Tag Archives: Buddhadeb Bhattacharya

Buddhadeb Bhattacharya Death: কী হতে পারত, আর কী হল না! বুদ্ধদেবের প্রয়াণেও সিঙ্গুরের বাতাসে সেই একটিই প্রশ্ন

হুগলি: শ্রাবণের ধারা ঝরে পড়ছে বিস্তীর্ণ খোলা মাঠে। শ্রাবণের বর্ষণের শেষে সেখানেই মাথা তুলে দাঁড়াবে শরতের কাশফুল। তবে যে বিস্তীর্ণ মাঠে কঙ্কালসার দেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে টাটার স্বপ্নের কারখানা সে আরমাথা তুলে দাঁড়াতে পারিনি। অচিরেই মিশে গেছে ইতিহাসের পাতায়। যে ইতিহাস জন্ম দিয়েছিল বাংলার বুকে মাথা তুলে দাঁড়ানো ঘাসফুলকে। আর সেই মাটিতেই মিশে রয়েছে শত সহস্র কাস্তে হাতুড়ির স্বপ্ন, স্বপ্ন শিল্পায়ন বিপ্লবের। সাল টা ২০০৬ ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ’।

এই একটি স্লোগানে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল বিধানসভা থেকে বিরোধী শিবির। ব্যাপক জনসমর্থনে ২৩৫ টি আসনে জয়লাভ করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। আবারও মুখ্যমন্ত্রী হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শিল্পায়ন করার জন্য এগিয়ে আসে টাটা গোষ্ঠী। কথা ছিল সিঙ্গুরের কারখানায় তৈরি হওয়া গাড়ি চলবে গোটা বিশ্বব্যাপী।

আরও পড়ুন: আপনিও কি খুব অলস, বলুন তো পৃথিবীর সবচেয়ে অলস প্রাণী কোনটি? শুনে কিন্তু সত্যিই অবাক হয়ে যাবেন

টাটা গোষ্ঠীকে ১২০০ একর জমি দিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। কারখানা তৈরি শুরু হয়। শুধু টাটা নয়, একাধিক অনুসারী শিল্প সেখানে আসতে শুরু করে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর এসইজেড প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে শুরু করে৷

তার পরে যা ঘটেছে, তা এনে দিয়েছে বাংলার রাজনীতিতে এক আমূল পরিবর্তন। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে ১৩ বছর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে আজও সিঙ্গুরের আকাশে বাতাসে সেই একটাই প্রশ্ন ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে, কী হতে পারত আর কী হল না।

— রাহী হালদার

Buddhadeb Bhattyacharya Room: আড়াই ফুট/ছ’ফুটের এয়ার বেড, HMV ‘ক্যারাভান’, বই আর বই! বুদ্ধবাবুর ঘর জুড়ে রইল যারা…! বাঙালির জীবনে আজ ‘তেইশে শ্রাবণ’

