Tag Archives: Monk

Student Missing:  সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছেয় গেরুয়া বসনে বাড়ি ছাড়ল একাদশ শ্রেণির ছাত্র!

হুগলি: সন্ন্যাসী হবে বলে বাড়ি ছাড়ল একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি উত্তরপাড়ার। নিখোঁজ ছাত্রের নাম আদর্শ তিওয়ারি। সে যে সন্ন্যাসীর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা চিঠি লিখে পরিজনদের জানিয়ে গেছে এই ছাত্র।

হুগলির উত্তরপাড়ার বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আদর্শ তিওয়ারি সাধু বেশে নিখোঁজ হয়েছে। তার সেই সাধুবেশের ছবি রেল স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। উত্তরপাড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাম-সীতা ঘাট রোডের বাসিন্দা আদর্শ। হঠাৎই সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিজনরা তার সন্ধানে নানান জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে জানা যায়, এই বয়সেই সন্ন্যাসী হওয়ার লক্ষ্যে বাড়ি ত্যাগ করেছে ওই যুবক। বাড়ির লেটার বক্সে সে একটি চিঠি লিখে রেখে যায়। সেখানে আদার্স লিখেছে, নিজের ইচ্ছেতেই বাড়ি ছাড়ছে সে, আধ্যাত্বিকতার পথে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কের ভল্ট ঘরে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই গ্রাহকদের নথি

যাওয়ার আগে ওই পড়ুয়া গঙ্গায় স্নান করে। এরপর ঘরেই নিজের ফোন, মানিব্যাগ, চটি রেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বাড়ির লেটার বক্সে রাখা চিঠিতে সে জানিয়ে গিয়েছে, প্রথমে নবদ্বীপে যাবে। পরে বৃন্দাবন যাবেন সন্ন্যাসী হওয়ার জন্য। পরিবারের সদস্যরা পরে জানতে পারেন, সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আদর্শকে উত্তরপাড়া স্টেশনে দেখা গেছে। সেই সময় তার পরনে ছিল ধুতি, গামছা, হাতে লাঠি ও কপালে মাটি লেপা। দেখলে মনে হবে যেন কোন‌ও সংসার ত্যাগী সন্ন্যাসী। ঘটনার পর উত্তরপাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেছে পরিবারের সদস্যরা।

রাহী হালদার

IAS Officer Who Became a Monk: আইএসএস-এর চাকরি কার না স্বপ্ন? অথচ সেই সরকারি চাকরি অবলিলায় ছেড়ে সাধু হলেন সুনীল

কোটি-কোটি মানুষের স্বপ্ন আইএসএস অফিসার হবেন। তারজন্য কত পড়াশোনা, কত অধ্যাবশা! কিন্তু সেই চাকরি অবলীলায় ছেড়ে সাধু হয়ে গেলেন সুনীল পট্টনায়েক।
কোটি-কোটি মানুষের স্বপ্ন আইএসএস অফিসার হবেন। তারজন্য কত পড়াশোনা, কত অধ্যাবশা! কিন্তু সেই চাকরি অবলীলায় ছেড়ে সাধু হয়ে গেলেন সুনীল পট্টনায়েক।
টানা ২৩ বছর আইএএস অফিসার হিসাবে চাকরি করেছেন সুনীল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই সরকারি চাকরি ছেড়ে সুনীল বেছে নিয়েছেন সাধুর জীবন। সমস্ত জাগতিক মোহ-মায়া ত্যাগ করতে এতটুকু ইতস্তত করেননি তিনি
টানা ২৩ বছর আইএএস অফিসার হিসাবে চাকরি করেছেন সুনীল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই সরকারি চাকরি ছেড়ে সুনীল বেছে নিয়েছেন সাধুর জীবন। সমস্ত জাগতিক মোহ-মায়া ত্যাগ করতে এতটুকু ইতস্তত করেননি তিনি
একদিনে বা রাতারাতি সুনীল এই সিদ্ধান্ত নেননি। বহুদিন ধরেই তিনি স্বামী শিবননন্দর শিক্ষায় অনুপ্রাণিত। তাঁর শিক্ষা সুনীলের মনে গভীর দাগ কাটছিল। ১৯৯০ সালে সুনীল ঋষিকেশে   স্বামী শিবননন্দর আশ্রমে যান আর পাঁচটা ভক্তের মতোই। কিন্তু সেখান থেকেই তাঁর জীবনে একটা নয়া মোড় আসে।
একদিনে বা রাতারাতি সুনীল এই সিদ্ধান্ত নেননি। বহুদিন ধরেই তিনি স্বামী শিবননন্দর শিক্ষায় অনুপ্রাণিত। তাঁর শিক্ষা সুনীলের মনে গভীর দাগ কাটছিল। ১৯৯০ সালে সুনীল ঋষিকেশে স্বামী শিবননন্দর আশ্রমে যান আর পাঁচটা ভক্তের মতোই। কিন্তু সেখান থেকেই তাঁর জীবনে একটা নয়া মোড় আসে।
বর্তমানে সুনীল পট্টনায়কের নাম স্বামী নিলৃপ্তানন্দ। ২৩ বছর ধরে যে ক্ষমতার শীর্ষে ছিলেন, সেখান থেকে সব পার্থিব মোহ-মায়া ছেড়ে ঈশ্বরের সাধনায় জীবন নিবেদন করা কিন্তু মুখের কথা নয়।
বর্তমানে সুনীল পট্টনায়কের নাম স্বামী নিলৃপ্তানন্দ। ২৩ বছর ধরে যে ক্ষমতার শীর্ষে ছিলেন, সেখান থেকে সব পার্থিব মোহ-মায়া ছেড়ে ঈশ্বরের সাধনায় জীবন নিবেদন করা কিন্তু মুখের কথা নয়।
এই সিদ্ধান্ত নিতে সুনীলের লেগে যায় ২২ বছর। কীভাবে সূত্রপাত? জানা যায়, তখন তিনি মুসৌরিতে, ন্যাশনাল অ্যাকাদেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে আইএসএস-এর ট্রেনিং নিচ্ছেন। একদিন সপ্তাহান্তে যখন বাকি পড়ুয়ারা এদিক-সেদিক নানা জায়গায় ঘুরছেন, তখন সুনীল দুই বন্ধুকে নিয়ে চলে যান ঋষিকেশে, শিবানন্দর আশ্রমে। সেদিনের সেই সফর-ই বদলে দিয়েছিল সুনীলের জীবনের আদর্শ।
এই সিদ্ধান্ত নিতে সুনীলের লেগে যায় ২২ বছর। কীভাবে সূত্রপাত? জানা যায়, তখন তিনি মুসৌরিতে, ন্যাশনাল অ্যাকাদেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে আইএসএস-এর ট্রেনিং নিচ্ছেন। একদিন সপ্তাহান্তে যখন বাকি পড়ুয়ারা এদিক-সেদিক নানা জায়গায় ঘুরছেন, তখন সুনীল দুই বন্ধুকে নিয়ে চলে যান ঋষিকেশে, শিবানন্দর আশ্রমে। সেদিনের সেই সফর-ই বদলে দিয়েছিল সুনীলের জীবনের আদর্শ।
বাড়ির সবাই চেষ্টা করেও সুনীলের বিয়ে দিতে পারেননি। তাঁর প্রথম পোস্টিং হয় দণ্ডকারণ্য প্রজেক্টে। সেই গ্রামের সবাই তাঁকে আজ-ও মনে রেখেছে। কারণ জানেন? বাংলো বা গাড়ি নিয়ে কোন-ও দিন-ও তাঁর মাথাব্যথা ছিল না। মাটিতে একটা পাটি বিছিয়ে, চাদর পেতে শুয়ে পড়তেন সুনীল।
বাড়ির সবাই চেষ্টা করেও সুনীলের বিয়ে দিতে পারেননি। তাঁর প্রথম পোস্টিং হয় দণ্ডকারণ্য প্রজেক্টে। সেই গ্রামের সবাই তাঁকে আজ-ও মনে রেখেছে। কারণ জানেন? বাংলো বা গাড়ি নিয়ে কোন-ও দিন-ও তাঁর মাথাব্যথা ছিল না। মাটিতে একটা পাটি বিছিয়ে, চাদর পেতে শুয়ে পড়তেন সুনীল।