Tag Archives: East Bengal

হারের হ্যাটট্রিক নয়, নর্থ ইস্টকে হারিয়ে প্রথম তিন পয়েন্টের লক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গল

#কলকাতা: কলকাতা ডার্বির আগে আইএসএলে শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। মানসিকভাবে এই ম্যাচের ফলাফল কলকাতা ডার্বিতে প্রভাব ফেলবে কিনা সেটা পরের বিষয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার ম্যাচটা জিততে মরিয়া লাল হলুদ। মরশুমের শুরুতেই দু’টি ম্যাচে হার। ইনভেস্টর বদলেও ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতার চালচিত্র সেই একইরকম।

আরও পড়ুন – বিশ্বকাপে ভারতের সম্ভাবনা কতটা? কপিলের উত্তর শুনলে পুরো চমকে যাবেন

কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের স্পর্শে ঘুরে দাঁড়াবে প্রিয় দল, এমন আশা অনেকেই করেছিলেন। কিন্তু আপাতত ফুটবলারদের পারফরম্যান্স সেই ফানুস চুপসে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও হাল ছাড়তে নারাজ লাল-হলুদ জনতা। দুঃসময়ে প্রিয় দলের পাশে দাঁড়ানোর কর্তব্যবোধই তাঁদের মূলধন। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে অ্যাওয়ে ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল।

বুধবার সকালে অনুশীলন করেই দুপুরে রওনা দেয় টিম। সাতসকালে ফুটবলারদের জন্য প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডের বাইরে অপেক্ষায় ছিল একঝাঁক খুদে সমর্থক। ক্লেটন সিলভা-অ্যালেক্স লিমারা বাস থেকে নামতেই তাদের দিকে ভেসে আসে একটাই আর্জি, নর্থইস্টের বিরুদ্ধে জিততেই হবে। গত সপ্তাহেই জন্মদিন পালন করা জর্ডন ও’ডোহার্তিকে জড়িয়ে ধরে খুদে অনুরাগীরা।

উষ্ণ ভালোবাসায় আপ্লুত ফুটবলাররাও। পাহাড়ি দলকে হারিয়ে শহরের ফেরার প্রতিশ্রুতিও শোনা গেল তাঁদের মুখে। ইস্টবেঙ্গল ও নর্থইস্ট, দুই দলই এখনও পয়েন্টের খাতা খুলতে ব্যর্থ। তবে গত দু’টি মরশুমের সাক্ষাৎকারের ফলের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে উত্তর-পূর্বের দলটি। চারবারের লড়াইয়ে তিনবার জিতেছে তারা। অপর ম্যাচটি ড্র।

লড়াইটা যে সহজ হবে না, তা ভালোভাবেই জানেন লাল-হলুদের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। প্রথম দু’টি ম্যাচেই শেষ মুহূর্তের গোলে বশ মেনেছে দল। এবার সেই রোগ সারাতে মরিয়া তিনি। এর জন্য ছেলেদের থেকে আরও বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল আশা করছেন স্টিফেন।

তিনি জানান, গত দু’ম্যাচে যদি দল সত্যিই খারাপ খেলত, তা হলে চিন্তিত হতাম। কিন্তু আমরা দুই ম্যাচেই কিছু সময় ভালো খেলেছি। আগামী ম্যাচে পুরো সময় এই ছন্দ ধরে রাখতে হবে। আমি সবসময় আক্রমণাত্মক ফুটবল পছন্দ করি। বিশেষত গোয়া ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা যে ফুটবলটা খেলেছে, সেটা খেলতে পারলে জয় আসবেই।

নর্থ ইস্ট বেঙ্গালুরু এবং হায়দারাবাদের কাছে হেরেছে। আজ ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করতে মরিয়া থাকবে হাইল্যান্ডার বাহিনী।

দাম পেল না দুর্দান্ত কামব্যাক, গোয়ার কাছে শেষ কয়েক সেকেন্ডে হারল ইস্টবেঙ্গল

#কলকাতা: আইএসএল এর উদ্বোধনী ম্যাচে কোচিতে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ১-৩ ব্যবধানে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার নিজেদের ঘরের মাঠ অর্থাৎ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লাল হলুদ ব্রিগেড জয়ের রাস্তায় ফিরতে পারে কিনা সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল গুছিয়ে ওঠার আগেই আবার গোল হজম করে ফেলল।

