Tag Archives: Book fair

Nadia News: এ ‌যেন এক মিনি কলেজ স্ট্রিট স্কুল প্রাঙ্গণে! বইপাড়ার পাবলিশার্সদের আয়োজনে বইমেলা

নদিয়া: এ ‌যেন এক ছোটখাটো কলেজস্ট্রিট! বইপাড়ার পাবলিশার্সদের আয়োজনে বইমেলায় লাভ না হলেও সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণেই এই আয়োজন। মাঠে কিংবা ময়দানে নয়, এ বার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই বইমেলার আয়োজন।

মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে বইয়ের পাতায় চোখ বোলায়, সেই উদ্দেশ্যেই অভিনব এই প্রয়াস নদীয়ার শান্তিপুরের রাধারানি নারী শিক্ষা মন্দিরের। বিদ্যালয়ে বইমেলার আয়োজন শান্তিপুরে এই প্রথম বলে দাবি করছেন অনেকেই। ইতিমধ্যে স্কুল প্রাঙ্গণের এই বইমেলায় সাড়া মিলছে যথেষ্টই। তবে পঠন-পাঠনে কোনও ব্যাঘাত নয়, স্কুলের লাইব্রেরী রিডিং সময় অনুযায়ী মেয়েরা সেখানে যাচ্ছে বই দেখতে এবং কিনতে।

আরও পড়ুন- সাবধান! সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর ধর্ষিতার ছবি-তথ্য পোস্ট করা যাবে না, কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের 

রাধারানি নারী শিক্ষা মন্দিরের শিক্ষিকা তপতী দাস মুখার্জী বলেন, “চাকদহ রামলাল একাডেমী বিদ্যালয়ে এই বইমেলার প্রথম যখন আয়োজন করা হয় তখন আমি বেশ উচ্ছ্বাসিত হই। এর পর কলেজস্ট্রিট বুক পাবলিশার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন তরফ থেকে তারক মজুমদার মহাশয় আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিদ্যালয়ে বইমেলা আয়োজন করার জন্য। আমি সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হই, কারণ বর্তমানে বাচ্চারা ভীষণভাবে মোবাইলে আসক্ত। ওরা যদি এই বইমেলার মাধ্যমে বইগুলো কাছ থেকে দেখতে পারে তাও আবার স্কুল প্রাঙ্গণের মধ্যেই, তবে তাদের খুবই উপকার হবে বলে আমার মনে হয়েছে। সেই কারণেই এই বইমেলার আয়োজন।”

স্কুলের ছাত্রীরাও যথেষ্টই উচ্ছ্বাসিত এই বইমেলা আয়োজনে। তারা প্রথমে শিক্ষিকাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় এত অল্প সময়ে এত বড় একটি লাইব্রেরী উপহার দেওয়ার জন্য। কলেজস্ট্রিট বুক ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, এই সমস্ত বিদ্যালয়ের বইমেলা থেকে বই বিক্রি করা তাঁদের মূল উদ্দেশ্য নয়, একটি পাবলিশার্স দোকান থেকে বইয়ের সংগ্রহ নিয়ে যেকোনও বই মেলাতে গেলে তা যথেষ্ট ব্যয় সাপেক্ষ। তবে বিদ্যালয়ের এই বইমেলাতে সেই খরচ হয়তো নাও উঠতে পারে।

তবে আক্ষরিক অর্থে আগামী প্রজন্মের কাছে একটি বার্তা দেওয়া যে, মোবাইল থেকে দূরে থেকে বইয়ের দিকে মনোনিবেশ করলে তাদের সামাজিক মূল্যবোধের মধ্যেও পড়ে। তা বাদেও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই বইমেলার আয়োজন দেখে বাংলার হাজার হাজার স্কুল আগামীতে অনুপ্রাণিত হয়ে এই আয়োজন করবে তখন সামগ্রিকভাবে বই বিক্রি বাড়বে, এই আশা রাখেন উদ্যোক্তারা।

