Tag Archives: East Medinipur News

Bengali News: মিষ্টি, মাদুর, ল্যাংচার পর এবার রাজ্যে উডেন হাব! ঠিক কী জানা গেল

পূর্ব মেদিনীপুর: মাদুর হাব, মিষ্টি হাব, ল্যাংচা হাবের পর এবার উডেন হাব তৈরির চিন্তাভাবনা। এই দাবি জানালেন কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কারখানার মালিকরা। এই হাব গড়ে উঠলে মালিকদের পাশাপাশি উপকৃত হবেন কাঠমিস্ত্রিরা।

আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোর আগেই দূর হল কুল নিয়ে আশঙ্কা

কাঠের হাব বা উডেন হাব তৈরির দাবি উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ায়। এখানে বিস্তীর্ণ এলাকায় অসংখ্য কাঠের আসবাবপত্র বা ফার্নিচার তৈরির কারখানা আছে। এখানকার কাঠের ফার্নিচার ওড়িশা, বিহার সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যায়। পাঁশকুড়া ব্লক ও শহর এলাকায় ২৫ থেকে ৩০ টির মতো ছোট-বড় কাঠের আসবাব তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। সেই কারখানাগুলিতে হাজার হাজার শ্রমিক ও শিল্পী কাজ করেন। এই কারখানাগুলির উপর নির্ভর করে কয়েক হাজার পরিবারের সংসার চলে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটলে স্বর্ণ হাব গড়ে তোলার আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মতো রাজ্য সরকার স্বর্ণ হাব গড়ে তোলার প্রস্তুতি শুরু করেছে। স্বর্ণ হাবের মত যাতে পাশের জেলার পাঁশকুড়ায় উডেন হাব গড়ে তোলা যায় তার আবেদন জানান হয়েছে প্রশাসনের কাছে। কারখানার মালিক জামির ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাঁশকুড়ায় কাঠের নানা ধরনের সরঞ্জাম তারি হয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে রফতনি হয়ে থাকে। রাজ্য সরকার যদি উডেন হাব গড়ে তোলার ব্যবস্থা করে তাহলে অনেকেই উপকৃত হবে। কর্ম সংস্থানও বাড়বে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পাঁশকুড়া পুরসভার প্রশাসক নন্দকুমার মিশ্র জানান, পাঁশকুড়া ব্লক ও শহর এলাকাজুড়ে ছোট-বড় বহু কারখানা আছে। সেখানে বহু মানুষ কাজ করে স্বনির্ভর হচ্ছেন। আগামীদিনে যাতে সরকারি উদ্যোগে উডেন হাব গড়ে তোলা যায় সেদিকে আমাদের নজর থাকবে। উডেন হাব গড়ে উঠলে কর্মসংস্থানও বাড়বে। প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এর আগে মাছ চাষ নিয়ে একটি মৎস্যহাব গড়ে ওঠার কথা হয়েছিল ময়নাতে। তারপর এবার পাঁশকুড়ায় উডেন হাব তৈরির প্রস্তাব এল

সৈকত শী

East Medinipur News: গোলাপের দাম ভালো, ভ্যালেন্টাইন্স ডেএর আগেই বসন্তের ছোঁয়া

পাঁশকুড়া : বুধবার থেকেই শুরু হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন্স সপ্তাহ, আর ভ্যালেন্টাইন্স সপ্তাহের শুরু হয় গোলাপ দিবস দিয়ে। ভালোবেসে প্রিয়জনকে গোলাপ উপহার দিয়ে থাকে। গোলাপ আর ভালোবাসা যেন একে অপরের পরিপূরক। তাই গোলাপ ছাড়া ভালোবাসা সম্পূর্ণ হয় না। ফলে প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কে গোলাপ অপরিহার্য! প্রেমিক প্রেমিকা একে অপরকে গোলাপ ফুল দিয়ে ভালোবাসার সম্পর্কে আরও সুদৃঢ় করে। শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয় প্রিয়জনদেরকেও ভালোবেসে গোলাপ উপহার দেওয়ার চল রয়েছে। প্রিয়জনদের হাতে গোলাপ দিয়ে ভালোবাসা বিনিময় হয়ে থাকে। প্রেমিক প্রেমিকাদের এই ভালোবাসার গোলাপ বিনিময়ে বসন্তের ছোঁয়া লাগে গোলাপ ফুল চাষিদেরপরিবারের।

পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্করদিঘী, মাইশোরা, পারলঙ্কা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিঘার পর বিঘা নানান প্রজাতির গোলাপ চাষ হয়। মিনিপল প্রজাতির গোলাপ বেশি প্রচলিত। তাছাড়া গোল্ডেন, ইতালি সহ বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল চাষ করে থাকেন চাষিরা।
ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে বাড়তি আয় গোলাপ চাষিদের। ভ্যালেন্টাইন্স ডে সামনে রেখে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় সময়টার জন্য মুখিয়ে থাকে গোলাপ চাষিরা। ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে বাজারে গোলাপ ফুলের চাহিদা থাকায় ফুলের দাম ভালো বাড়ছে। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি আগেই বাগান থেকে চাষিরা গোলাপ বিক্রি করছেন প্রায় দ্বিগুণ দামে।

আরও পড়ুন : আরেক ‘১ টাকার ডাক্তার’ ইহলোকের মায়া কাটিয়ে বিদায় নিলেন! ‘ভগবানকে’ হারাল বাংলা

বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর সময় অতিরিক্ত দাম পায় গোলাপ চাষিরা। তাই চাষিদের মুখে খুশির হাসি দেখা যায়। সারাবছর গোলাপ ৫ থেকে ৭ টাকা পিস বিক্রি করলেও ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র সময় ১০ থেকে ১২ টাকা পিস গোলাপ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে পায় চাষিরা। চলতি বছর সবসময়ই গোলাপ ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী তার ওপর ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের শুরু থেকেই গোলাপ ফুলের বাজার বেড়েছে। প্রেমের সপ্তাহে উদযাপনে পাঁশকুড়া চাষিদের গোলাপ বাজারে এখন থেকেই হিট।

আরও পড়ুন : ১৭ টি কবিতা মুখস্থ! গড়গড়িয়ে বলে চলে ১৮ রকম সবজির নাম! রেকর্ড বইয়ে ঠাঁই পেয়ে বাজিমাত বিস্ময়শিশুর

১৪ ফেব্রুয়ারি এলে তাঁর আগে গোলাপ বাগান থেকে ফুল কেটে কোলাঘাট, হাওড়া, দেউলিয়া সহ স্থানীয় ফুল বাজারে চাষিরা গোলাপ ভালো দামে বিক্রি করেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, এখানকার গোলাপ আবার মুম্বাই দিল্লি আমেদাবাদ বেঙ্গালুরুর পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও রপ্তানি করা হয়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

গোলাপের দাম ভালো থাকায় চাষিদের পরিবারে আর্থিক দিক থেকে বসন্তের ছোঁয়া।

Saikat Shee

West Bengal Weather Update: জোড়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার চোখরাঙানি! আবার কি কনকনে শীতের সম্ভাবনা রাজ্য জুড়ে? জানুন আবহাওয়ার লেটেস্ট আপডেট

