Tag Archives: East Bengal

৭১ তম জন্মবার্ষিকীতে শিল্পী ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তকে স্মরণ করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব

#কলকাতা: আজ জন্মদিন কলকাতা তথা ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম শিল্পী ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তর। শিল্পী ফুটবলারের ৭১ তম জন্মদিনে তাকে স্মরণ করল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারি কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিখ্যাত ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

আরও পড়ুন – Bangladesh cricket team : ভারত – পাকিস্তানকেও ভয় পাই না ! এশিয়া কাপে নামার আগে হুঙ্কার বাংলাদেশ টাইগারদের

দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গার সুরজিৎ সেনগুপ্ত দুই প্রধান ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানে খেলেছেন। খেলেছেন মহামেডানেও। ১৯৭৮–৭৯ সালে তিনি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ সালে এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল অতুলনীয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৩ সালে তাঁকে ‘‌বাংলার গৌরব’‌ সম্মানে ভূষিত করে।

চুঁচুড়ায় জন্ম সুরজিতের। হুগলি জেলার ব্যান্ডেলে ফুটবল থেকে উঠে আসা তার। অশ্বিনী বরাট ছিলেন তার কোচ। তিনিই কলকাতায় পাঠিয়েছিলেন সুরজিৎকে। কলকাতা লিগের লোয়ার ডিভিশন ক্লাব রবার্ট হাডসন প্রথম সই করেন। ১৯৭০ সালে সেখান থেকে খিদিরপুরে যান এই উইঙ্গার। ওই বছর খিদিরপুর ছেড়ে ইস্টবেঙ্গলে চলে যান স্বপন সেনগুপ্ত। তার বদলে সুরজিৎকে নেওয়া হয়।

কোচ অচ্যুত্‍ ব্যানার্জির কোচিংই তাকে পাল্টে দিয়েছিল। ১৯৭১ পর্যন্ত খিদিরপুরেই খেলেন। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে মোহনবাগানে নাম লেখান। দুটো মৌসুম খেলেছিলেন সবুজ-মেরুন জার্সিতে। সেখান থেকে ১৯৭৪ সালে পা দেন ইস্টবেঙ্গলে। আর পেছন ফিরে দেখতে হয়নি। ইস্টবেঙ্গল থেকেই সাফল্যের শিখরে উঠে পড়েন।

বাংলার হয়ে একাধিক সন্তোষ ট্রফি জয় এর পেছনেও তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ১৯৮০ সাল সুরজিৎ সেনগুপ্তের ক্যারিয়ারে তো বটেই, কলকাতার ফুটবলেও এক যুগান্তকারী সময়। সুরজিতের নেতৃত্বে একঝাঁক ফুটবলার ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ছেড়ে কলকাতা মহমেডানে সই করেন।

শুধু বিপ্লব করাই নয়, সুরজিৎরা ওই বছর মহমেডানকে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়নও করেছিলেন। ফুটবল যেমন নেশা ছিল, পড়াশোনাতেও তেমনই ভাল ছিলেন সুরজিৎ। ফিজিক্স অনার্স নিয়ে লেখাপড়া তার। শুধু তা-ই নয়, গানবাজনার প্রতিও একই রকম ঝোঁক ছিল। ছেলেবেলায় একবার বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে তবলা বাজিয়েছিলেন। বন্ধুমহলে গানের জন্য বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।

ডার্বি হেরে গেলেও ইস্টবেঙ্গলের বড় প্রাপ্তি ডিফেন্ডার ইভান এবং কিরিয়াকুর লড়াই, বলছেন কোচ

#কলকাতা: ম্যাচের রেজাল্ট বলছে আবার একটা ডার্বি হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। এই নিয়ে পরপর ছটা বড় ম্যাচ হার লাল হলুদ ব্রিগেডের। সমর্থকদের কাছে যে পরিসংখ্যান মোটেও মনে রাখার মত নয়। কিন্তু কথা হচ্ছে রবিবাসরীয় ডার্বিতে যুবভারতীর সবুজ মাঠে সবকিছুই কী খারাপ ছিল ইস্টবেঙ্গলের?