ম্যাচের বয়স তখন সবে মাত্র আট মিনিট। গোয়ার ভাসকুইজ বাঁদিক থেকে একটি বল বাড়ালেন ব্রেনডনকে। ভারতের জাতীয় দলের ফুটবলারটি অসাধারণ বল কন্ট্রোল করে ইভান গঞ্জালেসকে পরাস্ত করে বল ঠেলে দিলেন জালে। গোলরক্ষক কমলজিতের কিছু করার ছিল না।

এরপর গোয়ার রিদিম এবং ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি সহজ সুযোগ না হারালে প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারত গোয়া। দাপট ছিল তাদের। ইস্টবেঙ্গল সুযোগ পেলে কাউন্টার অ্যাটাক তৈরি করছিল। একমাত্র ব্রাজিলিয়ান ক্লেটন সিলভাকে ছাড়া বাকিদের কথা সেরকম বলার প্রয়োজন নেই।

কিছুটা চেষ্টা করছিলেন বাঙালি ফুটবলার তুহিন দাস। আর কিছুটা চেষ্টা করছিলেন সুহের। ক্লেটন দুবার পেনাল্টি আদায়ের মত পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের দুটি পরিবর্তন করে লাল হলুদ। সুমিতের জায়গায় সার্থক এবং তুহিনের জায়গায় মহেশ সিং আসেন। কিছুটা চাপ সৃষ্টির তৈরি করে স্তিফেনের ছেলেরা।

৬০ মিনিটের মাথায় সৌভিক চক্রবর্তীকে তুলে নিয়ে মুবাশ্বির রহমানকে নিয়ে আসে ইস্টবেঙ্গল। দু মিনিটের মধ্যে গোল শোধ লাল হলুদের। বাঁদিক থেকে দুর্দান্ত একটা দৌড়ে জেরি ডায়াগনাল বল বাড়ালেন গোয়ার বক্সে। সুহেরকে ফাউল করে বসলেন গোলরক্ষক ধীরজ। পেনাল্টি থেকে গোল করছে ভুল করেননি ক্লেটন। গোলরক্ষকের বাঁদিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিলেন ব্রাজিলিয়ান।

সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়ামে দর্শকদের বিস্ফোরণ ঘটল। ৭৪ মিনিটে লিমাকে তুলে নিয়ে কিরিয়াকু নামলেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। যখন মনে হচ্ছিল খেলাটা ড্র করে শেষ হবে, চার মিনিট অতিরিক্ত সময়ের শেষ ১০ সেকেন্ড বাকি থাকার সময় গোল হজম করে বসল ইস্টবেঙ্গল। এডু বেডিয়ার ফ্রিকিক জড়িয়ে গেল জালে। ফলে লিগ টেবিলে আপাতত সবার নিচেই রইল ইস্টবেঙ্গল।

রক্তবিন্দু দিয়ে ৩ পয়েন্ট অর্জনের লড়াই করবে ইস্টবেঙ্গল! গোয়ার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর ডাক স্টিফেনের

#কলকাতা: দিন তিনেক আগে আইএসএলর প্রথম ম্যাচ কেরলের মাটিতে খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেদিন ১-৩ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল লাল হলুদ। শেষ মুহূর্ত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল ডিফেন্স। কেরলের ঘরের মাঠের সমর্থকদের চিৎকার এবং ইউক্রেনের ইভানের জোড়া গলে আরব সাগরের তীরে নিভে গিয়েছিল মশাল।

কিন্তু এবার লড়াই কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। প্রতিপক্ষ এফসি গোয়া। বুধবার সন্ধ্যায় আরো একটা কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে ইস্টবেঙ্গলের জন্য বলাই যায়। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন জানিয়ে দিলেন প্রতিমুহূর্তে উন্নতি করার চেষ্টা করছে দল।

আরও পড়ুন – আজ শুরু অনূর্ধ ১৭ মহিলা বিশ্বকাপ, ঘরের মাঠে আমেরিকার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ভারত

কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম দিকে ধারাবাহিক ফুটবল খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। ছন্দ কেটে গিয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে। একই ভুল যাতে এই ম্যাচে না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। স্টিফেন আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা কলকাতার মাঠে প্রিয় দলের সমর্থনে হাজির থাকবেন। গলা ফাটাবেন।

মাঝের দুটো দিনে অঙ্কিত, জেরি, চুংনুঙ্গা, সুমিত পাসিদের নিয়ে তিনি ভিডিও সেশন করেছেন। ভুলত্রুটি দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আশা করছেন খেলার মাঠে এক ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। পাশে বসা স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেস জানিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গলে সই করার সময় থেকেই এই ক্লাবের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল।

নতুন বছরে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানো তাদের একমাত্র লক্ষ্য। কেরল ম্যাচ অতীত। এবার সামনে তার পুরনো দল গোয়া। ইভান মনে করেন নিজেদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারলে বুধবার ইস্টবেঙ্গলের জয় পাওয়া আটকাবে না। সৌভিক, আঙ্গু, অমরজিৎদের মত মিডফিল্ডারদের আরও বেশি বল ধরে রাখতে হবে মনে করেন ইভান।

গোয়ার শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল লাল হলুদ। গতবার ইস্টবেঙ্গল শেষ করেছিল ১০ নম্বরে। এফসি গোয়া শেষ করেছিল ৯ নম্বরে। এবার অবশ্য বেশ কিছু ভাল ফুটবলার দলে নিয়েছে তারা। গতবার কেরলে দুর্ধর্ষ খেলা ফরওয়ার্ড আলভারো ভাসকুয়েজ ছাড়াও স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ইকের দলের শক্তি বাড়িয়েছেন।

এছাড়াও এদু বেদিয়া এবং মার্ক ভ্যালেন্টাইনের মত বিদেশি আছে তাদের। ব্রেনডন ফার্নান্ডেজ, গ্রেন্ড মার্টিন, ছোটের মত ফুটবলার রয়েছে দলে। তবে ইস্টবেঙ্গল কোচ এবং ফুটবলাররা গোয়াকে সম্মান করলেও ভয় পেতে নারাজ। সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিতে এই ম্যাচটাকেই বেছে নিতে চায় তারা।

মনোযোগের অভাবেই হার ইস্টবেঙ্গলের! ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন কনস্ট্যানটাইন

#কোচি: কথা রাখতে পারেননি তিনি। লড়াই করার ইঙ্গিত রেখেও শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পারেনি তার দল। কেরালের মাঠে প্রথমার্ধ পাল্লা দিয়ে লড়াই করলেও, দ্বিতীয়ার্ধ একাধিক ভুল করেছে ইস্টবেঙ্গল। যে কারণে তাদের সেই হেরে শুরু করতে হয়েছে এবারের আইএসএল যাত্রা। তবে হেরে গেলেও দল নিয়ে হতাশ হওয়ার কারণ দেখছেন না স্টিফেন।

তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন দুটো গোল হজম করার পরেও তার ছেলেরা গুটিয়ে যায়নি। এই মানসিকতা শেষ পর্যন্ত রাখতে হবে টুর্নামেন্টে। এই লড়াই রাখতে পারলে তার ছেলেরা অনেক দূর যাবে মনে করেন ব্রিটিশ কোচ। স্টিফেন হারের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, আইএসএলের মান ডুরান্ড কাপের থেকে এগিয়ে। তাছাড়া কেরল ইস্টবেঙ্গলর তুলনায় বেশি দিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছে।

তবে হেরে যাওয়ার কারণ হিসেবে এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখাতে চান না। মাঠে কেরল অনেক ভাল ফুটবল খেলেছে মেনে নিয়েছেন স্টিফেন। তাছাড়া বিভিন্ন সময় তার ছেলেরা মাথা গরম করে খেলা থেকে হারিয়ে গেছেন। এই জিনিস আগামী দিনে বন্ধ করতে হবে। ব্রিটিশ কোচ মনে করেন মিডফিল্ড এবং ডিফেন্স এর মধ্যে বোঝাপড়া ডুবিয়েছে তার দলকে।