দীর্ঘকাল ধরে এই ঘরেই তাঁর বসবাস। গত কয়েকবছর বাড়ির বাইরে বেরোনো ছিল কার্যত বন্ধ। দশ ফুট বাই বারো ফুটের এই ছোট্ট ঘরেই ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিরকালীন সাদা ধুতি-পাঞ্জাবির মতোই এক নিপাট সাদামাটা অনাড়ম্বর জীবন, নিস্তরঙ্গ যাপন।
দীর্ঘকাল ধরে এই ঘরেই তাঁর বসবাস। গত কয়েকবছর বাড়ির বাইরে বেরনো ছিল কার্যত বন্ধ। দশ ফুট বাই বারো ফুটের এই ছোট্ট ঘরেই ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিরকালীন সাদা ধুতি-পাঞ্জাবির মতোই এক নিপাট সাদামাটা অনাড়ম্বর জীবন, নিস্তরঙ্গ যাপন।
পাম অ্যাভিনিউয়ের সরকারি আবাসনের দু'কামরার ফ্ল্যাটেই গত কয়েক দশক থাকতেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। ছোট্ট ঘর জুড়ে খালি বই, চে গেভারা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি।
পাম অ্যাভিনিউয়ের সরকারি আবাসনের দু’কামরার ফ্ল্যাটেই গত কয়েক দশক থাকতেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। ছোট্ট ঘর জুড়ে খালি বই, চে গেভারা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি।
শরীর সঙ্গ দিচ্ছিল না ঠিকই, ক্ষীণ হয়ে আসছিল দৃষ্টি শক্তি, তবুও জীবন বিমুখ ছিলেন না কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রবাদ প্রতিম কমরেড বরং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গোটা বিশ্বের সঙ্গে জুড়ে ছিলেন পত্র পত্রিকা ও খবরের কাগজের সূত্রে। আর জীবন জুড়ে ছিল রবীন্দ্রনাথ।
শরীর সঙ্গ দিচ্ছিল না ঠিকই, ক্ষীণ হয়ে আসছিল দৃষ্টি শক্তি, তবুও জীবন বিমুখ ছিলেন না কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রবাদ প্রতিম কমরেড বরং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গোটা বিশ্বের সঙ্গে জুড়ে ছিলেন পত্র পত্রিকা ও খবরের কাগজের সূত্রে। আর জীবন জুড়ে ছিল রবীন্দ্রনাথ।
ছোট্ট একটা এয়ার বেড। মাত্র আড়াই ফুট চওড়া আর ছ ফুট লম্বা এই বিছানায় দিনের বেশি সময়টুকু কাটিয়ে দিতেন কিংবদন্তীসম রাজনীতিবিদ।
ছোট্ট একটা এয়ার বেড। মাত্র আড়াই ফুট চওড়া আর ছ ফুট লম্বা এই বিছানায় দিনের বেশি সময়টুকু কাটিয়ে দিতেন কিংবদন্তীসম রাজনীতিবিদ।
শয্যার পাশে নেবুলাইজার আর বাইপ্যাপ মেশিন রাখা আছে এখনও একইরকম। শুধু মানুষটা আর নেই। বিছানার অদূরেই ছিল এইচএমভি ক্যারাভ্যান। গান শুনতেন নিয়মিত।
শয্যার পাশে নেবুলাইজার আর বাইপ্যাপ মেশিন রাখা আছে এখনও একইরকম। শুধু মানুষটা আর নেই। বিছানার অদূরেই ছিল এইচএমভি ক্যারাভ্যান। গান শুনতেন নিয়মিত।
আর ছিল বই। দৃষ্টি শক্তি দুর্বল হলেও বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট ছিল শেষ সময় পর্যন্ত। মায়াকোভোস্কি, দস্তভয়স্কি, লিও তলস্তয়--লম্বা তালিকা। স্প্যানিশ লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ় বুদ্ধদেবের অন্যতম প্রিয় ছিলেন। নোবেলজয়ী মার্কেজ়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘নো ওয়ান রাইট্স টু দ্য কর্নেল' বা 'কর্নেলকে কেউ চিঠি লেখে না' ছিল প্রিয় বইগুলির মধ্যে অন্যতম।
আর ছিল বই। দৃষ্টি শক্তি দুর্বল হলেও বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট ছিল শেষ সময় পর্যন্ত। মায়াকোভোস্কি, দস্তভয়স্কি, লিও তলস্তয়–লম্বা তালিকা। স্প্যানিশ লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ় বুদ্ধদেবের অন্যতম প্রিয় ছিলেন। নোবেলজয়ী মার্কেজ়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘নো ওয়ান রাইট্স টু দ্য কর্নেল’ বা ‘কর্নেলকে কেউ চিঠি লেখে না’ ছিল প্রিয় বইগুলির মধ্যে অন্যতম।
ওরহান পামুকের 'দ্য মিউজিয়াম অফ ইনোসেন্স', 'মাই নেম ইজ রেড'-এর মতো বই ছিল তাঁর পছন্দের তালিকায়। বাংলা সাহিত্যের একনিষ্ট ভক্ত ছিলেন বুদ্ধবাবু। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বইয়ের তাকে কে নেই! বাংলাদেশের আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শামসুর রহমানের কবিতা পড়তেন নিয়মিত। শেষদিকে পড়ে দিতেন তাঁর সঙ্গীরা। সমসাময়িক ঘটনাবলী সম্পর্কে সবসময় থাকতেন ওয়াকিবহাল।
ওরহান পামুকের ‘দ্য মিউজিয়াম অফ ইনোসেন্স’, ‘মাই নেম ইজ রেড’-এর মতো বই ছিল তাঁর পছন্দের তালিকায়। বাংলা সাহিত্যের একনিষ্ট ভক্ত ছিলেন বুদ্ধবাবু। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বইয়ের তাকে কে নেই! বাংলাদেশের আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শামসুর রহমানের কবিতা পড়তেন নিয়মিত। শেষদিকে পড়ে দিতেন তাঁর সঙ্গীরা। সমসাময়িক ঘটনাবলী সম্পর্কে সবসময় থাকতেন ওয়াকিবহাল।
জীবনজুড়ে ছিল রবীন্দ্রনাথ। ক্যারাভানে গমগম করত রবিগান, আর পাঠ করে শোনানো হাত পছন্দের বই। ঘরের দেওয়ালে চে গেভারা থেকে চার্লি চ্যাপলিন।
জীবনজুড়ে ছিল রবীন্দ্রনাথ। ক্যারাভানে গমগম করত রবিগান, আর পাঠ করে শোনানো হাত পছন্দের বই। ঘরের দেওয়ালে চে গেভারা থেকে চার্লি চ্যাপলিন।
সবমিলিয়ে এক অন্যন্য বৈচিত্রময় আধুনিক বামমনস্কতা.. এই ছিলেন তিনি.. এমনই ছিলেন কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যাঁর প্রয়াণে বাঙালির ক্যালেন্ডারে জুড়ে গেল মনে রাখার মতো, স্মৃতিসুধায় ভিজে থাকার মতো আরও একটি নতুন 'তারিখ'। তেইশে শ্রাবণ।
সবমিলিয়ে এক অন্যন্য বৈচিত্রময় আধুনিক বামমনস্কতা.. এই ছিলেন তিনি.. এমনই ছিলেন কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যাঁর প্রয়াণে বাঙালির ক্যালেন্ডারে জুড়ে গেল মনে রাখার মতো, স্মৃতিসুধায় ভিজে থাকার মতো আরও একটি নতুন ‘তারিখ’। তেইশে শ্রাবণ।

