পাঁচমিশালি Knowledge Story: বলুন তো, কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে লম্বা? ছেলে না মেয়ে উচ্চতায় এগিয়ে কে? নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি…! Gallery July 29, 2024 Bangla Digital Desk বিশ্বের একেকটি দেশে একেক রকমের বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, প্রতিটা দেশেই কিছু না কিছু স্পেশ্যাল রয়েছে৷ আচ্ছা বলুন তো, কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে লম্বা৷ এর উত্তরটা বেশিরভাগ লোকই জানেন না৷ নেদারল্যান্ডস বিশ্বের এমন একটি দেশ যেখানে সবচেয়ে বেশি লম্বা মানুষ পাওয়া যায়। এখানকার মানুষের গড় উচ্চতা ১৮৪ সেন্টিমিটার অর্থাৎ প্রায় ৬.০৩ ফুট। মজার ব্যাপার হলত, আঠারো শতক পর্যন্ত নেদারল্যান্ডস এবং ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে মানুষের গড় উচ্চতা ছিল ১৬৫ সেন্টিমিটার। কিন্তু গত ২০০ বছরে ডাচদের উচ্চতা গড়ে ১৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বিবিসি অনুসারে, নেদারল্যান্ডে মহিলাদের গড় উচ্চতা ১৬৮.৫ সেন্টিমিটার (৫.৫২ ফুট) যেখানে পুরুষদের গড় উচ্চতা ১৮৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। কয়েক দশক আগে পর্যন্ত, আমেরিকানদের বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল, কিন্তু এখন নেদারল্যান্ডস তাদের ছাড়িয়ে গেছে। আমেরিকান পুরুষদের গড় উচ্চতা ১৭৭.২ সেন্টিমিটার (৫.৮ ফুট) যেখানে মহিলাদের গড় উচ্চতা ১৬৩.২৫ সেন্টিমিটার (৫.৩ ফুট)। লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির মতে, নেদারল্যান্ডে সবসময় এমনটি ছিল না। আঠারো শতক পর্যন্ত, নেদারল্যান্ডের মানুষদের উচ্চতার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে খাটো মানুষের মধ্যে গণ্য করা হয়েছিল, কিন্তু গত ২০০ বছরে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটেছে। নেদারল্যান্ডসের মানুষ আমেরিকানদের পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ব্যক্তির খেতাব দখল করেছে। কানাডার লেথব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুইস ব্যারেট, যিনি নেদারল্যান্ডসের মানুষের উচ্চতা নিয়ে গবেষণা করেছেন, বলেছেন যে ডাচদের উচ্চতা বাড়াতে জেনেটিক্স ভূমিকা রাখে, তবে সবচেয়ে বড় ভূমিকা খাবার, পানীয় এবং গুণমান। জীবনের। নেদারল্যান্ডসের জীবনযাত্রার মান গত কয়েক দশকে পরিবর্তিত হয়েছে। সংক্রামক রোগে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে এবং মানুষ তাদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে খুবই সতর্ক হয়ে উঠেছে। অধ্যাপক লুইস ব্যারেট বলেছেন যে ডাচদের উচ্চতা বাড়াতে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে তা হল দুধ, দই এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত পণ্য। গত কয়েক বছরে, নেদারল্যান্ডে অনেক দুগ্ধ শিল্প খোলা হয়েছে। দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর মানুষের নির্ভরতা