বিদেশীদের মধ্যে একমাত্র লিমা ছাড়া সেভাবে চোখে পড়েনি কাউকে। ডিফেন্সে অঙ্কিত, ইভান, কিরিয়াকুদের অসংখ্য ভুল। যত তাড়াতাড়ি স্টিফেন এই ভুল মেরামত করতে পারবেন ততই লাভ। গোয়া ম্যাচের আগে এটাই করতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। মাঝের কয়েকটা দিন অনুশীলন করে নিজেদের ভুল ভ্রান্তি শুধরে নিতে হবে লাল হলুদকে।

তবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ার জর্ডান যেদিন প্রথম থেকে খেলবেন সেদিন ইস্টবেঙ্গলের অবস্থা খারাপ হবে না। কারণ এই ফুটবলারটির মধ্যে খেলা তৈরির গুণ রয়েছে। স্টিফেন অবশ্য তাড়াহুড়ো করতে নারাজ।

এই হার শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করতে চান ভারতীয় ফুটবলের সফল কোচ। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন অনেক দূর লক্ষ্য রেখে এগোতে চান না। একটি করে ম্যাচ হিসাব করে প্ল্যানিং করতে চান। নিজের লক্ষ্যের প্রতি অবিচল লাল হলুদের ব্রিটিশ কোচ।

ঘর মে ঘুস কে মারেঙ্গে ! আজ আইএসএলে কেরলকে খোলা হুমকি ইস্টবেঙ্গলের

#কলকাতা: গত দু’বছর একরাশ হতাশা ছাড়া আর কিছুই জোটেনি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কপালে। লিগ টেবিলে সবার শেষে অভিযান শেষ করে তারা। তবে যাবতীয় ব্যর্থতা ঝেড়ে কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের হাত ধরে নতুন মরশুমে ভাল ফল করতে বদ্ধপরিকর ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে কোচির নেহরু স্টেডিয়ামে লাল-হলুদ ব্রিগেডের প্রতিপক্ষ গতবারের ফাইনালিস্ট কেরল ব্লাস্টার্স।

আরও পড়ুন – সঞ্জুকে অস্ট্রেলিয়ার বিমানে না রাখা ভুল হয়ে গেল! মনে হচ্ছে কাইফ, সেহওয়াগের

ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও ছেলেদের লড়াকু মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ কোচ। এবার আইএসএলের মঞ্চে সেই ছন্দ ধরে রাখাই লক্ষ্য কনস্টানটাইনের। বৃহস্পতিবার তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, সবার পিছনে থাকা কিংবা টানা ম্যাচ হারার জন্য আমরা খেলতে আসিনি। গত দু’বছর যা হয়েছে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল না।

 বর্তমান ইস্টবেঙ্গল দলে একাধিক ফুটবলারের আইএসএলের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষত বিদেশিদের মধ্যে ক্লেটন, ইভান ও লিমার মতো ফুটবলার থাকায় বাকিরাও উপকৃত হবেন বলেই মত স্টিফেনের। এবছর লিগ টেবিলে প্রথম ছ’য়ে থাকতে পারলেই সুযোগ থাকবে নক-আউটে পৌঁছনোর। যদিও স্টিফেন এই নিয়ে ভাবতে নারাজ।

তাঁর কথায়, পরবর্তী রাউন্ডের কথা ভেবে এখনই নিজেদের উপর প্রত্যাশার চাপ বাড়ানোর কোনও মানে হয় না। আমরা ম্যাচ প্রতি এগতে চাই। মনে রাখবেন, অনেক ঐতিহ্যশালী ক্লাবও ব্যর্থতার স্বাদ পেয়েছে।’ দু’বছর পর ফের আইএসএলে ফিরছে দর্শক। এই প্রসঙ্গে লাল-হলুদ কোচের সংযোজন, আমি বরাবর বলে এসেছি, সমর্থকরা আমাদের শক্তি। তাদের মুখে হাসি ফোটানোই একমাত্র লক্ষ্য।

ইস্টবেঙ্গল কোচ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলায় বিশ্বাসী নন। বিশ্বাস করেন কাউন্টার অ্যাটাকিং স্টাইলে। চাপ নিতে নিতে হঠাৎ পাল্টা আক্রমণ। অনুশীলনে এটাই রপ্ত করানোর চেষ্টা করেছেন ছেলেদের। এখন দেখার মাঠে এর প্রতিফলন তুলে ধরতে পারে কিনা লাল হলুদ।

ইস্টবেঙ্গল বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স
সন্ধ্যা -৭:৩০ ( স্টার স্পোর্টস)

ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ইস্টবেঙ্গল, প্রথম লক্ষ্য কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া

#কলকাতা: কলকাতা লিগের জন্য একেবারে শক্তিশালী দল গড়তে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। কোনও ভাবেই এই টুর্নামেন্টকে হাল্কা ভাবে নিতে রাজি নন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। এটিকে মোহনবাগান কলকাতা লিগে খেলা নিয়ে টালবাহানা করলেও, লাল-হলুদ কিন্তু ঢেলে দল সাজাতে ব্যস্ত।কলকাতা লিগের সুপার সিক্স পর্বে খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল।

আর তার জন্য লাল-হলুদ ব্রিগেড ভিনরাজ্য থেকে ছ’জন প্রতিভাবান ফুটবলারকে আনছে। ভিন রাজ্যের আইলিগে খেলা দলের প্লেয়াররাও রয়েছেন।কেরালা ইউনাইটেড থেকে সন্তোষ ট্রফি জয়ী কেরালা দলের নায়ক জেসিন টিকে কে নেওয়া হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।কেরালা ইউনাইটেড থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে তাঁকে ইতিমধ্যেই।

আরও পড়ুন – এক ওভারে ১৬ রান, গ্যালারিতে হাউ হাউ করে কাঁদলেন বৃদ্ধ! ছবি ভাইরাল

তাই লাল হলুদে যোগ দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এছাড়া এমএ কলেজের ডিফেন্ডার আদিল আমাল, বাস্কোর ফরোয়ার্ড বিষ্ণু টিএম, গোকুলাম কেরালার গোলকিপার মুহাম্মদ নিশাদ, কেরালা ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার আথুল উন্নিকৃষ্ণণ এবং ট্রাভাঙ্কোর রয়্যালসের ফরোয়ার্ড লিজো কুরুসাপ্পানকে নিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড।

মেডিক্যালের পর যদি তারা ফিট প্রমাণিত হন, তা হলেই কলকাতা লিগের জন্য ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দলে যুক্ত হবেন এই ছয় ফুটবলার। এদিনের অনুশীলনে অনুপস্থিত ছিলেন ব্রাজিলিয়ান এলিয়ান্দ্র।এলিয়ান্দ্রকে নিয়ে কর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব।

সেখানে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে অনেকে দাবি করেছেন। অনুশীলনে চোট সরিয়ে উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ রফিক। রাজারহাটে অনুশীলনে এসেছিল ইস্টবেঙ্গল দল। কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন দলকে বিভিন্ন রকম লং বল এবং সেট পিস অনুশীলন করালেন।

তারপর দুই দলে ভাগ করিয়ে আক্রমণের প্রশিক্ষণ দিলেন। অন্যদিকে মোহনবাগান এখনও খেলার ব্যাপারে কিছুই জানায়নি। তারা জানিয়েছেন, আইএসএল-এর আয়োজক এফএসডিএল-এর সঙ্গে কথা বলেই কলকাতা লিগে খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন সবুজ-মেরুন কর্তারা।

প্রস্তুতি ম্যাচে জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে জয় ইস্টবেঙ্গলের, নজর কাড়লেন ডহার্থি

ইমামি ইস্টবেঙ্গল -৩
( সুহের, মহেশ, এলিয়ান্দ্র )

জর্জ টেলিগ্রাফ – ০

#কলকাতা: ডুরান্ড কাপ অতীত। কলকাতা লিগ খেলবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। সুপার সিক্স পর্ব থেকে খেলবে তারা। প্রস্তুতি তুঙ্গে এই মুহূর্তে। কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে কোনও দল ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে ভয় পাবে। চ্যাম্পিয়ন হবেন কিনা আইএসএলে পরের ব্যাপার। কিন্তু লড়াকু ফুটবল উপহার দেবে লাল হলুদ।

