Tag Archives: Nabanna

Nabanna: জেলায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে নবান্নে, বড় নির্দেশ

কলকাতা: আরজি করের ঘটনার জেরে সতর্ক নবান্ন। জেলায় কোনও ঘটনা ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে তা নবান্নে জানাতে হবে রিপোর্ট আকারে। যে কোনও ঘটনা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে, এমনটাই জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্য সচিবের। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে থেকে জেলাশাসকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরজি কর কাণ্ডের কিনারা করার জন্য কলকাতা পুলিশকে আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রবিবারের মধ্যে পুলিশ এই তদন্তের কিনারা করতে না পারলে তদন্ত ভার সিবিআই-কে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এ দিন সোদপুরে নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর এই সিদ্ধান্তে কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। বন্ধ পরিষেবা। জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে লাগাতার বিক্ষোভ হাসপাতাল চত্বরগুলিতে। কী ভাবে দ্রুত স্বাভাবিক করা যায় পরিস্থিতি, তা নিয়ে আলোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে  বৈঠকও করেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: আর জি কর কাণ্ডে ধৃত ‘বড়মাপের অপরাধী, সর্বোচ্চ শাস্তির চেষ্টা!’ দাবি নগরপালের, খুনের উদ্দেশ্য জানার চেষ্টায় পুলিশ

এ দিন সোদপুরে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি৷ আর জি কর কাণ্ডে বার বারই একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, ‘ওঁর (নিহত চিকিৎসক) বাবা মা বলেছেন ভিতরের কেউ জড়িত আছে৷ যদি তাই হয় ওঁর বন্ধুবান্ধব সহ যাদের উপরেই সন্দেহ হচ্ছে তাঁদের ডেকে কথা বলা হবে৷ যিনি বাড়িতে প্রথম খবর দিয়েছিলেন, তাকেও ডেকে কথা বলতে বলেছি৷ আমি চাই পুলিশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত শেষ করুক৷ তার পরেও যদি রবিবার পর্যন্ত যদি তাঁরা কুলকিনারা করতে না পারেন, তাহলে এই কেসটা আমরা সিবিআইকে দিয়ে দেব৷ কারণ ভিতরেরও তো অনেকে আছে৷’

West Bengal Cabinet: রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলে তুমুল চমক! মানস ভুঁইয়ার বড় দায়িত্ব, গুরুত্ব বাড়ল বাবুল-চন্দ্রিমার

কলকাতা: রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই রদবদলের ফাইলে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বুধবার এই বিষয়ক নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, মানস ভুঁইয়া পেলেন সেচ দফতরের দায়িত্ব। পার্থ ভৌমিক সাংসদ হয়ে যাওয়ায় তাঁর ছেড়ে যাওয়া সেচ দফতরের দায়িত্ব পেলেন মানস ভুঁইয়া। গুরুত্ব বাড়ল চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। অতিরিক্ত হিসাবে চন্দ্রিমা পেলেন পরিবেশ দফতর।

এদিকে, দফতর বদল হল গুলাম রব্বানীর। তিনি পরিবেশ দফতরে ছিলেন, রদবদলে এবার অচিরাচরিত শক্তি দফতরের দায়িত্ব পেলেন তিনি। এদিকে, বাবুল সুপ্রিয় তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন, সেইসঙ্গে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন শিল্প পুনর্গঠন দফতরের।

আরও পড়ুন: ‘আমাদের ভুলের কারণে…’, দায়িত্ব নেওয়ার আগেই দেশকে সতর্ক করলেন মহম্মদ ইউনুস! কবে ফিরছেন দেশে?

