উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণবঙ্গ House House: নীলদর্পণ স্মৃতিতে থাকলেও হারিয়ে যাচ্ছে দীনবন্ধু মিত্রের ভিটে Gallery April 18, 2024 Bangla Digital Desk দিন কয়েক আগেই গিয়েছে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ পরিচিত নাট্যকার ও কবি দীনবন্ধু মিত্রের জন্মদিন। তাঁর স্মৃতি বইয়ের পাতায় থাকলেও, ধ্বংসের পথে সাহিত্যিক দীনবন্ধু মিত্রের হেরিটেজ তকমা পাওয়া বাসভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে এই ভগ্নপ্রায় প্রাচীন অট্টালিকা। কিন্তু, তার প্রতিটি ইটের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে জেলারই এক ঐতিহাসিক স্থান “নীলদর্পন” বইএর লেখক দীনবন্ধু মিত্রের বাড়িটি বর্তমানে কার্যত ভুতুড়ে বাড়ির রূপ নিয়েছে। বাড়ির গা বেয়ে নেমেছে গাছের ঝুরি। হেরিটেজ হিসেবে গণ্য হলেও দেখে বোঝার উপায় নেই বনগাঁ মহকুমার অন্তর্গত গোপালনগর থানার চৌবেড়িয়া গ্রামে দীনবন্ধু মিত্রের বাসভবনের অবশিষ্ট অংশ পড়ে রয়েছে তেরো কাঠা এলাকা জুড়ে। বনগাঁ শহর থেকে বাইশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চৌবেড়িয়া তাঁর জন্ম ভিটে দীনবন্ধু মিত্রের নামে স্কুল, রাস্তার নামকরণ হয়েছে। দীনবন্ধু মিত্রের বর্তমান বংশধররা জানান, বাড়িটি হেরিটেজ হয়েছে অনেক আগেই, তবে হয়নি বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ বা সংস্কার। অবিলম্বে সরকারের তরফ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে সংস্কার করা হোক এই সাহিত্যিকের বাসভবন, চাইছেন পরিবারের সদস্যরা হেরিটেজ বাড়িটি অবিলম্বে সংস্কার না করা হলে এক সময় হারিয়ে যাবে এই ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন, এমনটাই দাবি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের দাবি করে আসলেও স্মৃতি আগলে রাখতে এখনও কোন উদ্যোগ নেই প্রশাসনের
পাঁচমিশালি Knowledge Stroy: বলুন তো, ভারত-বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশের সরকারি ভাষা বাংলা? নাম শুনে মাথায় হাত পড়বে আপনার Gallery February 21, 2024 Bangla Digital Desk বাঙালি হওয়ায় আমরা সকলেই গর্ব বোধ করি। গর্ব করি বাংলা ভাষা নিয়েও। বাংলাদেশের সরকারি ভাষাও বাংলা। ভারতেরও সরকারি ভাষাগুলির মধ্যে অন্যতম বাংলা। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তবে, এ তথ্য অনেকেরই অজানা যে ভারত ও বাংলাদেশে ছাড়াও আরও একটি দেশের সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সেই দেশের নাম জানলে অবাক হবেন। আমরা জানি যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যে কোনও চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ প্রায়শই এসে থাকে। ফলে সাধারণ জ্ঞানের নলেজ বাড়ানো খুবই দরকার। তবে এই প্রতিবেদনে যে প্রশ্নটি করা হয়েছে তার উত্তর দেওয়া কিন্তু খুব একটা সহজ নয়। যারা সাধারণ জ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে তাদের এর উত্তর জানা উচিৎ। কিন্তু বেশিরভাগ লোকই ব্যর্থ হয়েছেন। যদি এবার বলি ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়া বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দিয়েছে আফ্রিকার একটি দেশ। তাহলে হয়তো আরও অবাক হবেন। কিন্তু একথা সত্যি আফ্রিকার একটি দেশের সরকারি ভাষা বাংলা। ভাষা আন্দোলনের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দিয়েছিল সুদূর আফ্রিকার এক দেশ সিয়েরা লিওন। আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণাও করা হয়েছিল। বাংলাকে গর্বিত করেছিল সেই দেশ। বাংলাদেশ, ভারতের সঙ্গে সিয়েরা লিওনেও বাংলা স্বীকৃতি পায় সরকারি ভাষার। বাংলার বিশ্বায়ন হয়। প্রথম ভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দিয়ে সেই দেশ এপার বাংলা-ওপার বাংলা, দুই বাংলাকেই গৌরবান্বিত করে। ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ না থাকলেও সিয়েরা লিওনে পাঁচ হাজারের বেশি বাংলাদেশি সেনা মোতায়েন ছিল। তারা শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল সে দেশে। সেই অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছিল আফ্রিকার দেশটি।