনে দাঁড়াব।