Adhir Chowdhury on Buddhadeb Bhattacharya: ‘সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের বিরোধিতা না করলেই ভাল হত’! বুদ্ধদেবের স্মৃতিচারণে বললেন অধীর

মুর্শিদাবাদ: একটা সময়ে ছিল বামেদের বিরোধী কংগ্রেস। পরে ২০১৬ সালে বাম কংগ্রেস জোট একত্রিত করে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। জোটের ভুমিকায় ছিলেন একদিকে কংগ্রেসের ছিলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অন্যদিকে মুখ্য ভুমিকায় ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এক সঙ্গে রাহুল গান্ধি সহ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানে বাম কংগ্রেসের জোটের হয়ে নির্বাচনী প্রচার করেছিলেন সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরীও।

প্রয়াত হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। একটা সময়ে বাম আমলে জেলে যেতে হয়েছিল অধীর চৌধুরীকে। কিন্তু তা নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই অধীর চৌধুরীর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে অধীর চৌধুরী বলেন, ”দীর্ঘদিন ধরে বাম শাসনে বিরোধিতা করে আমরা রাজনীতি করেছি। বিধায়ক থেকে সাংসদ পদে থাকাকালীন বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছি। প্রতি মুহূর্তে বাম ঘরানা রাজনৈতিক বিরোধিতা করেই আমাকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রতিবাদ করেছি এবং সমালোচনা করেছি।”

আরও পড়ুন: তিনিই মিথ, তিনিই ‘মুখ’! রূপকথা থেকে শোকগাথা-বিদায় বুদ্ধদেব

অধীরের সংযোজন, ”তিনি এমন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যার রাজনৈতিক জীবনে সততা থেকে আর কিছু নেই। বুদ্ধবাবুর বিরুদ্ধে সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম নিয়ে বিরোধিতা করেছি। তবে আজকে মনে হয় সেই বিরোধিতা না করলেই ভাল হত। একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সামান্য একটি ফ্ল্যাটে জীবন যাপন করে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল আমার।”

—- কৌশিক অধিকারী

Buddhadeb Bhattacharya Demise: ‘চলে গেলেন সত্যিকারের ভাল গুণী মানুষ…’, বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে শোকে মর্মাহত প্রসেনজিৎ-দেব

কলকাতা: প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ শুধুমাত্র বাম সমর্থকরাই নন, বুদ্ধবাবুকে রাজনৈতিক থেকে বিনোদন জগতের সকলেই ভালবাসতেন৷ রাজনীতি ছাড়াও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তিনি৷ নন্দন চত্বরেও তাকে দেখা যেত হামেশাই৷

বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকালে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ৮.২০ নাগাদ প্রয়াত হন তিনি। মৃত্যুকালে বুদ্ধদেবের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর৷ তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া পড়েছে রাজনৈতিক থেকে বিনোদন জগতে৷

আরও পড়ুন:    দু কামরার ফ্ল্যাট, অ্যাম্বাসাডর আর ধুতি- পাঞ্জাবি৷ বুদ্ধদেব বরাবরই ব্যতিক্রমী

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মৃত্যুতে একাধিক স্বনামধন্য ব্যক্তিরা শোকপ্রকাশ করেছেন৷ পাশাপাশি টলিউডের তারকা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও শোকে ভেঙে পড়েছেন৷ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন টলিউডের সুপারস্টার প্রসেনজিৎ, দেব৷

আরও পড়ুন:    ‘আমার বিয়েতে এসেছিলেন, আজ খুব মনে পড়ছে সেদিনটা…’, বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে স্মৃতি হাতড়াচ্ছেন ঋতুপর্ণা

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রসেনজিৎ লেখেন-‘একজন সত্যিকারের ভাল গুণী মানুষ চলে গেলেন …ভাল থাকবেন .. বুদ্ধ বাবুর পরিবারের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সমবেদনা’।

অভিনেতা দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় বুদ্ধবাবুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখেন-‘একজন সত্যিকারের ভদ্রলোক। একজন সত্যিকারের নেতা। শান্তিতে থাকুন স্যার’৷

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Dev Adhikari (@imdevadhikari)

গত ২৯ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। গত ৯ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এরপর ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে মারাত্মক রকমের সংক্রমণও ধরা পড়ে তাঁর। ফের আচমকা আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন। গতকাল রক্তপরীক্ষাও করা হয়, রিপোর্টে সেরকরম কিছু পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে স্যাচুরেশন খুব দ্রুত কমে যাওয়ায় মীরাদেবী তাঁর পারিবারিক চিকিৎসক সোমনাথ মাইতিকে জানান। অবশেষে আর শেষরক্ষা হল না, সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বুদ্ধবাবু৷

Buddhadeb Bhattacharjee Death: আর নেই বুদ্ধবাবু! চোখের জল বাঁধ মানছে না তাঁর নিত‍্যসঙ্গী হরেন,শম্ভুদের

