বর্ধমান: উনিশ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দ্রুত গতিতে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছে একটি দামি চারচাকার যাত্রীবাহী গাড়ি। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশ সেই গাড়ির অপেক্ষায় ছিল আঝাপুর মোড়ে। গাড়িটিকে আটকায় তারা। রাস্তার পাশে নিয়ে গিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। তাতেই চক্ষু চড়ক গাছ পুলিশের। কী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গাড়িতে! জানলে অবাক হবেন আপনিও।
ওই চারচাকা গাড়িতে করে পাচার করা হচ্ছিল চোলাই। সিঙ্গুর থেকে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বোলপুরে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দামি চারচাকার গাড়িতে করে চলছিল চোলাই পাচার। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের জামালপুর থানার আঝাপুরে তল্লাশিতে মিলেছে ৬০০ লিটার চোলাই। ওই চোলাই সিঙ্গুর থেকে বোলপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উদ্ধার হওয়া চোলাই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চারচাকা গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম সুরোজ সাউ ও সন্তোষ সাউ।
জামালপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝেমধ্যেই সড়ক পথে চোলাই পাচার হচ্ছে বলে খবর মিলছিল। চক্রটিকে ধরতে জাল পাতে পুলিশ। সোর্স মারফত খবর আসে প্রচুর পরিমাণ চোলাই মদ নিয়ে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছে একটি চার চাকার গাড়ি। এই খবর পেয়েই অভিযানে নামে জামালপুর থানার পুলিশ। তার জেরেই বামাল ধরা পড়ে এই দুজন।
আরও পড়ুন- বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন
তারা এই চোলাই কোথা থেকে নিয়ে আসছিল, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা বিস্তারিত জানতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। আগে আউশগ্রামে নদীর চড়ে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চোলাই তৈরি হতো। সেই চোলাই পৌঁছে যেত বোলপুর ও তার আশপাশের এলাকায়। ইদানিং পুলিশ ও আবগারি দফতর বার বার অভিযান চালানোয় সেখানে চোলাই উৎপাদন কমে গিয়েছে। তার ফলে সিঙ্গুর থেকে চোলাই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। আবগারি দফতর জানিয়েছে, চোলাই তৈরি আটকাতে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে। জামালপুর, মেমারি, বর্ধমান, গলসি, আউশগ্রাম সব জায়গাতেই নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। তার জেরে চোলাই তৈরি অনেকটাই আটকানো সম্ভব হয়েছে। পুজোর আগে অভিযানে আরও বেশি জোর দেওয়া হবে।