Tag Archives: Cinnamon

Cinnamon health benefits: রান্নায় ব্যবহার করেই ফেলে দেন, দারচিনির গুণাগুণ জানলে কিন্তু চমকে উঠবেন

বিভিন্ন রান্নাকে স্বাদ এবং গন্ধে অতুলনীয় করে তুলতে ব্যবহার করা হয় গরমমশলা। বাঙালির রান্নায় গরমমশলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই গরমমশলার একটি উপাদান হল দারচিনি। দারচিনি আমরা সবাই রান্নায় ব্যবহার করি, কিন্তু না খেয়ে ফেলে দিই। জানেন দারচিনির কত গুণ?

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: পলিফেনল-সহ একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ দারচিনি। নিয়মিত দারচিনি খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পায়,যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: দিল্লির কাছে হারের পরে শাস্তি হল সঞ্জু স্যামসনের, বিপাকে রাজস্থানের অধিনায়ক

২. অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ: শরীরে যে কোনও রকম জ্বালা কমানোর ক্ষমতা রয়েছে এই মশলার। দেহের কোনও টিস্যুর ক্ষতি হলে বা দেহের কোথাও জ্বালা হলে দারচিনি সেবন করতে পারেন।

৩. হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য: হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য দারচিনি খুবই ভাল। ৩-৪ চামচ করে নিয়মিত দারচিনি খেলে ট্রাইগ্লিসারাইড, টোটাল কোলেস্টেরল, ব্যাড কোলেস্টেরল কমে। যার ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে।

৪. ক্যানসার প্রতিরোধ: গবেষকদের মতে, ক্যানসারের চিকিৎসা এবং এই রোগের ঝুঁকি কমাতেও কার্যকর দারচিনি। ক্যানসার আক্রান্ত কোষ অর্থাৎ মেলানোমা যাতে শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে তাতেও ভূমিকা রয়েছে দারচিনির।

আরও পড়ুন: গিনেস বুকে নাম তোলার শখ বলে বেছে নিলেন গাছকে, কী করলেন যুবক?

৫. ব্লাড সুগার কমাতে: রক্তে ব্লাড সুগার কমাতে বেশ কার্যকর দারচিনি। রক্তে সুগারের মাত্রা, কমাতে টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে এই মশলা বেশ উপকারি।

৬. ব্যাক্টেরিয়াল বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমাতে: ব্যাক্টেরিয়াল বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমাতে দারচিনি বেশ উপকারি। লিস্টেরিয়া এবং সালমোনেলা নামক ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে দারচিনি।

Healthcare: কোলেস্টেরল থেকে পিরিয়ডের সমস্যা! বহু জটিল রোগের ওষুধ রান্না ঘরের এই চেনা মশলা!