বেড়েছে। এর কারণে মানুষ প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাচ্ছে, যা হাড় মজবুত করার পাশাপাশি উচ্চতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পাঁচমিশালি General Knowledge: বলুন তো কোন প্রাণী বোবা হয়? চমকে দেওয়া উত্তর! ৯৯% লোকজন ভুল উত্তর দিয়েছেন! Gallery July 28, 2024 Bangla Digital Desk চাকরির পরীক্ষায় এমন অনেক প্রশ্ন আসে যা কিছুক্ষণের জন্য ঘাবড়ে দেয় পরীক্ষার্থীদের। খুব সহজ মনে হলেও আদতে পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশই জানেন না উত্তরটি। বর্তমানে স্মার্ট ফোনের যুগে অবসর সময়ে অনেকেই জিকে অথবা ধাঁধার সমাধান করার পিছনে সময় দিয়ে থাকেন। প্রায় প্রতিটা মানুষেরই পশুপাখি নিয়ে আগ্রহ থাকে কিন্তু পশুপাখির সম্পর্কে বহু কিছু আমাদের কাছে অজানাই থেকে যায়। আমরা অনেকেই জানিনা কোন প্রাণী বোবা হয়? উত্তরটি খুবই সহজ কিন্তু আমাদের অনেকের অজানা। পশুজগতে জিরাফ একটি বোবা প্রাণী। শান্ত এই প্রাণীটির উচ্চতা প্রায় ১৮ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু জিরাফকে ‘বোবা প্রাণী’ বলা হয়। কারণ জিরাফের উৎপন্ন শব্দের কম্পন ২০ হার্জের নিচে। তাই মানুষ তা কানে শুনতে পারে না।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: ছেলেদের এই পোশাকের নাম স্যান্ডো-গেঞ্জি কেন জানেন? উত্তর জানলে চমকে যাবেন! Gallery July 28, 2024 Bangla Digital Desk বাচ্চা থেকে বয়স্ক, পোশাকের নীচে সাদা নরম কাপড়ের স্যান্ডো গেঞ্জি পরেন সকলেই। পুরুষদের পছন্দের এবং প্রয়োজনের এই পোশাক অত্যন্ত জনপ্রিয়। আসলে স্লিভলেস বা হাতা কাটা শার্ট বলা যেতে পারে। সেটিই পশ্চিমবঙ্গও বাংলাদেশে স্যান্ডো গেঞ্জি নামে পরিচিত এবং ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত। গরমকালে শরীরের প্রধান পোশাককে ঘামে ভেজা থেকে রক্ষা করতে এই অন্তর্বাস পরার চল কিন্তু খুব বেশি দিন আগে শুরু হয়নি। অনেকে মনে করেন, ব্রিটিশ আমলেই ভারতে এই হাতাকাটা বিশেষ পোশাক পরার চল শুরু হয়। তবে এমন নামের পিছনে এক বিখ্যাত লোকের নাম জড়িয়ে আছে বলে ধারণা করা হয়। তিনি বিদেশি হলেও এক বিশেষ কারণেই ওই সময় ভারতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এর আগে স্লিভলেস শার্ট নিয়ে একটু জানা যাক। এটি মূলত পশ্চিম থেকেই পরবর্তীতে প্রাচ্যে এসেছে। এ ধরনের পোশাকের শৈলী সাধারণত লিঙ্গের উপর নির্ভর করে। এ ধরনের পোশাক আন্ডারশার্ট বা অন্তর্বাস হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। আবার ক্রীড়াবিদেরা ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড এবং ট্রায়থলনের মতো খেলায় পরে থাকেন। অনেক বলেন, গেঞ্জির উৎস ইংরেজি guernsey বা gansey। ইংল্যান্ডের গুয়েরেন্সি দ্বীপপুঞ্জে জেলেরা নরম ও আরামদায়ক এক ধরনের পোশাক পরতেন। বৃষ্টি ও নোনা জলের ছাঁট থেকে বাঁচতে সহায়ক এই পোশাকের নাম ওই দ্বীপপুঞ্জের নামানুসারে প্রচলিত হয়। ব্রিটিশ নৌসেনারাও এই পোশাক ব্যবহার করতেন। ব্রিটিশদের মাধ্যমেই ভারতবর্ষে এই ঔপনিবেশিক অন্তর্বাসের আগমন ঘটেছে বলে ধারণা করা যায়। সেই সূত্রে ঢুকে গিয়েছে বাংলা ভাষার শব্দসম্ভারে। কিন্তু গেঞ্জির সঙ্গে আমরা আবার স্যান্ডো বসাই। ফিলিপিন্সে যখন এটি শার্টের নিচে পরা হয়, তখন নাম হয় ‘স্যান্ডো’। ফিলিপিনো ভাষায় স্যান্ডো মানেই ঊর্ধ্বভাগের অন্তর্বাস। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে একে বলে স্যান্ডো-গেঞ্জি। ভারতের অন্যান্য পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যেও এটিকে বলে স্যান্ডো-গেঞ্জি। কিন্তু বাংলাতে এটি স্যান্ডো গেঞ্জি নাম হল কীভাবে? এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিখ্যাত জার্মান বডিবিল্ডার ইউজেন স্যান্ডোর নাম। ১৮৬৭ সালে তাঁর জন্ম। মারা গিয়েছেন ১৯২৫ সালে। জার্মানির কনিগসবার্গে জন্মগ্রহণকারী স্যান্ডো ১০ বছর বয়সে ইতালি সফরের সময় শরীরচর্চায় আগ্রহী হন। সেই সময়ের বড় বড় তারকাদের সঙ্গে বিভিন্ন শোয়ে অংশ নিয়েছেন। বলা হয়, ১৯০১ সালে তিনিই প্রথম বিশ্বের বৃহত্তম বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। লন্ডনের রয়্যাল আলবার্ট হলে সেই আয়োজনে লেখক আর্থার কোনান ডয়েল এবং ক্রীড়াবিদ ও ভাস্কর চার্লস লয়েস-উইটেওরঞ্জের সঙ্গে বিচারকের আসনে ছিলেন স্যান্ডো। স্যান্ডোর বাইসেপস ছিল সাড়ে ১৯ ইঞ্চি! ঊরু ছিল বিখ্যাত ব্রিটিশ রেসিং ড্রাইভার ও সাইক্লিস্ট ক্রিস হোয়ের সমান। তাঁর শরীরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও অনন্য বিষয় ছিল সিক্স প্যাক বডি। প্রশস্ত ছাতি, ৪৮ ইঞ্চি। ফুললে হত ৬২ ইঞ্চি। সেই সময়কার আদর্শ পুরুষের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। মেয়েদের কাছে ছিলেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ১৯০৫ সালে ভারত সফর করেন স্যান্ডো। বড় আয়োজন করে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানায় ভারতবাসী। অবশ্য এর আগে থেকেই ভারতে ‘নায়ক’-এ পরিণত হয়েছিলেন স্যান্ডো। কারণটা খুব সহজ, ওই সময় ভারতে জাতীয়তাবাদী আবেগ তুঙ্গে। স্যান্ডো হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় যোগের একজন আন্তর্জাতিক আইকন। আমেরিকান নৃতাত্ত্বিক জোসেফ এস অলটারের মতে, শরীরচর্চা হিসেবে আধুনিক যোগের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিটি হলেন স্যান্ডো। বিভিন্ন শোয়ে ইউজেন স্যান্ডো স্লিভলেস শার্ট বা গেঞ্জি পরতেন। সেটি এখনকার স্যান্ডো গেঞ্জিরই কাছাকাছি। ধারণা করা হয়, বাংলার মানুষ আদর করে তাঁর নামেই রেখেছেন তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পোশাকের নাম ‘স্যান্ডো গেঞ্জি’।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: সাপের মহাশত্রু, সাক্ষাৎ যম ‘এটি’…! নাগ পঞ্চমীতে ভুলেও করবেন না এই কাজ! ডেকে আনবে চরম সর্বনাশ! জানুন বিশেষজ্ঞের থেকে Gallery July 28, 2024 Bangla Digital Desk শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে সাপকে দুধ খাওয়ালে সর্প দেবতা খুশি হন। কিন্তু সাপকে দুধ খাওয়ানো নিয়ে শাস্ত্রে যে মতামত দেওয়া হয়েছে তা বিজ্ঞান মানে না। প্রাণীদের স্বভাব ও গুণাবলী নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা স্বীকার করেন যে সাপের শরীর দুধ পান করতে পারে, তাহলে তার অন্ত্রে সংক্রমণ ঘটে এবং দ্রুত মারা যায়। ‘দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছি’- এই প্রবাদটি বহু বছর ধরে বাংলায় প্রচলিত৷ সাপ বাটি থেকে দুধ খাচ্ছে এমনটা শুধু ছবিতেই নয়, বাস্তবেও কিছু মানুষ সাপকে দুধ খাওয়ান। নাগপঞ্চমী, শিবরাত্রি দিনগুলিতে এই ধরনের দৃশ্য দেখা যায়৷ দুধ সাপের জন্য বিষ হিসেবে কাজ করে। সেই কারণেই সাপ বিশেষজ্ঞরা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করলেও মানুষকে সচেতন করে তোলেন যে তারা যেন সাপকে দুধ না খাওয়ায়। সাপের খিদে পেলে তারা ব্যাঙ, ইঁদুর, পাখি, টিকটিকি শিকার করে। তৃষ্ণা মেটাতে সাপ শুধু জল পান করে। ভারতে সাপ সম্পর্কিত একটি ঐতিহ্য রয়েছে, যার অধীনে বহু শতাব্দী ধরে সাপকে দুধ খাওয়ানোর প্রথা রয়েছে। নাগ পঞ্চমীতে, সাপ প্রেমীরা সাপ নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় এবং তাদের দুধ পান করায়। সাপের শরীরে হাড় নেই বলে দুধ তার জন্য বিষের মতো। সাপ এমন জিনিস খায় যা অ্যাসিডিক বা ক্ষারীয় নয়। দুধ খেলে সাপের অন্ত্রে সংক্রমণ হয়, যা সাপের জন্য ক্ষতিকারক। দুধের পরিমাণ একটু বাড়লেই সাপ মারাও যেতে পারে। সাপ প্রেমীরা তাদের দাঁত ভেঙ্গে ফেলে এবং তাদের বিষাক্ত গ্রন্থিগুলিও সরিয়ে দেয়। যাতে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে কাউকে আক্রমণ করলেও তাদের কোনও ক্ষতি হয় না। কিন্তু দাঁত ভাঙলে সাপের মুখে ক্ষত হয়। সর্পপ্রেমীরা নাগ পঞ্চমীর আগে বেশ কিছু দিন সাপকে ক্ষুধার্ত ও পিপাসার্ত রাখে, যাতে তারা খিদের কারণে কিছু পান করতে পারে। বহু দিনের ক্ষুধার্ত সাপ নাগ পঞ্চমীতে দেওয়া দুধকে জল ভেবে পান করে। এমন অবস্থায় দুধ পান করার ফলে মুখের ক্ষত আরও খারাপ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে দুধ খাওয়ার ফলে সাপের ফুসফুস ও অন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর কয়েকদিন পর মারা যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার লেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভিড কুডল ২০১২2 সালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলেছিলেন যে প্রকৃতি শুধুমাত্র জীবের মধ্যে সেই অঙ্গ এবং রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে যা তাদের প্রয়োজন। দুধ হজম করার জন্য যে রাসায়নিকের প্রয়োজন হয় তা সাপের পেট বা অন্ত্রে তৈরি হয় না। এমন পরিস্থিতিতে সাপ দুধ পান করলে তা তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
জলপাইগুড়ি, পাঁচমিশালি Electric Bill: বসবাস ভারতে, বিদেশ থেকে আসে জল! বিদুৎ বিলও জমা নেয় পড়শি দেশই! বাংলার এই গ্রামের নাম জানেন? Gallery July 19, 2024 Bangla Digital Desk *বাসভূমি ভারত কিন্তু বিদ্যুতের বিল গুনতে হয় বিদেশের! জানলে অবাক হবেন আমাদের দেশেই রয়েছে অবাক করা এই গ্রাম। এখনও ভারতের এই এলাকার মানুষ পড়শি দেশ ভুটানের বিদ্যুত এবং পানীয় জলের উপর নির্ভরশীল। এমনকি তাদের নিয়ম করে ভুটান সরকারকেই বিদ্যুতের বিল দিতে হয়। প্রতিবেদনঃ সুরজিৎ দে। প্রতীকী ছবি। *ইতিহাস বলে সেই ১৯৫২ সাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা থানার অধীন ভুটান সীমান্ত গ্রাম জিটি ভুটানের গোপাল লাইন, এই স্থান দিয়েই চলছিল দু-দেশের অতিসাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সৌহার্দ্য পূর্ণ মেলামেশা থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর কেনাবেচা। কিন্তু, আচমকাই হয় ছন্দপতন। প্রতীকী ছবি। *করোনাকালে প্রথম বন্ধু হয় দুই দেশের মেলামেশা থেকে ব্যবসা। সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার পর পুরনো ছন্দে না ফিরে উল্টে ২০২২ সালে ভুটান সরকার প্রথমে তাদের জমিতে থাকা ভুটানের নাগরিকদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে থাকা দু-দেশের সীমান্তে থাকা বাঁশের ফটকটি তুলে দিয়ে ধীরে ধীরে ১০ ফুট উচ্চতার তারের বেড়া এবং প্রাচীর তুলে দেয়। সেই থেকেই বন্ধ ভারতের সঙ্গে ভুটানের নাগরিকদের মেলামেশা থেকে ব্যবসা। প্রতীকী ছবি। *স্বাভাবিকভাবে, এই জিটি ভুটান সীমান্ত গ্রামের কুড়িটি পরিবারের পাশাপাশি, নাগরাকাটা ব্লকের জিটি এবং হোপ চা বাগান-সহ প্রায় সাত হাজার মানুষের আর্থ সামাজিক স্বাস্থ্য দুর্বল হয়ে পড়ছে প্রতিদিন। প্রতীকী ছবি। *স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ফিরোজের কথায়, আমরা ভেবেছিলাম পরে আবার ফিরে আসবে পূর্বের অবস্থা, কিন্তু না,হঠাৎ করে বন্ধ ভুটানের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবসা। উঁচু তারের বেড়ায় বাধা পেয়ে ভেঙে পড়ছে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার আর্থ সামাজিক স্বাস্থ্য। প্রতীকী ছবি। *দু-দেশের প্রশাসনের কাছে এখন তাদের একটাই আবেদন দ্রুত দুই দেশের মধ্যবর্তী গেট খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক তাহলেই সচ্ছল থাকবে অর্থ সামাজিক উন্নয়ন। কিন্তু কবে সীমান্তবর্তী এই এলাকা তার পুরনো ছন্দে ফিরবে তার অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন এলাকার সকলে। প্রতীকী ছবি।
লাইফস্টাইল Knowledge Story: বলুন তো শরীরের কোন অঙ্গ ঘামে না… ৮৮ শতাংশ এর উত্তর জানে না! আপনি বাকি ১২ শতাংশের দলে পড়েন? Gallery July 19, 2024 Bangla Digital Desk বিভিন্ন চাকরির ইন্টারভিউতে পরীক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন করা হয়। সবসময় যে কারেন্ট নিউজের উপরেই প্রশ্ন করা হয়, তা কিন্তু নয়। ইন্টারভিউ যাঁরা নেন, তাঁরা স্মার্টনেস বা বুদ্ধির প্রখরতাও দেখেন। এমনই এক বুদ্ধির গোড়ায় শান দেওয়া প্রশ্ন রইল এখানে। জানার কোনও শেষ নেই। আমাদের আশেপাশে থাকা যে কোনও বিষয় ঘিরেই আছে নানা আশ্চর্যজনক তথ্য যা আমাদের জানার পরিধির বাইরে। যা শুনলে আমরা আকাশ থেকে পড়ি। এমনও যে হতে পারে ভাবা যায় না। উত্তরটা জানলে আমাদের অবাক হওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। আজকাল অনেক প্রতিযোগিতাতে এমসিকিউ আসে। আর সেই সব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য এসব জানা খুব জরুরি। কখনও কখনও এমন হয়, উত্তরটা হয়তো আমরা জানতাম। কিন্তু শুধু মাথা ঠান্ডা না রাখার কারণে জানা জিনিসের উত্তর দিতে ভুল করি। আজ যে প্রশ্নটি এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তা চেনা একটি প্রশ্ন হলেও এর উত্তর অনেকের কাছেই অজানা। বলা ভাল বেশিরভাগ মানুষই এর উত্তর দিতে ভুল করেছেন। বলুন তো শরীরের কোন অঙ্গ ঘামে না? উত্তরটি হল ঠোঁট। আমাদের ঠোঁট কখনও ঘামে না। এর কারণ হল ঠোঁটে ঘাম গ্রন্থি নেই! গরমে শরীরের সব অঙ্গ ঘেমে নেয়ে একসা হয়ে যায়। ঘামে না শুধু ঠোঁট। তবে শীতকালে বা শুষ্ক আবহাওয়ায় ঠোঁট ফাটে। সেক্ষেত্রে লিপবাম, জেল বা ভেসলিন লাগালে কাজ হয়।
পাঁচমিশালি, লাইফস্টাইল XXL, XL, XS.., জামার সাইজের এই ‘X’ শব্দের মানে কী বলুন তো? ‘সঠিক’ উত্তর জানেন না অনেকেই! আপনি জানেন তো? Gallery July 18, 2024 Bangla Digital Desk প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা এমন কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হই যার উত্তর জানা থাকলেও তৎক্ষণাৎ মনে পরে না। আবার এই সব প্রশ্ন ও তার সঠিক উত্তরই অনেক সময় চায়ের আসরে ঝড় তোলে। কারণ আসল কথা হল, উত্তর তো অনেকেই জানেন কিন্তু সঠিক উত্তর জানেন ক’জন? জিকে বা সাধারণ জ্ঞানের চর্চায় বর্তমান স্মার্ট যুগে আমরা মোবাইলের মাধ্যমে অনেক সময় অজানা নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তার উত্তর খোঁজা শুরু করি। কিন্তু কিছু খুব সাধারণ বিষয় আছে যেগুলি সম্পর্কে আমরা খুব একটা জানতে চাই না। এমনই একটি প্রশ্ন নিয়ে আজ এই প্রতিবেদনে মাথা ঘামানো যাক। আজ আমরা আপনাকে আপনার পোশাক নিয়েই এমন একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চলেছি যার উত্তর চট করে দিতে গেলে মাথা চুলকাবেন অনেকেই। আবার সঠিক উত্তরে অনেকেই অবাক হবেন। কারণ এখনও অনেকেই হয়তো এর অর্থ জানেন না। আমরা যখনই জামা-কাপড় কিনতে যাই, কয়েকটা সংখ্যা বা শব্দ বা অক্ষর আমাদের প্রায়সই চোখে পরে। সংখ্যাগুলিতে লেখা থাকে ৪০, ৪২ বা ৪৪, কিন্তু অনেক পোশাকের গায়ে XL বা XXL লেখা থাকে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন জাগে এর মানে কী? দেখা যায়, ৯৯ শতাংশ মানুষই কিন্তু জানেন না আসল উত্তরটি। আসলে সবসময় চোখে পড়লেও আমরা কখনই এর অর্থ জানতে তেমন আগ্রহী হই না। শুধু জামাকাপড়ই কিন্তু নয়, এমন নানা কোড শব্দ কিন্তু খাদ্য সামগ্রীতেও লেখা থাকে। যার অধিকাংশেরই মানে আমাদের অজানা। এমতাবস্থায় আজ চলুন জেনে নেওয়া যাক জামার গায়ে লেখা এই X এর আসল অর্থ কী? আসলে, XL, XXL সাইজের জামা-কাপড়ে, ‘X’ মানে অতিরিক্ত এবং ‘L’ মানে বড়। আমরা যদি এই ভাবে দুই অর্থ এক করে দেখি তবে, XL মানে হয় অতিরিক্ত বড়। যেখানে, XXL মানে অতিরিক্ত অতিরিক্ত বড়। তার মানে এক্স মানে অতিরিক্ত। সাধারণত, XL সাইজের শার্টের মাপ ৪২ ইঞ্চি এবং XXL শার্ট বা জামাকাপড়ের আকার ৪৪ ইঞ্চি হয়ে থাকে। যেখানে, XXXL আকার ৪৬ ইঞ্চি হয়। এমতাবস্থায়, আপনি যদি আপনার শার্টের আকার জানেন তবে XL, XXL দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন কোন শার্টটি আপনাকে মানাবে বা কোনটি আসলে আপনার সাইজের। একইভাবে, XS, S, M এবং L আকার বা সাইজও রয়েছে। যার অর্থ খুব ছোট, ছোট, মাঝারি এবং বড়। তার মানে একটা ছোট, একটা একটু বড় আর একটা শার্ট তার থেকে আরও একটু বেশি বড়। তবে এর পরেও কোনও কোনও কোম্পানি শার্টের আকার বাড়াতে বা কমাতে পারে। এমতাবস্থায় এই পার্থক্যটিকে খুবই গৌণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু শার্ট বা শার্টের আকৃতি বা সাইজ সহজে বোঝার জন্য এই এক্স অক্ষর ব্যবহার করা হয় প্রায় সব পোশাকেই। ডিসক্লেইমার: এই খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য নিউজ 18 বাংলা নিশ্চিত করে না। বিশেষত আপনার সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করাই আমাদের এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য। আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার জন্য এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত জ্ঞানের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া কাম্য।
পাঁচমিশালি General Knowledge Story: মারা যাওয়ার পরেও দীর্ঘক্ষণ বেঁচে থাকে শরীরের ‘এই’ একটি অঙ্গ… নাম জানেন? বেশিরভাগেরই ভুল উত্তর Gallery July 11, 2024 Bangla Digital Desk মৃত্যু জীবনের এক অমোঘ সত্যি। এর রহস্য ভেদ করা আজও সম্ভব হয়নি। কারণ, মৃত্যুর পরে কী আছে কেউ জানে না। মৃত্যুর ঠিক আগে এক এক করে অঙ্গগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয়। প্রথমে শ্বাস প্রক্রিয়া বন্ধ হয়। তার পরই হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী পাঁচ মিনিটের মধ্যে শরীরের অভ্যন্তরে অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং কোষগুলি মারা যেতে শুরু করে। এই অবস্থাকে বলা হয় ‘পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন’। তবে এমন কয়েকটি অঙ্গ রয়েছে যা মারা যাওয়ার পরেও সচল থাকে। মৃত্যুর পরের কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেগুলি বের করে অন্য রোগীকে দেওয়া হয়। মৃত্যুর পরবর্তী ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা হৃদপিণ্ড সজীব থাকে। কিডনি ৭২ ঘণ্টা, লিভার ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা সতেজ থাকে। নখ ও চুল মৃত্যুর পরও বাড়তে পারে। অনেক সময় দেখা গিয়েছে, মানুষের মৃত্যুর পরও তাঁর দাড়ি বাড়ছে। মৃত্যুর পরও মূত্রনালির ব্লাডার খালি হতে পারে। অনেক সময় মৃত্যুর পর মৃতদেহ থেকে প্রসাব নির্গত হতে পারে। মৃত্যুর পরেও স্নায়ুতন্ত্র তার কাজ বন্ধ করতে বেশ কিছুটা সময় নেয়। এই কারণেই প্রায়শই শরীর নড়াচড়া করতে দেখা যায়। পেশী শক্ত হয়ে গেলেও নড়াচড়া ঘটে। যেমনটা জীবিত অবস্থায় ঘটত।
লাইফস্টাইল General Knowledge: ফল তো সকলেই খাই! বলুন তো কোন ফলে পোকা হয় না? নামটা কিন্তু সকলের জানা! Gallery July 9, 2024 Bangla Digital Desk চাকরির পরীক্ষায় এমন অনেক প্রশ্ন আসে যা কিছুক্ষণের জন্য ঘাবড়ে দেয় পরীক্ষার্থীদের। খুব সহজ মনে হলেও আদতে পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশই জানেন না উত্তরটি। বর্তমানে স্মার্ট ফোনের যুগে অবসর সময়ে অনেকেই জিকে অথবা ধাঁধার সমাধান করার পিছনে সময় দিয়ে থাকেন। রোজই আমরা বেশিরভাগ মানুষই ফল খাই কিন্তু ফলের সম্পর্কে বহু কিছু আমাদের কাছে অজানাই থেকে যায়। আমরা অনেকেই জানিনা কোন ফলে পোকা হয় না? কলা এমনই একটি ফল যা আমরা প্রায় প্রতিদিনই খেয়ে থাকি। কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কলায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক রকমের কলা পাওয়া যায়। ভারতে প্রায় ৩৩ জাতের কলা জন্মায়। এতে অনেক কলার জাত খুবই সুস্বাদু। কলার মধ্যে কোন পোকা হয় না। এর কারণ হল কলার ফলে সায়ানাইড নামক রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায়। এ কারণে এ ফলটিতে পোকামাকড় দেখা যায় না। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
পাঁচমিশালি General Knowledge: জিকে তো সবাই পড়েন! জানেন কি GK-এর জনক কাকে বলা হয়? উত্তরটা কিন্তু ভাবাবে! Gallery July 9, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণ জ্ঞান ও ধাঁধা আমাদের অনেকের কাছেই খুব প্রিয়। বর্তমানে স্মার্ট ফোনের যুগে অবসর সময়ে অনেকেই জিকে অথবা ধাঁধার সমাধান করার পিছনে সময় দিয়ে থাকেন। এমন অভ্যাস যাদের রয়েছে তাদের পক্ষে খুব ভালো বিষয়। তার কারণ অজানা বিষয় জেনে নিজের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করা যায়। একসঙ্গে ধাঁধার সমাধান করে মগজাস্ত্রে শান দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বর্তমানে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় বুদ্ধির প্রশ্নও এসে থাকে। তবে আজ যে প্রশ্নটি এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তা চেনা একটি প্রশ্ন হলেও এর উত্তর অনেকের কাছেই অজানা। এই প্রতিবেদনে তেমন একটি ট্রিকি প্রশ্ন করা হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে জিকে তো সবাই পড়েন! জানেন কি GK-এর জনক কাকে বলা হয়? উত্তর অবাক করবে! GK এর জনক কে? রুস্তম কামার স্ত্রী ভিকাইজি কামাকে জিকের জনক বলা হয়। মুম্বইয়ের এক সম্ভ্রান্ত পারসি জরথুষ্ট্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি একজন উল্লেখযোগ্য ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সমাজ সংস্কারক ছিলেন, তিনি “জিকের জনক” নামে পরিচিত। সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে তাঁর অপরিসীম অবদানের কারণে তাঁকে এই উপাধি দেওয়া হয়। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)