কলকাতাঃ শেষ নিশ্বাস ত‍্যাগ করলেন রাজ‍্যের প্রাক্তন মুখ‍্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বামশাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ৮.২০ নাগাদ তিনি প্রয়াত হন।

অসুস্থ বুদ্ধবাবুর সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন, শম্ভু  বৈদ্য এবং হরেন অধিকারী।
শম্ভুর বাড়ি রায়দিঘি, হরেনের বাড়ি সুভাষগ্রাম। গত চার বছর ধরে হরেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আটেনডেন্ট তথা ছায়া সঙ্গী ছিলেন। গত ২বছর ধরে ছিলেন শম্ভু। তাঁরা জানান, গতকাল রাত দুটোর সময় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বাইপ্যাপ চালানো হয়। ঘণ্টা চারেক পর একটু স্বাভাবিক হয়। আবারও শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এরপর আবার যখন বাইপ্যাপ দেওয়া হয় তখনই নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুনঃ শেষ চক্ষুদানের প্রক্রিয়া! আজ দেহ পিস ওয়ার্ল্ডয়ে, শুক্রতে NRS-এ বুদ্ধদেবের দেহদান

Buddhadeb Bhattacharjee Demise Ashok Bhattacharya: ‘শিলিগুড়িতে এলে ব্যাগে একটা পাঞ্জাবি আনতেন’, ‘বুদ্ধদাকে’ হারিয়ে স্মৃতিমেদুর অশোক ভট্টাচার্য

শিলিগুড়ি : ‘বুদ্ধবাবুর উপস্থিতিটাই আমাদের কাছে প্রেরণা ছিল, সেই প্রেরণা থেকে এখন আমরা বঞ্চিত হব। আমার রাজনৈতিক জীবনে অনেক কিছু শেখা বুদ্ধদার কাছ থেকে।’ বৃহস্পতিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণের পর স্মৃতির পাতা উলটে এই কথাই জানালেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য।

এ দিন সকালেই প্রয়াত হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের প্রাক্তন পলিটব্যুরো সদস্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দলে দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধার প্রয়াণের খবর পেয়ে শোকাহত হয়ে পড়েন অশোক ভট্টাচার্য। শোনালেন বুদ্ধবাবু সম্পর্কে নানা কথা।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও খুব ছিমছাম জীবনযাপন করতেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন: WB06 0006-আর উঠবেন না বুদ্ধদেব, অন্তিম যাত্রাতেও শববাহী শকটের পিছনে চলল সেই সাদা অ্যাম্বাসাডর

শিলিগুড়ি এলেই উঠতেন তৎকালীন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যর বাড়িতে। খেতেন খুব সাধারণ খাবার। অশোকবাবুর প্রয়াত স্ত্রী শুক্লা ভট্টাচার্যকে নিজের বোনের মতো দেখতেন ৷ অশোকবাবুর বাড়িতে উঠলে বোন শুক্লার হাতে রান্না করা খাবারই খেতেন। সেই সব স্মৃতি এতটুকুও ম্লান হয়নি অশোক ভট্টাচার্যের মন থেকে । শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র বলেন, “আমাদের বাড়িতে একটা ব্যাগ নিয়ে আসতেন। একটা পাঞ্জাবি সঙ্গে নিয়ে আসতেন। আজকের পশ্চিমবঙ্গ তাঁকে ছাড়া ভাবাই যায় না। এটা শুধু দলের ক্ষতি না, সারা রাজ্য, সারা দেশের ক্ষতি ।”