ফেব্রুয়ারির শুরুতেই শীতের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেল। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতই শুক্রবার বিকেলের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। বইতে শুরু করেছে দখিনা বাতাস। বাড়ছে তাপমাত্রা।
ফেব্রুয়ারির শুরুতেই শীতের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেল। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতই শুক্রবার বিকেলের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। বইতে শুরু করেছে দখিনা বাতাস। বাড়ছে তাপমাত্রা।
 শনিবার সকাল বেলা কুয়াশার দাপট ছিল, তারপর রোদ ঝলমলে পরিবেশ। আগামী কয়েকদিন একই থাকবে আবহাওয়া।
শনিবার সকাল বেলা কুয়াশার দাপট ছিল, তারপর রোদ ঝলমলে পরিবেশ। আগামী কয়েকদিন একই থাকবে আবহাওয়া।
শীত ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা-সহ সর্বত্রই মেঘ মুক্ত পরিষ্কার আকাশ। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে ধীরে ধীরে বাড়ছে তাপমাত্রা।
শীত ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা-সহ সর্বত্রই মেঘ মুক্ত পরিষ্কার আকাশ। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে ধীরে ধীরে বাড়ছে তাপমাত্রা।
জোড়া পশ্চিমীঝঞ্ঝায় বাড়ছে তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় সকালের দিকে ঘন কুয়াশার দাপট উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে শীত এখনও বিরাজমান।
জোড়া পশ্চিমীঝঞ্ঝায় বাড়ছে তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় সকালের দিকে ঘন কুয়াশার দাপট উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে শীত এখনও বিরাজমান।
দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলা গুলিতে শীতের আমেজ। কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে মুক্তি। শেষ ২৪ ঘন্টায় দিঘা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলা গুলিতে শীতের আমেজ। কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে মুক্তি। শেষ ২৪ ঘন্টায় দিঘা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে।
 আবহাওয়ার উন্নতি হলেও তাপমাত্রা নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই। শীতের ছুটি এখন থেকেই।
আবহাওয়ার উন্নতি হলেও তাপমাত্রা নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই। শীতের ছুটি এখন থেকেই।
হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী দিঘার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেশ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর তথা রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটন নগরীর শেষ ২৪ ঘন্টার আবহাওয়া ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী দিঘার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেশ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর তথা রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটন নগরীর শেষ ২৪ ঘন্টার আবহাওয়া ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিঘার তাপমাত্রা থাকবে সর্বোচ্চ ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশিএবং সর্বনিম্ন ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস,স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিঘার তাপমাত্রা থাকবে সর্বোচ্চ ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশিএবং সর্বনিম্ন ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস,স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি।
শনিবার থেকে দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শীত পেরিয়ে বসন্তের আগমন।
শনিবার থেকে দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শীত পেরিয়ে বসন্তের আগমন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা পাশাপাশি তমলুক, হলদিয়া, কাঁথি, এগরা সর্বত্রই আগামী কয়েক দিন সকাল বেলা ঘন কুয়াশার প্রভাব দেখা যাবে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা পাশাপাশি তমলুক, হলদিয়া, কাঁথি, এগরা সর্বত্রই আগামী কয়েক দিন সকাল বেলা ঘন কুয়াশার প্রভাব দেখা যাবে।
শুধু দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা নয় পশ্চিমের জেলাগুলিতেও ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রা। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই বাতাসে বসন্তের ছোঁয়া। (সৈকত শী)
শুধু দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা নয় পশ্চিমের জেলাগুলিতেও ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রা। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই বাতাসে বসন্তের ছোঁয়া। (সৈকত শী)

East Medinipur News : বিলুপ্তপ্রায় জিওল মাছ ফিরিয়ে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ জেলায়

পূর্ব মেদিনীপুর, তমলুক : কই শিঙ্গি মাগুর সহ একাধিক বিলুপ্তপ্রায় মাছ সরকারি উদ্যোগে চাষের পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উদ্যোগ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। গ্রাম বাংলার খাল-বিল পুকুর-ডোবা থেকে বিলুপ্তপ্রায় সিংয়ের মাগুর কই সহ বিভিন্ন ধরনের জিওল মাছ। অত্যন্ত পুষ্টিকর এই মাছগুলি প্রায় বিলুপ্ত হওয়ায় বাজারে চাহিদা প্রচুর। ফলে গ্রাম থেকে শহর হাটেবাজারেচড়া দামে বিক্রি হয় জিওল মাছ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন জিওল মাছ সরকারি উদ্যোগে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। শুধু জিওল মাছের চাষের পরিসর বৃদ্ধি করাই নয়, সেই সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানেরও লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন জিওল মাছের চাষ শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা ও রাজ্য গ্রাম উন্নয়ন দফতরের সহায় সিএডিসির প্রকল্পে কই মাছ চাষ শুরু হয়েছে। তবে সরাসরি পুকুর-ডোবা কিংবা খাল-বিলে নয়, চৌবাচ্চায় কই মাছের চাষ শুরু করা হয়েছে। কই মাছের চাষ শুরু করার পাশাপাশি এই মাছ চাষের সম্প্রসারণ ও ব্যাপ্তি ঘটাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে। চৌবাচ্চায় কৈ মাছ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। কম খরচে সহজেই চৌবাচ্চায় কই মাছের চাষ সম্ভব। ফলে কর্মসংস্থানের দিক থেকে চৌবাচ্চায় কই মাছ চাষ উপযোগী।

আরও পড়ুন : নানা রঙের ফুলকপি চাষ করে তাক লাগাচ্ছে কোলাঘাটের এক কৃষক!

বাড়িতে চৌবাচ্চায় সহজে কই মাছের চাষ হয়। কই মাছের চাষের জন্য সময় লাগে চার থেকে পাঁচ মাস। একটি ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থ এবং ২.৫ ফুট গভীরতা যুক্ত চৌবাচ্চায় ১০০ কেজি কই মাছ চাষ করা যায়। কই মাছের বর্তমান বাজার মূল্য থেকে হাফ খরচে কই মাছের চাষ হয়। বিলুপ্ত প্রায় জিওল মাছ কই ফেরাতে সিএডিসি প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে কই মাছের পোনা উৎপাদনের পাশাপাশি চৌবাচ্চায় কই মাছ চাষ করা শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য এবং জিওল মাছের সম্প্রসারণ এর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও চলছে।

আরও পড়ুন : দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে প্রশাসনের বড় পরিকল্পনা! দেখে নিন দিঘায় কী বদল আসতে চলেছে

বিলুপ্তপ্রায় কই মাছ চাষের মধ্যে কর্মসংস্থান বিষয়ে সিএডিসির প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ডঃ উত্তম কুমার লাহা জানান, ‘কই মাছ প্রায় বিলুপ্ত হওয়ায় বাজারে চড়া দাম রয়েছে। পুরোপুরি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে না হলেও মাটির চৌবাচ্চায় পলিথিন দিয়ে কই মাছের চাষ সম্ভব। এই বিলুপ্ত মাছ ফেরাতে সরকারি উদ্যোগে মাছের চারা তৈরি করা হচ্ছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সরকারি উদ্যোগে শুধু কইমাছ নয় সিঙি,মাগুর সহ অন্যান্য জিওল মাছেরও চারা এবং মাছ চাষ সম্প্রসারণ এর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।

সৈকত শী

East Medinipur News : জেলাবাসীর জন্য সুখবর, মহাপ্রভুর পাদুকা আসছে তমলুকে! 

পূর্ব মেদিনীপুর, তমলুক : পূর্ব মেদনীপুর জেলা সদর শহর তমলুক শহরে একটি মন্দিরে আসছে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ব্যবহৃত পাদুকা। তমলুকের চৈতন্য মহাপ্রভুর আগমন তিথি উপলক্ষে ভক্তদের দর্শনের জন্য নবদ্বীপ থেকে মন্দিরে আনা হবে মহাপ্রভুর পাদুকা। ঐতিহাসিক শহর তমলুক! এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব কম নয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষজন তমলুক শহরে এসেছিলেন। চৈতন্য মহাপ্রভু পুরী যাত্রাকালীন তমলুকে এসেছিলেন। চৈতন্য মহাপ্রভুর তমলুকে আসার দিনটিতে প্রতিবছর তমলুকের গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরে বিশেষ আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ বছর সেই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মহাপ্রভুর ব্যবহৃত পাদুকা দিব্য দর্শনের সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ।

এবছর চৈতন্য মহাপ্রভুর তমলুকে আগমন ৫১৫ বছরে পদার্পণ করল। তিনবার নবদ্বীপ থেকে পুরীযাত্রা কালীন চৈতন্য মহাপ্রভু তমলুক শহরে এসেছিলেন। তমলুকের গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরে তিনি প্রবাস গ্রহণ করেছিলেন। তিনি তিনবার এলেও প্রথমবার আসার তিথি স্মরণে প্রতিবছর মন্দিরে নাম কীর্তন শোভাযাত্রা পূজো পাঠ হয়। তিন দিন ধরে চলে নানান অনুষ্ঠান। মন্দিরে ওই কয়েকদিন হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। তবে এ বছর ভক্তদের জন্য বিশেষ সুযোগ মহাপ্রভুর ব্যবহৃত পাদকার দিব্যদর্শন।

আরও পড়ুন : হাল ফিরছে লালের, শুভেন্দুর জেলায় বিরাট সাফল্য সিপিএমের! উড়ছে লাল আবির

তমলুক শহরের ১০ ফেব্রুয়ারি চৈতন্য মহাপ্রভু প্রথম আগমন মহোৎসব উপলক্ষে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর শ্রী চরণ পাদুকর দিব্য দর্শন অনুষ্ঠানের সূচনা হবে।প্রসঙ্গত নবদ্বীপ শহরের মহাপ্রভু ধাম মন্দিরে শ্রী শ্রী বিষ্ণুপ্রিয়া সমিতির তত্ত্বাবধানে রয়েছে শ্রীচৈতন্যর পাদুকা যুগল। কাঠের পাদুকা দুটি রুপার বাক্সের মধ্যে রাখা রয়েছে। এই পাদুকাদেখতে ভক্তরা ভিড় জমান। তবে এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বাসীর জন্য সুখবর এই মহাপ্রভুর ব্যবহৃত পাদুকা চাক্ষুষ করার সুযোগ পাবেন ভক্তরা।

আরও পড়ুন : দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে প্রশাসনের বড় পরিকল্পনা! দেখে নিন দিঘায় কী বদল আসতে চলেছে

তমলুকের গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরে মহাপ্রভুর পাদুকা দিব্য দর্শনের সূচনা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। ওইদিন সাধারণ মানুষজন মহাপ্রভুর পাদুকা দর্শনের সুযোগ পাবেন। এমনকি ওই দিন শোভাযাত্রাতে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তমলুকের প্রাচীন গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরের এই অনুষ্ঠান নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক আয়োজন করা হয় সেখানে পাদুকা দিব্যদর্শন নিয়ে জানান বিরোধী দলনেতা।

সৈকত শী

East Medinipur News: বাংলাদেশ থেকে দিঘা সাইকেলে,  সঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতানতার বার্তা!

পূর্ব মেদিনীপুর, দিঘা : বাংলাদেশ থেকে দিঘা সাইকেলে করেস্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা নিয়েএলেনএক যুবক। “হার্টকে সুস্থ রাখুন সাইকেলিং এর অভ্যাস গড়ুন।” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মানবিক বার্তা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসে বিশেষ বার্তা মহম্মদ আল আমিন এর। সাইকেলিং করে তিনি বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছেন। কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার চালিভাঙ্গা গ্রামে বাড়ি মহম্মদ আল আমিন এর। ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে তিনি। ২২ জানুয়ারি দার্জিলিং থেকে সাইকেলিং করে যাত্রা শুরু হয় তার দিঘার উদ্দেশ্যে। দার্জিলিং থেকে দিঘা ৯০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছেন ৮ দিনে।

সারাদিনে গড়ে ১২০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়েছে তিনি। সাধারণত সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেশি পরিমাণ সাইকেল চালিয়েছেন। সোমবার রামনগরে আসার পর রামনগর এক পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে বিশেষ সম্বর্ধনা দেওয়া হয় বাংলাদেশী এই যুবককে। সাইকেলিং এর জার্নি কমপ্লিট করে খুবই খুশি সে। রামনগর এক ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক উৎপল রায়, রামনগর এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দীপক সার বাংলাদেশী এই যুবককে সম্বর্ধনা প্রদান করে।সোমবার সন্ধ্যায় দিঘায় পৌঁছে পাহাড় থেকে সমুদ্র সাইকেলিং এর অভিযান শেষ করে করে মহম্মদ আল আমিন।

আরও পড়ুন : বাহুবলিন্দ্র রাজাদের রাজধানী ময়নাগড়ের ইতিহাস এবার ডাকটিকিটে

প্রাক্তন সাংবাদিক তথা সাইকেলিং প্রেমী শান্তনু সাহা রামনগরে মহম্মদ আল আমিনকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন বাংলাদেশের এই যুবকের সাইকেলিং এর সঙ্গেস্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা যুবসমাজকে অনেকটাই উদ্বুদ্ধ করবে। বাংলাদেশেরসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে নিজের চোখে দেখা ও তা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করাই আরও তার এক উদ্দেশ্য বলে জানান মহম্মদ আল আমিন। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তার সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমবাংলার যোগসূত্র নিয়েই অনেক তথ্য সংগ্রহ করাও তার এই অভিযানের সঙ্গী।

আরও পড়ুন : মাছের সঙ্গে একই পুকুরে কাঁকড়া চাষ করে নজির বধূর, রফতানি হচ্ছে বিদেশেও

মহম্মদ আল আমিন এর মুখে এখন সাফল্যের চওড়া হাসি। আগামী দিনে আয়রন ম্যান হতে চান তিনি। বাংলাদেশের ছোট্ট গ্রাম থেকে যেকাহিনী শুরু হয়েছিল তা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতবর্ষের দিঘায় এসে উঠেছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

অসম্ভব এর মাঝে সম্ভব শব্দবন্ধটি যেন খুঁজে পেয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্য সচেতনতার এই অভিনব বার্তা তুলে দিতে সাইকেলে করে দিঘা এলেন বাংলাদেশী যুবক।

সৈকত শী

Digha: দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে প্রশাসনের বড় পরিকল্পনা! দেখে নিন দিঘায় কী বদল আসতে চলেছে

দিঘা: পর্যটন কেন্দ্র দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ নিয়ে এখন থেকেই উন্মাদনা মানুষের মধ্যে। এবার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে প্রশাসনের আরও বড় পরিকল্পনা! দিঘা মানে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ-এর সঙ্গে পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে চুটিয়ে মজা উপভোগ করা। দিঘার জগন্নাথ ধাম পর্যটনে বিপুল জোয়ার সৃষ্টি করবে তার আভাস আগাম পাওয়া গিয়েছে। এবার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বিশেষ ঘোষণা পিডব্লিউডি রোডসের।

দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য রাস্তা চওড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দিঘার জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত ৭ মিটার চওড়া রাস্তাটি ১৪ মিটারের করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে গড়ে উঠছে এই মন্দির। শুধু তাই নয়, একেবারে পুরীর ধাঁচেই জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা হবে সৈকত শহরেও।

আরও পড়ুন: কাঁথা স্টিচের কাজের স্বীকৃতিতে পদ্মশ্রী পেলেন তকদিরা বেগম! তাঁর লড়াই অনেকের অনুপ্রেরণা

সেই কারণে নিউ দিঘা স্টেশনের পাশেই ভোগী ব্রহ্মপুর মৌজার জগন্নাথ মন্দিরের সামনের রাস্তাটি ৭ মিটার চওড়া থেকে ১৪ মিটারের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্দির থেকে ওল্ড দিঘার দিকে দেড় কিলোমিটার দূরত্বে আরও একটি মন্দিরকে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানেই রথের দিন থেকে উল্টোরথের দিন পর্যন্ত থাকবেন জগন্নাথ দেব। তারপর সেখান থেকেই ফের মূল মন্দিরে ফিরবেন জগন্নাথ দেব। তাই মন্দির সংলগ্ন মেন রাস্তাটি চার লেনের বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মারাত্মক কুয়াশার দাপট, তারমধ্যে হেলমেট ছাড়াই বেপরোয়া গতিতে ছুটছে বাইক! তারপরের ঘটনা ভয়ঙ্কর

প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দিঘায় জগন্নাথধাম তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মার্চ মাসে মন্দিরের কাজ শেষ করার টার্গেটও নেওয়া হয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের আগেই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ সেরে ফেলতে চায় পূর্ত দফতর।

এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পূর্ত বিভাগের এক্সুকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জানান,‌ ‘জগন্নাথ মন্দিরের সামনের রাস্তা সম্প্রসারণ করা হবে। দিঘা থানা থেকে দিঘা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণ করা হবে। এই কাজ দ্রুততার সঙ্গে হবে।

রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘায় একাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়নে দিঘায় রূপ সৌন্দর্য আরও বেড়েছে। সৈকত লাগোয়া সাজানো গোছানো একাধিক পার্ক। মেরিন ড্রাইভ সব মিলিয়ে দিঘায় আগের থেকে বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা। জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে দিঘার বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যাবে।

সৈকত শী

East Medinipur News: পূরণ হবে পাঁশকুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন দারুন উদ্যোগ পৌরসভার

পাঁশকুড়া : অবশেষে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে পাঁশকুড়া শহরের বাসিন্দাদের। পাঁশকুড়া পৌর নাগরিকদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল পরিশ্রুতপানীয় জলের। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। পাঁশকুড়া পৌরবাসীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন অম্রুত ২ জল প্রকল্প রূপায়নের পথে। পাঁশকুড়া পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা পানীয় জলের। বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানীয় জলের সমস্যা গ্রীষ্মকালে আরও প্রকট হয়। তাই শহরবাসীকে পরিশ্রুতপানীয় জল পৌঁছে দিতে অম্রুত ২ প্রকল্প রূপায়ণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে উত্তর মেচগ্রাম মৌজায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গড়ার লক্ষ্যে প্রায় তিন একরে জমির কাগজ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। প্রায় ৮ কোটি টাকায় এই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্রকল্প গড়ে উঠছে। এই ওয়াটারট্রিটমেন্ট প্রকল্পের থেকেই পাঁশকুড়া পৌর এলাকায় ঘর ঘর পৌঁছে যাবে পরিশ্রুত পানীয় জল। প্রসঙ্গত পাঁশকুড়া পৌরসভার গঠনের পর থেকেই অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি পানীয় জলের সমস্যা। এবার সেই সমস্যা দূর হতে চলেছে। অম্রুত ২ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূবর-বস্তের জল নয়, নদীর জলকে পরিশ্রুত করার পর বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন : মাছের সঙ্গে একই পুকুরে কাঁকড়া চাষ করে নজির বধূর, রফতানি হচ্ছে বিদেশেও

পাঁশকুড়া পৌর এলাকায় ভূগর্ভস্থ জল স্তর নেমে যাওয়ায় পানীয় জলের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তারপর থেকেই এই প্রকল্প রূপায়নে তোড়জোড় শুরু করে পৌর প্রশাসন। এ বিষয়ে পাঁশকুড়ার চেয়ারপারসন নন্দকুমার মিশ্র জানান, পৌর প্রশাসন পৌর নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ায় অঙ্গীকার বদ্ধ। পাঁশকুড়ায় ভূগর্ভস্থ জলস্তর নেমে যাওয়ায় বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। অম্রুত ২ প্রকল্পের মাধ্যমে রূপনারায়ণ নদের জল পরিশ্রুত করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া যাবে। সেই প্রকল্প রূপায়নের জন্য জমি হস্তান্তর হল।’

এই জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পাঁশকুড়া পৌর এলাকার নাগরিকেরা খুব খুশি। বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুতপানীয় জল পৌঁছানোর ক্ষেত্রে তারা ভীষণ আশাবাদী।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এর ফলে নাগরিকদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।

সৈকত শী

East Medinipur News: মাছের সঙ্গে একই পুকুরে কাঁকড়া চাষ করে নজির বধূর, রফতানি হচ্ছে বিদেশেও

পূর্ব মেদিনীপুর: গ্রামের এক বধূ পুরো ব্লকের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর সফলতার কাহিনী দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বাকিরা। আধুনিক পদ্ধতিতে সফলভাবে কাঁকড়া চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের অতসী মাইতি। তাঁকে দেখে এই পেশায় এগিয়ে আসছে গ্রামের বধূ থেকে শুরু করে বেকার যুবকরা সকলে।

আরও পড়ুন: হারিয়ে যাওয়া জমিদার বাড়ির ছেলের আশ্চর্য সংগ্রহশালা

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের চর-কেন্দেমারি গ্রামের বধূ অতসী। তিনি বাড়ির পুকুরে মাছের সঙ্গে সঙ্গে ভাসমান বাক্সতে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ করছেন। ব্লক মৎস্য দফতরের সহযোগিতায় এই বাক্স পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ করছেন তিনি। এইভাবে রীতিমতো স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন ওই মহিলা।

ক্স পদ্ধতিতে বা বক্স ক্র্যাব টেকনোলজিতে কাঁকড়া চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে একই পুকুরে মাছের পাশাপাশি সফলভাবে কাঁকড়া চাষ করা যাচ্ছে। এই কাদা কাঁকড়ার দেশের পাশাপাশি বিদেশেও ভাল চাহিদা আছে। চিন, সিঙাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশে এগুলো রফতানি হয়। এই পদ্ধতিতে মৎস্য দফতরের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নন্দীগ্রামের অনেকেই ক্রমশ স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, অতসী মাইতি এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন যা অন্যন্য বধূদের উৎসাহিত করবে। অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করার পাশাপাশি বিকল্প উপার্জনের পথ দেখাচ্ছে বাক্স পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ। প্রতিটি বাক্সে একটি করে কাঁকড়া থাকায় একে অপরকে আক্রমন করতে পারে না। পরিপক্ক ডিম্বাশয় কাঁকড়ায় পরিণত করে বাজারজাত করা হয়। অত্যাধুনিক এই পদ্ধতি অনুসরণ করে কাঁকড়া চাষিরা লাভের মুখ দেখছেন।

সৈকত শী

East Medinipur News: নন্দীগ্রামের মাছ চাষ কলেজ পড়ুয়াদের কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছে

পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামের মাছ চাষ কর্মস্থানের দিশা দেখাচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। এখানে মৎস্যক্ষেত্রে শিক্ষামূলক ভ্রমণে ভিড় জমাচ্ছে প্রাণীবিদ্যা ও পরিবেশবিদ্যায় পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীর দল।

আরও পড়ুন: দিনের চোর-পুলিশ দৌড় শেষে রাত কাটে রবীন্দ্র-নজরুল আশ্রয়ে! এমন‌ও পুলিশ হয়

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় সর্বত্রই মাছের চাষ হয়। তবে নন্দীগ্রাম ব্লকে নানান ধরনের মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুরে কাঁকড়া চাষ কর্মসংস্থানের নতুন দিশা দেখিয়েছে বর্তমান প্রজন্ম ও বাড়ির বধূদের। নন্দীগ্রামের এক বিপুল অংশের মানুষ বাড়িতে এবং নদীতে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সেই কাজে পেশাদারিত্ব বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে মাছ-কাঁকড়া-চিংড়ি চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে কর্মসন্ধানী যুবক-যুবতীদের।

হুগলি, হলদী নদীতে নৌকো নিয়ে ইলিশ মাছ ধরার কৌশলে কিংবা ভেনামি চিংড়ি চার্জ কিভাবে করলে আয় বাড়বে সেই সবকিছু নিয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ব্লক মৎস্য বিভাগ। আর এই বিষয়গুলি হাতে-কলমে জানতে নন্দীগ্রামে শিক্ষামূলক ভ্রমনে আসছে প্রাণীবিদ্যা ও পরিবেশবিদ্যায় পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের দল। শুধু প্রথাগত শিক্ষা বা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যেই সীমিত না থেকে পড়়ুয়াদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মাছ ধরা ও মাছ চাষ দুই কাজেরই সব খুঁটিনাটি শেখানো হয়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নৌকোয় মৎস্য আহরণের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে পড়ুয়াদের ভালোভাবে অবগত করা হয়। কলেজ পড়ুয়াদের লুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণের বিষয়গুলি বেশি ভাল করে শেখানো হচ্ছে। সম্প্রতি মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর মহাবিদ্যালয়, মেদিনীপুর সিটি কলেজের পড়ুয়াদের নন্দীগ্রামের মৎস্যক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কলেজের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা সহ ছাত্রছাত্রীদের দলকে মাছ চাষ ও মাছ আহরণের বিভিন্ন বিষয় ঘুরিয়ে দেখিয়ে বোঝান নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু। সুমনবাবু বলেন, মৎস্য কেন্দ্রিক অন্যান্য অনেক বিষয় সম্পর্কে পড়ুয়াদের প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয় এই শিক্ষামূলক ভ্রমণে। জৈব মাছ চাষের পদ্ধতি, মাটির উর্বরতা, রাসায়নিক সারের ব্যবহার-সহ আরও বিভিন্ন দেশীয় মাছের চাষ সম্পর্কে পড়ুয়াদের অবগত করা হয়। বর্তমান প্রজন্মকে কর্মসংস্থানের দিশা দেখাতেই এই উদ্যোগ বলে তিনি জানান। এই সুযোগ পেয়ে খুশি পড়ুয়ারাও।

সৈকত শী