আরও পড়ুন – বিরাটের ৩৫ রান কিন্তু ভুলে যাবেন না! কোহলির ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেখছেন সৌরভ

মোটেও না। আত্মঘাতী গোলে জিতেছে মোহনবাগান। কিন্তু সেটা ফুটবলের অংশ, হতেই পারে। তার জন্য সুমিত পাসিকে দোষ দিতে রাজি নন কোচ এমনকি সমর্থকরাও। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের দুজন বিদেশি ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেস এবং কিরীয়াকু যথেষ্ট নজর কেড়েছেন ম্যাচে। স্প্যানিশ ইভান এবং সাইপ্রাসের কীরিয়াকু না থাকলে মোহনবাগানের জয়ের ব্যবধান আরও বেশি হতে পারত।

হয়নি এই দুজন ডিফেন্ডারের অনমনীয় লড়াই এবং বুদ্ধির কারণে। সমর্থকদের মন কেড়ে নিয়েছেন দুজনেই। কীরিয়াকু গোল লাইন সেভ করেন। ইভান লিস্টন, কিয়ানদের পা থেকে বেশ কয়েকবার বল কেড়ে নেন। এই দুজনকে নিয়ে খুশি ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন।

দুজনেই যে লম্বা রেসের ঘোড়া সেটা বোঝা গেছে। ইভান অবশ্য নতুন নন ভারতীয় ফুটবলে। এফ সি গোয়ার হয়ে তিনি আইএসএলে খেলেছেন। কিন্তু কীরিয়াকু যে আগামী দিনে ইস্টবেঙ্গলকে সার্ভিস দেবেন সেটা পরিষ্কার। এদিকে, ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই প্রতিপক্ষ ডাগ-আউটের দিকে এগলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন।

অভিনন্দন জানালেন হুয়ান ফেরান্দোকে।  গোলরক্ষক কমলজিতের কাঁধে হাত রেখেই মাঠ ছাড়লেন স্টিফেন। ইস্টবেঙ্গল কোচ হিসেবে প্রথম ডার্বিতে হার। অবশ্যই অতৃপ্তির। তবে ছেলেদের লড়াইয়ে গর্বিত স্টিফেন। একই সঙ্গে মরশুমের শুরুতেই এক সপ্তাহে তিনটে ম্যাচ খেলা নিয়ে উগরে দিলেন ক্ষোভ।

জানালেন, এদিন সিলি মিসটেকের জন্যই হারলাম। এটাই ফুটবল! তবে ছেলেরা ক্রমশ উন্নতি করছে। ছ’দিনে তিনটে ম্যাচ। এটা পাগলামি ছাড়া অন্য কিছু নয়। মোহনবাগানকে অভিনন্দন। স্টিফেন জানাতে বললেন না ডুরান্ড কাপ কার কাছে আইএসএলের আগে অ্যাসিড টেস্ট। ছেলেদের তৈরি করে নেওয়াই তার একমাত্র লক্ষ্য।

Durand cup : কলকাতা ডার্বিতে টানা হাফ ডজন হার ইস্টবেঙ্গলের, ডুরান্ড নকআউটের পথে মোহনবাগান

ইমামি ইস্টবেঙ্গল -০

এটিকে মোহনবাগান -১
( সুমিত – আত্মঘাতী)

#কলকাতা: রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় কলকাতা ডার্বিতে বলা হচ্ছিল এটিকে মোহনবাগান নাকি প্রথম থেকেই আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেবে। কিন্তু প্রথম একাদশ তৈরির ক্ষেত্রে চমক দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। শুরু থেকেই চারজন বিদেশি নামিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা ছিল তার লক্ষ্য। যদিও এটিকে মোহনবাগানের চাপ ছিল বেশি তবুও ইস্টবেঙ্গল বুদ্ধি করে ফুটবল খেলছিল।

ডিফেন্স শক্ত রেখে প্রতি আক্রমণ গোল করার চেষ্টা ছিল লাল হলুদের। ইভান গঞ্জালেস এবং কিরিয়াকু দারুন লড়াই করলেন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে কাঙ্খিত গোল তুলে নিল এটিকে মোহনবাগান। লিস্টনের কর্নার থেকে আত্মঘাতী গোল করলেন সুমিত পাসি। বিরতির পরে ব্রাজিলীয় ক্লেটনকে নামিয়ে দেন স্টিফেন। অবশ্য তাতে বিশেষ কিছু ফারাক হয়নি।

