Tag Archives: East Bengal

এগারো দলের মধ্যে ৯ নম্বরে ইস্টবেঙ্গল! মিজো ডিফেন্ডারের চুক্তি বাড়িয়ে শুধু প্রচার

#কলকাতা: নতুন ইনভেস্টার সংস্থা কথা দিয়েছিল সেরা দল তৈরি হবে। তারা যে একেবারে চেষ্টা করেনি তা নয়। কিন্তু রেজাল্ট কোথায়? বছর ঘুরে যায়, কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের ছবিটা বদল হয় না। কর্মকর্তারাও মুখেই দুনিয়া জেতার স্বপ্ন দেখিয়ে চলেছেন সেই কবে থেকে। গাল ভরা একাধিক কমিটি। কিন্তু খেলার শেষে হতাশাই প্রাপ্তি সমর্থকদের।

রবিবার ছিল ইস্টবেঙ্গলের উদীয়মান ডিফেন্ডার লালচুননুঙ্গার জন্মদিন। আর সেদিনই মিজোরামের এই তরুণ ডিফেন্ডারের সঙ্গে ২০২৫-২৬ মরশুম পর্যন্ত চুক্তি করল লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। লালচুননুঙ্গা উঠে এসেছেন আইজল এফসি’র জুনিয়র টিম থেকে। তারপর ২০১৯ সালে আইজলের সিনিয়র টিমের হয়ে আই লিগে তাঁর অভিষেক।

আরও পড়ুন – বিরাট কোহলির ব্যাটিং নিয়ে এবার বিরক্ত ছোটবেলার কোচ! বলছেন পুরোটাই ভুলে ভরা

পাহাড়ি দলটির জার্সি পরে নজর কাড়ায় ২০২১-২২ মরশুমের শুরুতে শ্রীনিধি ডেকান তাঁর সঙ্গে দু’বছরের চুক্তি করে। গত মরশুমে শ্রীনিধি ডেকানের হয়ে ভালো খেলায় তিনি ইস্ট বেঙ্গলের স্কাউটিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলারের নজরে পড়েন। আগস্টে তাঁকে এক বছরের জন্য লিয়েনে নেয় লাল-হলুদ।

রবিবার চুক্তির পর তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গল আমার পরিবারের মতো। লাল-হলুদের ঐতিহ্যই আলাদা। এমন ক্লাবের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করে আমি তৃপ্ত। নিজের সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য। উল্লেখ্য, লালচুননুঙ্গা এবার আইএসএলের সব ম্যাচেই প্রথম একাদশে ছিলেন। পুরো সময় খেলেওছেন। করেছেন ৪৭টি ক্লিয়ারেন্স, ১৮টি ব্লকিং ও ৩৪টি ট্যাকল।

ভারতীয় ফুটবলের আগামী দিনে এই ছেলেটি বড় ডিফেন্ডার হয়ে উঠতে পারেন এমন সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্ট। নিজেদের শেষ দুটি ম্যাচে হায়দারাবাদ এবং মুম্বইর কাছে ৫ গোল হজম করেছে ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে আবার নামছে লাল হলুদ।

‘ইস্টবেঙ্গলের নতুন রোনাল্ডো’ ! ক্লেটন বলছেন আরও চমক বাকি আছে আইএসএলে

#জামশেদপুর: ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এবারে যে দল তৈরি করেছে ইস্টবেঙ্গল তার মধ্যে সেরা বিদেশি নিঃসন্দেহে তিনি। যখন বেঙ্গালুরু দলে খেলতেন, তখনই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তিনি। লাল হলুদ জার্সিতে ক্লেটন সিলভা প্রমাণ করে চলেছেন তিনি একাই দলকে টানার ক্ষমতা রাখেন যদি তলা থেকে সাহায্য পান। জামসেদপুরের মাঠে গিয়ে তাদের হারিয়ে আসা সহজ নয়। সেখানে ইস্টবেঙ্গল যেমন বড় ব্যবধানে জিতেছে, তেমনই সিলভা জোড়া গোল করেছেন।

তার আগে বেঙ্গালুর মাঠে গিয়ে তার গোলেই জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ব্রাজিলিয়ান কিন্তু আনন্দে ভেসে যেতে রাজি নন। জামশেদপুর ম্যাচের পর জানিয়েছেন, আইএসএল যেভাবে হচ্ছে তাতে এবার অনেক চমক বাকি। ইস্টবেঙ্গল রোজ উন্নতি করছে, পরের ম্যাচগুলো আমরা আরও ভাল খেলব।

আরও পড়ুন – আজ সামনে উরুগুয়ে, প্রতিশোধ এবং নকআউট দুটোই চায় রোনাল্ডোর পর্তুগাল

তরুণ মনিপুরী ফুটবলার মহেশ যেভাবে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে নিজেকে মেলে ধরছেন সেটা মুগ্ধ করেছে সিলভাকে। ব্রাজিলিয়ান বলছেন, মহেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বয়স কম এবং শেখার ইচ্ছে আছে। ভারতে আসার পর থেকে আমি যে কজন প্রতিভাবান ভারতীয়কে দেখেছি, সেই তালিকায় ও থাকবে। দলের অধিনায়ক হিসেবে আমি নিজেকে চোটমুক্ত রাখতে চাই এবং প্রত্যেক ম্যাচে ভূমিকা রাখতে চাই।

ইস্টবেঙ্গলের তিনটে গোলের পেছনে অবদান রাখা মহেশ বলছেন, কোচ স্টিফেন আমাকে সব সময় উপদেশ দেন। অনুশীলন এবং মাঠের বাইরেও নিজেকে ধারাবাহিক করে তুলতে গেলে কি করতে হবে সেটা জলের মতো বুঝিয়ে দেন। কোচের কথা শুনেই এই জায়গায় এসেছি। লক্ষ্য ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।

ইস্টবেঙ্গল এর পরের ম্যাচ খেলবে, হায়দারাবাদ দলের বিপক্ষে। যুবভারতীতে যারা এটিকে মোহনবাগানের কাছে শেষ ম্যাচ হেরেছে। ক্লেটন বলছেন হায়দারাবাদ আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাবে। পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু আমরা দল হিসেবে আগের থেকে অনেক বেশি মজবুত।

ডিফেন্স, মাঝখান এবং আক্রমণ তিনটে জায়গাতেই উন্নতি হয়েছে। তাকে মজা করে ইস্টবেঙ্গলের রোনাল্ডো বলে ডাকছেন সমর্থকরা। মুখের আদল কিছুটা পর্তুগিজ মহাতারকার মত তাতে সন্দেহ নেই। ক্লেটন অবশ্য চান বিশ্বকাপ জিতুক তার দেশ ব্রাজিল। তবে রোনাল্ডো তার পছন্দ।

সিলভার জোড়া গোল, জামশেদপুরের মাঠে গিয়ে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল ইস্টবেঙ্গল

জামশেদপুর – ১
ইস্টবেঙ্গল – ৩

#জামশেদপুর: স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন কথা দিয়েছিলেন একটু সময় পেলে তিনি ইস্টবেঙ্গল দলটাকে গুছিয়ে নেবেন। কথার কথা বলেননি সাহেব কোচ সেটা বোঝা যাচ্ছে এখন। শুরুর দিকে যতটা খারাপ খেলছিল দলটা, এই মুহূর্তে অনেক গুছিয়ে নিয়েছে লাল হলুদ। ফিটনেস, বল ধরে রাখার ক্ষমতা এবং ডিফেন্স আগের থেকে উন্নত। রবিবার যারা ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচটা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই মানবেন লাল হলুদের খেলা তাদের আশ্বস্ত করছে।

ক্লেটন সিলভার জোড়া গোলে জামশেদপুরকে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩-১ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম বার টানা দু’টি অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতল তারা। বাকি যে ম্যাচটি জিতেছে, সেটিও গুয়াহাটিতে নর্থইস্টের হয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচে। সোমবারের ম্যাচ দেখার পর ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা দাবি করতেই পারেন, তাদের বাকি সবক’টিই অ্যাওয়ে ম্যাচ হোক।

