Tag Archives: Jagannath Dev

Jaganath Dev Snan Yatra Tithi and Timings: রাত পোহালেই জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা, জানুন ঠিক কোন সময়ে হবে পুজো

রথযাত্রার আগে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হল স্নানযাত্রা। আর এই দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় রথের কাউন্ট ডাউন। ১০৮ ঘড়া জলে স্নান করে গরমের পর শরীর শীতল করেন জগন্নাথ - বলরাম - সুভদ্রা। আর তারপরই প্রবল জ্বরে কাবু হন মহাপ্রভু জগন্নাথ।
রথযাত্রার আগে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হল স্নানযাত্রা। আর এই দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় রথের কাউন্ট ডাউন। ১০৮ ঘড়া জলে স্নান করে গরমের পর শরীর শীতল করেন জগন্নাথ – বলরাম – সুভদ্রা। আর তারপরই প্রবল জ্বরে কাবু হন মহাপ্রভু জগন্নাথ।
হিন্দু পঞ্জিকা মতে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। জগন্নাথের ভক্তদের কাছে এটি একটি বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ উৎসব। মনে করা হয় এই দিনটিই জগন্নাথের জন্মতিথি।
হিন্দু পঞ্জিকা মতে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। জগন্নাথের ভক্তদের কাছে এটি একটি বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ উৎসব। মনে করা হয় এই দিনটিই জগন্নাথের জন্মতিথি।
পুরীতে স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে কলসি কলসি জল ঢেলে স্নান করানো হয়ে থাকে। জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার দৃশ্য চাক্ষুস করতে এই সময় পুরীতে বহু মানুষ ভিড় করেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা দর্শন করা হলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি মেলে।
পুরীতে স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে কলসি কলসি জল ঢেলে স্নান করানো হয়ে থাকে। জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার দৃশ্য চাক্ষুস করতে এই সময় পুরীতে বহু মানুষ ভিড় করেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা দর্শন করা হলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি মেলে।
স্নানযাত্রা উপলক্ষে এই সময় অসংখ্য ভক্ত পুরীর মন্দিরে দর্শনে যান। স্কন্দ পুরাণ অনুসারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথ দেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পরেই প্রথম বার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
স্নানযাত্রা উপলক্ষে এই সময় অসংখ্য ভক্ত পুরীর মন্দিরে দর্শনে যান। স্কন্দ পুরাণ অনুসারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথ দেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পরেই প্রথম বার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
স্নানযাত্রার আগের দিন জগন্নাথ, বলভদ্র বা বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহের একটি বিশাল শোভাযাত্রা মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বার করে স্নানবেদীতে এনে রাখা হয়। এছাড়া তাঁদের সঙ্গে থাকে সুদর্শন চক্র। মদনমোহনের ভক্তেরা এই সময় জগন্নাথ দেবকে দর্শন করতে আসেন।
স্নানযাত্রার আগের দিন জগন্নাথ, বলভদ্র বা বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহের একটি বিশাল শোভাযাত্রা মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বার করে স্নানবেদীতে এনে রাখা হয়। এছাড়া তাঁদের সঙ্গে থাকে সুদর্শন চক্র। মদনমোহনের ভক্তেরা এই সময় জগন্নাথ দেবকে দর্শন করতে আসেন।
২২ জুন। এদিন জগন্নাথ,বলরাম ও সুভদ্রা, তিন ভাইবোনেরই সাড়ম্বরে স্নানযাত্রা হবে। সকাল ৭টা ৩২ মিনিট তিথিতে পড়ছে পূর্ণিমা। ২২ জুন সকাল ৬টা ২২ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে তিথি। যেহেতু ২২ জুন সূর্যোদয় পাওয়া যাচ্ছে, তাই স্নান যাত্রা পালন হবে শনিবারই।
২২ জুন। এদিন জগন্নাথ,বলরাম ও সুভদ্রা, তিন ভাইবোনেরই সাড়ম্বরে স্নানযাত্রা হবে। সকাল ৭টা ৩২ মিনিট তিথিতে পড়ছে পূর্ণিমা। ২২ জুন সকাল ৬টা ২২ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে তিথি। যেহেতু ২২ জুন সূর্যোদয় পাওয়া যাচ্ছে, তাই স্নান যাত্রা পালন হবে শনিবারই।
দীর্ঘগরমে ভক্তকূলের মতোই কষ্ট পান জগন্নাথ। সঙ্গে মাথা ধরে। তাই গ্রীষ্মকালে তাঁর কপালে চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয়, যাকে বলে চন্দন উৎসব। বর্ষাগমনের শুরুতেই স্নানযাত্রা। এদিন মনের সুখে প্রতিবছর স্নান করেন তিন ভাইবোন। আর এত স্নান করলে শরীর খারাপ তো হবেই।
দীর্ঘগরমে ভক্তকূলের মতোই কষ্ট পান জগন্নাথ। সঙ্গে মাথা ধরে। তাই গ্রীষ্মকালে তাঁর কপালে চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয়, যাকে বলে চন্দন উৎসব। বর্ষাগমনের শুরুতেই স্নানযাত্রা। এদিন মনের সুখে প্রতিবছর স্নান করেন তিন ভাইবোন। আর এত স্নান করলে শরীর খারাপ তো হবেই।
মানুষের বিশ্বাস, ভগবান ঘড়া ঘড়া জলে স্নান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রুদ্ধদ্বারে চলে তাঁর চিকিৎসা । এরপর আরোগ্য লাভ করে দরজা খোলে তাঁর । এ সময় ১৫ দিনের জন্য দোর দেন ভক্তের ভগবান।
মানুষের বিশ্বাস, ভগবান ঘড়া ঘড়া জলে স্নান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রুদ্ধদ্বারে চলে তাঁর চিকিৎসা । এরপর আরোগ্য লাভ করে দরজা খোলে তাঁর । এ সময় ১৫ দিনের জন্য দোর দেন ভক্তের ভগবান।
ঈশ্বরের এই দর্শনগুলিকে বলা হয় নব যুব দর্শন ও চক্ষু উৎসব এটা কে বলে আর নেত্রোৎসবের পরের দিনই পালিত হয় জমকালো জগন্নাথ রথযাত্রা উৎসব।
ঈশ্বরের এই দর্শনগুলিকে বলা হয় নব যুব দর্শন ও চক্ষু উৎসব এটা কে বলে আর নেত্রোৎসবের পরের দিনই পালিত হয় জমকালো জগন্নাথ রথযাত্রা উৎসব।

