Tag Archives: Kali Pujo 2024

Kali Puja 2024: মন্ডপের মধ্যেই আস্ত আকাশ! নজরকাড়া থিম বারুইপুরে মিতালি সংঘের

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কলকাতা বলুন বা শহরতলী দুর্গাপুজোর দেখা যায় থিমের ছড়াছড়ি। এবার থিমের ছোঁয়া কোন অংশে পিছিয়ে নেই কালী পুজোতেও যেখানে দুর্গাপুজো গোটা বঙ্গদেশজুড়ে হলেও, কালী পুজো ও জাঁকজমক সহকারে দেখা মেলে বারুইপুর শহর জুড়ে। ঠিক তেমনি, কোন অংশে পিছিয়ে নেই বারুইপুর পুরন্দরপুর মিতালি সংঘের এবারের থিম ‘নীল আকাশের নীচে’ এবারে এই পুজো ৬৫ বছরে পড়েছে। এই মন্ডপ ঘিরে রয়েছে আকাশ! সেখানে পরী থেকে পাখি- সবই থাকবে। ময়ূরপঙ্খী ঘোড়া থাকবে সামনে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই প্রতিমা হয়েছে।

বিগত বেশ কয়েকবছর ধরেই এই পুজো এই এলাকার মধ্যে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। এবার তাই মানুষকে আনন্দ দিতে নিজেদের মণ্ডপে থিম ‘নীল আকাশের নীচে’ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রতি বছর কিছু না কিছু চমক থাকে এই পুজোতে প্রচুর মানুষ ভিড় করে এই মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখার জন্য।

আরও পড়ুন: বাঁদিকের ডানার হাড় ভেঙে তিন টুকরো! মরতে বসা পেঁচার ২ ঘণ্টার অপারেশনে প্রাণ বাঁচালেন স্থানীয়রা

আরও পড়ুন: সাগরের ধসপাড়ার প্রাচীন কালীপুজোয় প্রচুর ভক্ত ও পুণ্য়ার্থী সমাগম

‘আমরা আশা করছি গত বছরের তুলনায় এ বছর দর্শনার্থীদের মন কাড়বে আমাদের এই মণ্ডপ। সঙ্গে থাকছে চন্দননগরের বিশেষ আলোকসজ্জা। টানা কয়েক মাস ধরেই চলেছে মন্ডপ সাজানোর কাজ। এই মন্ডপে দর্শনার্থীদের মন কাড়বে। পাশাপাশি রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া’, দাবি উদ্যোক্তাদের।

সুমন সাহা

Kali Puja 2024: কালীপুজোর মন্ডপে বিষধর রাসেল ভাইপার! কারণ জানলে কুর্নিশ জানাবেন

ঝাড়গ্রাম: ধান জমিতে কৃষি কাজ করতে গিয়ে চন্দ্রবোড়ার ছোবল খেয়ে ভরসা করেছিল ওঝার উপর। অবশেষে হাসপাতালে গিয়েও প্রাণ রক্ষা হয়নি বহু গ্রামবাসীর। তাই এবার চন্দ্রবোড়ার হাত থেকে গ্রামবাসীদের বাঁচাতে শক্তির দেবীর আরাধনায় পুজোর থিম ‘গ্রাম বাংলার আতঙ্ক রাসেল ভাইপার’। ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানার অন্তর্গত রাজপাড়া গ্রামের রাজপাড়া সবুজপল্লী জনকল্যাণ সংঘের কালীপুজোর এই বছরের ১৮ তম বর্ষে এই থিমের ভাবনায় মন্ডপ তৈরি করা হয়েছে।

পুজোমন্ডপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একটি পাহাড়কে জড়িয়ে রয়েছে বিশাল আকৃতির চন্দ্রবোড়া। পাহাড়ের কোলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক চন্দ্রবোড়া সাপ। চন্দ্রবোড়া মুখ দিয়ে মন্ডপে প্রবেশ করে প্রতিমা দর্শনের পর দর্শনার্থীদের বেরিয়ে আসতে হবে চন্দ্রবোড়ার লেজ দিয়ে। আর চন্দ্রবোড়ার পেটের ভিতরেই নানা থিমের আদলে চন্দ্রবোড়ার ছোবল থেকে কিভাবে নিজেকে বাঁচানো যায় এবং চন্দ্রবোড়ার ছোবল খেলে কি করণীয় তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের এই প্রত্যন্ত গ্রামে উপচে পড়ছে পর্যটকের ভিড়, কারণ জানলে অবাক হবেন

প্রথমেই চোখে পড়বে কৃষি জমিতে অধিকমাত্রায় চন্দ্রবোড়া পাওয়া যায়। ফলে জমিতে কৃষি কাজ করতে গেলে গামবুট পড়া একান্ত জরুরী,রাত্রে চলাফেলা করার সময় টোচ লাইট ব্যবহার করা জরুরী। এই বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তারপরেও যদি কাউকে চন্দ্রবোড়ায় ছোবল মারে যত দ্রুত ১০০ মিনিটের মধ্যে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটুকু এগুলোই চোখে পড়বে কুসংস্কার জেরে গুনিনের ও ওঝার কাছে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারপর একটু ভেতরে গেলেই দেখা যাবে চন্দ্রবোড়ার ছোবলের পর গুনিনের উপর ভরসা করে মৃত্যু হয়েছে একজনের। তারপর প্রতিমা দর্শনের পর বেরিয়ে আসার পথে চোখে পড়বে চন্দ্রবোড়া ছোবল মারলে কোনোভাবেই ওখানে শক্ত করে বাঁধা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে হবে। সবার শেষে দেখা যাবে একজনকে চন্দ্রবোড়া কামড়েছে তিনি সোজা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাচ্ছেন। এই থিমের মধ্য দিয়ে উদ্যোক্তাদের একটাই উদ্দেশগ্রামবাসীদের কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর ভরসা রাখার আরজি জানানো।

আরও পড়ুন: সার্ভে করতে গিয়ে হঠাৎ হাতির মুখে! যা করলেন কর্মীরা…

পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের মধ্যে রাজকুমার সেনাপতি ও মলয় প্রতিহার বলেন, “আমাদের এই জঙ্গলমহলের লাল মাটিতে প্রচুর চন্দ্রবোড়া সাপ পাওয়া যায়। প্রায়ই জমিতে কাজ করতে গিয়ে সাপের ছোবল খান বহু মানুষ। আমরা দেখেছি অনেকেই আজও গুনিন ও ওঝার উপর ভরসা করে তাদের কাছে চলে যায়। অবশেষে সেই মানুষটির মৃত্যু হয়। কিন্তু তার যদি জানা থাকে দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতালে গেলে তার প্রাণ বাঁচতে পারে। আমাদের গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের ছয়, সাত জনের বিভিন্ন সাপের ছোবলে মৃত্যু হয়েছে। তাই গ্রামবাসীদের এবং দর্শনার্থীদের সাপের ছোবল থেকে কিভাবে প্রাণ বাঁচানো যায় সেজন্যই আমরা পূজা মন্ডপের এবছরে থিম রেখেছি গ্রাম বাংলার আতঙ্ক রাসেল ভাইপার”।

বুদ্ধদেব বেরা

Kali Pujo 2024: বিগ বাজেটের ছড়াছড়ি! কোথাও ভৌতিক ট্রেন তো কোথাও আবার মায়াজাল, পশ্চিম বর্ধমানের কালী পুজোর থিমের বহরে টেক্কার খেলা

পশ্চিম বর্ধমান : আলোর উৎসব দীপাবলি। কালীপুজোর উন্মাদনায় মাতোয়ারা জেলার প্রতিটি প্রান্ত। আসানসোল থেকে দুর্গাপুর, সর্বত্র উৎসবের ছোঁয়া। কালী পুজোতেও থিমের বহর দুটি শহরে। একে অপরের সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার খেলা। আলোকসজ্জায় বাজিমাত করার চেষ্টা। সবমিলিয়ে জমজমাট জেলার শ্যামা আরাধনা। পিছিয়ে নেই মফঃস্বল এবং প্রান্তিক এলাকাগুলিও।

দুর্গাপুরে একাধিক বিগ বাজেটের কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপ। কোথাও হয়েছে ভৌতিক ট্রেন, কোথাও আবার ভূতেদের রাজত্ব। তবে এসব কিছুর মধ্যে দুর্গাপুরের অন্যতম পুরানো আমরা ক’জন ক্লাবের কালীপুজো নজর কাড়ছে। চলতি বছরে তাদের থিম মায়াজাল। কাল্পনিক মায়াজগতের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে মন্ডপ। একইসঙ্গে থিমের সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিমা রয়েছে এখানে।

আরও পড়ুন: জেলায় নতুন আতঙ্ক! ইতিমধ্যেই মৃত্যু দুই মহিলার, ভয়ে কাঁটা সকলে! কী হয়েছে জানেন?

অন্যদিকে কালী পুজোতে পিছিয়ে নেই আসানসোলও। খনি শহরেও শ্যামা আরাধনার জন্য করা হয়েছে নানা রকমের আয়োজন। কেউ আলোর খেলায় টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কেউ আবার থিমের মন্ডপে। কোনও পুজো উদ্যোক্তারা জোর দিয়েছেন সাবেকি প্রতিমার দিকে। কোথাও আবার তৈরি হয়েছে থিমের প্রতিমা। যদিও আসানসোলে বিশাল আকারের একটি প্রতিমা পুজোর আগেই ভেঙে পড়েছে। যা নিয়ে শহরবাসীর কিছুটা মন খারাপ। কিন্তু সবকিছুকে ছাড়িয়ে কালী পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা শহরবাসী।

আরও পড়ুন: বাড়ি থেকেই শুরু করতে পারেন এইসব ব‍্যবসা! কম পুঁজিতেই প্রচুর লাভ

জেলায় যেমন আসানসোল এবং দুর্গাপুরে মণ্ডপ, আলোকসজ্জা, প্রতিমার অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলছে, বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের মধ্যে, সেখানে পিছিয়ে নেই জেলার মফঃস্বল এলাকাগুলিও। অন্যদিকে জেলাতে একাধিক প্রাচীন পারিবারিক কালীপুজো রয়েছে। সেখানে অটুট ভক্তির ছবি বিদ্যমান। সবমিলিয়ে জেলায় কালীপুজো জমজমাট। কোথাও রয়েছে নিখাদ ভক্তি, কোথাও আবার রঙিন উৎসবের আনন্দ।

নয়ন ঘোষ