কারণ ঘরের মাঠে এখনও জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেয়ে যায় তারা। আক্রমণ শুরু হয় সেই ক্লেটনের থেকেই। তাঁর থেকে নাওরেমের মহেশের পায়ে বল যায়। তিনি ক্রস করেন বক্সের উদ্দেশে। সেখান থেকে অনবদ্য হেডে বল জালে জড়ান ভিপি সুহের।

প্রতি আক্রমণ থেকে ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বল পেয়ে একাই উঠতে থাকেন মহেশ। এক দিক দিয়ে ছুটছিলেন ক্লেটন। মহেশের নিখুঁত পাস থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন ক্লেটন। ৩৭ মিনিটে একটি গোল শোধ করে জামশেদপুর। বক্সের মধ্যে বিপক্ষের ফুটবলারকে ফেলে দেন লালচুংনুঙ্গা।

পেনাল্টি থেকে এক গোল শোধ করেন জে টমাস। বাঁ দিকে বল পেয়েছিলেন সেই মহেশ। একটু এগিয়ে তিনি বক্সের মধ্যে ক্লেটনকে উদ্দেশ্য করে পাস বাড়ান। বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ঘাড়ে নিয়ে গোল করেন ক্লেটন। এদিন ব্রাজিলীয় তারকা প্রমাণ করলেন ভারতবর্ষে বিদেশীদের মধ্যে তিনি অন্যতম ধারাবাহিক। পাশাপাশি জর্ডান, লিমা এবং ভারতীয় ফুটবলার হাওকিপ নজর কেড়েছেন।

বেঙ্গালুরু ম্যাচ এখন অতীত, ওড়িশাকে হারানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিল ইস্টবেঙ্গল

কলকাতা: বেশি উচ্ছ্বাস দেখাতে রাজি নন। মাটিতেই পা রাখতে চান ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেনকনস্ট্যানটাইন। বেঙ্গালুরু পর্ব অতীত। আরও কঠিন লড়াই সামনে। সেগুলোর জন্য তৈরি হতে চান ব্রিটিশ কোচ। ফোকাস ধরে রাখতে মরিয়া। সেই অ্যাওয়ে ম্যাচই গড়েছে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের ভাগ্য। ২০ অক্টোবর গুয়াহাটিতে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে হারিয়ে এবার আইএসএলে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় লাল-হলুদ ব্রিগেড।

তারপর শুক্রবার কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসি’কে হারিয়ে উজ্জীবিত ইস্টবেঙ্গল। সমর্থকদের প্রশ্ন, ঘরের মাঠে কাঙ্ক্ষিত জয় আসবে কবে? সেদিক থেকে দেখতে গেলে শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ওড়িশা এফসি’র বিরুদ্ধে সম্মান রক্ষার লড়াই লাল-হলুদের। শনিবার বেঙ্গালুরু থেকে শহরে ফিরেছেন ক্লেটন-কমলজিৎরা।

কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন বলছেন, বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। গত পাঁচ সপ্তাহ ইস্ট বেঙ্গলকে নিয়ে অনেক নেতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তবে দলের উপর তার প্রভাব পড়তে দিইনি। ভরসা রাখুন, ভবিষ্যতে আরও ভালে খেলবে দল। লিগে সম্মানজনক ফল করাই লক্ষ্য। ছেলেরা বিএফসি’র বিরুদ্ধে পরিকল্পনামাফিক খেলেছে। সুনীল ও রয় কৃষ্ণা সেইভাবে বলের নাগালই পায়নি।

দলের তরুণ স্টপার লালচুননুঙ্গার প্রশংসা স্টিফেনের মুখে। ইভান গঞ্জালেস, অঙ্কিত, মহেশের মত ভারতীয় ফুটবলাররা নিজেদের মেলে ধরছেন। তবে স্টিফেন মনে করেন ওড়িশাকে হালকা করে দেখার জায়গা নেই। স্বদেশী এবং বিদেশি মিলিয়ে দলটার কম্বিনেশন বেশ ভাল। শেষ কয়েকবার এই ম্যাচটা বড় স্কোর লাইনে শেষ হয়েছে। শুক্রবার যুবভারতীতে তিন নম্বর জয়ের লক্ষ্যে নামবে লাল হলুদ
ব্রিগেড।