আজ রবিবার একটি প্রস্তুতি ম্যাচ রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। এআইএফএফ সেন্টার অফ এক্সিলেন্স মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল জর্জ টেলিগ্রাফ। যদিও প্রতিপক্ষ দল একেবারেই শক্তিহীন, তবুও ফুটবলারদের দেখে নিতে এমন ম্যাচের দরকার আছে মনে করেন কোচ। গোল করেছেন মহেশ সিং, সুহের এবং এলিয়ান্দ্র।

তবে বিপক্ষ দলে তেমন স্ট্রাইকার না থাকায় পরীক্ষা হয়নি লাল হলুদ ডিফেন্সের। সেক্ষেত্রে ব্রাজিলিয়ান এলিয়ান্দ্র গোল করলেও তাকে ফিটনেস নিয়ে এখনও প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে সেটা বোঝা গেল। দ্বিতীয়ার্ধে নামানো হল ক্লেটন সিলভা এবং স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেসকে।

ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে চোখে পড়লেন নবি হোসেন খান। তবে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিলেন জর্ডান ডহার্থি। লাল হলুদের অস্ট্রেলিয়ান মিডফিল্ডার প্রচুর পাস বাড়ালেন ফরোয়ার্ডদের জন্য। জায়গা অদল বদল করে খেললেন। কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলকে খেলতে হবে মহমেডান স্পোর্টিং দলের বিপক্ষে।

সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে যারা যথেষ্ট ভাল ফুটবল উপহার দিয়েছে। ডুরান্ড কাপে সেমিফাইনালে মুম্বই সিটি এফসির কাছে হেরে গেলেও সাদা কালো শিবিরের খেলা নজর টেনেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জ ইস্টবেঙ্গলের। স্টিফেন মনে করছেন দলের কম্বিনেশন তৈরি হতে কলকাতা লিগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আইএসএলর আগে দলকে মোটামুটি একটা ভাল জায়গায় নিয়ে আসতে পারবেন তিনি।

করোনামুক্ত কোচ স্টিফেন, এবার কলকাতা লিগ এবং আইএসএল টার্গেট ইস্টবেঙ্গলের

#কলকাতা: ভারতীয় ফুটবল নিজের হাতের তালুর মত চেনেন তিনি। অতীতে দুই পর্বে ভারতের জাতীয় দলের কোচিং করিয়েছেন। এবার ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিয়ে ব্যর্থ হতে চান না স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং লড়াকু মনোভাব নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন শুরু থেকে। দায়িত্ব নিয়েই জানিয়ে দিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন হবেন কথা দিচ্ছেন না, কিন্তু ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে চ্যাম্পিয়ন দলের ঘাম ছুটে যাবে কথা দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন – টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা ভারতের, এক নজরে দেখে নিন কারা জায়গা পেলেন

করোনামুক্ত হয়ে অনুশীলনে যোগ দিলেন ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। ২ ঘণ্টার অনুশীলনে ফুটবলারদের নিংড়ে নিলেন লাল-হলুদ কোচ স্টিফেন। বৃষ্টির মধ্যেও চলল অনুশীলন।‌ ফুটবলারদের ফিটনেসে বিশেষ জোর দিলেন স্টিফেন। চোট সারিয়ে দলের সঙ্গে অনুশীলন অঙ্কিত, সুহেরের।

ফিট হতে এলিয়ান্দ্রোকে কড়া দাওয়াই। সামনেই কলকাতা লিগ এবং ইন্ডিয়ান সুপার লিগ রয়েছে। তাই দলের সকল প্লেয়ারদের কড়া অনুশীলনের মধ্যে রাখতে চাইছেন কোচ স্টিফেন। অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার জর্ডান প্রত্যেকদিন নিজেকে উন্নত করে চলেছেন। ডুরান্ড কাপের ডার্বির সময় তিনি ছিলেন না। কিন্তু এবার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি।