যেহেতু ছাত্রীদের বিদ্যালয় তাই আমন্ত্রিত অন্যান্য বিদ্যালয়ের ছাত্ররা আসলে কোন অসুবিধা আছে কিনা সে প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জানান, প্রথমত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকশিক্ষিকাদের সঙ্গেই তারা আসবে। সেক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। বিদ্যালয়ের মধ্যে হলেও দ্বিতলে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে একটি হলঘর ব্যবহার করা হয়েছে বইমেলার ক্ষেত্রে।

মৈনাক দেবনাথ 

Best Book: একটি মাত্র বই বিক্রি হল হল ৭ কোটি টাকায়! কোন বই? নামটা শোনামাত্রই চমকে উঠবেন ১০০% গ্যারান্টি

একটি বইয়ের দাম ৭ কোটি! অবিশ্বাস্য শুনতে লাগলেও এটাই সত্যি। বিশ্বের অন্যতম চর্চিত বইটি এত টাকায় বিক্রি হওয়ায় আকাশ থেকে পড়ছেন অনেকেই। বইটি ভূতের বই হিসাবেই পরিচিত। যা প্রথম ছাপা হয়েছিল ১৮১৮ সালে। আর ২০২৪ সালে এসে তা বিক্রি হয়ে গেল ৭ কোটি ৪ লক্ষ টাকায়।
একটি বইয়ের দাম ৭ কোটি! অবিশ্বাস্য শুনতে লাগলেও এটাই সত্যি। বিশ্বের অন্যতম চর্চিত বইটি এত টাকায় বিক্রি হওয়ায় আকাশ থেকে পড়ছেন অনেকেই। বইটি ভূতের বই হিসাবেই পরিচিত। যা প্রথম ছাপা হয়েছিল ১৮১৮ সালে। আর ২০২৪ সালে এসে তা বিক্রি হয়ে গেল ৭ কোটি ৪ লক্ষ টাকায়।
ব্রিটিশ এক মহিলা লেখকের এই বই। ১৮১৮ সালে প্রকাশিত বইটির একটিমাত্র কপিই ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল। আর সেই বইটিই এবার উঠল নিলামে। তারপরই ঘটল অভাবনীয় ঘটনা। নিলামে বইটির দাম উঠল ভারতীয় মুদ্রায় ৭ কোটি ৪ লক্ষ টাকা!
ব্রিটিশ এক মহিলা লেখকের এই বই। ১৮১৮ সালে প্রকাশিত বইটির একটিমাত্র কপিই ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল। আর সেই বইটিই এবার উঠল নিলামে। তারপরই ঘটল অভাবনীয় ঘটনা। নিলামে বইটির দাম উঠল ভারতীয় মুদ্রায় ৭ কোটি ৪ লক্ষ টাকা!
কিন্তু ১৮১৮ সাল প্রকাশিত এমন বহু বই ছড়িয়ে রয়েছে। তাহলে আলাদা করে এই বইটির মূল্য এত টাকা দাঁড়াল কেন? এই বইটি ব্রিটিশ লেখক মেরি শেলি-র লেখা। মাত্র ২১ বছর বয়সে লেখা এই বই আজও দারুণ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।
কিন্তু ১৮১৮ সাল প্রকাশিত এমন বহু বই ছড়িয়ে রয়েছে। তাহলে আলাদা করে এই বইটির মূল্য এত টাকা দাঁড়াল কেন? এই বইটি ব্রিটিশ লেখক মেরি শেলি-র লেখা। মাত্র ২১ বছর বয়সে লেখা এই বই আজও দারুণ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।
বইটির নাম কী জানেন? বইটির নাম ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন: অর, দ্যা মডার্ন প্রমিথিউস’। ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন এমন এক চরিত্র, যা আজও বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়। বারংবার নানা প্রসঙ্গে উঠে আসে ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনের নাম।