‘দুচোখে বারুদ ভরা’ থাকলেও এদিন বাধ মানল না জল, বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জয়ে আবেগে ভাসলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা

#বেঙ্গালুরু: ‘জার্সি মানেই আমার মা, আর তো কিছুই জানি না। সবুজ ঘাসে লড়াই করে, ছিনিয়ে নেবো জয়।’ অবশেষে ডার্বি সহ টানা দুই হারের পর আইএসএলে দ্বিতীয় জয়ের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল। অরিজিৎ সিং-য়ের গাওয়া ‘একশো বছর’ গানটির মতই বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ১-০ গোলে এই জয় পেতে অনেক বাধা-বিপত্তি পেরোতে হয়েছে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের দলকে। অনেক লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে সমর্থকদেরও। জয়ের স্বাদ পেয়ে তাই আবেগ বাধ মানল না।

শনিবার আইএলের অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ জেতার পর গ্যালারিতে হাউ হাউ করে কাঁদছেন দুজন সমর্থক। তাদের চোখের জলই বলে দিচ্ছিল এই জয়টার মাহাত্ম্য বা গুরুত্ব। অরিজ‍িৎ সিংয়ের থিম সংয়ে ‘দুচোখে বারুদ ভরা’ থাকলেও এদিন কিন্তু আনন্দ অশ্রুতে তারা বুঝিয়ে দিলেন সত্যিই ক্লাব তাদের কাছে মায়ের সমান। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকেও এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে কান্তিরাভা স্টেডিয়াম জ্বলল লাল-হলুদ মশাল। ম্যাচের প্রথম থেকেই হাড্ডাহাড্ডি ফুটবল খেলছিল দুই দল। বেশ কয়েকটি গোলর সুযোগ তৈরি করলেও দো মিলছ না কাঙ্খিত গোলর। অবশেষে ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের জয়সূচক গোল করেন ক্লেটন সিলভা। এরপর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেও সুনীল ছেত্রীরা গোল শোধ করতে পারেনি। এই জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ২টি জয়ের সৌজন্যে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের ৮ নম্বরে উঠে লাল-হলুদ ব্রিগেড।

 

ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে গোল শোধ, আবার কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন মহমেডান

ইস্টবেঙ্গল – ১
( বিবেক সিং)

মহমেডান – ১
( রহমান)

#কলকাতা: দুদিন আগেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সম্মানের ডার্বি হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে সেটা ছিল আইএসএল। আর এটা কলকাতা লিগ। এটা কার্যত ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় সারির দল। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল মহমেডান। গত শুক্রবার খিদিরপুরের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জয়ের পরেই কার্যত খেতাব নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল মহমেডানের।

কারণ, তিন ম্যাচে নয় পয়েন্ট ছিল তাদের। এক ম্যাচ বেশি খেলে ছয় পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভবানীপুর।  ১৯৪০, ১৯৪১ সালের পর আবার টানা দু’বার কলকাতা লিগ জিতেছে মহমেডান। আপাতত সামান্য মিষ্টিমুখ করা হয়েছে। মঙ্গলবারের ম্যাচের পর লিগ জয়ের সেলিব্রেশন হবে। কিন্তু ৩৫ মিনিটের মাথায় কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।

সম্পূর্ণ ভারতীয় ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি লাল হলুদ ব্রিগেড জেসিন টিকের পাস থেকে বিবেক সিং এগিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গলকে। ওসুমানে, ভাজ বলটা বুঝতেই পারেনি। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইস্টবেঙ্গলের জেসিনকে। তার জায়গায় নামানো হল বিষ্ণুকে। দেখার ছিল দ্বিতীয়ার্ধে সম্মান রক্ষার ম্যাচে মহমেডান ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা।

ডিমেলোর পরিবর্তে মহমেডান কোচ নিয়ে এলেন অভিষেক হালদারকে। মার্কোস জোসেফ খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা এদিন মরিয়া ছিলেন। বিশেষ করে ডিফেন্সে কেরলের অতুল উন্নিকৃষ্ণান প্রশংসা করার মতো নেতৃত্ব দিলেন।

