Tag Archives: assembly

বনাঞ্চলে আগুন লাগার ঘটনায় বিধানসভায় প্রশ্নের মুখে বনমন্ত্রী, জবাবে দুষলেন বিধায়কদের

কলকাতা: আজ, বুধবার বিধানসভায় বনাঞ্চলের আগুন লাগাকে কেন্দ্র প্রশ্নের মুখে পড়লেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা৷ সম্প্রতি, ঝাড়গ্রাম, জঙ্গল মহল-সহ একাধিক বনাঞ্চলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে৷ এই প্রেক্ষিতে বনমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন ভারতীয় জনতা পার্টির বাঁকুড়া জেলার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি, ‘‘শালতোড়ার জঙ্গলে প্রতিবার আগুন লাগে। এই আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য বন দফতর কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?’’

আরও পড়ুন:বাংলাকে বঞ্চনা, ভোটের ময়দানে জবাব! কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা মমতার

বিজেপি বিধায়কের প্রশ্নের মুখে বনমন্ত্রী কার্যত বিধায়কদেরই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে৷ তিনি প্রশ্নের জবাব দিতে উঠে বলেন, ‘‘গত বছর প্রত্যেক বিধায়ককে ১০০০টা চারা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গুটিকয়েক বিধায়ক ছাড়া কেউই গাছ নিয়ে যাননি। বিধায়করা কি গাছ লাগাতে আদৌ সচেতন? অনেক বিধায়কের মধ্যেই এই নিয়ে গা ছাড়া মনোভাব রয়েছে৷’’

আরও পড়ুন: বান্ধবীর দিকে রেনকোট ছুঁড়লেন যুবক, ব্যাহত মুম্বইয়ের রেল পরিষেবা! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

বিধায়ক চন্দনা বাউরির প্রশ্নের উত্তরে বীরবাহা স্থানীয় জনগণ ও পঞ্চায়েতর উপরই কার্যত সেই দায় ঠেলে দেন৷ বনমন্ত্রী বক্তব্যের শেষে বলেন, ‘‘আগুন লাগানোর ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় জনগণ ও পঞ্চায়েতকেও হাত মেলাতে হবে৷ বন দফতরের তরফ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা চলে। কিন্তু এলাকার জন প্রতিনিধিরা যদি নিজেদের মতো করে আগুন লাগার বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করেন, পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন, তাহলে প্রশাসনের সুবিধা হয়।’’

কয়েকদিন আগেই হলং বনবাংলোয় অগ্নিকাণ্ডকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছিল বিভিন্ন মহলে৷ ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা না কী অন্তর্ঘাত, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকেই৷

ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তের জন্য, কমিটি গঠন করেছেন বীরবাহা হাঁসদা৷ এবার বনাঞ্চলে আগুন নিযন্ত্রণের প্রশ্নে কার্যত এলাকার বিধায়কদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি৷

Assembly vs Raj Bhavan: মঙ্গলবার চার নতুন বিধায়ককে শপথ বাক্য পড়াবেন অধ্যক্ষ, মানবেন রাজ্যপাল?

কলকাতা: আগামিকাল, মঙ্গলবারই বিধানসভায় শপথ নিতে চলেছেন চার নতুন বিধায়ক৷ রাজ ভবনের আপত্তি সত্ত্বেও চারজন নতুন বিধায়ককেই শপথ বাক্য পাঠ করাবেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফলে আগামিকালই শপথ নেবেন মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর৷

কয়েকদিন আগেই রাজ্পালের পরামর্শ উপেক্ষা করেই দুই তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ৷ কেন

গত ১৩ জুলাই উপনির্বাচনের ফলাফলে চার আসনেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। সেই বিধায়কদের শপথগ্রহণ করাতে রাজভবনের চিঠি পাঠিয়েছিল বিধানসভার সচিবালয়। কিন্তু বিধানসভার চিঠির জবাবে রাজভবন যে চিঠিটি বিধানসভার সচিবালয়কে পাঠিয়েছে, তাতে শপথগ্রহণ সংক্রান্ত কোনও দায়দায়িত্বে কথার বদলে, দুটি প্রশ্নের জবাব জানতে চেয়েছে।