Puri Jagannath Mandir: আর নয় লম্বা লাইন! পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নতুন BJP সরকারের! পুণ্যার্থীদের জন্য বড় খবর

পুরী:‌ পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল বিজেপি সরকার। বিজেডি সরকারকে সরিয়ে ওড়িশায় এবার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। বুধবারই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন মোহনচরণ মাঝি। শপথ নেওয়ার পর প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি পুরীর মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি জানান। ফলে বৃহস্পতিবার থেকেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে বহু পুরনো এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ তহবিল তৈরি করারও কথা জানান। ৫০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে ছাপ্পা ভোট, কারচুপির অভিযোগে এ বার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন ৪ বিজেপি প্রার্থী, জানালেন শুভেন্দু

বৈঠক শেষে নতুন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌রাজ্য সরকার পুরী জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজাই পুনরায় ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকল মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে মন্দিরের চারটি দরজা খোলা হবে। এবার থেকে ভক্তরা মন্দিরের চারটি দরজা দিয়েই প্রবেশ করতে পারবেন।’‌

প্রসঙ্গত, ওড়িশায় বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারের অন্যতম ছিল পুরীর মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া। করোনার সময় বিজেডি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে জগন্নাথ মন্দিরের একটি মাত্র দরজা খোলা থাকবে। করোনা সংক্রমণ শেষ হওয়ার পরও সেই একই পন্থাই অব্যাহত ছিল। অবশেষে বিজেপি সরকার আসার পর চারটি দরজাই খুলে দেওয়া হল।

