বিনোদন Bollywood: দীপিকা-আলিয়া বা নয়নতারা নন, এই নায়িকার ছবিই প্রথম ২০০০ কোটির ব্যবসা করেছিল Gallery April 2, 2024 Bangla Digital Desk কিং খানের বিপরীতে ‘পাঠান’ ও ‘জওয়ান’ দিয়ে সদ্য দীপিকা পাড়ুকোন ও নয়নতারা এক হাজার কোটি টাকার ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন। তবে দীপিকা, নয়নতারা নন! নন মাধুরী, আলিয়া, প্রিয়াঙ্কা বা অনুষ্কা শর্মা! বহু বছর আগেই বলিউডের অন্য এক অভিনেত্রীর ছবি বক্স অফিসে দু’হাজার কোটি টাকার সমতুল ব্যবসা করেছিল। কোন নায়িকা বলুন তো? ফতিমা রশিদ। বলিপাড়ায় নার্গিস নামেই পরিচিত তিনি। নার্গিস-ই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি ২ হাজার কোটির সমতুল ব্যবসা দিয়েছিলেন। ১৯২৯ সালের ১ জুন জন্ম নার্গিসের। ১৯৩৫ সালে মাত্র ছ’বছর বয়সে ‘তলাশ-এ-হক’ ছবিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তবে ১৯৪২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তমান্না’ ছবির মাধ্যমেই বলিউডে আত্মপ্রকাশ নার্গিসের। নার্গিস বলিপাড়ার প্রথম অভিনেত্রী যাঁর ছবি বক্স অফিসে দু’হাজার কোটি টাকার সমতুল ব্যবসা করতে সফল হয়েছিল। ১৯৫৭ সালে মেহবুব খানের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘মাদার ইন্ডিয়া’ ছবিটি। নার্গিসের পাশাপাশি এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সুনীল দত্ত, রাজেন্দ্র কুমার এবং রাজ কুমারের মত বলিউডের সেই সময়ের ‘হেভিওয়েট’ অভিনেতারা। সূত্রের খবর, ‘মাদার ইন্ডিয়া’ ছবিটি তৈরি করতে ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়। ছবিটি মুক্তির পর বক্স অফিস থেকে সাড়ে চার কোটি টাকার ব্যবসা করে। ছবি বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১৯৫৭ সালে ‘মাদার ইন্ডিয়া’ যে সাড়ে চার কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল সাম্প্রতিক কালে তাভপ্রায় দু’হাজার কোটি টাকার সমতুল্য। জানা যায়, মুক্তির প্রথম দিনে ‘মাদার ইন্ডিয়া’ ছবিটি বক্স অফিসে এক লক্ষ টাকা উপার্জন করে। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ১৯৫৭ সালে যে ছবি মুক্তির প্রথম দিনে এক লক্ষ টাকার ব্যবসা করে তা সাম্প্রতিক কালে মুক্তি পেলে মুক্তির প্রথম দিনে বিশ্ব জুড়ে ৮ থেকে ৯ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলত।
বিনোদন ছক ভেঙে সাহসী দৃশ্যে অভিনয়! বোল্ড ফটোশ্যুটে একসময় বলিউডকেও চমকে দিয়েছিলেন এই পাক অভিনেত্রী Gallery April 2, 2024 Bangla Digital Desk পঞ্চাশের দশকে বলিউডে রীতিমতো দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করতেন তিনি। অনন্য সৌন্দর্যের অধিকারিণী ছিলেন। আর তাঁর অভিনয় দক্ষতার কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী বেগম পারার! অতুলনীয় ফ্যাশন সেন্সের জন্য সে যুগের কালজয়ী তকমাও লাভ করেছিলেন তিনি! Photo: Collected এখানেই শেষ নয়, পঞ্চাশের দশকে অভিনেত্রীদের সেভাবে সাহসী ফটোশ্যুট কিংবা সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যেত না। কিন্তু এখানেই আলাদা বেগম পারা! সেই সময় লাইফ ম্যাগাজিন-এর জন্য সাহসী ফটোশ্যুট করেছিলেন অভিনেত্রী। ছকভাঙা এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বহু রক্ষণশীল ভারতীয়ের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলেছিলেন তিনি। Photo: Collected পাকিস্তানের ঝিলামে জন্ম হয়েছিল বেগম পারার। জন্মের সময় তাঁর নাম ছিল জুবেইদা উল হক। তাঁর এক দাদা ছিলেন। যিনি ১৯৩০-এর দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। মুম্বইয়ে পাড়ি দেন এবং সেখানে তিনি বাঙালি অভিনেত্রী প্রতিমা দাশগুপ্তের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই সময় দাদার সঙ্গে স্বপ্ননগরীতে এসেছিলেন বেগম পারাও। বৌদি প্রতিমার সঙ্গে হামেশাই