বিধানসভা উপনির্বাচনের চার জয়ী প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী, কৃষ্ণ কল্যাণী, মধুপর্ণা ঠাকুর এবং সুপ্তি পাণ্ডের শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, নবনির্বাচিত চার বিধায়ককেই সোমবার বিধানসভায় আসতে বলা হয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, অধিবেশনের প্রথম দিনই শপথগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা ঘিরে কোনও পদক্ষেপ নিতেই পারেন স্পিকার।

সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারের শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজ্যপাল বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে রাজ্যপাল জানতে পেরেছেন, সায়ন্তিকা এবং রেয়াতকে শপথগ্রহণ করিয়েছেন স্পিকার বিমান।

আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁস হয়নি, দাবি শিক্ষামন্ত্রীর! শুনেই আক্রমণে রাহুল, নিট নিয়ে সরগরম সংসদ

বিধানসভাকে দেওয়া চিঠিতে রাজ ভবনের প্রশ্ন, ওই খবর কি সত্যি?রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন, বিধানসভার অধিবেশন ‘মুলতবি’ না করে বার বার ‘স্থগিত’ করা হচ্ছে কেন? সাধারণত বিধানসভার অধিবেশন মুলতবি হওয়ার পর আবার অধিবেশন ডাকার জন্য রাজভবন থেকে ‘নোটিফিকেশন’ করাতে হয়। কিন্তু অধিবেশন স্থগিত রাখা হলে তা যে কোনও সময় আবার চালু করা যায়। তার জন্য রাজভবনের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না।

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে বিধানসভার অধিবেশন ‘স্থগিত’ রাখা হয়েছিল। পরে সায়ন্তিকাদের শপথগ্রহণ করানোর জন্যও এক দিনের জন্য অধিবেশন ডেকে আবার তা ‘স্থগিত’ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও বিধানসভা সূত্রে জানানো হয়েছে রাজভবনের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরেও দ্রুত শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত না জানালে বিধানসভা তার আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে।

Raj Bhavan assembly clash: আজই কি শপথ নতুন চার বিধায়কের? ফের রাজভবন- বিধানসভা সংঘাতের আশঙ্কা

কলকাতা: সংঘাতের আবহেই আজ থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। প্রথম দিনই নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ করানোর বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলেই বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর। ১৩ জুলাই উপনির্বাচনের ফলাফলে চার আসনেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। সেই বিধায়কদের শপথগ্রহণ করাতে রাজভবনের চিঠি পাঠিয়েছিল বিধানসভার সচিবালয়। কিন্তু বিধানসভার চিঠির জবাবে রাজভবন যে চিঠিটি বিধানসভার সচিবালয়কে পাঠিয়েছে, তাতে শপথগ্রহণ সংক্রান্ত কোনও দায়দায়িত্বে কথার বদলে, দুটি প্রশ্নের জবাব জানতে চেয়েছে।

বিধানসভা উপনির্বাচনের চার জয়ী প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী, কৃষ্ণ কল্যাণী, মধুপর্ণা ঠাকুর এবং সুপ্তি পাণ্ডের শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, নবনির্বাচিত চার বিধায়ককেই সোমবার বিধানসভায় আসতে বলা হয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, অধিবেশনের প্রথম দিনই শপথগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা ঘিরে কোনও পদক্ষেপ নিতেই পারেন স্পিকার।

আরও পড়ুন: ‘কোনও অসহায় মানুষ যদি দরজা খটখটায়…’, বাংলাদেশের অশান্তি নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার

সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারের শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজ্যপাল বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে রাজ্যপাল জানতে পেরেছেন, সায়ন্তিকা এবং রেয়াতকে শপথগ্রহণ করিয়েছেন স্পিকার বিমান।