সঙ্গে নবি হোসেন, রকিপ লড়াই করলেন লাল হলুদ ডিফেন্সে। ইস্টবেঙ্গলের অনামি ফুটবলাররা সেদিন যেন প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছিলেন প্রতিটা বলের জন্য লড়াই করার। কেন লুইসের শট পোস্টে লেগে বেরিয়ে না এলে মহমেডান খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনতে পারত।

তবে প্রশংসা করতে হবে ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ বিনো জর্জের। আজ তুলনায় অনেক শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে যেভাবে ইস্টবেঙ্গলকে পরিচালনা করলেন তিনি সেটা ইস্টবেঙ্গল শিবিরকে অক্সিজেন দেবে খারাপ সময়। ঠিক মনে হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল যেখানে জয় তুলে নেবে সেখানে ৯০ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করে দিল মহমেডান।

ফাসলু রহমান গোল করে গেলেন। বলটা নামিয়ে দিয়েছিলেন ওসমানু।  সুযোগ পেয়েও ম্যাচটা জিততে পারল না ইস্টবেঙ্গল। পরপর দু’বছর চ্যাম্পিয়ন সাদা কালো।

কলকাতা ডার্বি হারলেও লিগে ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম পাঁচে রাখার শপথ সিলভা, ইভানদের

#কলকাতা: ভেঙে পড়েননি পুরোপুরি, কিন্তু প্রচণ্ড হতাশ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। সাম্প্রতিক কালে কলকাতা ডার্বির খেলা গুলো এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে এতটাই একতরফা হত, কিছু বলার থাকত না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এবারে ইস্টবেঙ্গল হেরে গেলেও তাদের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স কিন্তু দাগ কেটেছিল।

মহেশ, সার্থক, জর্ডান – সীমিত সমর্থ্য নিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণ তৈরি করেছিলেন। সমর্থকদের অনেক আশা রয়েছে তাঁকে নিয়ে। কনস্ট্যান্টাইন সেটা জানেনও। তাই সমর্থকদের ধৈর্য ধরতে বললেন তিনি। তাঁর কথায়, বার বার বলেছি, দল, ম্যানেজমেন্ট সব কিছুই নতুন। সময় লাগবেই। আস্তে আস্তে আমরা উন্নতি করছি। ম্যাচের পরে আমরা ৫-৬ জন এটিকে মোহনবাগান ফুটবলারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওরাই বলছিল, সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে ভাল ইস্টবেঙ্গল দলের বিরুদ্ধে ওরা খেলল। ওদের ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন – জঘন্য ক্যাচ মিস! দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারে হঠাৎ হিরো থেকে ভিলেন কোহলি

তাও বলব, আমাদের অনেক ত্রুটি রয়েছে যেগুলো দ্রুত মেরামত করতে হবে। আমরা এই হার থেকে শিক্ষা নেব। আপাতত আমাদের ফোকাসে শুধু চেন্নাইয়িন ম্যাচ। পাশাপাশি যোগ করলেন, এখনও তো অনেক বাকি। পাঁচটা ম্যাচ হয়ে গেলেই তো কেউ আর ট্রফি জিতে যায় না। আমাদের হাতে এখনও ১৬টা ম্যাচ রয়েছে। প্রতিটা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। ভবিষ্যতের জন্য অনেক পরিকল্পনা মাথায় রয়েছে আমার।

ফেব্রুয়ারির শেষে বলতে পারব আমাদের সম্ভাবনা কতটা। প্রথমার্ধে জর্ডান ও’ডোহার্টিকে দু’বার বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁর মধ্যে এক বার নিশ্চিত পেনাল্টি ছিল বলে বিশেষজ্ঞ থেকে ধারাভাষ্যকারদের দাবি। তাই নিয়ে লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচের মন্তব্য, আমি রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব একটা ভাবি না।

