হাওড়া: হায়দরাবাদি হাইব্রিড সিঙাড়া! ওই মুখরোচক নাস্তায় মেতেছে জেলার মানুষ। সিঙাড়া বলতে ময়দার আস্তরণ তৈরি করে ঝাল সুগন্ধি মশলায় পুর দিয়ে ত্রিকোণ আকৃতির তৈরি তেলেভাজা। এই তেলেভাজা দেখতে যতটা আকর্ষণীয়, খেতেও বেশ খাস্তা এবং সুস্বাদু। যে কারণে সর্বত্র এই তেলে ভাজার জনপ্রিয়তা দারুণ। এই তেলে ভাজা সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পরিচিত। আবার স্বাদেও এলাকা বিশেষে পরিবর্তন দেখা যায়। সেই দিক থেকে বাংলা জুড়ে হায়দরাবাদি স্টাইলের সিঙাড়ার স্বাদ আরও আকর্ষণীয়।
হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের রাজাপুর-সিংটি প্রত্যন্ত গ্রামে রাজ্য সড়কের পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই হায়দরাবাদি হাইব্রিড সিঙাড়া। যদিও সারা বাংলায় সিঙাড়ার জনপ্রিয়তা রয়েছে প্রচুর। তেলেভাজার দোকান মানেই ছোট বড় নানা সাইজের সিঙাড়া। এমনকি মিষ্টির দোকানগুলিতেও সিঙাড়া বেশ জনপ্রিয়। তবে এই হায়দরাবাদি সিঙাড়া নাকি আরও আকর্ষণীয়।
সাধারণত ময়দার লেচি বেলে তার মধ্যে ঝাল মশলা আলু দিয়ে তৈরি সুগন্ধি পুর ভরে তৈরি হয় সিঙাড়া। ছাঁকা তেল বা ঘি দিয়ে খাস্তা করে ভাজা। খাস্তা সিঙাড়া জলখাবার বা বিকেলে চাটনি সহযোগে খাবার চল রয়েছে। মুখরোচক খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। হায়দরাবাদে এই সিঙাড়ার পুর তৈরিতে ব্যবহার হয় আলু মশলা কাজু কিসমিস পনির নারকেল-সহ বিভিন্ন জিনিস যা অন্যান্য দোকানের সিঙাড়ার থেকে আলাদা বা সুস্বাদ। হায়দরাবাদি হাইব্রিড সিঙাড়া দামে মাত্র ১০ টাকা।
এই প্রসঙ্গে বিক্রেতা রাজা অধিকারী বলেন, একটা বড় মাপের সিঙাড়া, এর স্বাদ অন্যান্যগুলির থেকে আলাদা। এমনকি এই সিঙাড়া সমগ্র জেলায় অমিল। তাই ৩০-৪০ কিমি দূরে থেকে আসেন ক্রেতা। তিনি আরও বলেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে হায়দরাবাদে বেড়াতে গিয়ে এমন সিঙাড়ার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল প্রথমবার। সেই সময় থেকেই ইচ্ছা ছিল এমন সিঙাড়া এখানকার মানুষকে খাওয়ানো, সেই লক্ষ্য রেখেই হায়দরাবাদ থেকে অভিজ্ঞ সিঙাড়ার কারিগর নিয়ে এসে তৈরি হচ্ছে এই সিঙাড়া। প্রায় প্রতিদিন একটু একটু করে এর চাহিদাও বেড়ে চলেছে এই হায়দরাবাদি হাইব্রিড সিঙাড়ার।
রাকেশ মাইতি