অপরদিকে, সদ্য অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর অভব্য আচরণের জন্য। সেক্ষেত্রে কারা দফতরের মন্ত্রী নেই। তবে, নতুন নির্দেশিকায় কারামন্ত্রীর দায়িত্ব কাউকে এখনও দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, আপাতত কারা দফতর নিজের কাছেই রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী।

দুর্যোগ বিধ্বস্ত কেরল থেকে ফিরেই রাজ্যের মন্ত্রিসভা রদবদলের ফাইলে সই করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস৷ সেই সময়ই অখিল গিরির পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, একজন মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে তদন্ত করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি৷ সূত্রের খবর, রাজ্যপাল জানিয়েছেন, যাতে সাধারণ মানুষের প্রশাসনের উপর আস্থা থাকে, সেই কথা মনে করে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে অখিল গিরির বিরুদ্ধে তদন্ত করুক।

Nabanna Cabinet Resuffle: নজরে তিন মন্ত্রিত্ব, কার হাতে যাচ্ছে কোন দফতর? নবান্নের রদবদলের ফাইলে স্বাক্ষর রাজ্যপালের

কলকাতা: রাজ্য মন্ত্রিসভায় এবার রদবদল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রদবদলের ফাইলে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাজ্য মন্ত্রিসভার তিনটি দফতরে রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আগামিকাল, বুধবার এ বিষয়ক নির্দেশিকা জারি করতে পারে নবান্ন। ইতিমধ্যেই রদবদলের ফাইলে স্বাক্ষর করে রাজ্যপাল পাঠিয়েছেন নবান্নতে।

জানা গিয়েছে, এই ফাইলের সঙ্গেই ছিল রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন কারামন্ত্রী অখিল গিরির পদত্যাগ পত্রও৷ গত সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকার কাছে নিজের ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি৷ মহিলা রেঞ্জারকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে রামনগরের তৃণমূল বিধায়ককে৷ তা-ও ক্ষমা চাওয়া নিয়ে অটল থেকেছেন নিজের অবস্থানে৷

দুর্যোগ বিধ্বস্ত কেরল থেকে ফিরেই রাজ্যের মন্ত্রিসভা রদবদলের ফাইলে সই করলেন রাজ্যপাল৷ সেখানেই অখিল গিরির পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: অখিল গিরির ইস্তফা গ্রহণ করলেন রাজ্যপাল, মহিলা রেঞ্জার-কাণ্ডে তদন্তের পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীকে

পাশাপাশি, একজন মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে তদন্ত করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি৷ সূত্রের খবর, রাজ্যপাল জানিয়েছেন, যাতে সাধারণ মানুষের প্রশাসনের উপর আস্থা থাকে, সেই কথা মনে করে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে অখিল গিরির বিরুদ্ধে তদন্ত করুক। মুখ্যমন্ত্রীকে তেমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন: ‘অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক…’ অখিল গিরি ইস্যুতে আজ পথে নামছে বঙ্গ বিজেপি‌

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলবন্দি হওয়ায় তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ব্যারাকপুর থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন। আর সোমবার দলীয় নির্দেশে ইস্তফা দিয়েছেন অখিল। এই তিন দফতর সূত্রেই এই দফার রদবদল বলে জানা গিয়েছে৷ কারা পেতে পারেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনায় রয়েছে একাধিক নাম৷ তার মধ্যে শোনা যাচ্ছে, এবার উত্তরবঙ্গের কোনও বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে৷ রয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়ের কোনও প্রতিনিধির মন্ত্রিত্ব পাওয়ার জল্পনাও৷

ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিকের সেচ দফতরও কার হাতে যায়, সেদিকে নজর রয়েছে সকলের৷ সমস্তটাই পরিষ্কার হতে পারে আগামিকাল, বুধবার৷

Bangladesh Situation Update: বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে বৈঠক মমতার, এল বিশেষ নির্দেশ!

কলকাতা: বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বৈঠক হল নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশের ডিজি, মুখ্য সচিব,স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিয়ে বৈঠক করেন মঙ্গলবার। মূলত গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি রাখার কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন মমতা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাগুলি থেকে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে যেন প্রতি মুহূর্তে রিপোর্ট আসে, তা নিয়ে পুলিশকে বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য সংরক্ষিত কোটার জেরে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। আর তিনি দেশ ছাড়তেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্ষমতায় রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অস্থিরতার কারণে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে ভারত-বাংলা সীমান্তে। শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির বাংলাবান্ধা সীমান্তে বাংলাদেশের দিকে শুরু হয়েছে জনরোষ। সীমান্তের ওপারে টায়ারে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে আন্দোলনকারীরা৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অতিরিক্ত বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্তে। পাশাপাশি ভারতীয় সেনাকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তাতে আতঙ্কিত দু’পারের মানুষই।

নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা হয়েছে সীমান্ত এলাকায়। এদিন বিএসএফ-এর ডিজি দিলজিত সিং চৌধুরী সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন বলেও জানা গিয়েছে। বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন পেট্রাপোল সীমান্তের ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে রদবদল! হাসিনা ঘনিষ্ঠ জিয়াউলের চাকরি শেষ, বদলে কারা এলেন?

অন্য দিকে, হাই অ্যালার্ট জারি রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে। কয়েক হাজার কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করেছে বিএসএফ। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে সুন্দরবন এলাকায়। সীমান্তে অতিরিক্ত সংখ্যক জওয়ান ও আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছে। সুন্দরবন থেকে কোচবিহার অবধি সর্বত্র কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি এই রাজ্যে যে কয়েকটি ট্রানজিট পয়েন্ট বা আইসিপি রয়েছে সেই সব জায়গাতেও চলছে কড়া নজরদারি।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জারি হাই অ্যালার্ট, নিরাপত্তা নিয়ে ডিজির সঙ্গে বৈঠক স্বরাষ্ট্রসচিবের

কলকাতা: সীমান্তবর্তী অঞ্চল গুলির নিরাপত্তা নিয়ে  রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজিব কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। সীমান্তে নিরাপত্তা নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিএসএফকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশকে নজরদারি বাড়াতে হবে। অনুপ্রবেশ নিয়ে রাজ্য পুলিশের  ডিজিকে বাড়তি সতর্ক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব।  বৈঠকে অসম,ত্রিপুরার ডিজিরাও ছিলেন বলে সূত্রের খবর।

Bsf এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠে এল বাংলাদেশের পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা, ‘‘বাংলাদেশ নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করবেন না। ফেসবুক বা কোনও জায়গায় কিছু পোস্ট করবেন না। যা বলার ভারত সরকার বলবে৷’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্কবার্তা রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক চলাকালীন এই বার্তা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

রাজ্যবাসীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, ‘‘বাংলার সবাইকে আমরা শান্ত থাকতে অনুরোধ করব। কেউ যেন উত্তেজনা না ছড়ায়। প্ররোচনায় পা না দেয়। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যা জানাবেন, তাই আমরা করব।’’

সেনাবাহিনীর চাপে শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়লেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এ দিন দুপুরেই ঢাকা থেকে উড়ে যায় শেখ হাসিনার হেলিকপ্টার৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান ঘোষণা করেন, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা৷ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতেই ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ৷

এ দিন দুপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, দেশের বিশিষ্টজন, আন্দোলনরত ছাত্রদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান৷ তার পর থেকেই হাসিনার পদত্যাগের জল্পনা ছড়ায়৷  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দফতরে এই বৈঠকের কিছুক্ষণ পরই সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন৷ তিনি আরও জানান, আন্দোলনরত ছাত্রদের দাবি মেনেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁরা দাবি জানাবেন৷

Flood alert in districts: বন্যার সতর্কতা ৪ জেলায়! ডিভিসি না বলেই জল ছাড়ল কেন? কড়া বার্তা নবান্নর

কলকাতা: টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যের একাধিক জেলায়। আলিপুরদুয়ারে জারি লাল সতর্কতা। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোল, বর্ধমান এই চার জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই শনিবারের বৈঠকে এই চার জেলা নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।

সেই সঙ্গে ডিভিসিকেও কড়া বার্তা নবান্নের। সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে তবেই জল ছাড়তে হবে। ইচ্ছামত জল ছাড়া যাবে না। ডিভিসির চেয়ারম্যানকে বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।