বিধানসভাকে দেওয়া চিঠিতে রাজ ভবনের প্রশ্ন, ওই খবর কি সত্যি?রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন, বিধানসভার অধিবেশন ‘মুলতবি’ না করে বার বার ‘স্থগিত’ করা হচ্ছে কেন? সাধারণত বিধানসভার অধিবেশন মুলতবি হওয়ার পর আবার অধিবেশন ডাকার জন্য রাজভবন থেকে ‘নোটিফিকেশন’ করাতে হয়। কিন্তু অধিবেশন স্থগিত রাখা হলে তা যে কোনও সময় আবার চালু করা যায়। তার জন্য রাজভবনের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না।

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে বিধানসভার অধিবেশন ‘স্থগিত’ রাখা হয়েছিল। পরে সায়ন্তিকাদের শপথগ্রহণ করানোর জন্যও এক দিনের জন্য অধিবেশন ডেকে আবার তা ‘স্থগিত’ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও বিধানসভা সূত্রে জানানো হয়েছে রাজভবনের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরেও দ্রুত শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত না জানালে বিধানসভা তার আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে।

Study Tour: বালুরঘাট কলেজে বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা

দক্ষিণ দিনাজপুর: বালুরঘাট কলেজ পরিদর্শনে এল বিধানসভার উচ্চশিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ‘স্টাডি ট্যুর’ নামক এই পরিদর্শনে বালুরঘাট কলেজে গিয়ে তাঁরা নানান বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন। পঠন-পাঠন, পরিকাঠামো, অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য আদান-প্রদান করেন সদস্যরা। কথা বলেন অধ্যাপক, অফিস কর্মী, পড়ুয়াদের সঙ্গেও।

কলেজের কোন বিভাগে নিয়োগ প্রয়োজন সেই বিষয়ে ভালো করে খোঁজ নেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। পাশাপাশি স্টুডেন্ট ফি সহ আর্থিক যোগানের বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ কুণ্ডু বলেন, স্টাডি ট্যুর নাম দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। মূলত বালুরঘাট কলেজে পঠনপাঠন কেমন হয়, স্কলারশিপ কীভাবে দেওয়া হয়, হস্টেল আছে কিনা নানা বিষয়ে খোঁজখবর করেন ওঁরা।

আর‌ও পড়ুন: শুধু মেঝেতে নয়, এবার কলেজের ড্রেসিংরুমেও শীতলপাটির ব্যবহার

স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মণ্ডল জানান, এখানে পাশের হার খুব ভাল। পড়ুয়াদের উপস্থিতি ও বিভিন্ন বিভাগের পরিকাঠামোও বেশ ভাল। কলেজের পরিকাঠামগত ও পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হল মূল লক্ষ্য।”

মূলত, এই স্ট্যান্ডিং কমিটি ঘুরে ঘুরে তথ্য নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করবে। সেই রিপোর্ট আবার পেশ করা হবে বিধানসভায়। মূলত মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পেশ করা হবে বলে খবর। মোট ৮ জন সদস্য এদিন বালুরঘাট কলেজে আসেন। এদিন কলেজের সমস্ত বিষয় নিয়েই তাঁরা আলোচনা করেন পাশাপাশি কলেজের শিক্ষক সহ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন।

সুস্মিতা গোস্বামী

Assembly Oath Taking: দুপুর দুটোয় শপথ! যাবতীয় জটিলতা শেষে বিধায়ক পদে সায়ন্তিকা-রায়াত, সিদ্ধান্ত বিএ কমিটির

কলকাতা: যাবতীয় জটিলতা শেষে অবশেষে কেটেছে শপথ জট৷ শুক্রবার দুপুর দুটোয় শপথ নেবেন রাজ্যের নবনির্বাচিত বিধায়করা৷ তবে স্পিকার নন, তাঁকে এড়িয়ে ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পড়ানোর দায়িত্ব দিয়েছে রাজভবন। শুক্রবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ পাঠ করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

অধ্যক্ষকে এড়িয়ে উপাধ্যক্ষকে দায়িত্ব কেন? প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে৷ তবে রাজভবনের এই সিদ্ধান্তে অন্তত শপথ জট কেটেছে বলেই ইঙ্গিত৷ বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। বিধানসভা সূত্রে খবর শুক্রবারই শপথ হবে। ডেপুটি স্পিকারকে হাউজে জানাবেন স্পিকার।