শ্যুটিংয়ের সেটে যেতেন তিনি। এরপর থেকেই ছবির অফার পেতে শুরু করেন বেগম পারা। একটি পার্টিতে শশধর মুখোপাধ্যায় এবং দেবিকা রানির থেকে ছবির অফার পাওয়ার পরেই বদলে যায় তাঁর জীবন। শুরু হয় বেগম পারার ফিল্মি কেরিয়ারের সফর। Photo: Collected ১৯৫৫ সালে ‘চাঁদ’ ছবির হাত ধরেই হাতেখড়ি বেগম পারার। ছবি মুক্তি পেতেই হিট হয়। আর রাতারাতি খ্যাতির শিখরে পৌঁছে যান নবাগতা অভিনেত্রী। আসলে প্রথম ছবিতেই তাক লাগিয়েছিলেন। সেখানে সহ-অভিনেতা প্রেম আদিবের সঙ্গে একটি প্রেমের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছিল তাঁকে। যেটা আধুনিক সিনেমার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। সরল ভাবে দৃশ্যায়িত এই প্রেমের দৃশ্য সেই সময় সকলকে অবাক করেছিল। Photo: Collected প্রথম দিকে মাসিক ১৫০০ টাকা বেতন ছিল বেগম পারার। কিন্তু ধীরে ধীরে পঞ্চাশের দশকের সর্বোচ্চ আয় করা অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘নীল কমল’, ‘ঝর্ণা’ এবং ‘কর ভালা’-র মতো ছবি। ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত ছবি ‘সাওয়ারিয়া’-তে সোনম কাপুরের ঠাকুরমার ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। Photo: Collected কেরিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে নাসির খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বেগম পারা। এই নাসির খান আসলে জনপ্রিয় অভিনেতা দিলীপ কুমারের ভাই। বেগম পারা এবং নাসিরের জীবনে আসে তাঁদের তিন সন্তান। এঁদের মধ্যে আয়ুব খান আবার বড় এবং ছোট পর্দার নামকরা অভিনেতা। Photo: Collected ১৯৫৮ সালে বিয়ের পরে অভিনয় ছেড়ে দেন বেগম পারা। কিন্তু নিজের বোল্ড স্টাইলের জন্য সকলের মনে জায়গা করে রয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৪ সালে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর স্বামীর। আর নাসির খানের প্রয়াণের পরে প্রায় বছর দু’য়েক পাকিস্তানেই বসবাস করেছিলেন তিনি। এরপরেই ভারতে ফিরে আসেন। আর এখানেই বাকি জীবনটা কাটিয়েছিলেন এক সময়ের দাপুটে সাহসী অভিনেত্রী। ২০০৮ সালে ৮২ বছর বয়সে প্রয়াত হন বেগম পারা। Photo: Collected
বিনোদন Crew: টাকা লুঠ করে দেশ ছাড়লেন! শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় চমকে দিলেন তিন কন্যার মাঝে, দেখুন Gallery April 2, 2024 Bangla Digital Desk দেশ ছাড়ার গভীর পরিকল্পনা৷ সব কিছু লুঠ করে, নিজের চার্টাজ ফ্লাইটে কাঁড়ি কাঁড়ি সোনা নিয়ে পালাচ্ছেন শাশ্বত ওরফে বিজয় ওয়ালিয়া৷ কহিনুর এয়ারলাইন্সের মালিক নিজের স্বার্থে কর্মীদের দিয়ে করাচ্ছেন স্মাগলিং৷ সেই সোনা পাচার করে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে বহুকর্মীকে অসহায় অবস্থায় ফেলে পালাচ্ছেন এই শিল্পপতি৷ এভাবে শাশ্বতকে দেখে সকলেই হকচকিয়ে গিয়েছেন৷ যারা ক্রু ছবিটি দেখে ফেলেছেন, তাঁরা বুঝতে পারছেন ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল৷ আর যারা এখনও দেখেননি, তাঁরা বুঝতে পারছেন না কেন এমন করছেন অনেকের প্রিয় অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়৷ সূত্রের খবর অনুযায়ী এই ছবিটির বাজেট ছিল ৬০ কোটি টাকা। ফলে এটা যে তিনদিনেই হিট করে গেল সেটা বলা চলে। ইতিমধ্যেই ছবির ব্যবসায় তা উঠে এসেছে, বলছে বিশেষজ্ঞ মহল৷ ক্রু ছবিটির পরিচালনা করেছেন রাজেশ কৃষ্ণন। ছবিটির প্রযোজনা করেছেন অনিল কাপুর, একতা কাপুর, রিয়া কাপুর এবং শোভা কাপুর। এই ছবিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকায় আছেন করিনা কাপুর, কৃতি শ্যানন, টাবু, দিলজিৎ দোসাঁঝ, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। এই ছবিতে তিন জনপ্রিয় নায়িকার পাশাপাশি রয়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়৷ ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন তিনি৷ বিজয় মালিয়ার ছায়ায় এই চরিত্রটি তৈরি করা হয়েছিল৷ ছবিতে নাম হয়েছে বিজয় ওয়ালিয়া৷ তিনিই ছবির কিং পিন৷ বলিউডে যে যে বাঙালিরা নিয়মিত অভিনয় করেন, তাঁদের মধ্যে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় অন্যতম৷ এর আগে তাঁর অভিনীত চরিত্র বব বিশ্বাস ভারতের ছবির ইতিহাসে চিরকাল থেকে যাবে৷