দুপুর ২টো থেকে নবান্নে জরুরি বৈঠক করছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। সেই বৈঠকে জরুরি তলব করে উপস্থিত থাকতে বলা হয় ডিভিসির চেয়ারম্যানকে। বৈঠকে উপস্থিত থেকে ডিভিসির চেয়ারম্যানকে এই বার্তা রাজ্যের মুখ্য সচিবের।

আরও পড়ুন- জল জমে দুর্ভোগ! কী ভাবে আটকানো যায় বন্যা? জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্য সচিব

আজ সকালেই ডিভিসি জল ছেড়েছে একাধিক জলাধার থেকে। তার জেরে হুগলি, বীরভূম, মেদিনীপুরে একাধিক এলাকা বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এই পরিস্থিতি কাম্য ছিল না, জানিয়েছেন মুখ্য সচিব। বার বারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না জানিয়ে কেন ডিভিসি জল ছাড়ে? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার।

আরও পড়ুন- বিমানবন্দরে জলস্রোত! যেন নদীতে দাঁড়িয়ে বিমান, কলকাতা বিমানবন্দরের ভিডিও দেখলে চমকাবেন

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে বিগত ৪৮ ঘণ্টায় প্রচুর জল ছেড়েছে ডিভিসি। আগামী ৫ ও ৬ তারিখে জোয়ার। সে কারণে হাওড়া, হুগলি সহ বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হতে পারে। এর ফলে রাজ্য সরকার সকলকেই সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে।

আলাপন জানান, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার শহরে শহর বেশ কয়েকটি জায়গায় আশঙ্কা রয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী পুরো বিষয়ের উপর নজর রেখেছেন। মুখ্য সচিব দফতরের সেক্রেটারি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ডিভিসি আরও  ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়বে বলে জানা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই জল ছাড়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এতে আরও বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Waterlogged Districts Measure: জল জমে দুর্ভোগ! কী ভাবে আটকানো যায় বন্যা? জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্য সচিব

কলকাতা:  টানা বৃষ্টিতে জেলায় জেলায় রাস্তাঘাট জলমগ্ন। জল ঢুকেছে বাড়িঘরেও। জলমগ্ন রাস্তায় যানজট। দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরাও। একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে দুপুর ২টো থেকে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্য সচিব।

বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন মুখ্য সচিব।ইতিমধ্যেই জল ছাড়ছে ডিভিসি। পাশাপাশি আরও একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সহ একাধিক দফতরকে।

ইতিমধ্যেই ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে জেলাশাসকদের মুখ্যসচিব।জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করার নির্দেশ। মহকুমা স্তরেও কন্ট্রোল রুম চালু করতে বলেছে নবান্ন। জেলাশাসকদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে শনিবার। বদলে ডাকা হল বৈঠক।

আরও পড়ুন- বিমানবন্দরে জলস্রোত! যেন নদীতে দাঁড়িয়ে বিমান, কলকাতা বিমানবন্দরের ভিডিও দেখলে চমকাবেন

বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে নবান্ন সূত্রে। ত্রান সামগ্রী এবং অন্যান্য ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে, জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্য সচিবের। কী পরিস্থিতি হচ্ছে লাগাতার বৃষ্টির জেরে? কোথায় কত জল জমছে? নদীগুলিতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে জল বইছে? প্রতিমুহূর্তে রিপোর্ট পাঠাতে হবে নবান্নে। জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্য সচিবের। বিপর্যয় মোকাবিলা করার নানা উপায় নিয়ে কথা হবে শনিবারের বৈঠকে।

Land Dispute: জমির দুর্নীতি রুখতে কড়া প্রশাসন! থাকবে লোকেশন ট্যাগ, আসছে নতুন সফটওয়্যার

কলকাতা:  জমির দুর্নীতি ও পরিমাণ নিয়ে গরমিল রুখতে আরও কড়া হল নবান্ন। এবার প্রত্যেকটি জমি ও প্লটের জিপিএস লোকেশন ট্যাগ করবে ভূমি রাজস্ব দফতর। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের জন্য একটি নির্দিষ্ট সফটওয়্যারও তৈরি করা হবে।