বিএ কমিটির বৈঠকেই নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, উপাধ্যক্ষ আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, শশী পাঁজা, দেবাশীষ কুমার, মলয় ঘটক, সুজিত বসুরা।

প্রসঙ্গত, আজ, শুক্রবারের কার্যবিবরণী বৈঠকে যে শপথ জটিলতা নিয়ে আলোচনা হবে তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করাতে বলে বিবৃতি দেয় রাজভবন। আর এরই প্রেক্ষিতে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এই কাজ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়৷ তাতেই দেখা দেয় ফের জটিলতা। রাজভবনের এই বিবৃতির বিষয়ে জানতে পেরে উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, “আমার পক্ষে দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। কারণ অধ্যক্ষ কলকাতায় রয়েছেন। রাজ্যপালের কথা শুনে আমি শপথ পড়ালে অধ্যক্ষকে অসম্মান করা হবে। এটা কাম্য নয়।” কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকলে বা অসুস্থ হলে সেক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকার ওই দায়িত্ব পালন করেন। পরে বিএ কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শপথ নিয়ে।

প্রসঙ্গত, বিধায়কদের শপথের দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দেওয়া নতুন নয়। এর আগে বিধানসভা উপনির্বাচনে বালিগঞ্জ থেকে জয়ী তৃণমূলের বাবুল সুপ্রিয়কে শপথ পড়ানোর জন্য তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও ডেপুটি স্পিকারের উপর ভার ন্যস্ত করেছিলেন। যদি সেসময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় উপস্থিত থাকায় উপাধ্যক্ষ তাঁকেই শপথ পড়ানোর অনুরোধ করেন এবং অধ্যক্ষই সেই কাজ করেছিলেন।

Oath Taking Controversy: ‘কাল ভেরি স্পেশাল সেশন,’ শপথগ্রহণ নাটকের কি এবার যবনিকা পতন? বিমানের গলায় চ্যালেঞ্জের সুর

কলকাতা: প্রশাসনিক নিয়ম নীতি মেনে, আইনি ঘাঁতঘোঁৎ বজায় রেখেই বিধানসভার দুই নির্বাচিত প্রতিনিধির শপথগ্রহণের সমস্যার সমাধান করতে চলেছে সরকার৷ বিভিন্ন কার্যকারণকে সামনে রেখে আগামী শুক্রবার বিএ কমিটির বিশেষ বৈঠক ডাকলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানালেন, তারপরেই হবে একদিনের জরুরি অধিবেশন৷ জরুরি অধিবেশন ডাকার বিষয়ে বিরোধীরা যাতে কোনও প্রশ্ন না তুলতে পারেন, সেই কারণেই এই ভাবে নিয়ম মেনে বিএ কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে ওয়াকিবহাল সূত্রের খবর৷

বরানগরের নির্বাচিত তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার নির্বাচিত প্রতিনিধি রেয়াত হোসেন সরকারের বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই টানাপড়েন অব্যাহত৷ দুই বিধায়কের রাজভবনে শপথগ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস৷ কিন্তু, তাতে রাজি হননি সায়ন্তিকারা৷ তাঁরা বিধানসভায় শপথগ্রহণ করানোরই দাবি জানিয়ে আসছিলেন৷ অম্বেদকরের মূর্তির নীচে দেখাচ্ছিলেন বিক্ষোভও৷ এমনকি, বিধানসভার স্পিকারকে শপথগ্রহণ করানোর ক্ষমতা দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছিল তাঁদের তরফে৷

আরও পড়ুন: হারতে চলেছেন ঋষি সুনক? ‘৪০০ আসন পার’ করে সমীক্ষায় লেবার পার্টির জয়ের ইঙ্গিত…ব্রিটেনে শুরু ভোট

এদিন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘‘ধরে নিতে হবে বিধানসভা সেশন চলছে। একাধিক কমিটির বিষয়ে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তার প্রেক্ষিতেই আমরা আগামী ৫ জুলাই বিধানসভার বিএ কমিটির বৈঠক ডেকেছি। সেখানে বিধানসভার কার্যবিবরণী কি হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। আগামিকাল দুপুর ২ টোয় হাউজ শুরু হবে।’’

স্পিকার বলেন, ‘‘আইনে যা আছে, তাই অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। আমাদের অধিবেশন চলবে নিয়মানুযায়ী। ৩০ দিন হয়ে গেল তাঁরা ধর্না দিচ্ছেন। পরবর্তী বৈঠকে ওঁদের বিষয়ে জানানো হবে। আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। বিজনেস কমিটির বৈঠক হবে। আগামিকাল শপথ সহ বিভিন্ন বিষয়ে জানিয়ে দেব। সব অধিবেশনেই শপথ নেওয়ার ব্যবস্থা আছে৷’’

আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা! তবুও উচ্চ আয়ের অর্থনীতি হিসেবে উঠে এল রাশিয়ার নাম

খানিক কড়া সুরেই এদিন বিমানকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আগামিকাল বিএ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব। শপথ আজ না হলেও কাল হবে৷ রাজ্যপাল কোনও বার্তা না দিয়ে আমাদের দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা করে দিলেন৷ বিধানসভা অসহায় নয়, এটা মনে রাখতে হবে রাজভবনকে শপথের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্যেরা। আগামিকাল তাই আমরা শপথ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। আগামিকালের জন্য অপেক্ষা করুন। আগামিকাল ভেরি স্পেশাল সেশন৷’’

সূত্রের খবর, আইনি পরামর্শ নিয়ে বিধানসভা জেনেছে, রাজ্যপালের হাতে বিধায়কদের শপথগ্রহণের চাবিকাঠি থাকলেও ‘বিশেষ অধিবেশন’ ডেকে উপনির্বাচনে জয়ীদের শপথগ্রহণ করানো যায়। শুক্রবার শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালের অনুপস্থিতিতে বিধায়ক হিসাবে সায়ন্তিকাদের শপথগ্রহণ হলে তা ভারতের সংসদীয় রাজনীতিতে ‘নজিরবিহীন’ ঘটনা হবে বলে দাবি অভিজ্ঞদের অনেকের।

Oath Taking Ceremony Controversy: শপথগ্রহণ ঘিরে তীব্র হচ্ছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত! অম্বেদকর মূর্তির নীচে লাগাতার অবস্থান নজরে বিধানসভা

কলকাতা: শপথ জটিলতা কি আজ কাটবে? সূত্রের খবর, আজ এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করতে পারে রাজভবন। অন্যদিকে, শপথ বিলম্ব নিয়ে খুশি নয় বিধানসভা৷ রাজভবন সিদ্ধান্ত না জানালে, বিধানসভা নিজেদের মতো কি আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই দিক নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে তারা৷ অন্যদিকে, রাজ্যে এসেও, ফের দিল্লি উড়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্যপাল দ্রুত শপথ নিয়ে তার সিদ্ধান্ত জানাবেন।

দুই নব নির্বাচিত বিধায়কের শপথ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তীব্র হচ্ছে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ইচ্ছাকৃতভাবে শপথগ্রহণ ফেলে রাখছেন বলে অভিযোগ শাসকদলের। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাই বিধানসভার সিঁড়িতে ধর্নায় বসেছেন উপবির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকার।

কিন্তু, রাজ্যপালের অপেক্ষায় সায়ন্তিকা এবং রেয়াত যখন বিধানসভার সিঁড়িতে বসে, সেই সময় রাজ্যপাল রওনা দিয়েছিলেন দিল্লির উদ্দেশে। এরপর রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি সকলের সাথে দেখা করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন:  হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১৬! যোগীকে ফোন করলেন মোদি

এরপর অম্বেদকর মূর্তির নীচে লাগাতার অবস্থান চলছে সায়ন্তিকা ও রেয়াতের। গত ৪ জুন বরানগর এবং ভগবানগোলা উপনির্বাচনের ফলঘোষণা হয়, যাতে সায়ন্তিকা এবং রেয়াত জয়ী হন। কিন্তু তার পর একমাস কাটতে চললেও, এখনও বিধায়ক হিসেবে শপথ নিতে পারেননি সায়ন্তিকা এবং রেয়াত।

সেই নিয়ে বিস্তর চিঠি চালাচালিও হয়েছে। রাজ্যপাল সায়ন্তিকা এবং রেয়াতকে রাজভবনে এসে শপথ নিতে বলেছেন। কিন্তু বিধায়কদের বিধানসভাতেই শপথ নেওয়া দস্তুর যেখানে, কেন তাঁরা রাজভবনে শপথ নেবেন, প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল সরকার।

রাজ্যপাল চাইলে বিধানসভায় এসে সায়ন্তিকা এবং রেয়াতকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন বলেও জানানো হয়। সায়ন্তিকা এবং রেয়াত জানিয়েছেন, একমাস হতে চলল, এখনও শপথ নিতে পারেননি তাঁরা। মানুষকে যে কথা দিয়েছিলেন, তা রাখতে পারছেন না, কাজ করতে পারছেন না। তাই রাজ্যপাল যেন তাঁদের উপর দয়া করেন, আর্জি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘বালক বুদ্ধি’, ‘জিরো’! শোলের ‘মাসি’ চরিত্রকে টেনে লোকসভায় রাহুলকে জবাব মোদির

শপথের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি না শপথবাক্য না পড়ালে, তাঁর মনোনীত কোনও ব্যক্তি পড়াতে পারেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে বিধানসভার অধ্যক্ষের হাতেই তিনি দায়িত্ব তুলে দেন। এর দরুণ ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনেই শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন তদানীন্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথ নিয়েও বিস্তর টানাপোড়েন চলে। তিনিও শেষ পর্যন্ত রাজভবনেই শপথ নিয়েছিলেন। যদিও রাজ্যের দাবি, বিধানসভা সাংবিধানিক রীতি মেনেই চলছে।

West Bengal News: ৫ বছরে ও কেন কার্যকর হল না গণপিটুনি বিল? বিধানসভায় ঝড় তুলতে তৈরি শাসকদলের বিধায়করা

কলকাতা: পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও গণপিটুনি বিল কার্যকর হল না রাজ্যে। রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া এই বিলে এখনও অনুমোদন নেই রাজ্যপালের। এই ইস্যুকে সামনে রেখে আগামী অধিবেশনে ফের সরব হতে চলেছেন শাসক দলের বিধায়করা। উল্লেখ্য, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ ও মণিপুরে আনা হয়েছিল এই বিল। যদিও রাজভবন সায় দেয়নি এই বিলে। রাজ্যে একাধিক গণপিটুনির ঘটনার পরে এই ইস্যুতে এবার সরব হতে চলেছে শাসক দল।

বিধানসভা সূত্রে খবর, মানা হয়নি সারকারিয়া কমিশনের রিপোর্ট। সারকারিয়া কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক বিচার করে, মানুষের স্বার্থে দীর্ঘদিন বিল ফেলে রাখা যায় না। এই নিয়েই এবার বিধানসভায় ঝড় তুলতে চলেছে শাসকদল।

উল্লেখ্য, ২০১৯-এ গণপিটুনি রুখতে কড়া আইন তৈরিতে বিল এনেছিল রাজ্য সরকার । ২০১৯ সালের ৩০ অগাস্ট রাজ্য বিধানসভায় যে বিল পাশ হয়, তাতে গণপিটুনির মতো অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের সংস্থান পর্যন্ত রাখা হয়। গণপিটুনি সংক্রান্ত এই বিল পাশ হয় ৩০ আগস্ট ২০১৯। রাজ্যপালের কাছে যায় ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯। গণপিটুনির জন্য শাস্তির কথা বলা হয়েছে এই বিলে, হালকা আঘাত হলে তিন বছরের জন্য সাজা। আঘাত বেশি হলে ১০ বছরের জন্য সাজা ও তিন লক্ষ জরিমানা। মৃত্যু হলে – ফাঁসি অথবা যাবজ্জীবন। এক থেকে পাঁচ লক্ষ জরিমানা। প্ররোচনার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন বছরের সাজা। পাশাপাশি সাক্ষীকে ভয় দেখালে বা দোষ প্রমাণিত হলে – ৫ বছরের সাজার কথা বলা হয়েছে এই বিলে।