স্টিফেন জানিয়ে দিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতীয় এবং বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি করা তার আসল কর্তব্য। সঠিকভাবে প্রি সিজন ভীষণ জরুরি। আইএসএলে সব প্রতিপক্ষ কঠিন। তাই ইস্টবেঙ্গলকে ভাল কিছু করতে হলে এবং গত দুবছরের খারাপ ফলাফল বদলাতে হলে নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দিতে হবে।

অনুশীলনে সেটপিস মুভমেন্ট নিয়েও বাড়তি পরিশ্রম করতে দেখা গিয়েছে লাল হলুদ দলকে। ডিফেন্স শক্ত রেখেই কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলার লক্ষ্য স্টিফেনের। তাই বিদেশি ডিফেন্ডার কিরিয়াকু এবং ইভান গঞ্জালেসের ওপর অনেকটা নির্ভর করছে ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য।

পাশাপাশি অংগু, অমরজিৎ, অঙ্কিত, তুহিনদের মত ভারতীয় ফুটবলারদের তৈরি করার পেছনেও বাড়তি সময় দিচ্ছেন স্টিফেন। কলকাতা লিগে সুপার সিক্স থেকে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। এটিকে মোহনবাগান খেলবে কিনা নিশ্চয়তা নেই। তাই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েই আইএসএল যাত্রা শুরু করতে চায় লাল হলুদ।

হৃদয় জিতল ইস্টবেঙ্গল, মুম্বইকে নাটকীয় ম্যাচে হারিয়ে ডুরান্ড অভিযান শেষ লাল হলুদের

ইমামি ইস্টবেঙ্গল -৪
মুম্বই সিটি এফসি -৩

#কলকাতা: সব ভাল যার শেষ ভাল তার। কথাটা হয়তো সত্যি ইস্টবেঙ্গল দলের ক্ষেত্রে। শনিবার নাটকীয় ম্যাচ হল ডুরান্ড কাপে। ডুরান্ড কাপের শেষ ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি-কে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে দিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। মরসুমে এটাই তাদের প্রথম জয়। প্রথম গোলও এল এই ম্যাচেই। জোড়া গোল সুমিত পাসি এবং ক্লেটন সিলভার।

এই মরসুমের প্রথম বার স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের ছেলেদের খেলা মন জয় করে নিল। প্রথমার্ধেই ছ’গোল হয়ে যায়। ইমামি ইস্টবেঙ্গল এবং মুম্বই সিটি, দু’দলই তিনটি করে গোল দেয়। প্রথম থেকে দু’দলই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। আগের ম্যাচে আত্মঘাতী গোল করলেও শনিবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও প্রথম একাদশে সুমিত পাসিকে রেখেছিলেন ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। সেই সুমিতই এ মরসুমে লাল-হলুদের প্রথম গোলটি করলেন।

বাঁ দিক থেকে আলেক্স লিমার পাস উড়ে এসেছিল। বক্সের মধ্যে সেই বলে হেডে গোল করেন সুমিত। ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির দিকে তাকিয়ে এর পরেই হাত জোড় করে ক্ষমা চাইতে দেখা গেল তাঁকে। হয়তো এটিকে মোহনবাগান ম্যাচে আত্মঘাতী গোল করার জন্যই। পাঁচ মিনিট পরেই আবার এগিয়ে যায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল।

বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি-কিক পায় লাল-হলুদ। ডান পায়ের শটে বিপক্ষ গোলকিপার মহম্মদ নওয়াজকে পরাস্ত করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্লেটন। কিছু ক্ষণ পরেই এক গোল শোধ করে মুম্বই। বাঁ দিক থেকে বিপিন সিংহ বল ভাসিয়েছিলেন লাল-হলুদ বক্সে। জর্জে দিয়াস বুক দিয়ে বল নামিয়ে দেন। চলতি বলে দুরন্ত শটে গোল গ্রেগ স্টুয়ার্টের।

৩৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। ডান দিক থেকে বক্সে বল ভাসিয়েছিলেন সুমিত। নওয়াজ বল বাঁচাতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেন। পরের মিনিটেই গোল হজম করে লাল-হলুদ। রক্ষণের ভুলে গোল করেন মুম্বইয়ের লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে। বিরতির কিছু ক্ষণ আগে সমতা ফেরান তিনি।