এটিকে মোহনবাগানের বল ধরে খেলার জবাব ছিল না ইস্টবেঙ্গলের কাছে। একের পর পাস, থার্ড ম্যান মুভমেন্ট, দেখে মনে হচ্ছিল ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়া সময়ের অপেক্ষা সবুজ মেরুনের। বাঁদিক থেকে আশিকের দৌড় চাপে ফেলে দিচ্ছিল লাল হলুদ ডিফেন্সকে। ৬০ মিনিটে বুমুকে তুলে নিয়ে হুয়ান নিয়ে এলেন মানবীরকে। লিস্টনের জায়গায় নামলেন কিয়ান।

ইস্টবেঙ্গল মাঠের মাঝখানে বলের দখল রাখতে পারছিল না। আশিক সহজ সুযোগ না হারালে এবং জনি মিস না করলে ইস্টবেঙ্গলের কপালে আরো দুঃখ থাকতে পারত। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন এটিকে মোহনবাগানের কার্ল ম্যাক হিউ। আইরিশ মিডিও অসাধারণ ফুটবল খেললেন। আক্রমণ এবং ডিফেন্স এর মাঝখানে ব্যালেন্স তৈরি করলেন। বল সন্যাচ করলেন একের পর এক।

ইস্টবেঙ্গল সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও লড়াকু ফুটবল খেললেন। মুম্বই, রাজস্থান এবং এটিকে মোহনবাগান তিনটে দল ৪ পয়েন্ট পেল। তবে মোহনবাগানের তুলনায় তারা একটি ম্যাচ কম খেলেছে। মোহনবাগানের শেষ ম্যাচ নেভির বিপক্ষে। বুধবার ওই ম্যাচে জিততে পারলে নকআউটে চলে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে সবুজ মেরুন দলের।

অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল আজকের হারের পর মোটামুটি ছিটকে গেল টুর্নামেন্ট থেকে। তবে কিছুটা হলেও তাদের অল্প সুযোগ এখনো রয়েছে। অন্তত খাতায় কলমে। ম্যাচের সেরা কার্ল জানিয়ে দিলেন নির্দিষ্ট প্ল্যান অনুযায়ী খেলে ডার্বি জিততে পেরেছেন তারা। এখন লক্ষ্য নক আউট নিশ্চিত করা। ম্যাচের শেষ মোহনবাগান সমর্থকদের সঙ্গে ভাইকিং ক্ল্যাপ দিলেন ফুটবলারা।

Kolkata Derby : ডার্বির টিকিট নিয়ে হাহাকার কলকাতায়! চলল পথ অবরোধ থেকে পুলিশের লাঠিচার্জ

#কলকাতা: প্রায় আড়াই বছর পর কলকাতা ডার্বি ফিরেছে নিজের শহরে। এতদিন ইস্টবেঙ্গল অথবা মোহনবাগান সমর্থকদের টিভির পর্দায় এই ম্যাচ দেখে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। গোয়ায় মান্ডবী নদীর তীরে শেষ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছে দুই প্রধানের। আইএসএলের মাঠে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাজিমাত করে গিয়েছে সবুজ মেরুন।

কিন্তু সেটা যেমন মাঠে বসে দেখার অভিজ্ঞতা হয়নি সবুজ মেরুন সমর্থকদের, তেমনই লাল হলুদ সমর্থকদেরও প্রিয় দলকে ডার্বি খেলতে দেখার ভাগ্য আবার ফিরতে চলেছে রবিবার। শুধু কলকাতা নয়, শিলিগুড়ি, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম থেকেও এসেছেন সমর্থকরা।

আরও পড়ুন – Baichung Bhutia : কোন পথে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে ভারত? সভাপতি হলে নাকি দেখিয়ে দেবেন বাইচু!