নতুন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, মন্দিরের অধিকাংশ গেটই বন্ধ রাখায়, পুণ্যার্থীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার থেকেই মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হল। মন্দিরের সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য ক্য়াবিনেটের তরফে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Rath Yatra 2024: রথের জন্য পেরেক বা যেকোনও কাঠ ব্যবহার করা হয় না! রথ তৈরির অজানা কাহিনি

রথ মানেই উৎসব মুখর নীলাচল। দেশ-বিদেশ থেকে আসা তীর্থযাত্রী, পর্যটকদের ভিড়। দুনিয়ার নজর কাড়ে পুরীর রথের বিপুল ভক্ত সমাগম। আগামী ৭ই জুলাই রথযাত্রা।
রথ মানেই উৎসব মুখর নীলাচল। দেশ-বিদেশ থেকে আসা তীর্থযাত্রী, পর্যটকদের ভিড়। দুনিয়ার নজর কাড়ে পুরীর রথের বিপুল ভক্ত সমাগম। আগামী ৭ই জুলাই রথযাত্রা।
চিরাচরিত রীতি মেনে, বিশেষ ধরনের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় তিনটি রথ- জগন্নাথদেবের রথের নাম নন্দীঘোষ, বলভদ্রের তালধ্বজ এবং সুভদ্রার রথ দর্পদলন৷ তার আগে তৈরি হচ্ছে জোর কদমে রথ তৈরি।
চিরাচরিত রীতি মেনে, বিশেষ ধরনের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় তিনটি রথ- জগন্নাথদেবের রথের নাম নন্দীঘোষ, বলভদ্রের তালধ্বজ এবং সুভদ্রার রথ দর্পদলন৷ তার আগে তৈরি হচ্ছে জোর কদমে রথ তৈরি।
সৈকত-শহর পুরীর রথযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা কিংবদন্তী। অন্যান্য অনেক জায়গাতেই এখন মহাসমারোহে রথযাত্রা পালিত হয়। তবুও পূণ্যভূমি পুরীর মাহাত্ম্য স্বতন্ত্র।
সৈকত-শহর পুরীর রথযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা কিংবদন্তী। অন্যান্য অনেক জায়গাতেই এখন মহাসমারোহে রথযাত্রা পালিত হয়। তবুও পূণ্যভূমি পুরীর মাহাত্ম্য স্বতন্ত্র।
জগন্নাথ দেবের রথ তৈরি করতে দুই মাস সময় লাগে । এই সময়ে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। একটি রথ তৈরি করতে, প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল কাঠ নির্বাচন।
জগন্নাথ দেবের রথ তৈরি করতে দুই মাস সময় লাগে । এই সময়ে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। একটি রথ তৈরি করতে, প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল কাঠ নির্বাচন।
রথের জন্য পেরেক বা যে কোনও কাঠ ব্যবহার করা হয় না। রথের কাঠ সোজা ও খাঁটি হতে হবে। রথ প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত কারিগররাও পুরো ২ মাস সেখানে থাকেন এবং তাঁদেরও অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়।
রথের জন্য পেরেক বা যে কোনও কাঠ ব্যবহার করা হয় না। রথের কাঠ সোজা ও খাঁটি হতে হবে। রথ প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত কারিগররাও পুরো ২ মাস সেখানে থাকেন এবং তাঁদেরও অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়।
জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার জন্য রথ তৈরির কাজ শুরু হয় অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে। রথ তৈরির জন্য জঙ্গল থেকে কাঠ আনা হয়।
জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার জন্য রথ তৈরির কাজ শুরু হয় অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে। রথ তৈরির জন্য জঙ্গল থেকে কাঠ আনা হয়।
জগন্নাথের রথ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় নিম ও হাঁসি গাছের কাঠ। রথযাত্রায় ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রা প্রত্যেকেরই রথ তৈরি করা হয়।
জগন্নাথের রথ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় নিম ও হাঁসি গাছের কাঠ। রথযাত্রায় ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রা প্রত্যেকেরই রথ তৈরি করা হয়।
এভাবে মোট ৩টি রথ তৈরি হয়। তিনটি রথ নির্মাণের জন্য প্রায় ৮৮৪ টি গাছের ১২ ফুটের কাণ্ড ব্যবহার করা হয়। এগুলি থেকে রথের স্তম্ভগুলি তৈরি করা হয়।
এভাবে মোট ৩টি রথ তৈরি হয়। তিনটি রথ নির্মাণের জন্য প্রায় ৮৮৪ টি গাছের ১২ ফুটের কাণ্ড ব্যবহার করা হয়। এগুলি থেকে রথের স্তম্ভগুলি তৈরি করা হয়।