আগের ম্যাচগুলিতে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের ফুটবলাররা খারাপ খেলেননি। শনিবার ঝড়ের বেগে মুম্বইয়ের প্রতি আক্রমণের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি কিরিয়াকুরা। রক্ষণের খেলোয়াড়দের মধ্যে যোগাযোগের অভাবও ধরা পড়ে একাধিক বার।

দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই গোলের জন্য ঝাঁপায়। তবে এ বার নিজেদের দুর্গ অটুট রাখে লাল-হলুদ। প্রতি আক্রমণে জয়সূচক গোল তুলে নেয় তারা। বাঁ দিক থেকে বল বাড়িয়েছিলেন অমরজিৎ সিংহ কিয়াম। সেই পাস থেকে চলতি বলেই গোল করেন ক্লেটন। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের প্রিয় দলের প্রতি আত্মবিশ্বাস এবং আস্থা কিছুটা বেড়ে গেল।

পরের ডার্বিতে আসল ইস্টবেঙ্গলকে দেখতে পাবেন, মোহনবাগানকে হুঁশিয়ারি স্টিফেনের

#কলকাতা: ডার্বির হার অতীত। ডুরান্ড কাপে লাল-হলুদের কোনও আশা নেই। শনিবার মুম্বই সিটি এফসি’র বিরুদ্ধে কাঙ্ক্ষিত জয়ের অপেক্ষায় কমলজিৎরা। প্রাচীন টুর্নামেন্টে সম্মানজনক সমাপ্তি করতে প্রত্যয়ী ইস্টবেঙ্গল। প্রায় তিনদিন পর নিজেদের মাঠে অনুশীলন করলেন লিমারা। মাঠের একটা অর্ধে সিচুয়েশন প্র্যাকটিস করান স্টিফেন। বাঙালি ডিফেন্ডার সার্থক গোলুই অনেকটাই ফিট হয়ে গিয়েছেন। তাঁকে এদিন পরখ করে নেন বিদেশি কোচ।

আরও পড়ুন – প্রেম থেকে উদ্যাম যৌনতা! শাকিরার সঙ্গে নাদালের সম্পর্কে তোলপাড় দুনিয়া

কনস্টানটাইনকে চিন্তায় রেখেছে গোলমুখে ব্যর্থতা। মাঠে জড় হওয়া সমর্থকদের অভিযোগের তির ফরোয়ার্ড এলেয়ান্দ্রো ও সুমিত পাসির দিকে। উল্লেখ্য, আক্রমণ জোরদার করতে এদিন ইস্টবেঙ্গল সই করিয়েছে ২৯ বছর বয়সি মণিপুরি স্ট্রাইকার থংখোসিয়েম (সেমবই) হাওকিপকে। গতবার আইএসএলে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে তাঁর নামের পাশে রয়েছে দু’গোল। একদা বেঙ্গালুরু এফসি’র হয়ে জিতেছেন আইএসএল। তাঁর মোট গোল সংখ্যা ৮।

ডার্বিতে হারলেও সমর্থকদের মুখে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেজের প্রশংসা শোনা গেল। কর্তারা ডার্বির ফলে খুশি। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, এই দলে অধিনায়ক শৌভিক চক্রবর্তী ছাড়া কারও ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা নেই। কমদিনের প্রস্তুতিতে দলের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক।

কোচও উদারমনা। তাঁর ইতিবাচক দিক, ফুটবলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সবার থেকে সাজেশন চাইছেন। ক্লাবের বাইরে একটা সাজেশন বক্স বসানো হয়েছে। ষষ্ঠ বিদেশি হিসেবে স্প্যানিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান মিডফিল্ডার জর্ডন লুইস ও’দোহার্তি শীঘ্রই কলকাতায় আসছেন।

স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন মনে করেন এরপর মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পরের ডার্বি যখন হবে, তখন ইস্টবেঙ্গলকে খেলা সহজ হবে না। ততদিনে স্বদেশী এবং বিদেশি মিলিয়ে দলটাকে তৈরি করে নেবেন তিনি।