Tag Archives: Sugarcane Juice

Sugarcane Cultivation: পুরনো সবকিছু ছেড়ে আখ চাষ শুরু করুন, তিনগুণ লাভ পাবেন!

উত্তর দিনাজপুর: ধান চাষ ছেড়ে আখ চাষ শুরু করতেই মালামাল হয়ে যাচ্ছেন এই এলাকার কৃষকরা! ১৫ হাজার টাকা খরচ করে চাষ করে পাচ্ছেন ৩০-৪০ হাজার টাকা। বেশিরভাগ কৃষকই আখ চাষ করে খরচের তুলনায় তিনগুণ লাভ করেছেন। এই পথ অনুসরণ করে আপনিও লাভবান হতে পারেন।

উত্তর দিনাজপুরের টাঙ্গন নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আখ চাষ করে বিপুল লাভবান হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। সেই নজির অনুসরণ করে আপনিও বাড়ির অল্প জায়গায় আখের চাষ শুরু করতে পারেন। কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর অঞ্চলে টাঙ্গন নদী সংলগ্ন এলাকায় ক্রমশই বাড়ছে আখের চাষ। এই এলাকায় নদী সংলগ্ন বেলে-দোআঁশ মাটির জল ধারণের ক্ষমতা অত্যন্ত কম। তাই ধান চাষ করা যায় না। ধান চাষের বিকল্প হিসেবে লাভজনক হওয়ায় এখানে আখের চাষ বাড়ছে।

আর‌ও পড়ুন: বুদ্ধ প্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন চা বলয়, বন্ধ বাগান শ্রমিকদের জন্য ‘ফাউলাই’ চালু করেছিলেন তিনিই

আখ মরশুমি ফসল হলেও এখন বাজারে সারা বছর আখের রস বা জুস বিক্রি হয়। এই জুস বিক্রেতারাই সারা বছর প্রয়োজন অনুসারে সরাসরি কৃষকদের জমি থেকে পাইকারি দামে আখ কিনে নিচ্ছেন। ফলে উৎপাদিত আখ বিক্রির কোনও সমস্যা থাকছে না সারা বছর নগদ টাকার যোগান থাকে বলে রাধিকাপুর সংলগ্ন টাঙ্গন নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে বাড়ছে আখ চাষের প্রবণতা।

এই আখ চাষের সঙ্গে যুক্ত সন্তোষ রায় বলেন, এই আখ চাষে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ লাভ সম্ভব। তিনি জানান, এই বছর সাড়ে চার বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন। এই আখের চারা কার্তিক-অঘ্রায়ণ মাসে রোপণ করেছিলেন। ৯০০ টাকা কুইন্টাল দামে এই আখ বাজারে বিক্রি করেন। একই জমিতে একবার আখ চাষ করলে তিনবার ফলন পাওয়া যায়।

পিয়া গুপ্তা

Sugarcane Juice: গরম থেকে বাঁচতে ভরসা ‘এই’ রস! সকাল থেকে সন্ধে দীপকের দোকানে লম্বা লাইন

আলিপুরদুয়ার: গত কয়েক দিনের তাপপ্রবাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ডুয়ার্সে এমন গরম আগে দেখা যায়নি। এই গরমে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না কাউকে। যার জন্য আখের রস পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিটি বাড়িতে। প্রখর রোদ আর তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না মানুষ। ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার জেলায় সাধারণত খুব বেশি তাপপ্রবাহ লক্ষ্য করা যায়না, কিন্ত এবছর অতিরিক্ত তাপমাত্রা।

বর্তমানে আলিপুরদুয়ারে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্ৰি ছুঁইছুঁই। বৃষ্টি হলেও রয়েছে ভ্যাপসা গরম। এত তাপমাত্রায় জনগণ স্বস্তি খোঁজার জন্য ও গলা ভেজানোর জন্য ভ্রাম্যমাণ আখের রসের দোকানে যাচ্ছেন। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আখের রসের চাহিদা বাড়ায় ফালাকাটা ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আখের রসের দোকান।

আরও পড়ুন:আলুর দম তো অনেক খেলেন! এবার চেখে দেখুন মাশরুমের দম! রইল রেসিপি

তৃষ্ণা মেটাতে এসব দোকানে বেশি ভিড় করছে পথচারীরা। দীপক বসাক নামের ফালাকাটার এক বিক্রেতা জানান,”তাপমাত্রা বেশি থাকায় আখের রস গত বছরের থেকে এ বছর বেশি বিক্রি হচ্ছে। সকাল ৯ থেকে বিকাল পর্যন্ত রস বিক্রি চলে। কেউ কেউ বোতলে ভরে বাড়ি নিয়ে যায়।” সারাদিন রোদ থাকায় বাজারে লোকজন কম আসে। বিকালের পর যারা বাজারে আসেন, বেশির ভাগই এখন আখের রস খেয়ে থাকেন। আবার বোতলের মধ্যে ভরে নিয়ে যাচ্ছেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Annanya Dey

