Tag Archives: JCB

Road Accident: জাতীয় সড়কে অন্যরকম দুর্ঘটনা, চরম বিপদে পড়ল লরির চালক

পূর্ব বর্ধমান: শহরের অনাময় হাসপাতালের কাছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটে গেল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ লরির মধ্যেই আটকে থাকতে হল চালককে। এমনভাবে বেকায়দায় লরির চালক আটকে পড়েছিল যে কোনওভাবেই বেরোনো সম্ভব হচ্ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকা অবস্থায় যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখা যায় লরির ওই চালককে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে বর্ধমানের দিকে একটি লরি যাচ্ছিল। তখনই অত্যন্ত বাজেভাবে অপর একটি ডাম্পার পিছন দিক থেকে এসে লরিটিকে ওভারটেক করে সামনে চলে যায়। লরির চালক তড়িঘড়ি ব্রেক মারলে ধাক্কা লাগে ওই ডাম্পারের পিছনে। যদিও ডাম্পার চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান, তবে বিপদে পড়েন লরির চালক।

আরও পড়ুন: অন্নপ্রাশন, বিয়ে ও ঠাকুরের মুকুট! এই শিল্পীর শোলার কাজ করেই চলে সংসার

পরবর্তীতে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি দেখে ছুটে আসে স্থানীয় মানুষজন। তারপর লরির সামনের অংশে দড়ি বেঁধে স্থানীয়রা চালককে বের করার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে আসেন ট্রাফিক ওসি চিন্ময় ব্যানার্জী এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। নিয়ে আসা হয় একটি জেসিবি। ওই জেসিবির সাহায্যে লরির সামনের অংশ ভেঙে বের করা হয় চালককে। এরপর নিকটবর্তী অনাময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে স্বস্তির খবর এটাই যে এই দুর্ঘটনায় কারোর প্রাণহানী হয়নি।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

হলুদ রঙের জেসিবি, কত মাইলেজ দেয় এই গাড়ি জানেন? অবাক হয়ে যাবেন

কলকাতা: সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বুলডোজারের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে, এটি অপরাধীদের শায়েস্তা করতে এবং তাদের অবৈধ নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

বুলডোজার হল একটি ভারি হলুদ রঙের গাড়ি যা অবৈধ বিল্ডিং ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং ভূমি খননের জন্যও ব্যবহৃত হয়। এখন প্রশ্ন জাগে যে, বুলডোজার, যা জেসিবি নামেও পরিচিত, তা কতটা ডিজেল খরচ করে? কেউ যদি এটি সম্পর্কে জানতে চায়, তবে আমরা এর মাইলেজ এবং দাম সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন- ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে ! বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে

একটি বুলডোজার কত জ্বালানি খরচ করে –

একটি বুলডোজারের মাইলেজ অনেক কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন এর আকার, ইঞ্জিনের ক্ষমতা, কাজের ধরন এবং ব্যবহারের ধরন। সাধারণত, বুলডোজারগুলি ভারি যন্ত্রপাতি এবং প্রচুর জ্বালানি খরচ করে।

গড়ে একটি বড় বুলডোজারের জ্বালানি খরচ প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১০ থেকে ২০ লিটার হতে পারে। যাই হোক, বুলডোজারের ধরন এবং কাজের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে এই হিসেবটি পরিবর্তিত হতে পারে।

একটি নির্দিষ্ট উদাহরণ হিসাবে, যদি আমরা ধরে নিই যে, একটি বুলডোজার প্রতি ঘন্টায় গড়ে ১৫ লিটার ডিজেল খরচ করে, তবে এটি প্রতি মিনিটে প্রায় ০.২৫ লিটার ডিজেল খরচ করবে। যাই হোক, এই অনুমান বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পরিবর্তিত হতে পারে।

একটি বুলডোজারের দাম কত?

একটি বুলডোজারের দাম অনেক কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন:

ব্র্যান্ড: ক্যাটারপিলার, জেসিবি, কোমাটসু ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বুলডোজারের বিভিন্ন দাম রয়েছে।

মডেল: প্রতিটি ব্র্যান্ডের অনেকগুলি মডেল রয়েছে, যার বিভিন্ন ক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

ইঞ্জিনের আকার এবং শক্তি: বড় এবং আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন সহ বুলডোজারগুলি আরও ব্যয়বহুল।

পার্টস: বুলডোজারের সঙ্গে যে পার্টসগুলি আসে, যেমন রিপার, ব্লেড ইত্যাদিও দামকে প্রভাবিত করে।

উৎপাদনের বছর: পুরনো মডেলের তুলনায় নতুন মডেলের দাম বেশি।

বিশেষ বৈশিষ্ট্য: কিছু বুলডোজারের বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন এয়ার কন্ডিশনার, কেবিন হিটার ইত্যাদি, যা দাম বাড়িয়ে দিতে পারে।

দাম – ভারতে বুলডোজারের দাম প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হতে পারে।

নিম্নলিখিত জায়গা থেকে বুলডোজার ক্রয় করা যেতে পারে –

ব্র্যান্ডের অনুমোদিত ডিলার: এখানে নতুন এবং ব্যবহৃত উভয় বুলডোজার পাওয়া যেতে পারে।

অনলাইন মার্কেটপ্লেস: বুলডোজার অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও কেনা যায়।

সেকেন্ড হ্যান্ড মার্কেট: বাজেট কম হলে সেকেন্ড হ্যান্ড বুলডোজারও কেনা যেতে পারে।

General Knowledge: সারাবিশ্বে JCB মেশিনের রং সবসময় হলুদ হয় কেন? JCB-র নামেও আছে বড় রহস‍্য, ৯৯% লোকজনই আসল কারণ জানেন না

জেসিবি মেশিন প্রায় সকলেই দেখেছেন। যেকোনও জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করার কাজেই ব‍্যবহৃত হয় জেসিবি মেশিন। কিন্তু মেশিন ছোট, বড় যেমনই হোক না কেন, রং সবসময় হলুদই হয়। কখনও ভেবে দেখেছেন কেন?
জেসিবি মেশিন প্রায় সকলেই দেখেছেন। যেকোনও জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করার কাজেই ব‍্যবহৃত হয় জেসিবি মেশিন। কিন্তু মেশিন ছোট, বড় যেমনই হোক না কেন, রং সবসময় হলুদই হয়। কখনও ভেবে দেখেছেন কেন?
বাড়ির আশপাশে যদি কোনও নির্মান কাজ চলে, তাহলে সেখানে নিশ্চই দেখা যাবে একটি জেসিবি মেশিন। তবে শুধু নতুন বাড়ি তৈরির কাজে নয়, আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব‍্যবহার করা হয় এই মেশিন। বহুল ব‍্যবহারের জন‍্য গ্রাম থেকে শহর, এই মেশিনের প্রয়োজনীয়তা বর্তমানে প্রচুর।
বাড়ির আশপাশে যদি কোনও নির্মান কাজ চলে, তাহলে সেখানে নিশ্চই দেখা যাবে একটি জেসিবি মেশিন। তবে শুধু নতুন বাড়ি তৈরির কাজে নয়, আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব‍্যবহার করা হয় এই মেশিন। বহুল ব‍্যবহারের জন‍্য গ্রাম থেকে শহর, এই মেশিনের প্রয়োজনীয়তা বর্তমানে প্রচুর।
কিন্তু ছোট, বড়, যেমন সাইজেরই জেসিবি মেশিন হোক না কেন, সবার রংই হলুদ। শুধু এদেশে, বিশ্বজুড়েই সমস্ত জেসিবি মেশিনের রং হলুদ হয়। সঙ্গে থাকে কালো রঙের ছোঁয়া। কিন্তু জেসিবি মেশিনের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র এই একটি রংকেই কেন ব‍্যবহার করা হয়? কারণ জানলে অবাক হতে হয়।
কিন্তু ছোট, বড়, যেমন সাইজেরই জেসিবি মেশিন হোক না কেন, সবার রংই হলুদ। শুধু এদেশে, বিশ্বজুড়েই সমস্ত জেসিবি মেশিনের রং হলুদ হয়। সঙ্গে থাকে কালো রঙের ছোঁয়া। কিন্তু জেসিবি মেশিনের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র এই একটি রংকেই কেন ব‍্যবহার করা হয়? কারণ জানলে অবাক হতে হয়।
প্রথম দিকে জেসিবি মেশিনের রং হলুদ ছিল না। আগে এই মেশিনের রং লাল বা সাদা হত। কিন্তু তাতে একটি সমস‍্য দেখা দেয়। লাল-সাদা রঙের কারণে এই মেশিন দূর থেকে সহজে দেখা যেত না।
প্রথম দিকে জেসিবি মেশিনের রং হলুদ ছিল না। আগে এই মেশিনের রং লাল বা সাদা হত। কিন্তু তাতে একটি সমস‍্য দেখা দেয়। লাল-সাদা রঙের কারণে এই মেশিন দূর থেকে সহজে দেখা যেত না।
ফলে নির্মান ক্ষেত্রে অনেক সমস‍্যা দেখা দেয়। যার কারণে এই মেশিনের রঙ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক গবেষণার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সারা পৃথিবীতেই এই মেশিনগুলোর রঙ হলুদ রাখা হবে।
ফলে নির্মান ক্ষেত্রে অনেক সমস‍্যা দেখা দেয়। যার কারণে এই মেশিনের রঙ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক গবেষণার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সারা পৃথিবীতেই এই মেশিনগুলোর রঙ হলুদ রাখা হবে।
অবশ‍্য শুধু রং নয়, জেসিবি মেশিনের নামেও রয়েছে মজাদার রহস‍্য। আসলে এই মেশিনের নাম JCB মেশিন নয়। প্রকৃতপক্ষে, এই মেশিনটি তৈরিকারী কোম্পানির নাম JCB।
অবশ‍্য শুধু রং নয়, জেসিবি মেশিনের নামেও রয়েছে মজাদার রহস‍্য। আসলে এই মেশিনের নাম JCB মেশিন নয়। প্রকৃতপক্ষে, এই মেশিনটি তৈরিকারী কোম্পানির নাম JCB।
যা কোম্পানির মালিক এবং ব্রিটিশ বিলিয়নেয়ার জোসেফ সিরিল ব্যামফোর্ডের নামে রাখা হয়েছে। একই সময়ে, এই মেশিনের আসল নাম ব্যাকহো লোডার।
যা কোম্পানির মালিক এবং ব্রিটিশ বিলিয়নেয়ার জোসেফ সিরিল ব্যামফোর্ডের নামে রাখা হয়েছে। একই সময়ে, এই মেশিনের আসল নাম ব্যাকহো লোডার।

মাটি খুঁড়তেই ঘণ্টার মতো আওয়াজ ! ওরছায় মিলল ৫০০ বছরের পুরনো মন্দিরের মতো কাঠামো

নয়াদিল্লি: ভারত ধর্মের দেশ। প্রাচীন সভ্যতার পীঠভূমি। অসম, বিহার থেকে শুরু করে উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র – প্রায় সব রাজ্যেই শতাব্দী প্রাচীন সংস্কৃতির ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে। মাটি খুঁড়ে সে সব খুঁজে আনে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। নতুন করে সামনে আসে দেশের সমৃদ্ধময় ঐতিহ্যের কথা।

সম্প্রতি নয়াদিল্লির ওরছায় চলছিল খনন কাজ। জেসিবি দিয়ে মাটি খোঁড়া হচ্ছিল। হঠাৎই ঘণ্টার মতো শব্দ শুনে চমকে ওঠেন জেসিবি অপারেটর। তৎক্ষণাৎ খনন কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডাক পড়ে বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা এসে খুঁটিয়ে দেখেন। তখনই উঠে আসে ৫০০ বছরের পুরনো ইতিহাস।

আরও পড়ুন– কম দামে পুরনো বাড়ি কেনেন দম্পতি, কার্পেট সরাতেই ‘গুপ্তধন’! আনন্দে নাচতে শুরু করলেন দু’জনেই

বেতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত ওরছা নগর। ভগবান শ্রীরামের সঙ্গে এই শহরের যোগ রয়েছে। প্রত্যেক রাস্তার মোড়ে বড় বড় প্রাসাদ আর মন্দির। এই জন্য ওরছাকে ধর্মীয় শহরও বলা হয়। প্রাচীন ইতিহাস চাপা পড়ে রয়েছে এখানে। সব মিলিয়ে রহস্যে মোড়া এক স্থান।

বর্তমানে ওরছায় রাম রাজা লোকের নির্মাণ কাজ চলছে। পাথুরে মাটি। তাই জেসিবি ও অন্যান্য বড় যন্ত্রের সাহায্যে খনন কাজ চলছিল। ক্রমাগত উঠে আসছিল শতাব্দী প্রাচীন নগরের ধ্বংসাবশেষ। একদিন জেসিবি দিয়ে খোঁড়াখুঁড়ির সময় মেশিন অপারেটরের কানে আসে অদ্ভুত শব্দ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ঘটনাস্থলে আসেন আধিকারিকরা। তাঁরা খনন কাজ সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন– বরের দিকে তাকাতেই কান্না শুরু! কনেকে থামাতে পারল না আত্মীয়স্বজনরাও, ভাইরাল হল ভিডিও

৫০০ বছরের প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ: আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে গোটা বিষয়টা জানানো হয়। তৎক্ষণাৎ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুরু হয় কাজ। এএসআই-এর গবেষণায় উঠে এসেছে, ধ্বংসাবশেষ ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো। এর আগেও ঝাঁসি সংলগ্ন এলাকায় খনন কার্যে অনেক ঐতিহাসিক বস্তু পাওয়া গিয়েছিল। এবার ৫০০ বছরের প্রাচীন ইতিহাসের ঝুলি খুলতে চলেছে।

৫ ফুটের কলসি, সিঁড়ি, বারান্দা: ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিজেদের মতো করে কাজ শুরু করে এএসআই। খননকালে বিশেষজ্ঞরা একটি চতুর্ভুজ আকৃতির মন্দিরের মতো কাঠামো, একটি সিঁড়ি, পাথরের তৈরি একটি বারান্দা এবং ৫ ফুট উচ্চতার একটি বিশালাকার কলস পেয়েছেন। বর্তমানে এই সব বস্তু খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখছে এএসআই দল।