আমি সেটা নিয়ে কোনও অজুহাত দিতে চাই না। প্রথমার্ধে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা শাসন করেছি। দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎ সব কিছু বদলে গেল। আমার মতে, বুমোস সত্যিই ম্যাচের সেরা। দূর থেকে একটা শট নিয়েছিল। কী ভাবে গোল হয়ে গেল জানি না। তবে ওখান থেকে ফিরে আসা কঠিন ছিল।

বুমোস, কাউকো বা আশিক, প্রীতমের মতো ফুটবলার থাকলে যে কোনও দলের কাজ সহজ হয়ে যায়। তাছাড়া ওরা অনেক দিন ধরে খেলছে। স্টিফেন আশাবাদী এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচের নিজেদের পারফরম্যান্স উন্নত করবেন তার দলের ছেলেরা। জেনে বুঝেই দায়িত্ব নিয়েছেন।

তাই হেরে গেলেও অজুহাত দিতে রাজি নন ব্রিটিশ কোচ। কিরিয়াকু মেনে নিলেন শনিবার দ্বিতীয়ার্ধে তারা পেরে ওঠেনি সবুজ মেরুনের বিপক্ষে। কিন্তু আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম পাঁচে রাখার শপথ নিচ্ছেন সবাই।

শহরের সব রাস্তা মিলল ডার্বির যুবভারতীতে, কুড়ি মিনিট পিছিয়ে গেল বড় ম্যাচ

#কলকাতা: আগে থেকেই ইঙ্গিত ছিল শনিবার সন্ধ্যায় সল্টলেক যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মানুষের ঢল নামতে চলেছে। আইএসএলের প্রথম ডার্বি কলকাতায় হচ্ছে বলে কথা। এর আগে এই টুর্নামেন্টের সব ডার্বি হয়েছিল গোয়ার মাঠে। ফুটবলের মক্কায় তাই সমর্থকরা ভিড় জমাবেন সেটা জানাই ছিল। ম্যাচের আগে থেকে সেই চেনা মেজাজ শহরের রাস্তায়।

যদিও গত ২৮ অক্টোবর ডুরান্ড কাপের ডার্বি হয়েছিল কলকাতায়, কিন্তু তার থেকে আইএসএল অনেক গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। গুরুত্ব অনেক বেশি। খেলা শুরুর ঘন্টাখানেক আগে থেকেই যাদবপুর, বেহালা, উত্তর কলকাতা, হাওড়া, এমনকি মফস্বল থেকেও ম্যাটাডোর ভাড়া করে সমর্থকরা আসছিলেন মাঠে।

ফুটবলের মক্কার অত্যন্ত চেনা দৃশ্য এটা। বাড়তি পাওনা হিসেবে ছিল ভিআইপি গ্যালারিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপস্থিতি। এটিকে মোহনবাগানের ডিরেক্টর হিসেবে ফিরে আসছেন মহারাজ জানাই ছিল। এটাও জানা ছিল তিনি ভিআইপি গ্যালারিতে থাকবেন। দুদিন আগে মোহনবাগান অনুশীলন এগিয়ে ফুটবলারদের মোটিভেট করে এসেছিলেন।

দুই দলের সমর্থকরা দেখার মত কিছু টিফো নিয়ে মাঠে হাজির হয়েছিলেন। আগের ৬ টা ডার্বি হেরে গেলেও লাল হলুদ সমর্থকদের উৎসাহের কমতি ছিল না। আর এটিকে মোহনবাগানের সব টিকিট অনেক আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। এবারের ইস্টবেঙ্গল অনেক বেশি তৈরি এবং তারা ৩ পয়েন্টর জন্য খেলবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন কোচ স্টিফেন।

সেটাই ভরসা জুগিয়েছিল লাল হলুদ সমর্থকদের। মাঠের বাইরে সেই চেনা টিকা টিপ্পনি, মজার ছন্দ করা কবিতা এমনকি চেনা গালাগাল সব ছিল। প্রিয় দলের পতাকা, ব্যান্ড, তাশা, লাল হলুদ এবং সবুজ মেরুন জার্সি – শহরের রাজপথ সন্ধে নামার সঙ্গে সঙ্গেই যেন ডার্বি প্রেমীদের দখলে।