Sugarcane Juice Seller: আখের রস বিক্রি করতে আর কষ্ট হবে না, সামান্য খরচে এই মেশিন বসালেই কেল্লাফতে

মালদহ: এই গরমে রাস্তায় রাস্তায় আখের রস বিক্রি হতে দেখা যায়। তার চাহিদাও থাকে যথেষ্ট। কিন্তু আখের রস বের করার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয় দোকানদারদের। বাহুবল না থাকলে এই ব্যবসা করা বেশ কঠিন। কিন্তু এখন এমনই একটা দুর্দান্ত যন্ত্র চলে এসেছে যে বাহুবল ছাড়াই সহজে বার করে ফেলতে পারবেন আখের রস। এই যন্ত্র কিনতে খরচও হবে সামান্য।

আপনি যদি আখের রস বিক্রেতা হয়ে থাকেন তবে এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই পড়ুন। প্রচুর শক্তি দিয়ে চাকা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আর আখের রস বার করতে হবে না। এই নতুন মেশিন দিয়ে খুব সহজেই আখের রস বার করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বাজারে বেশ কিছু আখের রস বিক্রেতা এই মেশিনের ব্যবহার শুরু করেছেন।‌আপনি হয়ত ভাবতে পারেন এই মেশিন বসাতে খরচ প্রচুর। কিন্তু একেবারেই তা নয়। খুব সামান্য খরচেই এই মেশিন যে কেউ কিনতে পারবেন। এমনকি এই মেসিন বহনযোগ্য। আপনি আপনার ঠেলাগাড়ি বা ভ্যানেই এই মেশিন বসাতে পারবেন।

আরও পড়ুন: অত্যধিক গরমে সুপারি চাষের ব্যাপক ক্ষতি

তবে আধুনিক এই মেশিন চালাতে প্রয়োজন পড়বে বিদ্যুতের। তবে খুব একটা বেশি ভোল্টেজের প্রয়োজন হয় না। সামান্য ভোল্টেজেই এই মেশিন আপনি চালাতে পারবেন। তাই অনেকে ইনভেটারের সাহায্যে চালাচ্ছেন আখের রস বার করার এই আধুনিক মেশিন। আখের রস বিক্রেতা মহম্মদ হাসানুল জামান বলেন, এই মেশিনের সাহায্যে আখের রস বার করতে শক্তির প্রয়োজন হচ্ছে না। অল্প সময়ে বেশি আখের রস বার করা যাবে। ব্যাটারির সাহায্যে চলছে এই মেশিন। সাধারণ মেশিনের থেকে এই মেশিনে অনেক সুবিধা রয়েছে। খরচ খুব সামান্য।

আখের রস বিক্রেতারা সহজেই নিজেদের ভ্যান বা ঠেলাগাড়িতে ব্যাটারি সমেত এই মেশিন বসাতে পারবেন। মালদহের বাজারে বেশ কয়েকজন আখের রস বিক্রেতা এই মেশিনের ব্যবহার শুরু করেছেন। তাঁরা বলছেন, এই মেশিন বসাতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। হাতে ঘোরানো মেশিনের থেকে এই মেশিনে অনেক সুবিধে রয়েছে। প্রথমত দৈহিক শক্তি খরচ না করে আখের রস বার করা যাচ্ছে। অল্প সময়ে অধিক পরিমাণে আখের রস বার করতে পারছেন বিক্রেতারা। ফলে বেশি পরিমাণে বিক্রিও করতে পারছেন। এই মেশিন খুব অল্প ভোল্টেজে চলছে। দুটি ব্যাটারি লাগালেই টানা একদিন চলবে এই মেশিন। এর ফলে প্রচন্ড গরমে আখের রস বিক্রি করতে গিয়ে আর কষ্টের মধ্যে পড়তে হবে না ব্যবসায়ীদের।

হরষিত সিংহ

Sugarcane juice health benefits: গরম থেকে বাঁচতে আখের রস খাচ্ছেন? জানেন শরীরের কী কী লাভ হচ্ছে?

গরম থেকে বাঁচতে ঠান্ডা পানীয়ের বদলে অনেকেই ভরসা রাখেন আখের রসে। আখের রস থেকেই তৈরি হয় চিনি, কিন্তু চিনির থেকেও অনেক উপকারী ধরা হয় আখের রসকে। শুধু এনার্জির জন্যই নয়, শরীর সুস্থ রাখতে আখের রসের জুড়ি মেলা ভার।

আরও পড়ুন: ক্রিকেটের বড় যুদ্ধে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকস্তান, জিততে পারবে আইপিএল?

কেন আখের রস খাবেন?
১. সংক্রমণ কমাতে আখের রস গুরুত্বপূর্ণ। আখের রস ডাইইউরেটিক বলে শরীর থেকে একাধিক বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে ভূমিকা নেয়। জন্ডিসে আক্রান্ত হলে আখের রসকে ওষুধ হিসাবে বিবেচবনা করা হয়। লিভারের স্বাস্থ্য়ের জন্যও আখের রস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দলে ৩ রঞ্জি খেলা ‘ভারতীয়’, ২ জন খেলেন ভারতের U19 দলে, কোন দলে?

২. কিডনি ভাল রাখতে আখের রস খুবই জরুরি। আখের রসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম, সোডিয়াম এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটও প্রায় থাকেই না। তাই কিডনি ভাল রাখতে ভূমিকা নেয়।

৩. আখে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার জন্য আখ কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। তবে রস খাওয়ার থেকে চিবিয়ে খেলে বেশি পরিমাণে ফাইবার শরীরে কাজে লাগানো যায়।

৪. আখের রসে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন-সহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ। ত্বক ভাল রাখতে এই খনিজ পদার্থগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে আখের রসে থাকা আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড ব্রণর সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

৫. নানা গুণাগুণের পাশাপাশি আখের রস হজমেও ভূমিকা নেয়। আখের রসে রয়েছে পটাশিয়াম যা পাকস্থলির পিএইচ মাত্রা সঠিক রেখে হজমে সাহায্য করে।

Akher Rosh: গরমে যখন তখন আখের রস খাচ্ছেন? জানেন উপকারের মত করছে অপকারও!

গরমে রাস্তায় বেরিয়ে সবাই খুঁজছেন ঠান্ডা। গলা ভেজাতে অনেকেই চুমুক দিচ্ছেন আখের রসের গ্লাসে। কিন্তু জানেন আখের রস খেলে কি হয়?
গরমে রাস্তায় বেরিয়ে সবাই খুঁজছেন ঠান্ডা। গলা ভেজাতে অনেকেই চুমুক দিচ্ছেন আখের রসের গ্লাসে। কিন্তু জানেন আখের রস খেলে কি হয়?
পেটের রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরণ্য সরকার বলছেন, আখের রসে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালোরি থাকে।
পেটের রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরণ্য সরকার বলছেন, আখের রসে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালোরি থাকে।
তিনি বলছেন, গরমে শরীরকে জলশূন্যতার হাত থেকে রেহাই দিতে পারে আখের রস। দেয় শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান।
তিনি বলছেন, গরমে শরীরকে জলশূন্যতার হাত থেকে রেহাই দিতে পারে আখের রস। দেয় শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান।
গরমকালে জন্ডিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে ব্যাপকভাবে। তিনি বলছেন আখের রস শরীরকে জন্ডিস থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
গরমকালে জন্ডিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে ব্যাপকভাবে। তিনি বলছেন আখের রস শরীরকে জন্ডিস থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
তবে সারাদিনের দু'গ্লাসের বেশি আখের রস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, বেশি আখের রস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্ত পাতলা হওয়া সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে সারাদিনের দু’গ্লাসের বেশি আখের রস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, বেশি আখের রস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্ত পাতলা হওয়া সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গরমে এক গ্লাস আখের রসেই ম্যাজিক হবে শরীরে! জেনে নিন উপকারিতা

কলকাতা: আবার পুরোদমে গ্রীষ্মকাল শুরু হতে চলেছে। গ্রীষ্মকালে অবিরাম গরমের হাত থেকে বাঁচতে আমরা সবাই ঠান্ডা পানীয় পান করতে পছন্দ করি। তাই গ্রীষ্মকালে বেশিরভাগ মানুষই ঠান্ডা পানীয় বা শরবত ইত্যাদি পান করেন।

এই জিনিসগুলি ছাড়াও আখের রস পান করলেও শরীরের বিভিন্ন উপকার হয়। আখের রস আমাদের তেষ্টা মেটানোর পাশাপাশি শরীরের জন্যও উপকারী হয়ে ওঠে। আখের রস নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর।

এটিতে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো নানা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার ফলে গরমের দিনে শরীরও তাৎক্ষণিক শক্তি পায়। তাই আমাদের আখের রস পানের উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নানা তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন ডায়েটিশিয়ান আরতি ভগত।

আরও পড়ুন- দুপুরে খাবার পর খান এই স্যালাড, এক মাসে কমবে ৪ কেজি, গ্যারান্টি! কীভাবে বানাবেন?

গরমে আখের রস পান করলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। এটি আমাদের শীতকালে উষ্ণ এবং গ্রীষ্মে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো উপাদান থাকার কারণে, আখের রস গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

কিন্তু গরমের সময় অতিরিক্ত মাত্রায় আখের রস পান করলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অতএব, ডায়াবেটিক যাতে না হয় সেই অনুযায়ী আখের রস খাওয়া যেতে পারে।

এতে উচ্চপরিমাণে তরল থাকায় তা আমাদের হার্ট ও লিভারের জন্য ভাল। সুস্থ লিভার আমাদের অনেক মারাত্মক রোগ থেকে বাঁচায়। আখের রস পান করলে শরীরের টক্সিন নামক বিষাক্ত উপাদানগুলো আমাদের প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। তাই মূত্রনালীর সংক্রমণ সংক্রান্ত কোনও রোগ হয় না। এর পাশাপাশি কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও কমে।

শুধু তাই নয়, আখের রস পান আমাদের শরীরের চর্বি এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ডায়েটিশিয়ান আরতি ভগত তথ্য দিয়েছেন যে, আখের রস আমাদের ওজন কমাতেও কিন্তু সাহায্য করে।

আরও পড়ুন- বেশি ভিটামিন সি-তে ক্ষতি, জেনে নিন বয়স অনুযায়ী রোজ কতটা খেলে উপকার পাবেন

এটি বেশি ঘনত্বপূর্ণ তরল হওয়ায় ক্ষিদে মেটাতেও সাহায্য করে। ফলে বিকেলেও এটি খাওয়া যেতে পারে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

Organic Sugarcane Cultivation: সেচের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে সিরকাবাদের ঐতিহ্যবাহী আখ চাষ

পুরুলিয়া: গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ও শরীর ভাল রাখতে আখের বিকল্প হয় না। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতে আখ চাষ হলেও জেলা পুরুলিয়ার সিরকাবাদের আখ বিখ্যাত।‌ এই আখের শুধু এই রাজ্যেই নয়, ভিন রাজ্যেও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। ‌কোনওরকম রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে এখানে আখ চাষ করা হয়। তার ফলে সিরকাবাদ-এর আখের স্বাদ একেবারেই অন্যরকম হয়। এর থেকে যে গুড় তৈরি হয় তার স্বাদও অনেকটা আলাদা হয়ে থাকে অন্যান্য জায়গার তুলনায়।

পুরুলিয়ার আড়ষা ব্লকের সিরকাবাদের চাষিরা কয়েক পুরুষ ধরে আখ চাষের উপর নির্ভর করেই নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন। ‌এখানে আখ চাষের উপর নির্ভরশীল এলাকার ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের মানুষ। তবে বর্তমানে এই আখ চাষ করে তেমন একটা লাভ করতে পারছে না চাষিরা। এই এলাকায় নেই যথাযথ সেচের ব্যবস্থা। যার ফলে চাষের ক্ষেত্রে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় চাষিদের। এই বিষয়ে এলাকার চাষিরা বলেন, আখের ফলন মোটামুটিভাবে হয়েছে। এই আখের মান ভীষণই ভাল। এইরকম আখ পশ্চিমবঙ্গের অন্য কোথাও আর পাওয়া যায় না। কিন্তু আগে মত এখন আর আখ বিক্রি হয় না। কারণ ভিন রাজ্য থেকে আখ এই জেলায় আসছে। তাই এখানকার আখের কদর কমে যাচ্ছে। যদি তাঁদের জন্য সেচের ব্যবস্থা করা হয় তবেই একমাত্র এখানকার আখ চাষকে বাঁচানো যাবে।

আর‌ও পড়ুন: নদীর গ্রাসে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট! কলকাতার কাছে বলাগড়ে ভয়াবহ অবস্থা

আখ বিক্রির পাশাপাশি এখানকার চাষিরা অনেকেই আখের রসও বিক্রি করে থাকেন। গরমে সেই আখের রস খেতে অনেকেই তাঁদের দোকানে যান। তেমনই এক ক্রেতা বলেন, সিরকাবাদের আখের রস খুবই সুস্বাদু। অন্যান্য জায়গায় আখের রস খেয়ে থাকলেও এইরকম সুস্বাদু আখের রস আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সহায়তা করে আখের রস। কিডনি, লিভার ভাল রাখার পাশাপাশি পেটের বহু রোগ নির্মূল করতেও সাহায্য করে এই আখ। একাধিক গুনাগুন রয়েছে আখে। আর সিরকাবাদের আখের যথেষ্টই সুনাম রয়েছে। তাই চাষিরাও চায় তাদের এই আখ চাষ আগামী দিনেও থাকুক।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি