Tag Archives: Muhammad Yunus

Narendra Modi – Muhammad Yunus: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনুসের, কী বিষয়ে কথা হল?

নয়াদিল্লি: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মুদ ইউনুস। বাংলাদেশের দায়িত্বে নেওয়ার পরে এই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করলেন ইউনুস। শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পরে এই প্রথম এই পর্যায়ের কথা হল দুই দেশের।

ইউনুসের তরফে ফোন করার কথা এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, তিনি ইউনুসের কাছে গণতান্ত্রিক, স্থায়ী, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রার্থনা করেছেন। সেই সঙ্গে ইউনুস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের দিন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে লালকেল্লা থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি, তার পরেই শুক্রবার এল ফোন।

আরও পড়ুন: মাঝরাস্তা থেকে সন্দীপ ঘোষকে পাকড়াও করল সিবিআই, সোজা নিয়ে গেল সিজিও-তে

এক্স হ্যান্ডলে মোদি লেখেন, “অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ফোনে কথা হল। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়ে কথা হল ওনার সঙ্গে। গণতান্ত্রিক, স্থায়ী, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশ গঠন করার জন্য বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত। তিনি বাংলাদেশের হিন্দু এবং সকল সংখ্যালঘুদের আশ্বস্ত করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন”।

আরও পড়ুন: আরজি করে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশ, জানেন কে ছিলেন আরজি কর?

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরে ভারতে আশ্রয় নিয়ে শেখ হাসিনা এবং তাঁর বোন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি তার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিংসার অভিযোগ ওঠে দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আগেই ইউনুসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মোদি। সেই পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন স্তরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এবার এই বিষয় নিয়ে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে ফোনে কথা হল প্রধানমন্ত্রী মোদির।

Bangladesh: শান্তি ফিরবে বাংলাদেশে? ইউনুসের কাছে কী কী নতুন চ‍্যালেঞ্জ?

বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অর্ন্তবর্তী সরকার। শেখ হাসিনার পদত্যাগের তিনদিনের মাথায় গঠিত হল অন্তর্বর্তী সরকার। যার প্রধান হিসেবে শপথ নিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ মহম্মদ ইউনুস। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করান। ইউনুসের সঙ্গে শপথ নেন আরও ১৬ জন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের হাত ধরে শান্তি ফিরবে কী বাংলাদেশে? মহম্মদ ইউনুসের কাছে কী কী রযেছে নতুন চ‍্যালেঞ্জ।

Muhammad Yunus- Mamata Banerjee: বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পরে ইউনুসকে শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কী বললেন মমতা?

কলকাতা: বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন মহম্মদ ইউনুস। তাঁর নেতৃত্বে নতুন ভাবে দেশ গঠন করার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ, ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে ওপার বাংলায়। এবার মহম্মদ ইউনুসকে শুভেচ্ছা জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

এক্স মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সহ বাংলাদেশে যাঁরা কার্যভার গ্রহণ করেছেন, তাঁদের প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো। আশা করি, তাঁদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে”।

আরও পড়ুন: মুম্বইতে ভয়ঙ্কর ঘটনা, মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, সন্দেহের তির প্রেমিকের দিকে

শুধু তাই নয় বেশ কিছু দিন ধরে অশান্ত বাংলাদেশ। ছাত্র আন্দোলনের পরে নতুন করে পথচলার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ, সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “বাংলাদেশের উন্নতি, শান্তি, প্রগতি ও সর্বস্তরের মানুষের আরো ভালো হোক – এই কামনা করি। ওখানকার ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক,  মহিলা থেকে শুরু করে সকলের প্রতি আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো”।

সেই সঙ্গে আরও লেখেন, “আশা করি, খুব শীঘ্রই সংকট কেটে যাবে, শান্তি ফিরে আসবে। শান্তি ফিরে আসুক তোমার-আমার এই ভালোবাসার ভুবনে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভালো থাকলে, আমরাও ভালো থাকবো”। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের, তাই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে তা পশ্চিমবঙ্গের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

Modi Wishes Yunus: ‘হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা…’ ইউনুসকে শুভেচ্ছা বার্তায় ‘কর্তব্য’ মনে করালেন মোদি

নয়াদিল্লি: “দ্রুত ছন্দে ফারুক বাংলাদেশ। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।” মোহম্মদ ইউনুস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিতেই এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর ঢাকার বঙ্গভবনে শপথ নেন ডঃ মহম্মদ ইউনুস ও তাঁর ১৬ সহযোগী। ডঃ ইউনুসকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাঁর বার্তায় বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গও তোলেন মোদি।

প্রসঙ্গত, হাসিনা জমানার অবসানে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। সে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, নোবেলজয়ী ডঃ মহম্মদ ইউনুস সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন। আর তার পরই বাংলাদেশে শীঘ্রই স্থিতাবস্থা ফেরার আশা প্রকাশ করে ডঃ ইউনুসকে শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। X হ্যান্ডলে শুভেচ্ছাবার্তায় ভারত-বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ও স্বপ্নপূরণে যৌথভাবে কাজের অঙ্গীকারের কথাও উল্লেখ করেছেন মোদি।

কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত কয়েক সপ্তাহে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশের বেশিরভাগ অংশ। ঘটনা পরম্পরার গতিপ্রকৃতি ও অভিঘাত এমনই ছিল যে শেষমেশ বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত সরকারকেই ভেঙে দেওয়া হয়। পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। আন্দোলনকারীদের দাবি মতো নোবেলজয়ী ডঃ মহম্মদ ইউনুসকে প্রধান করে সরকার গঠনে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি। সেইমতো বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর ঢাকার বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ অনুষ্ঠান হয়। ইউনুস ও তাঁর সহযোগীদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। এর পরই তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন: শুক্রবার শেষ যাত্রায় বুদ্ধবাবু, পিস ওয়ার্ল্ড থেকে NRS মেডিক্যাল কলেজ, একনজরে কমরেডের ‘অন্তিম’ সফরসূচি

তাঁর X হ্যান্ডলে মোদি লেখেন, ”অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুস নতুন দায়িত্ব নিলেন। তাঁকে আমার শুভেচ্ছা। দেশে দ্রুত স্থিতাবস্থা ও স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে আসবে বলে আশা রাখি। হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। দুদেশের উন্নয়ন, বন্ধুত্ব, শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে পূর্বপ্রতিশ্রুতিমতো একযোগে কাজে ভারত সদা প্রস্তুত।”

Bangladesh: বাংলাদেশে শপথ নিলেন নোবেলজয়ী ইউনুস! গঠিত হল অন্তর্বর্তী সরকার, বঙ্গভবনে শপথগ্রহণ আরও ১৬ জনের

ঢাকা: হাসিনা অধ্যায় অতীত। বাংলাদেশে অবশেষে গঠিত হল অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনার পদত্যাগের তিনদিনের মাথায় গঠিত হল অন্তর্বর্তী সরকার। যার প্রধান হিসেবে শপথ নিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ মহম্মদ ইউনুস। ঢাকার বঙ্গভবনে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮ টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করান। ইউনুসের সঙ্গে শপথ নেন আরও ১৬ জন।

বৃহস্পতিবার শপথ অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকার বঙ্গভবনের দরবার হল আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। নোবেলজয়ী অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিতে প্যারিস থেকে বৃহস্পতিবারই দুপুর ২টা ১০ মিনিট ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছন।

আরও পড়ুন: চিরবিদায়…! শেষবারের মতো পাম অ্যাভিনিউ ছাড়লেন ধবধবে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবির ‘বুদ্ধবাবু’, রইল শেষযাত্রার কর্মসূচি

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত, বাংলাদেশ তার জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন বিদেশদপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা বলেন। তাঁর কথায়, ”আমরা বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

Muhammad Yunus: ‘আমাদের ভুলের কারণে…’, দায়িত্ব নেওয়ার আগেই দেশকে সতর্ক করলেন মহম্মদ ইউনুস! কবে ফিরছেন দেশে?

ঢাকা: অরাজকতা, বিশৃঙ্খলায় লাগাম টেনে কি স্থিরতা ফিরবে বাংলাদেশে? শক্ত হাতে কার্যকর করা যাবে আইনের শাসন? এই সমস্ত প্রত্যাশা পূরণে আপাতত যার দিকে গোটা বাংলাদেশ সহ বিশ্বের নজর রয়েছে, তিনি মহম্মদ ইউনুস৷ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকেই প্রথম থেকে নতুন সরকারের প্রধান হিসেবে দাবি করে এসেছেন বাংলাদেশের আন্দোলনরত ছাত্ররা৷ মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন জানিয়ে দিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করা হচ্ছে মহম্মদ ইউনুসকেই৷ বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা নিজেও সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন৷ প্রশ্ন হল, শক্ত হাতে কি বাংলাদেশকে সঠিক পথে চালিত করতে পারবেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ? বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারই দেশে ফিরছেন ইউনুস।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আমজনতার জন্য বার্তা দিয়েছেন ইউনুস। তাঁর কথায়, “আমি সাহসী ছাত্রদেরকে অভিনন্দন জানাই, যারা আমাদের দ্বিতীয় বিজয় দিবসকে বাস্তবে রূপ দিতে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং অভিনন্দন জানাই দেশের আপামর জনসাধারণকে, যাঁরা ছাত্রদের এই আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। আসুন, আমরা আমাদের এই নতুন বিজয়ের সর্বোত্তম সদ্ব্যব্যবহার নিশ্চিত করি। আমাদের কোনও প্রকার ভুলের কারণে আমাদের এই বিজয় যেন হাতছাড়া হয়ে না যায়।”

আরও পড়ুন: কোন দেশের সঙ্গে ভারতের বর্ডার সবথেকে বড় জানেন? পাকিস্তান, চিন নয় কিন্তু! নামটা শুনলেই চমকে উঠবেন

মহম্মদ ইউনুসের সংযোজন, ”আমি সকলকে বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্ত থাকতে এবং সব ধরনের সহিংসা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানাচ্ছি এবং ছাত্র ও দলমত নির্বিশেষে সকলকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের প্রিয় এই সুন্দর ও বিপুল সম্ভাবনাপূর্ণ দেশটিকে আমাদের নিজেদের ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রক্ষা করা এবং একে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন আমাদের প্রধান কাজ। একটি নতুন পৃথিবী বিনির্মাণে আমাদের তরুণরা প্রস্তুত। অকারণ সহিংসতা করে এই সুযোগটি আমরা হারাতে পারি না। সহিংসতা আমাদের সকলেরই শত্রু। অনুগ্রহ করে শত্রু সৃষ্টি করবেন না। সকলে শান্ত থাকুন এবং দেশ পুনর্গঠনে এগিয়ে আসুন। অনুগ্রহ করে নিজে শান্ত থাকুন এবং আপনার আশেপাশের সকলকে শান্ত থাকতে সহায়তা করুন।”

প্রসঙ্গত, দারিদ্র দূরীকরণে অবদান রাখার জন্যই ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন মহম্মদ ইউনুস৷ কিন্তু নোবেল জয়ের আগে পরে কখনওই সেভাবে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়াননি তিনি৷ যদিও শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একেবারেই ভাল ছিল না৷ বরং, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদকে আইনি হেনস্থারও অভিযোগ উঠেছে৷ ইউনুসের অন্যতম ইতিবাচক দিক হল, পশ্চিমী দুনিয়ার শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বেশি৷

তবে বাংলাদেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার কাজটা ইউনুসের পক্ষে মোটেই সহজ হবে না৷ গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে অন্তত চারশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক পুলিশকর্মী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন৷ দেশজুড়ে চলছে লুঠ, খুন, গণহত্যার মতো ঘটনা৷ তার উপর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব একটা স্বস্তিদায়ক জায়গায় নেই৷ হাসিনা সরকারের আমলে পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কিছুটা গতি এলেও মাঝেমধ্যেই তা থমকে গিয়েছে৷ ফলে বাংলাদেশকে আর্থিক সঙ্কট থেকে বের করে আনতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারকে পদক্ষেপ করতে হয়েছে৷

Muhammad Yunus: শক্ত হাতে রাশ ধরতে পারবেন বাংলাদেশের? নোবেলজয়ী ইউনুসের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

কলকাতা: অরাজকতা, বিশৃঙ্খলায় লাগাম টেনে কি স্থিরতা ফিরবে বাংলাদেশে? শক্ত হাতে কার্যকর করা যাবে আইনের শাসন? এই সমস্ত প্রত্যাশা পূরণে আপাতত যার দিকে গোটা বাংলাদেশ সহ বিশ্বের নজর রয়েছে, তিনি মহম্মদ ইউনুস৷ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকেই প্রথম থেকে নতুন সরকারের প্রধান হিসেবে দাবি করে এসেছেন বাংলাদেশের আন্দোলনরত ছাত্ররা৷ মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন জানিয়ে দিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করা হচ্ছে মহম্মদ ইউনুসকেই৷ বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা নিজেও সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন৷ প্রশ্ন হল, শক্ত হাতে কি বাংলাদেশকে সঠিক পথে চালিত করতে পারবেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ?

দারিদ্র দূরীকরণে অবদান রাখার জন্যই ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন মহম্মদ ইউনুস৷ কিন্তু নোবেল জয়ের আগে পরে কখনওই সেভাবে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়াননি তিনি৷ যদিও শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একেবারেই ভাল ছিল না৷ বরং, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদকে আইনি হেনস্থারও অভিযোগ উঠেছে৷ ইউনুসের অন্যতম ইতিবাচক দিক হল, পশ্চিমী দুনিয়ার শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বেশি৷

আরও পড়ুন: চাকরই তিনশো কোটির মালিক, থাকেন আমেরিকায়! হাসিনার নিজের সম্পত্তির পরিমাণ কত?

তবে বাংলাদেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার কাজটা ইউনুসের পক্ষে মোটেই সহজ হবে না৷ গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে অন্তত তিনশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক পুলিশকর্মী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন৷ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন৷ দেশজুড়ে চলছে লুঠ, খুন, গণহত্যার মতো ঘটনা৷ তার উপর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব একটা স্বস্তিদায়ক জায়গায় নেই৷ হাসিনা সরকারের আমলে পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কিছুটা গতি এলেও মাঝেমধ্যেই তা থমকে গিয়েছে৷ ফলে বাংলাদেশকে আর্থিক সঙ্কট থেকে বের করে আনতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারকে পদক্ষেপ করতে হয়েছে৷

হাসিনা সরকারের আমলে অবশ্য আইনি ঝামেলাতেই জর্জরিত থাকতে হয়েছে ইউনুসকে৷ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই ইউনুসের বিরুদ্ধে তৎপরতা বাড়ায় হাসিনা সরকার৷ এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ইউনুস এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রায় দুশো মামলা চলছে৷ আর্থিক তছরুপ, ঘুষ নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে৷ ইউনুসের সমর্থকদের অভিযোগ, ইউনুস ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মসনদে বসতে পারেন, এই আশঙ্কা থেকেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ইউনুসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে মামলা করেছে হাসিনা সরকার৷ ইউনুসকে হেনস্থা না করার জন্য আন্তর্জাতিক মহল থেকেও চাপ বাড়ানো হয় বাংলাদেশ সরকারের উপরে৷

৮৪ বছর বয়সি ইউনুস বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা৷ সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষকে ছোট ছোট ঋণ দিয়ে তাঁদের অর্থনৈতিক উন্নতিই ছিল ইউনুস এবং তাঁর সংস্থার মূল লক্ষ্য৷ মূলত দরিদ্র মহিলাদেরই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে জোর দিত তাঁর সংস্থা৷ এই উদ্যোগের জন্যই নোবেল শান্তি পুরস্কার পান তিনি৷ ২০০৭ সালে বাংলাদেশে সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর ইউনুস নিজের রাজনৈতিক দল করার কথা ভেবেও পরে অবশ্য পিছিয়ে আসেন৷ ফলে, রাজনীতির জগতে তিনি আনকোড়াই৷

এ বছরের শুরুতেই একটি সাক্ষাৎকারে ইউনুস বলেছিলেন, রাজনীতিতে আমি একেবারেই স্বচ্ছন্দ বোধ করি না৷ বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে ইউনুসের গ্রহণযোগ্যতা যেমন বেশি, সেরকমই বিশ্বের প্রথমসারির অনেক শিল্পপতির সঙ্গেও তাঁর ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক রয়েছে৷ গোটা বিশ্বে তাঁর সমর্থক এবং প্রশংসকের সংখ্যাও কম নয়৷ ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজের ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে তিনি কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, সেটাই দেখার৷ তবে একই সঙ্গে তাঁকে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জটিল অঙ্কের সঙ্গেও তাল মিলিয়ে চলতে হবে৷ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এই জোড়া চ্যালেঞ্জ কীভাবে সামলান, সেটাই দেখার৷