বইটির নাম কী জানেন? বইটির নাম ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন: অর, দ্যা মডার্ন প্রমিথিউস’। ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন এমন এক চরিত্র, যা আজও বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়। বারংবার নানা প্রসঙ্গে উঠে আসে ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনের নাম।
আসলে ১৮১৮ সালে প্রকাশিত এই বইটির প্রথম প্রকাশিত কপিগুলির মধ্যে ৩টি কপি আজও রয়ে গেছে। গোলাপি মলাটে এই ৩টি কপির আবার একটিমাত্র কপি ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল। এবার শেষমেশ সেটাই নিলামে উঠল।
আসলে ১৮১৮ সালে প্রকাশিত এই বইটির প্রথম প্রকাশিত কপিগুলির মধ্যে ৩টি কপি আজও রয়ে গেছে। গোলাপি মলাটে এই ৩টি কপির আবার একটিমাত্র কপি ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল। এবার শেষমেশ সেটাই নিলামে উঠল।
একটি কপি ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকলেও বাকি ২টি রয়েছে নিউ ইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরিতে। ফলে পৃথিবীতে একটিমাত্র কপি হওয়ার কারণেই এই বইটির দাম পৌঁছল ৭ কোটিতে!
একটি কপি ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকলেও বাকি ২টি রয়েছে নিউ ইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরিতে। ফলে পৃথিবীতে একটিমাত্র কপি হওয়ার কারণেই এই বইটির দাম পৌঁছল ৭ কোটিতে!

Book Lover: নেশায় বুঁদ সেই ছোট থেকে! তবে এতে ক্ষতি নেই, বরং বেশ লাভ…

পশ্চিম মেদিনীপুর: ছোট থেকেই নেশা বই পড়া। বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থাকায় এক এক করে সংগ্রহ করেছেন নানান বই। বেশ কিছু পুরানো বই, দুষ্প্রাপ্য কিছু পুস্তক সংগ্রহ রেখেছেন তিনি। পড়ার নেশা থেকেই ধীরে ধীরে তাঁর বইয়ের সংগ্রহ। হাতে পয়সা এলে কিংবা বাবার কাছে চেয়ে তিনি কিনতেন বই। বাবা ব্যবসায়ী হলেও বইয়ের প্রতি ভালোবাসা ছিল তাঁরও। সেভাবে পর্যায়ক্রমে তিনি সংগ্রহ করেছেন নানা বই। একটি ঘরকে বানিয়ে তুলেছেন আস্ত লাইব্রেরি। বয়স ৬০ পেরানো এই ব্যক্তির চিন্তা ভাবনাকে কুর্নিশ জানাতে হয়।

থাকেন ওড়িশার সীমান্তবর্তী এলাকায়। গ্রামীণ এলাকায় সে অর্থে প্রচলন ছিল না পড়াশোনার। তবে ছোট থেকেই তাঁর নেশা বই পড়ার। ইচ্ছে বই সংগ্রহের। বইমেলা হোক কিংবা কোনও দোকান, পছন্দ হলেই কিনে আনতেন নানান বই। কোনওটা প্রবন্ধ ধর্মী, কোনওটা আবার গবেষণার বই, রয়েছে ভারতের ইতিহাসের ক্রম বিবর্তনের বইও। সব মিলিয়ে তার সংগ্রহ প্রায় পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। একটা ঘরে আর ধরে না জায়গা।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বৃষ্টি শুরু, চওড়া হাসি চাষিদের মুখে

পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা-ওড়িশা সীমানা সোনাকোনিয়া এলাকার বাসিন্দা অবন্তি জানা। বয়স তাঁর ষাট পেরিয়েছে। তবে মনে প্রানে তিনি এখনও যুবক। পোশাক নয়, বাড়ির আলমারি জুড়ে সাজানো শুধু বই। গল্প, উপন্যাস, নাটক, ইতিহাসের নানা কথন সহ একাধিক বই দেওয়াল আলমারি জুড়ে। না এটা কোন লাইব্রেরির অংশ নয়, এই ব্যক্তির জমানো আস্ত বইয়ের ভাণ্ডার।