বিনোদন Bollywood Actor: এক প্যান্টেই শ্যুটিং! বহু ফ্লপ! সেই নায়কই ৫৭২ কোটির মালিক, বিদেশেও অঢেল সম্পত্তি Gallery April 2, 2024 Bangla Digital Desk ডার্ক, টল, হ্যান্ডসাম- তাঁকে বর্ণনা করতে এই শব্দগুলিই ব্যবহার করা হয়। এক সময় তাঁর নামের পাশে জুড়ে গিয়েছিল ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’-এর তকমা। তাঁর কর্মজীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল। কিন্তু তিনি কখনও পিছনে ফিরে তাকাননি। একটা সময় ছিল যখন তিনি মাত্র একজোড়া জিন্স পরে অনেক ছবির শ্যুট করতেন এবং আজ তিনি ৫৭২ কোটি টাকার মালিক। বলিউডে এমন অনেক তারকা আছেন, যাঁরা জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন। অভিনয়ে আসার পর কিছু তারকা সহজেই কাজ পেয়েছেন। আবার কেউ ফ্লপের পরে বিরতি নিয়েছেন। কিন্তু এই ৫৫ বছর বয়সি অভিনেতা তাঁর আত্মপ্রকাশের পর থেকে কখনও বিরতি নেননি। এমন সময়ও কাটিয়েছেন যখন তিনি হিট দেননি। দিল্লির এক পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মেছিলেন তিনি। অজয় দেবগন। তাঁর বাবার স্বপ্নপূরণ করতে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন। সেই স্বপ্ন পূরণও করেছিলেন। অজয় সেই সেরা অভিনেতাদের একজন, যাঁকে বিশ্ব তাঁর চেহারার জন্য নয়, অভিনয়ের জন্য চেনে। বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগনের ছেলে অজয়। পরিচালক কুক্কু কোহলির ছবি ‘ফুল অর কাঁটে’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কেবল একজোড়া জিন্স পরে অনেকগুলি ছবির শ্যুটিং করতেন। অজয় বলেছিলেন, “নয়ের দশকে আমি আর অক্ষয় এক বছরে ১০টি ছবি করতাম। পাঞ্জাবি হওয়ায় আমরা দেশি খাবার খেতাম এবং আমাদের স্ট্যামিনাও বেশ ভাল ছিল।” খুব বেশি সময় যাতে নষ্ট না হয়, সেই জন্য অনেক সময়ে তিনি একই জিনসে শ্যুট করে ফেলতেন। অজয় তাঁর কেরিয়ারের প্রথম দিকে একটি ছবির জন্য লক্ষ টাকা চার্জ করতেন। আজ প্রায় ৬০ কোটি টাকা চার্জ করেন। শুধু মুম্বই নয়, বিদেশেও অজয়ের অনেক বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। আজ তিনি একটি প্রাইভেট জেট এবং বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি-সহ ৫৭২ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। অজয় ভারতের প্রথম অভিনেতা, যিনি ভিএফএক্স স্টুডিও শুরু করেছিলেন। এখন অজয় থিয়েটার চেইন এনওয়াই সিনেমার মালিকও। অজয় বর্তমানে ৬০০ কোটি বিনিয়োগ-সহ ৬৫টির বেশি থিয়েটারের মালিক।
বিনোদন Kapil Sharma Lifestyle: কোটি কোটি কোটি কোটি … ‘কমেডি কিং’ কপিল শর্মার সম্পত্তির পরিমাণ জানলে চোখ কপালে উঠবে! Gallery April 2, 2024 Bangla Digital Desk এককথায় বললে, লোককে হাসিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক কপিল শর্মা। মঙ্গলবার তাঁর ৪৩ বছরের জন্মদিন। কেমন লাইফস্টাইল ‘কমেডি কিং’ কপিলের? কত টাকা তাঁর? সম্পত্তির পরিমাণ কত? এসব জানলে চোখ কপালে উঠবে আপনার। মঞ্চে তিনি সদা হাসিখুশি। জনপ্রিয়তায়, উপার্জনের নিরিখে বলিউডের তারকাদের টক্কর দিতে পারেন কপিল শর্মা। পঞ্জাবের মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে থেকে বর্তমানের টেলিভিশনের পয়লা নম্বর সঞ্চালক কপিল শর্মা। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হয়েছেন কপিল। সম্প্রতি তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কি সত্যি ৩০০ কোটির অধিকারী? নির্দ্বিধায় জবাব দিলেন কপিল। ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ সিজন ৩’ জেতার পর রাতারাতি খ্যাতি অর্জন করেন কপিল। সোনি টিভির কমেডি রিয়েলিটি শো ‘কমেডি সার্কাস’-এর একাধিক সিজন জিতেছেন। তার পর শুরু করেন ‘কপিল শর্মা শো’। জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছন কপিল। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে এসেছে তাঁর নতুন শো ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’। ইতিমধ্যে চারটি ছবিও করে ফেলেছেন কপিল। ভাবনাও কো সমঝো, কিস কিসকো পেয়ার করু, ফিরাঙ্গি ও জুইগ্যাটো। ভারতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি রোজগেরে কৌতুকশিল্পী কপিল শর্মা। রিপোর্ট অনুযায়ী, কপিল এই মুহূর্তে ২৮০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার মালিক। প্রতি এপিসোডে কাজ করার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা চার্জ কপিলের। কপিলের কাছে রয়েছে বিলাসী একাধিক গাড়ি। মার্সেডিজ বেঞ্জ এস৩৫০, রেঞ্জ রোভার ইভোক, ভলভো এক্স সি ৯০ ও একটি বিলাসবহুল ভ্যানিটি ভ্যান রয়েছে। মুম্বইতে ১৫ কোটি টাকার একটি বাংলো রয়েছে। ২৫ কোটির একটি ফার্মহাউজ রয়েছে। সম্পত্তি নিয়ে কপিল কিছুদিন আগে বলেছিলেন, ‘আমি জীবনে অনেক টাকা হারিয়েছি… সত্যি বলতে আমি এ সব নিয়ে ভাবি না। আমি জানি যে, আমার একটি বাড়ি আছে, একটি গাড়ি আছে, আমার একটি পরিবার আছে এবং এটাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটা ঠিক আমি সাধু নই। ভাল টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেব না। কিন্তু আমার ভাবনা এখনও মাইনে পাওয়া মধ্যবিত্ত বেতনভোগীর মতো । আমার স্ত্রী জিনিসপত্র কেনে। ও খরুচে, কিন্তু আমি খুব একটা খরচ করি না।’
বিনোদন এক সময় অন্ধ সেজে ভিক্ষা করতেন; ‘পিকে’ ছবিতে কয়েক সেকেন্ডের দৃশ্যই ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে এই অভিনেতার ! Gallery April 2, 2024 Bangla Digital Desk বিভিন্ন সময়ে বাণিজ্যনগরী মুম্বই বহু তারকার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। আর তার প্রমাণ তো আমাদের সামনেই রয়েছে। যেমন- বস্তি থেকে এসে বলিউডের নামকরা তারকা হয়েছেন জ্যাকি শ্রফ। আবার এক সময় বাস কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ করতেন রজনীকান্ত। যিনি ভারতীয় সিনেমার অন্যতম বড় তারকা। এই রকম দৃষ্টান্ত রয়েছে ভূরি ভূরি। আজ এমনই একজনের কথা বলব যিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন গুজরান করতেন। অথচ আমির খানের ‘পিকে’ ছবি তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। কথা হচ্ছে মনোজ রায়ের! এক সময় দিল্লির যন্তরমন্তরে ভিক্ষা করে দিনযাপন করতেন মনোজ রায়। আমির খানের ‘পিকে’ ছবিতে মাত্র ৫ সেকেন্ডের জন্যই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর সেই ছোট্ট দৃশ্যই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। মনোজের জীবনটাও অনেকটাই সিনেমার মতো! বাস্তব জীবনে অভিনয় করতে করতেই তাঁর কাছে সুযোগ চলে আসে রুপোলি পর্দায় অভিনয় করার। আজ তাঁর সেই গল্পই শুনে নেওয়া যাক। মনোজ রায়ের বাবা পেশায় দিনমজুর। জন্মের পরপরই মাকে হারিয়েছিলেন অভিনেতা। এরপর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে বাইরে বেরিয়ে টাকা রোজগার করতে বাধ্য হন তিনি। লেখাপড়ায় ইতি টেনে ভিক্ষা করতে থাকেন। এরপর কাজের সন্ধানে দিল্লি পাড়ি দেন। কিন্তু সেখানেও তাঁর জীবনে নেমে আসে হতাশা। ফলে ফের ভিক্ষাবৃত্তি করবেন বলেই ঠিক করেন। তবে দিল্লিতে অন্ধ সেজে ভিক্ষা শুরু করেন। কীভাবে তিনি ‘পিকে’ ছবিতে কাজ করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন, সেটা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন মনোজ রায়। তাঁর কথায়, “যখন আমি যন্তরমন্তরে ভিক্ষা করছিলাম, তখন দু’জন আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন যে, আমি অভিনয় জানি কি না? সেই সময় তাঁদের বলেছিলাম যে, আমি অন্ধ হওয়ার ভান করে দিনে দু’বার খাবার জোগাড় করতে পারি।” এরপর ওই দুই ব্যক্তি মনোজকে ২০ টাকা এবং তাঁদের ফোন নম্বর দিয়ে চলে যান। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মনোজ যখন ‘পিকে’-তে ভিখারির ভূমিকার অভিনয়ের জন্য অডিশন দিতে নেহরু স্টেডিয়ামে পৌঁছেছিলেন, সেখানে আরও সাত জন ওই একই চরিত্রের জন্য অডিশন দিতে এসেছিলেন। স্মৃতিচারণ করে মনোজ বলেন, “আমি অভিনেতা কিংবা চলচ্চিত্রের কথা ভাবিনি। শুধু জানতাম যে, নির্বাচিত হলে আমি খেতে পাব।” মনোজ রায় অডিশনে নির্বাচিত হন এবং ৫ সেকেন্ডের দৃশ্যে অভিনয়ের সুযোগ পান। আর এরপরেই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান মনোজ রায়। ওই ছবিতে স্বল্প সময়ের জন্য অভিনয় করে যে অর্থ তিনি উপার্জন করেছিলেন, তা তাঁর ভাগ্য বদলে দিয়েছিল। গ্রামে ফিরে একটি দোকান কেনেন মনোজ। তিনি বলেন, “আমার দোকানের কাজ রয়েছে। সেই সঙ্গে একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং একজন সুন্দর বান্ধবীও আছেন।” গ্রামের মানুষ তাঁকে ভালবেসে ‘পিকে হানি সিং’ বলে ডাকেন। প্রসঙ্গত ‘পিকে’ একটি ব্লকবাস্টার ছবি। বক্স অফিস থেকে মোট ৭২২ কোটি টাকা আয় করেছে। আমির খান ছাড়াও ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত ও অনুষ্কা শর্মা।
বিনোদন Bollywood Actor: রাস্তায় অন্ধ সেজে ভিক্ষা করতেন অভিনেতা! আমিরের ছবিতে ৫ সেকেন্ডের রোল, ঘুরে গেল ভাগ্যের চাকা? আজ গার্লফ্রেন্ড, চাকরি, আর… Gallery April 1, 2024 Bangla Digital Desk বাসের কন্ডাক্টর থেকে নায়ক হয়েছেন রজনীকান্ত। এখন তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। বস্তি থেকে উঠে বলিউডে নিজেকে সফল নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন জ্যাকি শ্রফ। বলিউড বহু নায়ক নায়িকাকে কোটিপতি বানিয়েছে। আবার বলিউডে ছবি করতে গিয়েই সর্বস্ব খুইয়েছেন এমন নজিরও প্রচুর। এই প্রতিবেদনে রইল এমনই এক অভিনেতার কথা, যিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে একসময় জীবিকা নির্বাহ করতেন। একটি সিনেমাই বদলে দেয় তাঁর জীবন। আমির খানের বড়পর্দায় কাজ করেই ঘুরে যায় ভাগ্যের মোড়। আমির খানের একটি ব্লক ব্লাস্টার ছবি হল ‘পিকে’। এই পিকে ছবিতেই আমির খানের সঙ্গে কাজ করেছিলেন এই অভিনেতা। এই একটি ছবির ছোট্ট চরিত্রেই ঘুরে যায় তাঁর ভাগ্যের চাকা। একসময় রাস্তায় ভিক্ষা করতে থাকা মানুষটি এখন চাকরি করেন। তাঁর গার্লফ্রেন্ড রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিও দেন। আমূল বদলে গিয়েছে তাঁর জীবন। রাস্তায় অন্ধ সেজে ভিক্ষা করতেন মনোজ রায়। একদিন কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করে তিনি অভিনয় জানেন কিনা। প্রত্যেকদিন নিজের পেটের ভাত করতে অভিনয় করতেই হত তাঁকে। সেই বিদ্যাই কাজে লেগে গেল। মনোজের কথায়, ‘‘’যখন আমি যন্তর মন্তরে ভিক্ষা করছিলাম, তখন দু’জন আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করল আমি অভিনয় জানি কি না? আমি তাদের বলেছিলাম যে, আমি অন্ধ হওয়ার ভান করে দিনে দু’বার খাবার জোগাড় করি।’’ দুই ভদ্রলোকই মনোজ রায়কে ২০ টাকা-সহ তাঁর ফোন নম্বর দিয়ে চলে গেলেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, মনোজ রায় এরপর ‘পিকে’-তে ভিক্ষুকের ভূমিকার জন্য অডিশন দিতে নেহেরু স্টেডিয়ামে পৌঁছেছিলেন। যেখানে তিনি ছাড়াও আরও ৭ জন ভিক্ষুক অডিশন দিতে এসেছিলেন। তিনি জানালেন, ‘অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নিয়ে আমি চিন্তা করিনি। আমার জন্য, আমি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত, খাবারই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। অডিশনের পর ‘পিকে’র ওই ভিক্ষুকের চরিত্রে মনোজকেই বেছে নেন নির্মাতারা। ৫ সেকেন্ডের একটি চরিত্রে পিকে ছবিতে সুযোগ পান মনোজ রায়। আমির খান এসে তার বাটি থেকে কয়েন না নেওয়া পর্যন্ত তাঁকে অন্ধ ভিক্ষুকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। ছবিতে ৫ সেকেন্ডের ভূমিকায় রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান মনোজ রায়। ৫ সেকেন্ডের ভূমিকা থেকে উপার্জন করা অর্থই তার ভাগ্য বদলে দেয়। গ্রামে ফিরে দোকান কিনে নেন মনোজ। একটি সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে দোকানের কাজ রয়েছে, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে, সুন্দরী বান্ধবীও আছে।’’ মনোজ আরও জানালেন, সকলে তাঁকে ভালবেসে পিকে হানি সিং বলে ডাকে। ‘পিকে’ ছবিতে যদি তিনি ৫ সেকেন্ডের ভূমিকাও না পেতেন, তাহলে হয়তো আজও তাঁকে ভিক্ষাবৃত্তি করেই জীবন কাটাতে হত। ‘পিকে’ একটি ব্লকবাস্টার হয়। বক্স অফিস থেকে প্রায় ৭২২ কোটি টাকা করে আমির খান অনুষ্কা শর্মা এবং সুশান্ত সিং রাজপুত অভিনীত এই ছবি।
বিনোদন Best Film: সর্বকালের সেরা ১০ ভারতীয় ছবির তালিকার প্রথমেই এই বাংলা সিনেমা! রয়েছে আরও ৩ বাংলা ছবি, রইল তালিকা Gallery April 1, 2024 Bangla Digital Desk ভারতের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সেরা দশটি ছবির মধ্যে চারটিই বাংলা ছবি। আর তা তিনমূর্তি সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণালের। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফিল্ম ক্রিটিকস-এর ‘ইন্ডিয়া চ্যাপ্টার’ একটি সমীক্ষা চালায়। সেখানে সমালোচকদের মতামতের ভিত্তিতেই উঠে এসেছে তিন বাঙালি পরিচালকের চারটি ছবি। সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’-কেই ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সেরা ছবি বলে চিহ্নিত করেছেন মতদাতারা। এর পরেই রয়েছে ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ এবং মৃণাল সেনের ‘ভূবন সোম’। বাঙালিয়ানার মুকুটে নতুন পালক। কিংবদন্তি সিনেমাকে সম্মানিত করে ইন্টারন্যাশানাল ফেডারেশন অফ ফিল্ম ক্রিটিক। ২০২২ সালে এই সম্মান প্রদান করা হয়। সত্যজিৎ রায় (Satyajit Roy) নির্মিত ‘পথের পাঁচালি’ (Pother Panchali) -কে সর্বকালের সেরা ভারতীয় ছবির সম্মান দেওয়া হল। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৯২৯ সালে লেখা উপন্যাস অবলম্বনে পথের পাঁচালি তৈরি করেন সত্যজিৎ রায়। এটিই তাঁর তৈরি করা প্রথম ছবি। ‘পথের পাঁচালি’ ছিল অপু ট্রিলজির প্রথম অংশ। ১৯৫৫ সালে তৈরি হয়েছিল এই ছবি। এরপর অপুর জীবনী নিয়ে আরও দুটি ছবি তৈরি করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ‘অপরাজিত’ ও ‘অপুর সংসার’। শুধু তাই নয়, এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানও দখল করেছে আরও একটি বাংলা ছবি। ‘মেঘে ঢাকা তারা’। ১৯৬০ সালে এই ছবিটি তৈরি করেছিলেন ঋত্বিক ঘটক। এছাড়াও তালিকার সপ্তম স্থান দখল করে নিয়েছেন সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘চারুলতা’ ছবিটি। সেরা ছবির তালিকায় রয়েছে আদুর গোপালকৃষ্ণণের মালয়ালম ছবি ‘এলিপ্পাথায়াম’। এটি মুক্তি পায় ১৯৮১ সালে। চতুর্থ স্থানে এই ছবি জায়গা করে নেয়। এরপরেই তালিকায় রয়েছে গিরীশ কাসারাভাল্লির কন্নড় ছবি ‘ঘাটশ্রাদ্ধ’। এই ছবি মুক্তি পায় ১৯৭৭ সালে। ষষ্ঠস্থানে জায়গা করে নিয়েছে এমএস সথ্যুর ‘গরম হাওয়া’। ‘গরম হাওয়া’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৩ সালে। ঠিক এরপরেই ফের বাংলা ছবি। তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’। অষ্টম স্থানে শ্যাম বেনেগালের ‘অঙ্কুর’। নবমে রয়েছে গুরুদত্তের ‘পিয়াসা’ এবং দশম স্থানে রয়েছে বলিউডের ব্লকবাস্টার হিট ছবি ‘শোলে’।
বিনোদন Amitabh Bachchan Gossip: অমিতাভ বচ্চনের ‘মা’ বয়সে ছোট নায়িকা. সিনেমা হলে গিয়ে যা করেছিলেন অমিতাভের স্ত্রী জয়া বচ্চন Gallery April 1, 2024 Bangla Digital Desk বলিউড সিনেমার সর্বকালীন সুপারস্টারদের নাম যবে, যেখানেই করা হবে তাতে যে নামটি আসবেই সেটা হল অমিতাভ বচ্চনের৷ যেখানে তাঁর এই ক্যারিশমা, সেখানেই বদনাম বা গসিপও তত বেশি হয়৷ বিগ বি-র তাঁর একটি ছবির গানের কথা হল, ‘জো হ্যায় নাম ওয়ালা ওয়াহি তো বদনাম হ্যায়।’ এটি বিগ বি-এর ক্ষেত্রে সত্য। কোন সন্দেহ নেই যে অমিতাভ বচ্চনের অভিনয় দক্ষতা অন্য কারো কাছে অতুলনীয়। কিন্তু আজও যখন অমিতাভ তার কেরিয়ারের দিকে ফিরে তাকাবেন, তিনি অনেক সফল এবং দুর্দান্ত সিনেমা দেখতে পান। কিন্তু তাঁর ঝোলাতেও এমন কিছু চলচ্চিত্র থাকবে যা নিয়ে তিনি ভাবেন, কেন এমন সিনেমা করেছিলাম? অমিতাভ বচ্চনের কেরিয়ারে যেমন প্রচুর সিনেমা ব্লকবাস্টার রয়েছে ঠিক তেমনিই অনেক ফ্লপ এবং ভয়ানক সিনেমাও রয়েছে৷ তবে জানেন কি বিগ বি-র কেরিয়ারে সবচেয়ে হাস্যকর ছবি যা অত্যন্ত ভয়ানক হয়েছিল যা দর্শকরা তো পছন্দ করেননি বটেই এমনকি জয়া বচ্চনও সেই সিনেমা দেখতে গিয়ে যা করেছিলেন তা ভাবলে দম ফাটা হাসিতে ভেঙে পড়বেন৷ এই সিনেমায় ডিম্পল কাপাডিয়া তাঁর স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এবং তার থেকে ৮ বছরের ছোট একজন অভিনেত্রীকে তাঁর মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল৷ ‘মৃত্যুদাতা’-এর বাজেট ছিল সে সময়ের নিরিখে প্রচুর৷ ১৩ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি এই সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল৷ ভারতের বাজারে এই সিনেমাটি আয় করেছে মাত্র ৮ কোটি টাকা। ৫ বছরের বিরতির পর ১৯৯৭ সালে এটি ছিল অমিতাভ বচ্চনের কামব্যাক মুভি৷ তিনি তাঁর ইমেজ এবং স্টারডম ফিরে পেতে চেয়েছিলেন, এবং নিজেই প্রযোজনার দায়িত্ব নেন।ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন মেহুল কুমারের হাতে, যিনি রাজকুমার এবং মিঠুনের মতো স্টারদের নিয়ে সুপারহিট ছবি তৈরি করেছিলেন এর আগে৷ ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অমিতাভের সিনেমা মৃত্যুদাতা এমন এক সিনেমা ছিল যেখানে যা অমিতাভ বচ্চন ইয়ং হিরো হিসেবেই অভিনয় করেছিলেন! কিন্তু এই সিনেমার পরে বুঝতে পেরেছিল যে লোকেরা তাকে আর দর্শকরা তরুণ নায়ক হিসাবে গ্রহণ করতে পারছে না। তাই তাঁর এবার রোল নির্বাচনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। এই সিনেমা ‘মৃত্যুদাতা’, ১৯৯৭-র এপ্রিল মাসে মুক্তি পেয়েছিল, যেটি অমিতাভ বচ্চনের কোম্পানি ABCL প্রযোজনা করেছিল। এই ছবিটি শুধু সেই বছরের সবচেয়ে হাস্যকর ছবি নয়, বিগ বি-এর কেরিয়ারেরও সবচেয়ে জঘন্য সিনেমা ছিল। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মেহুল কুমার। হিট ছবি ‘তিরাঙ্গা’ পরিচালনা করেছিলেন মেহুল কুমার। ছবিতে অমিতাভ বচ্চন ডক্টর রাম প্রসাদ ঘায়েলের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও ডিম্পল কাপাডিয়া, কারিশ্মা কাপুর, আরবাজ আলি খান, পরেশ রাওয়াল, আশিস বিদ্যার্থী, টিকু তালসানিয়া, মুশতাক খানের সঙ্গে ফরিদা জালাল এবং প্রাণকেও ছবিতে দেখা গেছে অমিতাভকে। ‘মৃত্যুদাতা’-এর বাজেট ছিল সে সময়ের নিরিখে প্রচুর৷ ১৩ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি এই সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল৷ ভারতের বাজারে এই সিনেমাটি আয় করেছে মাত্র ৮ কোটি টাকা। ৫ বছরের বিরতির পর ১৯৯৭ সালে এটি ছিল অমিতাভ বচ্চনের কামব্যাক মুভি৷ তিনি তাঁর ইমেজ এবং স্টারডম ফিরে পেতে চেয়েছিলেন, এবং নিজেই প্রযোজনার দায়িত্ব নেন।ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন মেহুল কুমারের হাতে, যিনি রাজকুমার এবং মিঠুনের মতো স্টারদের নিয়ে সুপারহিট ছবি তৈরি করেছিলেন এর আগে৷ মেহুল কুমার চিত্রনাট্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং অমিতাভের ভাইয়ের ভূমিকার জন্য সানি দেওলকে সাইন করতে চেয়েছিলেন, তিনি সে সময় স্টারডমের শীর্ষে ছিলেন। কিন্তু সে সময় একাধিক সিনেমা হাতে থাকায় তিনি সিনেমাটিতে অভিনয় করেননি। এরপর ছবিটির জন্য সাইফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনিও রাজি হননি। এরপর ৭০ দশকের বিখ্যাত খলনায়ক অজিত খানের ছেলে আরবাজ খানকে বলা হয়৷ ছবিতে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছিল প্রাণকে। এটিই ছিল অমিতাভ ও প্রাণের শেষ ছবি। ২৪ বছর আগে ‘জঞ্জির’ ছবিতে এই জুটিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল। ছবিতে, ফরিদা জালাল অমিতাভের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যিনি আসলে অমিতাভের থেকে ৮ বছরের ছোট। বয়সে ছোট অভিনেত্রীর মা হওয়ায় দর্শকরা মোটেই মানতে পারেননি৷
বিনোদন Bollywood:ভারতীয় সিনেমায় সবথেকে লম্বা চুমুতে রেকর্ড এই নায়িকার, পালিয়েছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে, শেষে যা হল, কল্পনাও করতে পারবেন না Gallery March 31, 2024 Bangla Digital Desk ইদানীং বলিউডে পর্দায় চুমুর দৃশ্য ডাল-ভাতের মতই সাধারণ। কিন্তু কয়েক বছর আগেই গল্পটা মোটেই এত সহজ ছিল না। পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্য মানেই সমালোচকদের কড়া চাহনি। কিন্তু বলিউডের শুরু দিকে, মানে ৩-৪০ দশকে আবার অনস্ক্রিন চুমু নিয়ে তেমন কড়াকড়ি ছিল না। এমনকি, ভারতীয় সিনেমায় প্রথম চুমু-ই কিন্তু ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সবথেকে লম্বা চুমু। বলুন তো সেই নায়িকা কে ছিলেন? ১৯৩৩ সালে পরিচালক ও অভিনেতা হিমাংশু রায় বানালেন ‘কর্মা’ নামে একটি ছবি। তিনি তখন সদ্য লন্ডন থেকে ফিরেছেন। ছবিতে নায়ক তিনিই, আর নায়িকার চরিত্রে তাঁর-ই স্ত্রী, দেবিকা রানি। এটিই ছিল হিমাংশু আর দেবিকার প্রথম পর্দায় পা রাখা। ‘কর্মা’-এ হিমাংশু আর দেবিকা রানির মধ্যে একটি ‘সুপারহট’ চুম্বনের দৃশ্য ছিল। এখন-ও পর্যন্ত ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এটিই সবথেকে লম্বা চুমু এবং ভারতিয় সিনেমার ইতিহাসের প্রথম চুম্বন দৃশ্য। সেই চুমুর কাছে ফেল ‘রাজা হিন্দুস্তানী’র আমির-করিশ্মার অন্তরঙ্গ চুম্বনদৃশ্য-ও। ১৯৩০-এর মাঝামাঝি ভারতীয় সিনেমায় বেশ শক্তপোক্ত জমি করে নিয়েছিলেন দেবিকা রানি। কিন্তু ১৯৩৬ সালে তিনি প্রেমে পড়লেন সহকর্মী নাজম-উল-হাসন-এর। তখন তাঁরা একসঙ্গে ‘জীবন নাইয়া’ বলে একটি ছবির শ্যুটিং করছিলেন। ছবিটার প্রযোজক ছিল দেবিকার স্বামী হিমংশু-ই। এখানেই শেষ নয়। প্রেমে পাগল দেবিকা আর নাজম-উল-হাসন একদিন শহর ছেড়ে পালালেন। মাঝপথে তো ছবি বন্ধ। মাথায় হাত হিমাংশু রায়ের। তিনি তখন ছবির সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার শশধর মুখোপাধ্যায়কে দেবিকা রানির কাছে পাঠালেন। হিমাংশুর অনুরোধ ছিল, দেবিকা যাতে ফিরে এসে ছবিটা শেষ করেন। স্বামীর কাছে শর্ত রাখলেন দেবিকা রানি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি ফিরবেন, কিন্তু হিমাংশুকে তাঁকে মোটা টাকা দিতে হবে। বাধ্য হয়েই রাজি হলেন হিমাংশু। কিন্তু ছবিতে নায়কের জায়গা থেকে সরিয়ে দিলেন নাজম-উল-হাসন-কে। এরপর কী হল? ছবিতে নাজম-উল-হাসন-এর জায়গায় এলেন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার শশধর মুখোপাধ্যায়ের ভাই কুমুদলাল গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি তখন স্টুডিওতে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করতেন। ভাগ্য একেই বলেই। ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে হিরো হলেন কুমুদলাল। ছবিটা সুপারডুপার হিট করল। পরবর্তীতে কুমুদলাল সুপারস্টার হন। তিনি-ই কিংবদন্তী অভিনেতা অশোক কুমার।