আরও পড়ুন: অসাধারণ এক পোর্টফোলিও হয়েও সারাজীবন সাধারণ থাকলেন বুদ্ধ-জায়া মীরা…

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিশ্বাসই করতে পারছি না। ওঁর উপস্থিতি আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণা ছিল সেই জায়গা থেকে, এখন বঞ্চিত হব। শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশে এরকম সৎ রাজনৈতিক নেতা আর নেই। বুদ্ধদার কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি। ওঁর সঙ্গে পারিবারিক একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। উনি দার্জিলিং জেলার পার্টি দেখতেন। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতে ওঁর অবদান দেখেছি। কীভাবে মন্ত্রিত্ব চালাতে হয় তা ওঁর কাছ থেকে শিখেছি। যাঁরা স্বচ্ছ রাজনীতিটা করেন, তাঁরা জানেন তাঁদের কত বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

অনির্বাণ রায়

Buddhadeb Bhattacharya Demise: ‘সিপিআইএম-এ রইলাম না আর’, বুদ্ধদেবের প্রয়াণে কী হল জিতু কমলের! পোস্ট ঘিরে তুমুল চর্চা

কলকাতা: প্রয়াত হলেন বামশাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ বৃহস্পতিবার সকালে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ৮.২০ নাগাদ প্রয়াত হন তিনি। বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে বুদ্ধদেবের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর৷ তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া পড়েছে রাজনৈতিক থেকে বিনোদন জগতে৷

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মৃত্যুতে একাধিক স্বনামধন্য ব্যক্তিরা শোকপ্রকাশ করেছেন৷ পাশাপাশি টলিউডের তারকা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও শোকে ভেঙে পড়েছেন৷ তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রয়াণের পর আচমকা কী হল জিতু কমলের৷ জিতুর ফেসবুক পোস্ট দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন অনুরাগীরা৷

আরও পড়ুন:   ‘আমার বিয়েতে এসেছিলেন, আজ খুব মনে পড়ছে সেদিনটা…’, বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে স্মৃতি হাতড়াচ্ছেন ঋতুপর্ণা

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জিতু লেখেন-হিড়িক পড়েছে ছবি দিয়ে ব্যতিক্রমী পোস্ট করার, হিড়িক পড়েছে শ্রদ্ধার ঝুলি খুলে দিয়ে রাজপথে ফুল ঝরানোর, হিড়িক পড়েছে ওর সাথে জড়িত সমস্ত সুখ স্মৃতি উজাড় করার, হিড়িক পড়েছে কমরেড বলে একে অপরকে সম্মোধন জানানোর। আজ থেকে আর কমরেড বলে আমায় নাইবা ডাকলেন। আর যদি ডেকেও ফেলেন, দয়া করে একটি বারের জন্য অনুমতি চাইবেন। সিপিআইএম রইলাম না আর, বুদ্ধপন্থী বলে রইলো আমার পরিচয়। সুবিধা অসুবিধা কোন কিছুই কিন্তু নিইনি কোনদিন। তাই পল্টিবাজ ধাপ্পাবাজ চিটিংবাজ ভাষাজ্ঞান শূন্য মন্তব্য নাইবা করলেন সিপিআইএম। আমার বন্ধু-আমার পথপ্রদর্শক-আমার ঈশ্বর বিদায়। বিদায় বন্ধু বিদায়… পরপারে স্লেট হাতে আবার যাব, পিছু পিছু তোমার।

আরও পড়ুন:   দু কামরার ফ্ল্যাট, অ্যাম্বাসাডর আর ধুতি- পাঞ্জাবি৷ বুদ্ধদেব বরাবরই ব্যতিক্রমী

অভিনেতার এই পোস্ট ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে ৷গত ২৯ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। গত ৯ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এরপর ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে মারাত্মক রকমের সংক্রমণও ধরা পড়ে তাঁর। ফের আচমকা আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন। গতকাল রক্তপরীক্ষাও করা হয়, রিপোর্টে সেরকরম কিছু পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে স্যাচুরেশন খুব দ্রুত কমে যাওয়ায় মীরাদেবী তাঁর পারিবারিক চিকিৎসক সোমনাথ মাইতিকে জানান। অবশেষে আর শেষরক্ষা হল না, সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বুদ্ধবাবু৷