South Dinajpur News : বিগ্রহ তৈরির উপকরণ আলু! জগন্নাথদেবের মূর্তি তৈরি করে বাজিমাত শিল্পীর

সুস্মিতা গোস্বামী, দক্ষিণ দিনাজপুর : মাটি নয়, কাঠ নয়, একেবারে আস্ত একটি আলুর উপর জগন্নাথ দেবের মূর্তি তৈরি করে তাক লাগালেন বালুরঘাট নামাবঙ্গীর বাসিন্দা দেবজ্যোতি মোহরা। বর্তমানে দেবজ্যোতি কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পাঠরত হলেও ছোটবেলা থেকে এই ধরনের কাজের প্রতি ঝোঁক ছিল যথেষ্ট। আলু দিয়ে শিল্পকর্ম তৈরির ভাবনা মাথায় আসে দেবজ্যোতির। তাঁর যেমন ভাবনা, তেমনই কাজ। ভাবা মাত্রই এই কাজে লেগে পড়েন তিনি।

অবশেষে জগন্নাথদেবের মুখাবয়ব তৈরির পরিকল্পনা তাঁর মাথায় আসে। মোট তিনটি আলু দিয়ে তিনি জগন্নাথ দেবের প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন। তার উপরে লাল, কালো ও সাদা রং দিয়ে মুখের অবয়ব পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। তবে, আলুর উপর রং করতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে তাঁকে। প্রথমে ফেব্রিকের প্রলেপ দিয়ে শুকিয়ে তার পরে রঙ ধরেছে আলুতে। সবশেষে জরির কাজে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। সেখানে সোনালি জরি ব্যবহার করা হয়েছে। মূর্তিতে জরি ও পুঁথি দিয়ে মুকুট তৈরি করে অবিকল জগন্নাথদেবের অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছেন।

আরও পড়ুন : মেয়ে জামাই আসছে জামাইষষ্ঠীতে? তাঁদের মঙ্গলকামনায় ডালায় রাখুন এই সাদা মিষ্টি ও এই গাছের পাতা

বালুরঘাট শহরের নেপালি পাড়ায় বাড়ি দেবজ্যোতি মোহরার। বালুরঘাট কলেজের স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি। ছোট থেকেই বিভিন্ন ধরনের মাটির প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে সাজের কাজের বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করে তাঁর প্রতিভার পরিচয় ইতিমধ্যেই দেবজ্যোতি দিয়েছেন। তাঁর হাতে বানানো দেবদেবীর গয়না ভিনদেশে পাড়ি দিয়েছে। এবার আলু দিয়ে বানানো জগন্নাথ দেবের মূর্তি রীতিমতো সাড়া ফেলেছে। দেবজ্যোতির কথায়, তাঁর এই কাজে বাবা-মা বন্ধু-বান্ধব সকলেই আনন্দিত। এবং তাঁরা যথেষ্ট ভাবেই দেবজ্যোতিকে সাহায্য করে থাকে। দেবজ্যোতি আরও জানান, বালুরঘাট তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সাজের কাজের শিল্পী সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। তাই এই কাজে তিনি নিজেকে মনোনিবেশ করেছেন। ভবিষ্যতে তিনি এই ধরনের কাজ আরও বেশি করে করতে চান। বর্তমানে তাঁর তৈরি বিভিন্ন শিল্পকর্ম বিদেশেও সমাদৃত হয়েছে।