Tag Archives: Mahesh Rath Yatra

Ulto Ratha: দক্ষিণ দিকে রশিতে টান, আট দিন পর মাসির বাড়ি থেকে ফিরলেন প্রভু জগন্নাথ

হুগলি: মাসির বাড়ি আট দিন কাটিয়ে এবার ঘরে ফেরার পালা। সোমবার তিথি মেনে দেশজুড়ে আয়োজিত হচ্ছে উল্টো রথ। পুরীর বিশ্ব বিখ্যাত রথযাত্রার পর দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় এই বাংলার মাহেশে। উল্টো রথ ঘিরে সোমবার সেখানেও উপচে পড়ল অসংখ্য ভক্তের ভিড়।

রথযাত্রা অর্থাৎ সোজা রথের দিন থেকে নবম দিনে উল্টো রথে শ্রীধামে ফেরেন প্রভু জগন্নাথ। এবার ৬২৮ বছরে পড়েছে শ্রীরামপুরের মাহেশের রথযাত্রা। পুরীর পর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম রথযাত্রা এটি। মাহেশের জগন্নাথের আজ পুনঃযাত্রা। মাসির বাড়ি থেকে নিজে গৃহে ফিরছেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। মাসির বাড়ির মন্দিরে সকাল থেকে শুরু হয়েছে পুজো অর্চনা। বহু দূর দুরান্ত থেকে ভক্তের সমাগম হয় মাসির বাড়িতে। সারাদিন পুজোপাঠ চলার বিকেলে নিজের মন্দিরে ফেরেন জগন্নাথ দেব। উল্টো রথের মাহাত্ম্য হল, দক্ষিণ দিকে টানা হয় রথকে।

আর‌ও পড়ুন: ওঝার ভূত ঘাড়ে চেপে! সাপের ছোবলে একের পর এক পড়ুয়ার মৃত্যু, নড়েচড়ে বসল স্কুল

মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত তমাল অধিকারী জানান, আজকের দিনটিকে বলা হয় ‘দক্ষিণে টান বৈকুন্ঠের স্থান’। অর্থাৎ আজ দক্ষিণ দিকে রথ টানা হয়। সেই কারণেই আজ জগন্নাথ দেব দক্ষিণা কালী রূপে রথের উপর বিরাজ করেন। দুপুর আড়াইটার সময় হয়েছে দামোদর। প্রথমে সুভদ্রা, তারপর বলভদ্র ও জগন্নাথ দেব রথে ওঠেন। উপরে সোনার বেশ অর্থাৎ রাজবেশ ধারণ করে মাসির বাড়ি থেকে নিজ গৃহে গমন করেন। এই দিনটি খুবই মাহাত্ম্যপূর্ণ। রথে যদি বামুনরূপ দর্শন করা যায় তাহলে পুনর্জন্ম হয় না।

রাহী হালদার

Ratha Yatra 2024: পুরীর পর দেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম, ৬২৮ বছরে মাহেশের রথযাত্রা

হুগলি: রবিবার ধুমধাম করে বাংলাজুড়ে পালিত হয়েছে রথযাত্রা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রা গোটা বিশ্বজুড়েই বিখ্যাত। তবে পিছিয়ে নেই বাংলা। এখানকার মাহেশের রথযাত্রার ঐতিহ্য‌ও কম নয়। এবার ৬২৮ বছর পূর্ণ করেছে এখানকার রথযাত্রা। সেই উপলক্ষে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়েছিল।

স্নান যাত্রার পর অবসর কাল কাটিয়ে রবিবার নবযৌবন লাভ করেন প্রভু জগন্নাথ। ধর্মীয় ঐতিহ্য ও প্রথা মেনে গতকাল বন্ধ গর্ভগৃহের দরজা খুলে মন্দির দালানে ভক্তদের দর্শন দেন জগন্নাথ। মাহেশের রথযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই এই সমস্ত ধর্মীয় আচার-আচরণ দেখার জন্য ভিড় বাড়তে শুরু করে। যা রথের রশিতে টান পড়ার সময় রেকর্ড জায়গায় গিয়ে পৌঁছয়।

আরও পড়ুন: দোকান থেকে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন কর্মচারী, ছুটে এসে উড়িয়ে দিল বাইক!

বিকেল পাঁচটা নাগাদ জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে রথে তোলার পর প্রথম রথের রশিতে টান পড়ে। লক্ষাধিক ভক্ত সমাগমের মধ্য দিয়ে ৬২৮ বছরের মাহেশের রথযাত্রা এগিয়ে যায় মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে।

স্বপ্নাদেশে পাওয়া নিমকাঠ দিয়ে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি ছয় শতকের বেশি সময় ধরে পূজিত হয়ে আসছে মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে। খিচুড়ি, অন্ন, পায়েস এই তিন নিয়ে মাহেশ। পুরীর পর দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন রথযাত্রা হল হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশ রথযাত্রা। মার্টিন বার্ন কোম্পানির তৈরি লোহার রথের বয়স ১৩৮ বছর। এটাই বর্তমানে ব্যবহৃত হয়। আগে ছিল কাঠের রথ। বর্তমানে এই রথের দেখভাল করেন কলকাতার শ্যামবাজারের বসু পরিবার। ৯ চুড়া বিশিষ্ট এই রথ ৫০ ফুট উচ্চতার। লোহার ১২ টি চাকা রয়েছে।

লক্ষাধিক ভক্ত সমাগমকে সামাল দেওয়ার জন্য রবিবার পুলিশ ও প্রশাসনের তরফ থেকে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। দুপুর থেকেই বন্ধ ছিল জিটি রোডের যান চলাচল। জিটি রোড ধরে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে নিয়ে সুসজ্জিত রথ মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে এগিয়ে যায়।

রাহী হালদার