ঘটনাচক্রে, গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল পাশ হয়েছিল তিনটি অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের বিধানসভায়। ২০১৯-এর অগাস্টে রাজস্থান বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে গণপিটুনিতে খুনের অপরাধীর যাবজ্জীবন কারদণ্ড এবং ১ থেকে ৫ লক্ষ টাকার জরিমানার সাজা ধার্য করা হয়েছিল। তার তিন সপ্তাহ পরেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় গণপিটুনিতে খুনের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিল পাশ হয়। ২০২১-এর ডিসেম্বরে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলেও গণপিটুনিতে ৩ বছর থেকে যাবজ্জীবন জেলের সাজা ধার্য হয়। ২০১৮ সালে মণিপুর বিধানসভায় গোষ্ঠী হিংসা প্রতিরোধী বিল পাশ করানো হয়েছিল। সেখানে আলাদা ভাবে গণপিটুনির কথা বলা হয়নি।

West Bengal Assembly: যুযুধান ধর্না! BJP বিধায়ক বনাম TMC বিধায়ক! সম্মুখসমরে সরগরম বিধানসভা

কলকাতা: সোমবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ড বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম-মৃত্যুদিন উপলক্ষে‌ নির্দিষ্ট কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও ধর্নায় দুই দলের বিধায়করা। আর তাতেই সরগরম বিধানসভা চত্বর। এদিনের নির্দিষ্ট কর্মসূচির আগেই বরানগরের জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ভগবানগোলার জয়ী প্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকাররা বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির নীচে এসে ধর্নায় বসে যান। অন্যদিকে ধর্নায় বসেছেন বিজেপির বিধায়কদের একাংশ। কোচবিহারে নারী নিগ্রহের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিধানসভায় ধর্নায় বিজেপি বিধায়করাও।

এরপরেই বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খোলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার কাণ্ডে বিজেপি বিধায়কদের ধর্না প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্পিকার বলেন, “অনুমতি ছাড়া বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক আগে আবেদন করেছিলেন তাই ওদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় ১৮ রাজ্য কাঁপাবে ভারী বৃষ্টি-ঝোড়ো হাওয়া-বজ্রপাত! IMD-র বড় সতর্কতা! কী হবে বাংলায়…? আবহাওয়ার মেগা আপডেট!

বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “আমি ওদের অনুমতি দিইনি। কেন বসেছে জানি না। ব্যবস্থা নেওয়া যায় কী ভাবে, দেখছি। মার্শালকে বলব বিষয়টি দেখতে। আজ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন। আজকের দিনে মাল্যদান অনুষ্ঠানে না এসে ওনারা ধর্না করছেন। আসা উচিত ছিল।”

স্পিকারের কথায়, “গণপিটুনি নিয়ে আইন বিধানসভায় পাশ হয়েছে কিন্তু রাজ্যপাল সেই বিল সই করেননি।” অন্যদিকে দুই বিধায়কের শপথ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, “রাজ্যপাল আজ আসুন দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ করান রাজ্যপাল অযথা জেদাজেদি করছেন শপথ নিয়ে।”

সবমিলিয়ে সোমবার বিধানসভায় কার্যত নজিরবিহীন দিন। একদিকে কোচবিহার কাণ্ডে বিজেপি বিধায়কদের ধর্না। অন্যদিকে শপথ না হওয়ায় দুই বিধায়কের ধর্না। দুই যুযুধান রাজনৈতিক দলের ধর্নায় উত্তাল বিধানসভা চত্বর।