খেলা শুরু হওয়ার আধঘন্টা আগে যখন মাঠে দুদিকে ভাগ করে গা গরম করছেন ইস্ট মোহন ফুটবলাররা, তখন দুটি গ্যালারি থেকে আবার উঠল শব্দব্রহ্ম। ফুটবলের শহর কলকাতা যে কলকাতাতেই আছে সেটা আবার প্রমাণিত শনিবাসরীয় সন্ধ্যায়।

মোহনবাগানের নৌকা ডোবানোর ছক তৈরি, ডার্বির লক্ষ্যে এবার প্রস্তুত ইস্টবেঙ্গল

#কলকাতা: একটা জয় পাল্টে দিয়েছে গোটা পরিস্থিতিটা। দম বন্ধ করা পরিস্থিতি উধাও ইস্টবেঙ্গল থেকে। এটাই চাইছিল লাল হলুদ সমর্থকরা। ডার্বির আগে গুয়াহাটির মাঠে বড় জয় দলটার আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করেছে। প্রত্যক্ষ হিসেবে নর্থইস্ট খুব একটা ভাল না হলেও, বিপক্ষ শিবিরের ঘরের মাঠে গিয়ে জয় সবসময় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে থাকে একটা দলের।

মানসিক শক্তি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এটাই এখন ইস্টবেঙ্গল দলের হয়েছে। ছন্দে ফিরেছে দল। ডার্বির আগে যা যথেষ্ট স্বস্তি দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনকে। দলের ফোকাস যাতে নড়ে না যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক তিনি। তাই ইভান, ক্লেটনদের উপর জারি করেছেন ফতোয়া। বড় ম্যাচের আগে মুখ খোলা যাবে না মিডিয়ার সামনে।

আরও পড়ুন – উটের দুধ থেকে বাজ পাখির সঙ্গে সেলফি! কাতার বিশ্বকাপে আপনার জন্য অপেক্ষায় অদ্ভুত সব মুহূর্ত

অনুশাসনের পাশাপাশি স্টিফেন বাড়তি জোর দিয়েছেন অনুশীলনেও। এটিকে মোহনবাগান গত দু’দিন ছুটির মেজাজে ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ কোচ নিয়মিত প্র্যাকটিস করিয়েছেন সুহেরদের। সময় বের করে দক্ষিণ কলকাতার এক কালীপুজো মণ্ডপ পরিদর্শনেও যান কোচ কনস্টানটাইন। দীপাবলি উপলক্ষে ফুটবলারদের উপহার তুলে দেওয়া হয় ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে।

রক্ষণ মজবুত করার পাশাপাশি আক্রমণভাগের খামতি মেটানোর অনুশীলনে জোর দিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। সবুজ-মেরুন ডিফেন্স ভাঙতে উইং প্লে’কেই যে হাতিয়ার করতে চান তিনি, তা স্পষ্ট লাল-হলুদের অনুশীলনে। দুই প্রতিশ্রুতিবান অ্যাটাকার হিমাংশু জ্যাংড়া ও অনিকেত যাদব যোগ দেওয়ায় দলের আক্রমণভাগ শক্তিশালী হয়েছে।

মিডফিল্ডার অ্যালেক্স লিমা ও ফরোয়ার্ড এলেয়ান্দ্রো ফিট। এমন পরিস্থিতিতে ডার্বির প্রথম একাদশে চার বিদেশি ফুটবলার বাছতে কিছুটা সমস্যা হবে ব্রিটিশ কোচের। গত ম্যাচে তিন ডিফেন্ডার সার্থক গোলুই, লালচুননুঙ্গা ও জেরি ভরসা দিয়েছেন। নড়বড়ে দেখিয়েছিল একমাত্র বিদেশি স্টপার ইভান গঞ্জালেজকে।

