Tag Archives: humanity

Humanity of Police: আবারও মানবিক ভূমিকায় পুলিশ, রক্ষা পেল প্রাণ

পূর্ব বর্ধমান: সচরাচর জনসাধারণের কাছে ধরা পড়ে পুলিশের কঠিন রূপ। তবে এবার এক অন্য ভূমিকায় দেখা গেল পুলিশ কর্মীদের। পুলিশের এই মানবিক রূপ দেখে প্রসংশা করছেন সকলেই। ফের পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের ধরা পড়ল এক মানবিক রূপ। এক অসুস্থ ভবঘুরেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করলেন পুলিশ কর্মীরা।

পূর্ব বর্ধমানের কৈচর ফাঁড়ির বড়বাবু শেখ শরিফুল এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা এই মানবিকতার নজির তৈরি করেন। তাঁদের এই ভূমিকা দেখে খুশি হয়েছেন সকলে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধেতে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের ভাল্যগ্রাম অঞ্চলের শ্যামবাজার এলাকায় অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিল এক ভবঘুরে। সেই খবর পৌঁছয় কৈচর ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীদের কাছে। স্থানীয়রা সেই খবর পৌঁছে দেন পুলিশের কাছে। এরপর তড়িঘড়ি পুলিশ কর্মীরা সেই খবর জানান কৈচর ফাঁড়ির বড়বাবু শেখ শরিফুলকে। পরবর্তীতে বড়বাবু নিজে ওই ব্যক্তির জন্য গাড়ি পাঠান এবং তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন।

আর‌ও পড়ুন: সপ্তাহ শেষে ঘুরে দেখুন তরুণ বিপ্লবীর জন্মভিটে

এই সমগ্র ঘটনা প্রসঙ্গে কৈচর ফাঁড়ির বড়বাবু শেখ শরিফুল জানান, এর আগেও এই ধরনের কাজ আমরা করেছি। এটা এমন কিছু নয়। এটা আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সকলেরই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। রাস্তাঘাটে সকলকে সচেতন থাকতে হবে সবসময়।

জানা গিয়েছে, অসুস্থ ওই ভবঘুরের বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি। পুলিশ কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় মঙ্গলকোট হাসপাতালে নিয়ে যান। মঙ্গলকোট হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্তি করে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। বর্তমানে ওই ভবঘুরে মঙ্গলকোট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর নাম বা পরিচয় জানা যায়নি।

পূর্ব বর্ধমান

Heat Wave: গরমে মাথা ঘুরে রাস্তায় পড়ে ভবঘুরে, পুলিশ দেখেই…

পূর্ব বর্ধমান: আজকাল বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। নানান প্রতিকূল পরিস্থিতি পেরিয়ে কাজও করতে হয় তাঁদের। এই যেমন এখন রাজ্যজুড়ে তীব্র দাবদাহ চললেও নিজেদের কর্তব্যে অবিচল পুলিশকর্মীরা। সেই সূত্র ধরে এবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় দেখা গেল পুলিশের এক মানবিক মুখ। যা জানলে পুলিশের প্রতি ভয় নয়, শ্রদ্ধা জন্মাবে আপনার মনেও।

তীব্র গরম আর তাপপ্রবাহে অসুস্থ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিজ দায়িত্বে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেন পূর্ব বর্ধমানের কৈচর ফাঁড়ির এক পুলিশকর্মী। ফাঁড়ির বড়বাবু শেখ শরিফুল এবং এএসআই বলরাম চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকায় খুশি প্রত্যেকেই। সোমবার দুপুর নাগাদ কৈচর ফাঁড়ির পুলিশকর্মী এএসআই বলরাম চট্টোপাধ্যায় ডিউটি চলাকালীন বর্ধমান-কাটোয়া রোডের ছোট পোষলা গ্রামের কাছে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন এক অসুস্থ ভবঘুরে ব্যক্তিকে। তিনি তৎক্ষণাৎ বছর তিরিশের ওই ব্যক্তিকে দেখে বড়বাবু শেখ শরিফুলকে খবর দেন। বড়বাবুর পরামর্শ মত দ্রুত ওই অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যান এএসআই বলরাম চট্টোপাধ্যায়।