একটা টিকিট চাই, কাতর আবেদন প্রত্যেকের। এটাই প্রমাণ করে কেন ভারতীয় ফুটবলের মক্কা এই কলকাতা। বাঙালি ফুটবল প্রেম যে মরে যায়নি এই ম্যাচ যেন তার প্রমাণ। তবে বড় ম্যাচ আয়োজন করা নিয়ে ডুরান্ড কমিটির অভিজ্ঞতা একেবারে শূন্য। না হলে টিকিট বন্টনের ক্ষেত্রে চরম অপেশাদারিত্ব চোখে পড়ল।

ইস্টবেঙ্গল মাঠের সামনে জনতার হুড়োহুড়ি সামলাতে পুলিশকে গায়ের জোর খাটাতে হয়েছে। দুপুর যত গড়িয়েছে মোহনবাগান মাঠের সামনে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। টিকিট না পেয়ে ধৈর্য হারিয়ে সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করেছেন। কেউ এক পা টিকিট ছাড়া ফিরে যেতে রাজি নন।

সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন রবিবার মোট ৬০,০০০ দর্শক মাঠে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু মানুষের উত্তেজনা এবং আবেগ দেখে বোঝা যাচ্ছে এক লাখ টিকিট ছাপা হলেও প্রত্যেকটা বিক্রি হয়ে যেত। কিন্তু রাজ্য সরকার এই মুহূর্তে এতটা ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব।

জানা গিয়েছে ডার্বির দিন অতিরিক্ত বাস রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে টিকিট নিয়ে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে যতই উৎসাহ থাকুক, এই মুহূর্তে ডুরান্ড কাপে নকআউটে যাওয়া নিয়ে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুটো দলই অনিশ্চিত। ইস্টবেঙ্গল দুটো ড্র করেছে, মোহনবাগান একটি হেরেছে এবং একটি ড্র।

ডার্বিতে যে দল হারবে এবারের মতো ডুরান্ড কাপে তাদের যাত্রা শেষ বলে দেওয়া যায়। ফলে সম্মানের লড়াইয়ে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে দেবে না। তাই রবিবার বাঙালির বড় ম্যাচ জমে গেল বলে দেওয়া যায়।

East Bengal : দাপট নিয়ে খেলেও রাজস্থানের বিরুদ্ধে ড্র ইস্টবেঙ্গলের, হতাশ নন কোচ স্টিফেন

#কলকাতা: প্রথম ম্যাচে ভারতীয় নৌসেনার বিরুদ্ধে গোল শূন্য ড্র করার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ইমামি ইস্টবেঙ্গল যে জয়ের জন্য মাঠে নামবে, সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। ম্যাচের প্রথম থেকেই দুরন্ত গতিতে খেলা শুরু হল। এদিন প্রথম দলে লিমা এবং কিরিয়াকু – দুই বিদেশি ফুটবলারকে দিয়ে শুরু করেছিলেন ব্রিটিশ কোচ।

ডান দিক থেকে অনিকের যাদব ঝড়ের গতিতে আক্রমণ তৈরি করছিলেন। আর ফ্রি ফুটবলার হিসেবে আপফ্রন্ট সুহের প্রচুর ওয়ার্ক লোড নিচ্ছিলেন। তুহিন দাস এবং অমরজিৎ মাঝমাঠে লড়াই করছিলেন জবরদস্ত। ১৫ মিনিটের মাথায় প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন সুহের। কিন্তু ডিফেন্ডার মেল রয় পড়ে গিয়েও বল বের করে দেন।

২৫ মিনিটের মাথায় অমরজিতের শট ক্রসপিসে লেগে প্রতিহত হয়। ৩০ মিনিট একাধিপত্য ছিল ইস্টবেঙ্গলের। এরপর কিছুটা আক্রমণ করার চেষ্টা করে রাজস্থান। কিন্তু গোলের নাগাল পায়নি। দ্বিতীয়আর্ধে ব্রাজিলিয়ান এলিয়ান্দ্র, স্প্যানিশ ইভান গঞ্জালেসকে নামিয়ে দেন স্টিফেন। কিন্তু তাতেও গোলের দেখা পায়নি ইস্টবেঙ্গল।

উল্টে পেনাল্টি পেয়ে গেল রাজস্থান। ভাগ্য ভাল লাল হলুদের, গোল করতে ব্যর্থ হলেন বারবোসা। গোলরক্ষক কমলজিতের হাতে মারেন তিনি। এরপরে এলিয়ান্দ্র কিছু বল বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু ফিনিশ করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পেল ইস্টবেঙ্গল। অথচ আজ কিন্তু জেতার মতোই খেলেছিল লাল হলুদ।

