নদিয়া: নিম্নচাপের প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টিতে একদিকে যেমন বাড়ছে জলস্তর অন্যদিকে ভাগীরথী পাড়ের মাটি নরম হয়ে ভেঙে জলের তলায় যেতে বসেছে চাষের জমি-সহ এক পাড়া থেকে অন্যপাড়া যাওয়ার রাস্তা।নদিয়ার শান্তিপুর, নৃসিংহ পুর, চৌধুরীপাড়া, কালীর ঘাট নৌকা পারাপারের ঘাট চলে গেল ভাগীরথী বক্ষে, আর তার ফলেই ভাগীরথীর মধ্যে বিস্তীর্ণ চড়ে চাষাবাদ করতে যাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে ভাগীরথী পেরিয়ে বর্ধমান কালনা কিংবা শান্তিপুরেরই মানিকনগর চর অথবা নবদ্বীপ যাওয়া এখন খুবই সমস্যা। যদিও এটা এই এলাকার সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ঘাট, সরকার পরিচালিত বা অনুমোদিত নয়। কিন্তু এলাকার প্রায় তিন শতাধিক পরিবার নির্ভরশীল ছিল এই ঘাটের ওপর।
আরও আশ্চর্যের বিষয় সম্প্রতি নদিয়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিগত প্রায় পাঁচ বছর আগে ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকা গুলিতে বালির বস্তা ফেলে এবং পাথর ও বোল্ডার দিয়ে বাঁধানো হয়েছিল এই ঘাটও কিন্তু মাত্র তিন বছর আগে বাঁধানো পাড় এখন জলের তলায় পাথর বোল্ডার বালির বস্তা আর কিছুই নেই। পার্শ্ববর্তী বাসিন্দার এবং কৃষকরা আবারও আতঙ্কিত।
বিষয়টি স্বচক্ষে দেখে যান হরিপুর পঞ্চায়েত প্রধান বীরেন মাহাতো, তিনি জানাচ্ছেন এর আগেও অত্যন্ত প্রান্তিক এই এলাকাতে গঙ্গা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু মানুষ যদিও রাজ্য সরকার সেক্ষেত্রে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে এলাকার একটি পিচের রাস্তা নির্মাণ করার ফলে ওই এলাকার মানুষগুলো যথেষ্ট সুবিধা হয়েছে। এমনকি ভাগীরথী ভাঙনেও সরকার যথেষ্ট সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে বাধাই করা হচ্ছে, ভাগীরথীর বিস্তীর্ণ অংশের।
পঞ্চায়েত প্রধান বীরেন মাহাতো জানান, ‘‘তবে আমরা পঞ্চায়েত থেকে সচেষ্ট রয়েছি পিচের রাস্তাটি ভাগীরথীর সমান্তরালে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যাতে আরও কিছুটা নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে।’’ চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে এলাকাবাসীরা জানান, লাগাতার বৃষ্টি হলেই পাড়ের মাটি নরম হয়ে ভেঙে পড়ে ভাগীরথী বক্ষে এভাবেই তাদের কৃষি জমি এমনকি ইদানিং বেশ কিছু ঘর বাড়িও জলের তলায় চলে গিয়েছে। আর সেই কারণেই রুজি-রুটির টানে কখনও ভাগীরথী বক্ষে সৃষ্টি হওয়া সুবিশাল চড়ে চাষাবাদ করা হয় তবে সেক্ষেত্রেও এই কালীরঘাট থেকে নৌকা পারাপার করে কিন্তু এবারের সেই ঘাটও জলের তলায় চলে যাওয়ায় যথেষ্ট সমস্যায় রয়েছেন তারা।
Mainak Debnath