উইনিং কম্বিনেশনে বড়সড় পরিবর্তনেও নারাজ স্টিফেন। অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার জর্ডান, সাইপ্রাসের কিরিয়াকু দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছেন। ব্রাজিলের ক্লিটন সিলভা যতক্ষণ মাঠে ছিলেন তার জাত চিনিয়ে দিয়েছেন। তাই এবার এটিকে মোহনবাগানকে সহজে ছেড়ে দেবে না ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে অল্পের জন্য হেরে গিয়েছিল তারা, তাও আত্মঘাতী গোলে। এবার চাকা ঘোরাতে মরিয়া লাল হলুদ ব্রিগেড।

মুখে নয়, এবার মোহনবাগানকে জবাবটা মাঠেই দিতে চায় ইস্টবেঙ্গল! প্রহর গুনছেন স্টিফেন

#গুয়াহাটি: ২৮ আগস্ট যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল এটিকে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল। ঠিক দুমাস পর অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর আবার মুখোমুখি হতে চলেছে দুই প্রধান। সেই যুবভারতীতে। দুমাস আগে এক গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল মোহনবাগান। তাও আত্মঘাতী গোলে। সেদিন লড়াই করেও হার বাঁচাতে পারেনি স্টিফেনের দল।

আরও পড়ুন – ডার্বির আগে আগুনে ইস্টবেঙ্গল, লাল হলুদ ঝড়ে উড়ে গেল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড

কিন্তু দুমাস পরের ইস্টবেঙ্গল যে অনেক কঠিন প্রতিপক্ষ হতে চলেছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল বৃহস্পতিবার রাতে। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে তাদের ঘরের মাঠে যেভাবে উড়িয়ে দিল স্টিফেনর ছেলেরা, তাতে আগামীদিনে এই দলটার মনের জোর অনেক বেড়ে যাবে সেটা বলার প্রয়োজন নেই।

ম্যাচ শেষে স্টিফেন জানিয়ে দিলেন, কলকাতা ডার্বি নিয়ে তিনি আজ রাতের পর থেকে চিন্তা করবেন। আপাতত এই জয়টা উপভোগ করতে চান। ৩ পয়েন্ট ঘরে এসেছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ব্রিটিশ কোচ মাটিতে পা রাখতে জানেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন। তাই জানিয়ে দিলেন এই জয় বিরাট কিছু করে ফেলেনি তার ছেলেরা।

খেলায় প্রচুর উন্নতির প্রয়োজন এখনও। তবে যেভাবে প্রত্যেকে লড়াই করেছে এবং ৯০ মিনিট দলটা দৌড়েছে তাতে তিনি খুশি। হাতে মোটামুটি একটি সপ্তাহ। তারপর মুখোমুখি হতে হবে এটিকে মোহনবাগানের। প্রথমবার কলকাতায় হবে আইএসএল ডার্বি। এর আগে আইএসএলের সব ডার্বি হয়েছে গোয়ায়। সব কটা জিতেছে সবুজ মেরুন।

এবার ঘরের মাঠে নিজেদের দর্শকদের সামনে খেলবে দুই দল। জনসমুদ্র গর্জে উঠবে যুবভারতীতে। স্টিফেন অবশ্য এই মুহূর্তে অতদূর ভাবতে চান না। ফুটবলারদের চাপহীন রাখার পরামর্শ দিলেন তিনি। এই ম্যাচের গুরুত্ব তিনি অনেক বিদেশি কোচের থেকে ভাল জানেন।

তাই নর্থ ইস্টকে উড়িয়ে দেওয়ার পর শুধু জানালেন, এবার কলকাতা ডার্বি একপেশে হবে না। মোহনবাগানকে চাপে ফেলতে প্রস্তুত থাকবে তার দল। তিনি জানেন সমর্থকদের প্রত্যাশা কতটা। আবার এটাও জানেন এটা এমন একটা ম্যাচ যেখানে ভবিষ্যৎবাণী চলে না।

আগামী শনিবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিরুদ্ধে তাই ড্রয়ের মানসিকতা নয়, জয়ের লক্ষ্যে নামবে ইস্টবেঙ্গল। সাহস, স্পর্ধা এবং জেদ থাকলে সব হিসেব বদলে দেওয়া সম্ভব প্রমাণ করতে জান লড়িয়ে দেবে কনস্টানটাইনের ইস্টবেঙ্গল।