কিন্তু ফিনিশিং এর অভাবে কাজের কাজ হল না। ম্যাচ শেষে স্টিফেন মেনে নিলেন এই ম্যাচ জেতা উচিত ছিল তার দলের। ডার্বির আগে অনেকটা আত্মবিশ্বাস পাওয়া যেত তাহলে। তবে সমর্থকদের কিছুটা ধৈর্য ধরতে বলছেন তিনি। সবে দুটো ম্যাচ হয়েছে। রবিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে শুধু লড়াই নয়, ইস্টবেঙ্গল নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী খেললে, জেতার ক্ষমতাও রাখে মনে করেন ব্রিটিশ কোচ।

হাতে দুটো দিন সময়। এরমধ্যে যাবতীয় ভুল ভ্রান্তি ঠিক করে নিতে হবে। কনস্ট্যানটাইন আত্মবিশ্বাসী তার ছেলেরা পারবে। এই গ্রুপ থেকে মুম্বাই সিটি ১ নম্বরে এবং রাজস্থান দুই নম্বরে রইল। তিন নম্বরে ইস্টবেঙ্গল এবং সবার শেষে এটিকে মোহনবাগান।

অর্থাৎ ২৮ আগস্ট যে দল ডার্বি জিতবে ডুরান্ড কাপে নকআউটে যাওয়ার লড়াইয়ে তারাই টিকে থাকবে। ড্র বা হারের জায়গা নেই। যে দল ড্র করবে বা হারবে তাদের অভিযান শেষ বলাই যায়। তাই ডার্বি জমে গেল।

East Bengal : ইস্টবেঙ্গলের ষষ্ঠ বিদেশি অস্ট্রেলিয়ার জর্ডান ও’দোহার্তি, প্রশংসা স্টিফেনের

#কলকাতা: ষষ্ঠ বিদেশি ফুটবলার হিসেবে ইস্টবেঙ্গলে আসছেন স্প্যানিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান মিডফিল্ডার জর্ডন লুইস ও’দোহার্তি। সোমবার ম্যাচের পর লাল-হলুদের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন বলেন, ও আমাদের এশিয়ান কোটার ফুটবলার। বয়স ২৪। উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। মূলত অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।

আরও পড়ুন – Chinese military : চিনের সেনা ঠিক কতটা শক্তিশালী? ভারতের ভয়ের কারণই বা কতটা? জানুন

এর আগে মেলবোর্ন নাইটস, অ্যাডিলেড ইউনাইটেড, ওয়েস্টার্ন সিডনি ও নিউক্যাসেল জেটসে খেলেছে। এদিকে, গোলরক্ষক সমস্যা অনেকটাই মিটিয়ে ফেলল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। সোমবার এফসি গোয়া থেকে তারা লিয়েনে সই করাল নবীন কুমারকে। ২০১৯ থেকে এফসি গোয়াতে খেলেছেন ৩৩ বছর বয়সি এই গোলরক্ষক। গত বছর ডুরান্ড কাপে বিজয়ী দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন তিনি।

এছাড়াও গোয়ার দলের হয়ে সুপার কাপ ও আইএসএল লিগ উইনার্স শিল্ড জয়ের স্বাদ পেয়েছেন নবীন। এর আগে ২০১২-১৩ মরশুমে মোহন বাগানে খেলে গিয়েছেন হোসিয়ারপুর থেকে উঠে আসা এই গোলরক্ষক। উল্লেখ্য, এবার লাল-হলুদে বাকি দুই গোলরক্ষক হলেন কমলজিৎ সিং ও পবন কুমার। একইদিনে রিজার্ভ টিম থেকে ইস্টবেঙ্গল সিনিয়র দলে সই করলেন নবি হুসেন খান, মহীতোষ রায়, তুহিন দাস ও শুভম ভৌমিক।

জর্ডান ও’দোহার্তি মূলত সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। কিন্তু প্রয়োজনে আক্রমণাত্মক ফুটবলার হিসেবেও দলকে সাহায্য করতে পারেন। পাশাপাশি ডিফেন্সিভ কোয়ালিটি আছে। বছর দেড়েক আগে এসিএল চোটের সমস্যায় পড়েছিলেন। তারপর থেকে অবশ্য নিজেকে সুস্থ প্রমাণ করে ফিরে এসেছেন।

ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে বড় লাভ ফুটবলারটির মাত্র ২৪ বছর বয়স। এক বছরের চুক্তি হলেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে, চুক্তি বাড়তেও পারে। স্টিফেন নিজে আশাবাদী জর্ডান খুব তাড়াতাড়ি ভারতীয় ফুটবলে নিজেকে মানিয়ে নেবেন। ভিসার আবেদন করে দিয়েছেন। সব ঠিক থাকলে শুক্রবারের মধ্যে তার চলে আসার কথা।