রান্নায় নানা রকম মশলার ব্যবহার কিন্তু স্বাদ বাড়িয়ে তোলে রান্নার। তবে প্রতিটি মশলার কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন গুণ রয়েছে। আলাদা ভাবে এই মশলা গুলি খাওয়া যায় না বলেই রান্নায় এই সব মশলা যোগ করা হয়।
রান্নায় নানা রকম মশলার ব্যবহার কিন্তু স্বাদ বাড়িয়ে তোলে রান্নার। তবে প্রতিটি মশলার কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন গুণ রয়েছে। আলাদা ভাবে এই মশলা গুলি খাওয়া যায় না বলেই রান্নায় এই সব মশলা যোগ করা হয়।
মশলার মধ্যে অন্যতম দারচিনি। অনেকেই বিভিন্ন রকম পানীয়ের মধ্যে এই দারচিনি মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। চায়ের মধ্যেও এই মশলা দিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে। তবে দারচিনির মধ্যে রয়েছে নানা গুণাগুণ।
মশলার মধ্যে অন্যতম দারচিনি। অনেকেই বিভিন্ন রকম পানীয়ের মধ্যে এই দারচিনি মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। চায়ের মধ্যেও এই মশলা দিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে। তবে দারচিনির মধ্যে রয়েছে নানা গুণাগুণ।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান,
অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, “ঋতুচক্র স্বাভাবিক রাখতে দারুণ সাহায্য করে এই দারচিনি। বিভিন্ন ঠান্ডা পানীয়ের মধ্যে সামান্য দারচিনি মিশিয়ে খেলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব দূর হয়।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, হরমোনের হেরফেরের কারণে পিসিওএস সমস্যা সূত্রপাত হয়। যার ফলে স্বাভাবিক ঋতুচক্র ব্যাহত হয়। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারচিনি দারুণ কাজ করে।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, হরমোনের হেরফেরের কারণে পিসিওএস সমস্যা সূত্রপাত হয়। যার ফলে স্বাভাবিক ঋতুচক্র ব্যাহত হয়। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারচিনি দারুণ কাজ করে।
শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ, উৎপাদন এবং কার্যকারিতা বাড়িয়ে থাকে শরীরের মধ্যে। খাবার খাওয়ার পরেই রক্তে শর্করার ওঠানামা করে। সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই মশলার জুড়ি মেলা ভার।
শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ, উৎপাদন এবং কার্যকারিতা বাড়িয়ে থাকে শরীরের মধ্যে। খাবার খাওয়ার পরেই রক্তে শর্করার ওঠানামা করে। সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই মশলার জুড়ি মেলা ভার।
মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তাই ওজন কমছে না। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এক চিমটে দারচিনি। দারচিনি দেওয়া জল খেলেও এই সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তাই ওজন কমছে না। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এক চিমটে দারচিনি। দারচিনি দেওয়া জল খেলেও এই সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
রক্তে কোলেস্টেরল বাড়তে থাকলে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত দারচিনি খেলে এই ধরনের ঝুঁকি কমতে কমে যায় অনেকটাই। এই মশলার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান।
রক্তে কোলেস্টেরল বাড়তে থাকলে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত দারচিনি খেলে এই ধরনের ঝুঁকি কমতে কমে যায় অনেকটাই। এই মশলার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান।

Blood Sugar Control Tips: ব্লাড সুগার বশে রাখতে চান প্রাকৃতিক ভাবে? নিয়মিত পান করুন দারচিনির জল

দারচিনির জল যা দারচিনি চা নামেও পরিচিত, ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং প্রাকৃতিক ভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। দারচিনি, বিশেষ করে সিলন সিনামন বা সিংহলি দারচিনি স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য এবং একটি শক্তিশালী ওষুধ হিসাবে পরিচিত। এই কারণেই এই মশলাটি বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য বেশ কয়েকটি প্রাচীন ওষুধে ব্যবহৃত হয়েছে। বলছেন রন্ধনশিল্পী তথা পুষ্টিবিদ সেরেনা পুন।

জলে দারচিনির কাঠি মেশালে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থের পাশাপাশি অতিরিক্ত চিনি বের করে দিতে সাহায্য করে অর্থাৎ রক্তে শর্করাকে স্বাভাবিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া গরম জলে দারচিনি যোগ করলে তা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতেও সাহায্য করে। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে, যা কার্ডিয়াক রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

প্রতিদিনের ডায়েটে মাত্র ১ গ্রাম দারচিনি যোগ করলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং তা টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। দারচিনিতে থাকা অ্যান্টি-বায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অল্প পরিমাণে দারচিনি যোগ করলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত হয়। তাছাড়া এতে হজমশক্তি বাড়ে এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলি দূর হয়ে যায়। ভাল ঘুম এবং মেটাবলিজম বাড়াতেও কাজে লাগে এই দারচিনি।

আরও পড়ুন : কোলেস্টেরলের সমস্যা কমছে না কিছুতেই? সমাধান লুকিয়ে কুমড়োর বীজে

কীভাবে বানাবেন

একটি কাচের পাত্রে এক লিটার জল নিয়ে, এতে ১ ইঞ্চি দারচিনি স্টিক এবং ২-৩টি লেবুর টুকরো যোগ করতে হবে। সারা রাত রেখে দিলেই পরের দিন পানীয় রেডি। আবার ২ কাপ জল ফুটিয়ে একটি গ্লাসে ঢেলে এবং ২ চিমটি দারচিনি গুঁড়ো যোগ দিয়েও পান করা যায়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়েটে অবশ্যই রাখুন দারচিনির জল।