দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পূর্ণিমার ভরা কোটাল এবং নিম্নচাপে জোড়া ফলায় আতঙ্কিত গ্রামবাসী যে কোন মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়তে পারে গ্রামের মধ্যে নোনা জল ঢুকলে চাষের ও ক্ষতির আশঙ্কা দেখছে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা। এলাকায় স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ না থাকার কারণে বারবার মাটি নদী বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা। তার উপরে বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে এর কারণে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে মুসুল ধারে বৃষ্টির। বেশ কয়েক দিন ধরে এই বৃষ্টি চলবে এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন: নিশানায় ফের সেই মহিলা চিকিৎসক, বারুইপুরের হাসপাতালে ঘৃণ্য ঘটনা! শুনে শিউরে উঠবেন
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন উত্তাল থাকতে পারে সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উত্তাল হতে পারে সমুদ্র মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে আগামী ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস দফতর পক্ষ থেকে। তার উপরে সুন্দরবনের মইপিঠ, কুলতলী, গোসবা এই সমস্ত এলাকার নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের যেকোনো ভরা কোটালে ঘুম উড়ে যায় । কিন্তু এভাবে বারে বারে নদীতে যেকোনো ভরা কোটালের বা নিম্নচাপে জোড়া ফলায় জোয়ারের জলে নদী ভাঙনের আশঙ্কা কারণে আতঙ্কিত এলাকার মানুষজনেরা।
আরও পড়ুন: এবার স্থানীয় দুর্যোগেও ক্ষতিপূরণ পাবেন কৃষকরা, নির্দেশ নবান্নের
এ বিষয়ে এক এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমাদের এই সমস্ত এলাকায় স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধের প্রয়োজন না থাকার কারণে বারবার মাটি নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে যায় আমাদের এই এলাকা বিষয়টি নিয়ে বারবার বিভিন্ন দফতরে জানালেও কোনরকম সুরাহা হয়নি। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে নদীতে জোয়ারের কারনে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। নদীতে ভাটার পরে গেলে পুনরায় জল নেমে যাবে এলাকা থেকে। সাধারণ মানুষের এই সমস্যার কথা আমরা উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি খুব শীঘ্রই সাধারণ মানুষ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে এই আশা করছি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সুমন সাহা