East Bengal : সুযোগ নষ্টের খেসারত! নেভির বিরুদ্ধে ড্র দিয়ে ডুরান্ড শুরু ইস্টবেঙ্গলের

#কলকাতা: অবশেষে সোমবার মাঠে নামল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। মরশুমের প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে। ভারতীয় নৌ সেনার দলের বিরুদ্ধে লাল হলুদ ব্রিগেড ফেভারিট ছিল তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যদিও এদিন প্রথম দলে কোনও বিদেশি ফুটবলার রাখেননি স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। উল্টে খেলা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে আঘাত পেয়ে উঠে গেলেন মহেশ সিং।

বদলি হিসেবে নামলেন তুহিন দাস। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ হলেও ভারতীয় নৌসেনার দলের আজ ছিল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচ। ফলে তাদের বিরুদ্ধে সহজে গোল পাওয়া যাবে না এটা আগের দিনই বলেছিলেন স্টিফেন। দলটার ফিটনেস এবং লড়াই করার মানসিকতা দারুন। বৃতো, পিন্টু মাহাতদের মত বড় দলের খেলা ফুটবলার দুজন ছিলেন নেভি দলে।

এছাড়াও আদর্শ, নবজোথ, হরে কৃষ্ণ, বিবেক থাপারা বেশ লড়াই করছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের সূহের এবং অনিকেত যাদব প্রচুর ওয়ার্কলোড নিলেন। তবুও সেভাবে প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ তৈরি হয়নি। লিমা, সৌভিক, মহিতশকে দ্বিতীয়ার্ধে নিয়ে এলেন স্টিফেন। ৫৩ মিনিটে সুমিত পাসির শট পোস্টে প্রতিহত হয়ে ফিরে এল।

কিন্তু নিজেদের প্রিয় দলের খেলা দেখতে আসা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা গান গেয়ে দলকে মোটিভেট করতে থাকলেন। অপেক্ষা কখন গোল হবে। কিন্তু লাল হলুদের খেলায় সেভাবে বাঁধন লক্ষ্য করা যাচ্ছিল না। নেভি গায়ের জোরে ডিফেন্স শক্তিশালী রেখে লড়াই চালাচ্ছিল।

এর মধ্যেই ৭৫ মিনিটে গোল করার সহজ সুযোগ মিস করলেন সেই সুমিত। সামনে একা গোলরক্ষককে পেয়েও গায়ে মেরে বসলেন। তবে লাল হলুদ জার্সিতে প্রথম দিন মহম্মদ রকিপের খেলা চোখে লাগল। সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন সুহের। লিমা নিজের পূর্ণ ফিটনেস ফিরে পাননি।

তাকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই কারণ সবেমাত্র ভারতে এসেছেন তিনি। আশা করা যায় এরপর অন্তত দুজন বিদেশি ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে মাঠে নামলে এই দলের খেলা অনেক খুলে যাবে। তবে এটা বলতেও দ্বিধা নেই আজ দু তিনটে সুযোগের অন্তত একটি কাজে লাগাতে পারলেও পুরো তিনটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত ইমামি ইস্টবেঙ্গল।

East Bengal : সোমবার ডুরান্ডে যাত্রা শুরু ইস্টবেঙ্গলের, দারুণ আত্মবিশ্বাসী কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন

#কলকাতা: প্রচন্ড সাবধানী হয়ে রয়েছেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। কারণ তিনি বুঝে গিয়েছেন ডুরান্ড কাপে কোনও প্রতিপক্ষকেই হালকা করে নেওয়ার জায়গা নেই। বাকি দুই প্রধানের তুলনায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল দল গড়েছে অনেক দেরিতে। তবে আশার কথা, দলের ঘোষিত বিদেশি ফুটবলাররা প্রত্যেকেই শহরে চলে এসেছেন। সাইপ্রাসের কারালাম্বোস কিরিয়াকু সবার আগে আসেন।

আরও পড়ুন – Durand cup : দুরন্ত জোসেফ, জামশেদপুরকে হারিয়ে ডুরান্ডে দ্বিতীয় জয় তুলল মহমেডান

তার পর আসেন অ্যালেক্স লিমা এবং ইভান গঞ্জালেজ। রবিবার সকালে এলেন এলিয়ান্দ্রো এবং ক্লেটন সিলভা। এশীয় কোটার বিদেশি এখনও বাকি। ডুরান্ড কাপের প্রথম দুই ম্যাচে জিতেছে মহমেডান। অপ্রত্যাশিত ভাবে হেরেছে এটিকে মোহনবাগান। সোমবার ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কি হবে? এই প্রশ্নই আপাতত ঘুরছে কলকাতার ময়দানে।

ভারতীয় নৌবাহিনির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলতে নামবে লাল-হলুদ। তারা কেমন খেলবে, কী প্রথম একাদশ হবে কিছুই আগে থেকে বোঝা যাচ্ছে না। তবে কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের মুখে লড়াইয়ের বার্তা প্রথম ম্যাচের আগেই। প্রথম ম্যাচে হতে থাকা বিদেশিদের আদৌ খেলাবেন কি না, তা নিশ্চিত করে বলেননি কনস্ট্যান্টাইন।

তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তর, আমার হাতে দেড় খানা বিদেশি রয়েছে। সূত্রের খবর, কিরিয়াকুকে প্রথম থেকে না হলেও, পরের দিকে নামাতে পারেন। আক্রমণ ভাগে থাকতে পারেন ভিপি সুহের। মিডফিল্ডে থাকতে পারেন অনিকেত যাদব, শৌভিক চক্রবর্তীর মতো ফুটবলাররা।

ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে আশার কথা হল, উল্টোদিকে যারা থাকবে সেই নৌবাহিনি দলও বিদেশিহীন। প্রথম ম্যাচ আমার কাছেও উত্তেজক হতে চলেছে। এখান থেকেই ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী দল গড়া শুরু হবে। কনস্ট্যান্টাইনের সংযোজন, ১৩-১৪ দিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। প্রথম দিন হাতে ১১ জন ছিল। পরে আরও এসেছে। যারা রয়েছে তারা অনুশীলনে নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে।

তবে যত দিন না একটা তৈরি হয়ে যাওয়া দল নিয়মিত ভাবে অনুশীলন করছে, তত দিন একটা সমস্যা থাকবেই। যারা রয়েছে তাদের নিয়ে খুশি। আমরা মাঠে সেরা পারফরম্যান্সই দেব। ইন্ডিয়ান নেভি অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও দম এবং ফিটনেসের অভাব নেই। সেটা লক্ষ্য করেছেন স্টিফেন।

Durand cup : মুম্বইকে জিতিয়ে উঠে ইস্টবেঙ্গল কোচকে গোল উৎসর্গ মিজো তারকার, কেন জানেন?

#কলকাতা: উপকারীর উপকার ভুলতে নেই, তেমনই গুরুর অবদান ভুলতে নেই। তেমনটাই উদাহরণ রাখলেন মুম্বাই সিটি এফসি দলের ছাংতে। মিজোরামের এই ফুটবলার ডুরান্ড কাপে জোড়া গোল করার পর সেই দুটো গোল উৎসর্গ করেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনকে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সত্যি।

আরও পড়ুন – Bengal Cricket team : জোর কদমে চলছে মিলিটারি ট্রেনিং! বাংলার ক্রিকেটারদের খাটিয়ে মারছেন লক্ষ্মী

জয় দিয়ে বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে ডুরান্ড কাপে যাত্রা শুরু করলেও বিদেশিহীন নৌ সেনা দলের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েছিল মুম্বই। একাধিক সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও বিক্রমরা গোল করতে পারেননি নৌ সেনা দলের গোলরক্ষক বেলুতা বিষ্ণুর তৎপরতায়। গতির বিরুদ্ধে ৪৩ মিনিটে গোল করে নৌ সেনা দলকে এগিয়ে দেন আদর্শ মাট্টুমল।

অবশ্য প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়েই (৪৫+৩ মিনিটে) বিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে অসাধারণ গোলে ১-১ করেন বিক্রম। ছাংতে নেমেই ছবিটা বদলে দেন। ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে মুম্বইকে ২-১ এগিয়ে দেন। ৮৯ মিনিটে অসাধারণ শটে প্রথম গোল করেন ছাংতে। এক মিনিটের মধ্যেই ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে দিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি।

ম্যাচের সেরাও হলেন ছাংতে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে তৃপ্ত মুখে দাঁড়িয়েছিলেন স্টিভন। প্রাক্তন ছাত্রের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বললেন, ছাংতে এখনও ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম তারকা। ছাংতের তারা হয়ে ওঠার নেপথ্যে প্রধান কারিগর তো আপনি?

স্টিভন বললেন, কোচ হিসেবে আমার কাজই তো প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার খুঁজে আনা। ছাংতে এই জায়গায় পৌঁছেছে সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায়। মুম্বইয়ের জয়ের নায়ক অবশ্য জানতেনই না স্টিভন খেলা দেখতে এসেছিলেন। যখন বেরোলেন, ততক্ষণে প্রিয় গুরু হোটেলে ফিরে গিয়েছেন।

স্টিভনের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় হতাশ ছাংতে। বললেন, স্টিভন স্যর এসেছিলেন!ওঁর ঋণ কখনও শোধ করতে পারব না। স্টিভন স্যরকেই আমার দু’টো গোল উৎসর্গ করছি। আসলে তার জীবনে স্টিফেনের অবদান অস্বীকার করতে পারেন না ছাংতে। এটাই তার কৃতজ্ঞ থাকার পরিচয়।

East Bengal : ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে সেরা ডিফেন্ডার হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন রিয়েল মাদ্রিদের গঞ্জালেস

#কলকাতা: বছর শুরু হওয়ার আগে থেকেই যে কজন বিদেশি ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলে রেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা, তাদের সবার আগে নাম ছিল ইভান গঞ্জালেসের। রিয়েল মাদ্রিদ একাডেমি থেকে উঠে আসা এই ডিফেন্ডার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এফসি গোয়ার জার্সিতে দুরন্ত ফুটবল খেলেছিলেন।

আরও পড়ুন – Lakshya Sen : ভারতের সর্বকালের সেরা ব্যাডমিন্টন তারকা হবে লক্ষ্য সেন, বলছেন প্রকাশ পাড়ুকোন

বিশাল চেহারা না হলেও একজন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারের যা যা গুণ থাকা প্রয়োজন, তার সবকটা রয়েছে ইভানের। পজিশনিং, হেডিং, ট্যাকল, তলা থেকে খেলা তৈরি করা – ঠান্ডা মাথার এই ডিফেন্ডার কলকাতায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের চিন্তা অনেকটাই কমবে।

ইভান জানেন গোয়ার মাঠে খেলা আর কলকাতার মাঠে খেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য দর্শকদের উপস্থিতি। ইস্টবেঙ্গলের চাপ এবং প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাকে নিয়ে যে ভুল করেননি ইনভেস্টার সংস্থা ইমামি এবং ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট সেটা প্রমাণ করতে মরিয়া তিনি। কাগজপত্র সই হয়ে গিয়েছে। মাঠে নেমে এবার অনুশীলন শুরু বাকি।

কিন্তু কিছুতেই যেন তর সইছে না এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের। সোশ্যাল মিডিয়াতে লাল হলুদ জার্সি গায়ে নিজের ছবি দিয়েছেন ইভান। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তার বার্তা, তাড়াতাড়ি আসছি। শনিবার সকালেই শহরে পা রেখেছেন সাইপ্রাসের কিরিলাম্বস কিরিয়াকু। সঙ্গে পরিবারও এসেছে। আর বিকেল তিনটের সময় অনুশীলনে নেমে পড়লেন সুদর্শন ফুটবলারটি।

মেদহীন পেটাই চেহারার ডিফেন্ডার বেশ চনমনে ছিলেন। একবারের জন্য দেখে মনে হয়নি তিনি জেট ল্যাগে কাবু। বরং বেশ আনন্দের সঙ্গে অনুশীলন করলেন। দেখে বোঝা গেল এই মুহূর্তে ফিটনেস এর অভাব রয়েছে। তবে কিরিয়াকুর জাত নিয়ে সন্দেহ নেই। ইভান গঞ্জালেস এবং কিরিয়াকুর ওপরেই থাকবে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স সামাল দেওয়ার দায়িত্ব। দুজনেই তৈরি লাল হলুদ জার্সিতে নিজেদের মেলে ধরতে।