বাড়িতেই অবন্তিবাবু একটি নার্সারি স্কুল চালান। তার সামান্য অর্থেই কিনে ফেলছেন পছন্দমত বই। ছোটখাটো চেহারার অবন্তিবাবু অবসর সময়ে নিজেও পড়তে থাকেন বইগুলোকে। বর্তমান প্রজন্ম মুখ ফিরিয়েছে বই থেকে। তবে অবন্তিবাবু চান বইয়ের মধ্যে বেঁচে থাকুক যুবক প্রজন্ম। বিজ্ঞান উন্নতির সঙ্গে সঙ্গেও বইকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান তার।

রঞ্জন চন্দ

Poila Baisakh: এ এক অবাক বইমেলা! বই কিনলে দিতে হবেনা দাম! কোথায় হচ্ছে জানেন

শিলিগুড়ি : বইপ্রেমীদের জন্য দারুণ খবর। শহরে শুরু হয়েছে অভিনব এক বইমেলা। এই মেলাতে বই কিনলে বইয়ের দাম দিতে হবে না। এখানে পৌঁছে ইচ্ছামতো বই ভরে নিতে পারেন বাক্সে। শুধু আপনাকে হাতে তুলে নিতে হবে বাক্স। তারপর ঝটপট যত খুশি বই বাক্সে ভরে ফেলুন! যখন এক বাক্স আপনার পছন্দের বই হাতে চলে আসবে, তখন যেন আপনি রাজা!

ভাবছেন হয়তো এটা অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু না এটাই সত্যি। ব্যাপার টা একটু খোলসা করে বলা যাক। শিলিগুড়ির শহরে কসমস মলে বসেছে এমনই এক মজার বইমেলা। যেখানে ফাঁকা বাক্স কিনে নিজের ইচ্ছেমতো সাজানো বই থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দসই বই। ‘বুক টেল’ সংস্থার পক্ষ থেকেই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সংস্থার যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা আকাশ বাবুর কথায়, ‘‘শিলিগুড়িতে প্রথমবার এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে আমরা ৫০ টি শহরে এমন মেলার আয়োজন করেছি। প্রত্যেকবারের মতো এবারও বইপ্রেমীরা এই মেলায় আসছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পুরোনো বই কিভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই উদ্দেশ্যেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনই আমরা ভাল সাড়া পেয়েছি।”

আরও পড়ুন – ICC T20 World Cup 2024: ‘সাবাশ …, ওয়ার্ল্ডকাপ খেলনা হ্যায়’- নিজেই টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্লেয়ার বেছে নিলেন রোহিত

বই কিনতে মিস খুশি বলেন, “শিলিগুড়িতে এমন বইমেলার আয়োজন প্রথম হয়েছে। আমি খবর পেয়েই ছুটে এসেছি। যারা বই ভালবাসে তাদের জন্য দারুণএই বইমেলা। আমি ইতিমধ্যেই অনেকগুলি বই আমার বাক্সে রেখে ফেলেছি।’’

এই মেলায় দুই রকমের বাক্স মজুত রয়েছে। প্রথম বাক্সের দাম ১৫০০ টাকা. তারপর রয়েছে ২৫০০ টাকার আরেকটি বাক্স। এই বাক্স গুলিতে যত খুশি বই নিতে পারেন বই প্রেমীরা। ‘দি স্টোরি বক্স’ এই বইমেলায় মিলবে আট থেকে আশি, সবার মনের মতো বই। সব ধরণের বইকেই এক ছাদের তলায় আনার চেষ্টা করা হয়েছে এই মেলায়। গ্যাজেটে ব্যস্ত মানুষকে বইয়ের স্বাদ দিতে ‘বুক টেল’ সংস্থার এই মেলা সত্যিই অভিনব। ১১  এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা। চলবে ১৪ই  এপ্রিল পর্যন্ত।

Anirban Roy