Tag Archives: books

Book vs mobile: কমে যাচ্ছে বিক্রি, বই নাকি খুলেও দেখছেন না পড়ুয়ারা! কেন এমন হচ্ছে?

বীরভূম: বীরভূম নিয়ে অনেকেই অনেক চর্চা করে থাকেন, তবে জানেন বীরভূমে প্রথম কবে এবং কোথায় বই এর দোকান খোলা হয়েছিল? বীরভূমের লাল মাটির শহর বোলপুর শান্তিনিকেতনে আজ থেকে প্রায় ৪৪ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮০ সালে সুবর্ণরেখা নামে একটি বইয়ের দোকান খোলা হয় যেটি আগে কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে ছিল। আর মনে করা হয় এটিই বীরভূমের প্রথম বইয়ের দোকান। আর এই বইয়ের দোকান গেলেই মিলবে মহামূল্যবান পুরনো বই থেকে শুরু করে নতুন বিভিন্ন বিষয়ের বই।

আরও পড়ুন: বর্ধমানে মেলা থেকে ফেরার পথে বন্ধুর সামনেই গণধর্ষণের শিকার তরুণী, ধৃত তিন অভিযুক্ত

কিন্তু বইয়ের দোকান থাকলেও সেই দোকানে কার্যত মুখ ফিরেও তাকাচ্ছেন না বোলপুর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীরা এমনটাই অনুযোগ দোকানদারের। তবে কেন এমন হচ্ছে? যেখানে বোলপুর শিক্ষা এবং সংস্কৃতির জন্য এত খ্যাতি এবং সুনাম অর্জন করেছে সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা কী কারণে বইমুখী হচ্ছেন না?

আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে নিয়ে পলাতক ভাই, দিদিকে গণধর্ষণ তরুণীর পরিবারের! অভিযোগ রেকর্ড করা হয় দৃশ্য

দোকানদারের মতে, বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন এতটাই বেড়ে গিয়েছে, যার ফলে বই থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। চায়ের দোকান হোক, বা অন্য কোন জায়গা সবেতেই বন্ধুবান্ধবরা নিজেদের মধ্যে কথোপকথন না করে মোবাইল ফোন নিয়ে বসে থাকছেন। আর সেই কারণেই কার্যত বর্তমান প্রজন্মের কাছ থেকে বই ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে যে ক’জন বইয়ের পাঠক রয়েছে তাঁরা প্রবীণ। পুরানো প্রজন্ম মুছে গেলে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আর বইমুখী হবেন না, এই ভেবেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বহু বইয়ের দোকানের মালিক এবং প্রকাশকরা।

আবার, অন্য দিকে তিনি আরও জানাচ্ছেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা বই থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও বাংলাদেশি পর্যটক এবং পড়ুয়ারা বইয়ের প্রতি তুলনামুলকভাবে বেশি আসক্ত। তাঁর দাবি, ১০০ শতাংশ এর মধ্যে ২৫ – ৩০ শতাংশ থাকেন বাংলাদেশি পড়ুয়ারা। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি রয়েছে সেই পরিস্থিতির কারণে বোলপুর শান্তিনিকেতন ঘুরতে আসতে পারছেন না বাংলাদেশী পর্যটকেরা। আর সেই কারণেই বই এর দোকান খোলা রেখেও কার্যত মাছি তাড়াতে হচ্ছে দোকানদারদের।

Book Lover: নেশায় বুঁদ সেই ছোট থেকে! তবে এতে ক্ষতি নেই, বরং বেশ লাভ…

পশ্চিম মেদিনীপুর: ছোট থেকেই নেশা বই পড়া। বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থাকায় এক এক করে সংগ্রহ করেছেন নানান বই। বেশ কিছু পুরানো বই, দুষ্প্রাপ্য কিছু পুস্তক সংগ্রহ রেখেছেন তিনি। পড়ার নেশা থেকেই ধীরে ধীরে তাঁর বইয়ের সংগ্রহ। হাতে পয়সা এলে কিংবা বাবার কাছে চেয়ে তিনি কিনতেন বই। বাবা ব্যবসায়ী হলেও বইয়ের প্রতি ভালোবাসা ছিল তাঁরও। সেভাবে পর্যায়ক্রমে তিনি সংগ্রহ করেছেন নানা বই। একটি ঘরকে বানিয়ে তুলেছেন আস্ত লাইব্রেরি। বয়স ৬০ পেরানো এই ব্যক্তির চিন্তা ভাবনাকে কুর্নিশ জানাতে হয়।

থাকেন ওড়িশার সীমান্তবর্তী এলাকায়। গ্রামীণ এলাকায় সে অর্থে প্রচলন ছিল না পড়াশোনার। তবে ছোট থেকেই তাঁর নেশা বই পড়ার। ইচ্ছে বই সংগ্রহের। বইমেলা হোক কিংবা কোনও দোকান, পছন্দ হলেই কিনে আনতেন নানান বই। কোনওটা প্রবন্ধ ধর্মী, কোনওটা আবার গবেষণার বই, রয়েছে ভারতের ইতিহাসের ক্রম বিবর্তনের বইও। সব মিলিয়ে তার সংগ্রহ প্রায় পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। একটা ঘরে আর ধরে না জায়গা।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বৃষ্টি শুরু, চওড়া হাসি চাষিদের মুখে

পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা-ওড়িশা সীমানা সোনাকোনিয়া এলাকার বাসিন্দা অবন্তি জানা। বয়স তাঁর ষাট পেরিয়েছে। তবে মনে প্রানে তিনি এখনও যুবক। পোশাক নয়, বাড়ির আলমারি জুড়ে সাজানো শুধু বই। গল্প, উপন্যাস, নাটক, ইতিহাসের নানা কথন সহ একাধিক বই দেওয়াল আলমারি জুড়ে। না এটা কোন লাইব্রেরির অংশ নয়, এই ব্যক্তির জমানো আস্ত বইয়ের ভাণ্ডার।

বাড়িতেই অবন্তিবাবু একটি নার্সারি স্কুল চালান। তার সামান্য অর্থেই কিনে ফেলছেন পছন্দমত বই। ছোটখাটো চেহারার অবন্তিবাবু অবসর সময়ে নিজেও পড়তে থাকেন বইগুলোকে। বর্তমান প্রজন্ম মুখ ফিরিয়েছে বই থেকে। তবে অবন্তিবাবু চান বইয়ের মধ্যে বেঁচে থাকুক যুবক প্রজন্ম। বিজ্ঞান উন্নতির সঙ্গে সঙ্গেও বইকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান তার।

রঞ্জন চন্দ

Caring tips for old and rare books: পোকায় কাটা দুষ্প্রাপ্য বই ঝুরঝুরে হয়ে যাচ্ছে? রইল সহজ উপায়, দীর্ঘ দিন ঝকঝকে থাকবে বই

আপনার সংগ্রহের বইগুলো যদি সব সময় আপনাকে ব্যবহার করতে না হয় তাহলে সেগুলো সংরক্ষণ করার জন্য প্লাস্টিকের ঝুড়ি বা ট্যাব সবচেয়ে ভালো। বইয়ের পরিমাণ যদি কম হয় তাহলে প্লাস্টিকের ঝুড়ি বা ট্যাব ব্যবহার করতে পারেন বই সংরক্ষণের জন্য। প্লাস্টিকের ঝুড়ি বা ট্যাব বইকে সূর্যরশ্মি, জল, বই খেয়ে ফেলার পোকা ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষা করবে।
আপনার সংগ্রহের বইগুলো যদি সব সময় আপনাকে ব্যবহার করতে না হয় তাহলে সেগুলো সংরক্ষণ করার জন্য প্লাস্টিকের ঝুড়ি বা ট্যাব সবচেয়ে ভালো। বইয়ের পরিমাণ যদি কম হয় তাহলে প্লাস্টিকের ঝুড়ি বা ট্যাব ব্যবহার করতে পারেন বই সংরক্ষণের জন্য। প্লাস্টিকের ঝুড়ি বা ট্যাব বইকে সূর্যরশ্মি, জল, বই খেয়ে ফেলার পোকা ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষা করবে।
যেখানে সেখানে বই ফেলে রাখলে বই দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই বই দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার জন্য বুক শেলফ আদর্শ। কাঠ, মেটাল বা প্লাইউড বোর্ডের তৈরি শেলফ ব্যবহার করতে পারেন আপনার বই রাখার জন্য।
যেখানে সেখানে বই ফেলে রাখলে বই দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই বই দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার জন্য বুক শেলফ আদর্শ। কাঠ, মেটাল বা প্লাইউড বোর্ডের তৈরি শেলফ ব্যবহার করতে পারেন আপনার বই রাখার জন্য।
হঠাৎ করে দেখা যায় বইয়ের পাতাগুলো বাঁকা হয়ে গেছে কিংবা বইয়ের পাতাগুলো একে অপরের সঙ্গে লেগে গেছে। এগুলোর কারণ হিউমিডিটি। যে রুমের হিউমিডিটি কম সে রুমে বই বেশি দিন ভালো থাকে। সবচেয়ে ভালো হয় শতকরা ৩৫ ভাগ হিউমিডিটিতে বই রাখা।
হঠাৎ করে দেখা যায় বইয়ের পাতাগুলো বাঁকা হয়ে গেছে কিংবা বইয়ের পাতাগুলো একে অপরের সঙ্গে লেগে গেছে। এগুলোর কারণ হিউমিডিটি। যে রুমের হিউমিডিটি কম সে রুমে বই বেশি দিন ভালো থাকে। সবচেয়ে ভালো হয় শতকরা ৩৫ ভাগ হিউমিডিটিতে বই রাখা।
সরাসরি সূর্য রশ্মি পড়ে, গরম যন্ত্র—যেগুলো তাপ উৎপাদন করে সেগুলোর কাছাকাছি বই রাখবেন না। এতে বইয়ের বাঁধাই খুলে যেতে পারে। এ ছাড়া কাগজ শুষ্ক হয়ে বই বিকৃত হয়ে যেতে পারে। যে রুমে বই রাখবেন সেখানে ‘সফট লাইট’ ব্যবহার করুন।
সরাসরি সূর্য রশ্মি পড়ে, গরম যন্ত্র—যেগুলো তাপ উৎপাদন করে সেগুলোর কাছাকাছি বই রাখবেন না। এতে বইয়ের বাঁধাই খুলে যেতে পারে। এ ছাড়া কাগজ শুষ্ক হয়ে বই বিকৃত হয়ে যেতে পারে। যে রুমে বই রাখবেন সেখানে ‘সফট লাইট’ ব্যবহার করুন।
বই যেখানেই রাখুন না কেন কিছু ধুলোবালি তার ওপর জমেই যায়। কাজেই নির্দিষ্ট সময় পরপর বই পরিষ্কার করুন। বই পরিষ্কারের জন্য নরম কোনও কিছুর ঝাড়ু ব্যবহার করুন। বই মোছার জন্য সুতি কাপড় ব্যবহার করা ভালো।
বই যেখানেই রাখুন না কেন কিছু ধুলোবালি তার ওপর জমেই যায়। কাজেই নির্দিষ্ট সময় পরপর বই পরিষ্কার করুন। বই পরিষ্কারের জন্য নরম কোনও কিছুর ঝাড়ু ব্যবহার করুন। বই মোছার জন্য সুতি কাপড় ব্যবহার করা ভালো।
যে জায়গায় বা যে ঘরে বই রেখেছেন সেখানে কোন কিছু খাওয়া দাওয়া করলে কখনও জল লেগে আপনার বই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ব্যাকটেরিয়া বা বইপোকার উৎপাত শুরু হতে পারে। একবার বইপোকার উপদ্রব শুরু হলে তাকে ঠেকানো খুব সহজ নয়। কাজেই বই রাখার জায়গায় খাওয়া দাওয়া একেবারে বাদ দিন।
যে জায়গায় বা যে ঘরে বই রেখেছেন সেখানে কোন কিছু খাওয়া দাওয়া করলে কখনও জল লেগে আপনার বই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ব্যাকটেরিয়া বা বইপোকার উৎপাত শুরু হতে পারে। একবার বইপোকার উপদ্রব শুরু হলে তাকে ঠেকানো খুব সহজ নয়। কাজেই বই রাখার জায়গায় খাওয়া দাওয়া একেবারে বাদ দিন।
আপনার সংগ্রহের কিছু কিছু বইয়ের বাঁধাইয়ে কাগজের সঙ্গে গ্লু ব্যবহার করা হয়েছে। আপনি হয়তো সেটা জানেন না। কিছু কিছু পোকার খাবার হচ্ছে এই গ্লু। এই পোকাগুলো আপনার বই কেটে ফেলবে আপনার অগোচরে। পোকার হাত থেকে বই রক্ষা করার কার্যকরী উপায় হচ্ছে বইয়ের মাপে মোটা কাগজের কাভার তৈরি করে বইকে সেই কাভারের ভেতর ঢুকিয়ে দেওয়া।
আপনার সংগ্রহের কিছু কিছু বইয়ের বাঁধাইয়ে কাগজের সঙ্গে গ্লু ব্যবহার করা হয়েছে। আপনি হয়তো সেটা জানেন না। কিছু কিছু পোকার খাবার হচ্ছে এই গ্লু। এই পোকাগুলো আপনার বই কেটে ফেলবে আপনার অগোচরে। পোকার হাত থেকে বই রক্ষা করার কার্যকরী উপায় হচ্ছে বইয়ের মাপে মোটা কাগজের কাভার তৈরি করে বইকে সেই কাভারের ভেতর ঢুকিয়ে দেওয়া।
যেখানেই বই রাখুন না কেন বই খাড়া অথবা শুইয়ে রাখুন। এতে বইয়ের বাঁধাই, পৃষ্ঠা ইত্যাদি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। এভাবে রাখার জন্যই বইয়ের ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে।
যেখানেই বই রাখুন না কেন বই খাড়া অথবা শুইয়ে রাখুন। এতে বইয়ের বাঁধাই, পৃষ্ঠা ইত্যাদি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। এভাবে রাখার জন্যই বইয়ের ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে।