Tag Archives: Higher Secondary 2024 result

Higher Secondary Result 2024: ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতা নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ৯২% নম্বর! বালুরঘাটের পায়েলের বিরাট চমক

দক্ষিণ দিনাজপুর: হাঁটাচলা তো অনেক পরের ব্যাপার, সরু ও রুগ্ন হাত দুটো কোন‌ও ভারী কাজ করতে পারে না। শুধুমাত্র কোনরকমে কলম চালাতে শিখেছেন। আর তাতেই বাজিমাত। ৮০ শতাংশ বিশেষভাবে সক্ষম পায়েল পাল এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯২ শতাংশ নাম্বার পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

বিশেষভাবে সক্ষম পায়েলের এই সাফল্য ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। এবার সেই পায়েল পালের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নিতে চলেছে বালুরঘাট মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিন মহিলা কলেজের পক্ষ থেকে পায়েলের বাড়িতে অধ্যক্ষ গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর পড়াশোনার যাবতীয় দায়ভার গ্রহণ করার কথা জানান।

আরও পড়ুন: মাত্র ৬ হাজার টাকার জন্য প্রাণ গেল বৃদ্ধের! পাওনা চাইতে গেলে পিটিয়ে খুন…

বালুরঘাট মহিলা কলেজের পক্ষ থেকে ৫০০০ টাকার চেক, কলম, ডায়েরি, উত্তরীয় এবং মানপত্র তুলে দেওয়া হয় পায়েলের হাতে। অধ্যক্ষ জানান, পায়েল যদি বালুরঘাট মহিলা কলেজে ভর্তি হয় তবে আগামী চার বছর তার পড়াশোনার সমস্ত দায়-দায়িত্ব নেবেন তাঁরা। বিষয়টি জানার পরে খুশির হাওয়া পায়েলের পরিবারে। এই বিষয়ে বালুরঘাট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বিমান চক্রবর্তী বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর টিভি সহ অন্যান্য গণমাধ্যমে তিনি পায়েলের খবরটি দেখেন। এরপরই আলোচনা করে তার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

জন্মের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গী করেই বেড়ে উঠেছে পায়েল। স্কুলে যাতায়াত থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই মায়ের কোলে চেপে করতে হয় তাকে। উচ্চতা দেখলে মনে হবে যেন ছোট্ট শিশু। কোমরের নীচ থেকে বাকি দেহ কার্যত অসার। হাঁটাচল তো দূরের কথা, হাতের অবস্থা এতই খারাপ যে কোনও ভারী কাজ করতে গেলেও রীতিমত বেগ পেতে হয়। বসে বসেই কাটে দিন। এই বাধা-বিপত্তি পেরিয়েই আগামী দিনে সে ভূগোলে অনার্স নিয়ে পড়াশুনা করতে চায়।

সুস্মিতা গোস্বামী

Higher Secondary Result 2024: Success Story: ডাক্তার হয়ে নিজের গ্রামে ফিরে গ্রামবাসীদের চিকিৎসা করতে চান উচ্চ মাধ্যমিকে ষষ্ঠ রুদ্র

রাহী হালদার, হুগলি: উচ্চ মাধ্যমিকে চোখ ধাঁধাঁনো সাফল্য। ভবিষ্যতে ডাক্তারি পাশ করে নিজের গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা করতে চান উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ, হুগলির কোন্নগরের রুদ্র দত্ত। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১ শতাংশের নিরিখে ৯৮.০২% । জয়েন্ট পরীক্ষাতেও ফল এসেছে ৯৯ শতাংশ। তবে স্বপ্ন তাঁর চিকিৎসক হয়ে গ্রামে এসে ডাক্তারি করার।

বাবা জয়দেব দত্ত পোস্ট অফিসের কর্মরত। মা দীপ্তি দত্ত একজন গৃহবধূ। শ্রীরামপুর মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রম স্কুলের ছাত্র রুদ্র দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছেন এই সাফল্য পেতে । মাধ্যমিকে আশানুরূপ ফলাফল হয়নি তাঁর । তার পর পরবর্তী সময় থেকেই প্রতিদিনের কঠিন অধ্যবসায়ের মধ্যে দিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে সাফল্য, এমনটাই জানাচ্ছেন এই ছাত্র। জয়েন্ট এবং নীট পরীক্ষায় তিনি অংশগ্রহণ করেছেন।

আরও পড়ুন :  রসায়নে ভয় জয় করে কুশল উচ্চ মাধ্যমিকে নবম! রইল কৃতীর সাফল্যের রহস্য

ভবিষ্যতের চিকিৎসকের পড়াশোনা ছাড়া খেলাধুলা করতেও  ভাল লাগে। পছন্দের প্রিয় ফুটবল দল ব্রাজিল, পছন্দের ক্রিকেটার বিরাট কোহলি।এ বিষয়ে তাঁর মা দীপ্তি দত্ত বলেন, ‘‘ছেলেকে পড়াশোনার জন্য কখনই তাঁরা জোর করেননি। বরং পড়াশোনার জন্য ছেলেকে কিছু বলতেই হয়নি। যা করেছেন তিনি, পুরোটাই নিজের চেষ্টায় করেছেন। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাতেও ভাল নম্বর এসেছে তাঁর। তবে তাঁদের লক্ষ্য নিট পরীক্ষার ফলাফলের দিকেই।