আর‌ও পড়ুন: বিহু শেষে কড়ি খেলায় মাতে তিনসুকিয়ার আদিবাসীরা, অনেকটা মহাভারতের পাশার মত

নিজেদের দায়িত্বে গাড়িতে বসিয়ে ভাতার হাসপাতালে নিয়ে যান অসুস্থ ব্যক্তিকে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা ওই অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু করেন। জানা গিয়েছে, তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে তিনি। পুলিশের এই মানবিক ভূমিকা খুশি এলাকার সকলে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Offbeat News: ১৮ বছর ধরে লালনপালনের পর দত্তককন্যার বিয়ে দিলেন তৃতীয় লিঙ্গের এক মা, কুর্নিশ সকলের

সৌভিক রায়, বীরভূম: দত্তক কন্যার বিয়ে দিলেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন। শুনে অবাক হচ্ছে নিশ্চয়ই। পুরো ঘটনা একদম সত্যি। তীব্র দাবদাহে পুড়ছে বীরভূম-সহ রাজ্যের একাধিক জেলা। ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে বীরভূমে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি। ঠিক তারই মাঝে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের মল্লারপুরে দেখা গেল সমাজের তৃতীয় লিঙ্গ নামে পরিচিত সেই পরিবারের বিবাহ।মল্লারপুরের বাসিন্দা খুশি বেগম হিজড়ে সম্প্রদায়ের এক মা।এক কথায় খুশি বেগমকে ‘বীরভূমের মা’ নামে চেনেন সবাই।

জানা যায় এই খুশি বেগম আজ থেকে ১৮ বছর আগে একটি শিশুকন্যাকে দত্তক নিয়েছিলেন। দীর্ঘ ১৮ বছর মেয়েটির খাওয়া-দাওয়া পড়াশোনা-সহ সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন। খুশি বেগম তার মেয়ের নাম রাখে শাবানা খাতুন। এছাড়াও তিনি আরও একটি ছেলের দায়িত্ব নিয়েছেন।মেয়ে শাবানা খাতুনকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করান এবং অবশেষে এলাকার চার পাঁচশো লোকজনের উপস্থিতিতে তাঁর বিবাহ দেন।

খুশি বেগম জানান , “মেয়েকে উচ্চ মাধ্যমিক পড়িয়েছি। তাঁর বিয়ের জন্য একটা ভাল ছেলে দরকার ছিল। তাই ভাল কোম্পানিতে কর্মরত সুপাত্রের সন্ধান পেয়েছিলাম।ছেলের বাড়ি বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে।আজ যতটা সম্ভব এলাকার মানুষের সহযোগিতায় মেয়ের বিয়ে দিলাম। তাঁদের বিবাহিত জীবন সুখের হোক এই কামনা করি। শুধু নিজের গর্ভে ধারণ করা ছেলে মেয়ে থাকলেই মা-বাবা হওয়া যায়. সেটা নয়। আজ তার প্রমাণ দিলেন খুশি বেগম।

আরও পড়ুন : তরমুজের বীজও খেয়ে ফেলছেন? কতটা ক্ষতি হচ্ছে শরীরের? কী হয় এর বীজ পেটে গেলে? জানুন বিশদে

প্রতিবেশীদের বক্তব্য, এই খুশি বেগমরা ১০-১২ জন একটা বাড়িতে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করছেন মল্লারপুরে। তাঁদের দেখে সমাজের অনেক মানুষ অনেক কথা বলেন। তাঁরা খুব কষ্ট করে প্রতিটা বাড়িতে, ট্রেনে ,বাসে আবার কখনও রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাকা তোলে এবং এই টাকা দিয়ে বিভিন্ন সমাজসেবার কাজে খরচ করেন শুনেছিলাম। কিন্তু আজ তার প্রমাণ চোখে দেখলাম ৬-৭ লক্ষ টাকা খরচ করে দত্তক মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন এবং ৪০০ থেকে ৫০০ জন লোককে খাওয়া দাওয়া করাচ্ছেন-এটা শিক্ষণীয়।