Tag Archives: Funeral

Ghatal Flood: মৃত্যুর পরও মর্মান্তিক পরিণতি! সৎকারের জন্য শেষমেশ যা করতে হল, শুনলে আঁতকে উঠবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা ঘণ্টা। খুঁজে পাওয়া যায়নি, সৎকারের জায়গা। বাধ্য হয়ে রাস্তার উপরে দিয়ে যাওয়া জলের প্রবল স্রোতে নৌকায় মৃতদেহ রেখে অন্যত্র গিয়ে সৎকার সম্পন্ন করতে হল পরিবারের লোকজনদের। ঘাটাল জুড়ে এখন এই চিত্র। এ যেন মরেও শান্তি নেই।

টানা ক’দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। পরিবারের সদস্যের মৃত্যুর পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা খুঁজেও পাওয়া গেল না সৎকারেরজন্য শুকনো জমি। বাধ্য হয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা জল পেরিয়ে অন্যত্র দাহ করানোর জন্য ব্যবস্থা করতে হল পরিবারের লোকজনদের। সমস্যায় পড়তে হয়েছে পরিবারের লোকজনদের।

আরও পড়ুন-       বলুন তো, কোন প্রাণীর রক্তের দাম সবচেয়ে বেশি? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! চমকে দেবে উত্তর, গ্যারান্টি…!

জানা গিয়েছে, ঘাটালের গড় প্রতাপনগর এর ৫৫ বছর বয়সী প্রতিমা চৌধুরীর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার রাত্রে তার মৃত্যু হয়। তবে এই বন্যা অবস্থায় সৎকার্যের জন্য পাওয়া যায়নি শুকনো জমি। মৃতার আত্মীয় রাজকুমার চৌধুরী জানান, কোথাও শুকনো জমি না থাকায় মৃতদেহকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে দাহ করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নৌকোয় চাপিয়ে জলে ভাসিয়ে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে দাহকার্য সম্পন্ন করা হয়। তাও বেশ কয়েক ঘণ্টাপরে।

আরও পড়ুন-   ১০০ বছরে এই প্রথমবার! দুর্গোপুজোয় বন্ধ থাকবে রঞ্জিত-কোয়েলদের বাড়ির দরজা, কারণটা কী? জানলে চমকে যাবেন!

বর্ষা কাটলেও জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বন্যা কবলিত ঘাটালে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য শুকনো জায়গাটুকুও নেই। স্বাভাবিকভাবে মৃত মহিলাকে নৌকায় চাপিয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ঘাটাল সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসা হয়। সেখানে শববাহী গাড়িতে করে শুকনো জায়গায় নিয়ে গিয়ে শ্মশান চুল্লিতে দাহ করা সম্পন্ন হয়। তবে এই বন্যায় ঘাটালে এতটাই জটিল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে তা এই ছবিতে স্পষ্ট।

রঞ্জন চন্দ

Offbeat News: সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সব নিয়ম মেনে মাথা মুড়িয়ে বাবার পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন মেয়ের

মৈনাক দেবনাথ, নদিয়া: সমস্ত সামাজিক বাধা পেরিয়ে মাথা কামিয়ে বাবার অন্ত্যেষ্টির কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন নিবেদিতা ঘোষ দাস। শান্তিপুর শরৎকুমারী স্কুল লেলিন সরণির বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সি নারায়ণচন্দ্র ঘোষের চার মাস আগে হৃদযন্ত্রের গোলযোগ হয়। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে উঠেছিল যে একাধিক চিকিৎসকদের দেখিয়েও কোনও ফল হয়নি। প্রত্যেকেই জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন বড়জোর মাস কয়েক আয়ু আছে তাঁর।

স্বাভাবিকভাবেই এই খবর শুনে পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও বাবার কিছু শেষ ইচ্ছের কারণে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তাঁর ছোট মেয়ে।পরিবার সূত্রে জানা যায়, নারায়ণবাবু অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসকেরা সময় বেঁধে দেওয়ার পরে তিনি তাঁর মেয়েকে বলে গিয়েছিলেন মৃত্যুর পরের সম্পূর্ণ ক্রিয়াকর্ম তার মেয়েই যেন করেন। এছাড়াও তিনি তার কর্নিয়াগুলি দান করে গিয়েছিলেন যাতে তাঁর কর্নিয়ার জোরে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান অন্য কোনও দৃষ্টিহীন মানুষ।

এরপর নারায়ণবাবুর মৃত্যুর পরে তাঁর ছোট মেয়ে নিবেদিতা বাবার সৎকার থেকে শুরু করে পুত্রসন্তানদের মতো একইভাবে চুল বিসর্জন দিয়ে সব নিয়ম অনুসরণ করে বাবার সমস্ত পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন করলেন তিনি। শুধু তাই নয়, বহুদিনের আর একটি ইচ্ছেও একইসঙ্গে পূরণ হল তাঁর। চুল কামানোর পরে সেই চুল ক্যানসার আক্রান্ত রোগীকে দান করেন তিনি।

আরও পড়ুন : আরাধ্য দেবতার আসনে বিশ্বকবির বিগ্রহ, এই মন্দিরে পূজিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

যদিও সামাজিকভাবে বাবার মৃত্যুর পরে কন্যাসন্তানদের এভাবে পারলৌকিক কাজ করতে সচরাচর দেখা যায় না, প্রথা ভেঙে এই ধরনের ব্যতিক্রমী কাজ করার জন্য কোন বাধার মুখে পড়তে হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে নিবেদিতা জানান, “এটা আমার বাবা বলে গিয়েছিলেন আমি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছি। কন্যাসন্তানই আমার মুখাগ্নি করবে। আমার বাবা আমাকেই বলে গিয়েছিলেন। দিদি এসেছিলেন। দিদিও তাঁর সাধ্যমতো কাজ করে গিয়েছেন। পরিবার-সহ আত্মীয়স্বজনেরাও উচ্ছ্বসিত এই ছকভাঙা কাজে।

একজন পুত্রসন্তান যা যা করেন, আমি মেয়ে  হয়ে আমার বাবার জন্য সেই কাজগুলিই করেছি”। প্রথাগত রীতি ভুলে ব্যতিক্রমী কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তার পরিবার-সহ আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকেও। তাঁরা প্রত্যেকেই জানাচ্ছেন প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত ইচ্ছে থাকে। নিজের বাবার জন্য এই কাজ করেছেন। তার জন্য খুশি সকলেই।