Tag Archives: fruit seller

East Bardhaman News: ৬৪ বছরের ফেরিওয়ালার ভ্যানে ওটা কী ঝুলছে? কাণ্ড দেখলে চমকে যাবেন!

পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা শক্তিপদ সাহা পেশায় ফেরিওয়ালা। গত ২০ বছর ধরে তিনি ফল এবং সবজি বিক্রি করেই দিন যাপন করেন। তবে ফেরি করার পাশাপাশি তিনি আরও এক বিশেষ কাজ করেন। সেই কাজের জন্য কমবেশি সকলেই চেনেন শক্তিকে।

একটি ছোট্ট ভ্যান রয়েছে শক্তির। সেই ভ্যানে করে ফল নিয়ে তিনি বর্ধমান শহরে ঘুরে বেড়ান। প্রত্যেকদিন ভোরবেলায় উঠে ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। ৬৪ বছর বয়সেও তিনি এই কাজ করে চলেছেন। তবে একটি ব্যাপার কারও চোখ এড়ায় না। ফেরিওয়ালার ফেরি করার ভ্যানে ঝোলানো রয়েছে একটি হেলমেট। কিন্তু ফেরিওয়ালার ভ্যানে হেলমেট কেন? শক্তি জানান, মানুষকে সচেতন করার জন্যই তিনি এই হেলমেট ঝুলিয়ে রেখেছেন। সবাই যাতে সাবধানে ট্রাফিক আইন মেনে বাইক চালান, সেই বার্তা দিতেই তাঁর এই ভাবনা।

শুধু হেলমেট নয়, শক্তির ভ্যানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক বার্তা। ফেরি করার পাশাপাশি তিনি জনসাধারণকে সচেতন করে চলেন। সচেতনতা প্রচারের অভিনব পন্থাও বেছে নিয়েছেন তিনি। নিজেই বেশ কিছু কার্ডবোর্ডের মধ্যে লিখেছেন সচেতনতামূলক বার্তা। তার পর সেই কার্ডবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন ভ্যানের মধ্যে। শক্তির ফেরি করার ভ্যান দেখলেই যে কারও চোখে পড়বে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক বার্তা।

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে এই কাজ করে চলেছেন শক্তি। তবে মানুষকে সচেতন করার এক বিশেষ কারণ রয়েছে। বহুবার তাঁর চোখের সামনে ঘটে গিয়েছে দুর্ঘটনা। অনেকের প্রাণ যেতে দেখেছেন শক্তি। তাই যাতে মানুষ সচেতন হয়, হেলমেট পড়ে বাইক চালায় সেই কারণে তিনি সকলকে সচেতন করেন।

শক্তির কথায়, “অনেকেই সচেতনতার বার্তা ভালভাবে গ্রহণ করে। আবার কেউ কেউ মজার ছলে নেয়। কথা গ্রাহ্য না করে হেলমেট ছাড়াই বাইক চালায়।”

আরও পড়ুন-ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা, সাবধান! এবার নতুন রূপে, জেনে নিন উপসর্গ

তবে শক্তি হাল ছাড়েন না। জানিয়েছেন, তিনি আগামী দিনেও এই কাজ চালিয়ে যাবেন। মানুষকে সচেতন করা যেন তাঁর কর্ম।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Mango Cultivation: গাছে আম নেই, ফিরে যাচ্ছে পাইকাররা

পূর্ব বর্ধমান: এই জেলা রাজ্যের শস্য ভাণ্ডার বলে পরিচিত। পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ধান চাষ হয়। পাশাপাশি এখানে আম চাষও হয়। মূলত পূর্বস্থলীতে আম চাষ করে থাকেন বেশ কিছু কৃষক। কিন্তু এবার আমের ফলন ব্যাপকভাবে কম হওয়ায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন এখানকার কৃষকরা।

পূর্বস্থলী-২ ব্লকে বেশ কিছু আম চাষি রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা আম চাষ করে আসছেন। এক একজন চাষির অধীনে প্রায় এক হাজারেরও বেশি আম গাছ রয়েছে। এই পূর্বস্থলী এলাকার আম পাড়ি দেয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বিহার সহ অন্যান্য রাজ্যের পাইকাররা এসে এখানকার আম চাষিদের থেকে আম কিনে নিয়ে যায়। সেরকমই এবারও ভিন রাজ্য থেকে পাইকাররা আম কেনার জন্য আসছেন।

আরও পড়ুন: যেন ভুতুড়ে বাড়ি! স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে রোগ সারার বদলে …

তবে এবার আম কিনতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে পাইকারদের। কারণ গত বছরের তুলনায় এবার ফলন একেবারে কম হয়েছে। স্বভাবতই আমের ফলন কম হওয়ায় ব্যাপক চিন্তায় রয়েছেন পূর্বস্থলী এলাকার আম চাষিরা। এই প্রসঙ্গে আম চাষি বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলেন, অন্যান্য বছর আমের ফলন ভাল হয়। কিন্তু এবছর আমের ফলনই নেই। আমাদের এই এলাকায় ল্যাংড়া, হিমসাগর, মুম্বাই সহ আর‌ও বিভিন্ন ধরনের আম পাওয়া যায়। কিন্তু এবছর আমের সাইজও ছোট, শুধুমাত্র কিছু কিছু গাছে ফলন হয়েছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Sugarcane Juice Seller: আখের রস বিক্রি করতে আর কষ্ট হবে না, সামান্য খরচে এই মেশিন বসালেই কেল্লাফতে

মালদহ: এই গরমে রাস্তায় রাস্তায় আখের রস বিক্রি হতে দেখা যায়। তার চাহিদাও থাকে যথেষ্ট। কিন্তু আখের রস বের করার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয় দোকানদারদের। বাহুবল না থাকলে এই ব্যবসা করা বেশ কঠিন। কিন্তু এখন এমনই একটা দুর্দান্ত যন্ত্র চলে এসেছে যে বাহুবল ছাড়াই সহজে বার করে ফেলতে পারবেন আখের রস। এই যন্ত্র কিনতে খরচও হবে সামান্য।

আপনি যদি আখের রস বিক্রেতা হয়ে থাকেন তবে এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই পড়ুন। প্রচুর শক্তি দিয়ে চাকা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আর আখের রস বার করতে হবে না। এই নতুন মেশিন দিয়ে খুব সহজেই আখের রস বার করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বাজারে বেশ কিছু আখের রস বিক্রেতা এই মেশিনের ব্যবহার শুরু করেছেন।‌আপনি হয়ত ভাবতে পারেন এই মেশিন বসাতে খরচ প্রচুর। কিন্তু একেবারেই তা নয়। খুব সামান্য খরচেই এই মেশিন যে কেউ কিনতে পারবেন। এমনকি এই মেসিন বহনযোগ্য। আপনি আপনার ঠেলাগাড়ি বা ভ্যানেই এই মেশিন বসাতে পারবেন।

আরও পড়ুন: অত্যধিক গরমে সুপারি চাষের ব্যাপক ক্ষতি

তবে আধুনিক এই মেশিন চালাতে প্রয়োজন পড়বে বিদ্যুতের। তবে খুব একটা বেশি ভোল্টেজের প্রয়োজন হয় না। সামান্য ভোল্টেজেই এই মেশিন আপনি চালাতে পারবেন। তাই অনেকে ইনভেটারের সাহায্যে চালাচ্ছেন আখের রস বার করার এই আধুনিক মেশিন। আখের রস বিক্রেতা মহম্মদ হাসানুল জামান বলেন, এই মেশিনের সাহায্যে আখের রস বার করতে শক্তির প্রয়োজন হচ্ছে না। অল্প সময়ে বেশি আখের রস বার করা যাবে। ব্যাটারির সাহায্যে চলছে এই মেশিন। সাধারণ মেশিনের থেকে এই মেশিনে অনেক সুবিধা রয়েছে। খরচ খুব সামান্য।

আখের রস বিক্রেতারা সহজেই নিজেদের ভ্যান বা ঠেলাগাড়িতে ব্যাটারি সমেত এই মেশিন বসাতে পারবেন। মালদহের বাজারে বেশ কয়েকজন আখের রস বিক্রেতা এই মেশিনের ব্যবহার শুরু করেছেন। তাঁরা বলছেন, এই মেশিন বসাতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। হাতে ঘোরানো মেশিনের থেকে এই মেশিনে অনেক সুবিধে রয়েছে। প্রথমত দৈহিক শক্তি খরচ না করে আখের রস বার করা যাচ্ছে। অল্প সময়ে অধিক পরিমাণে আখের রস বার করতে পারছেন বিক্রেতারা। ফলে বেশি পরিমাণে বিক্রিও করতে পারছেন। এই মেশিন খুব অল্প ভোল্টেজে চলছে। দুটি ব্যাটারি লাগালেই টানা একদিন চলবে এই মেশিন। এর ফলে প্রচন্ড গরমে আখের রস বিক্রি করতে গিয়ে আর কষ্টের মধ্যে পড়তে হবে না ব্যবসায়ীদের।

হরষিত সিংহ