জেলায় জেলায় বিভিন্ন জমির পরিমান ধরে ধরে প্লট ভিত্তিক জিপিএস লোকেশন ট্যাগ করা হবে। জেলাগুলিতে সরকারি আধিকারিকদের পাশাপাশি কয়েকটি এজেন্সিক ও দায়িত্ব দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- আকাশ পরিষ্কার হলেও এখনই মুক্তি নেই! ১ ঘণ্টায় ঝেঁপে বৃষ্টি এই ৩ জেলায়, বজ্রপাত থেকে সাবধান

দু’বছরের মধ্যেই এই কাজ শেষ করতে চায় রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। আগামী দিনে জমির পরিমাণ নিয়ে কোন গরমিল রুখতেই পরিকল্পনা, সূত্রের খবর। জেলাগুলিকে তার প্রস্তুতি শুরু করতে নির্দেশ রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের।

আগামী দিনে দফতরে বসেই কোন জমির পরিমাণ কত, কোন অঞ্চলে অবস্থিত, এক ক্লিকেই সেই তথ্য সামনে আসবে।

Waterlogging Precautions: বৃষ্টিতে ভাসছে একাধিক জেলা! বন্যা পরিস্থিতি রুখতে সব ছুটি বাতিল, জরুরি পদক্ষেপ নবান্নর

কলকাতা: লাগাতার বৃষ্টির জেরে একাধিক জেলা জলমগ্ন। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। তার জেরে জেলাশাসকদের সব ছুটি বাতিল করতে বললেন মুখ্যসচিব ।

জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করার নির্দেশ এসেছে।  মহকুমা স্তরেও কন্ট্রোল রুম চালু করতে বলল নবান্ন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে  প্রস্তুত  থাকতে বলা হয়েছে নবান্ন সূত্রে। ত্রান সামগ্রী এবং অন্যান্য ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে, জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্য সচিবের।

কী পরিস্থিতি হচ্ছে লাগাতার বৃষ্টির জেরে? কোথায় কত জল জমছে? নদীগুলিতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে জল বইছে? প্রতিমুহূর্তে রিপোর্ট পাঠাতে হবে নবান্নে। জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্য সচিবের। সব ছুটি বাতিল হল জেলা স্তরে।

এর মধ্যেই গঙ্গায় জল বাড়ছে। সকাল ৭:৪৫ মিনিটে জোয়ার শুরু হয়েছে। বেলা ১২:৪০ মিনিটে নদীর জল স্তর প্রায় ১৭.৫৮ ফুট উঠতে পারে।

গঙ্গার ধারের লকগেটগুলি এই মুহূর্তে খোলা রয়েছে। খোলা থাকবে ১০টা ৪০ পর্যন্ত। গেট বন্ধ থাকবে ১০টা ৪০ থেকে ২টো ৪০ পর্যন্ত। এই সময় ভারী বৃষ্টি হলে শহরে জল জমার আশঙ্কা থাকবে।

শনিবার ভোরে ৪টে থেকে ৬টা কোথায় কত বৃষ্টি হয়েছে শহরে, তার পরিসংখ্যান দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পরমবাজার এলাকায় বৃষ্টি পড়েছে ৪১.৬ মিমি। ঠনঠনিয়া ২৪ মিমি। কুলিয়াট্যাংরা ৩২ মিমি। পাগলা ডাঙা ২১.৪ মিমি। চিংড়িহাটা ৩৯ মিমি। মানিকতলা ৩৩ মিমি। দত্তবাগান ৩২ মিমি। বীরপাড়া ২৭ মিমি। ধাপা ২৪ মিমি। তোপসিয়া ৩৫ মিমি। পাটুলি ১১ মিমি। বালিগঞ্জ ২৩ মিমি। চেতলা ৬ মিমি। যোধপুর পার্ক ২২মিমি, কালীঘাট ১৫ মিমি। বেহালা ১১ মিমি, জোকা ১৯ মিমি এবং গার্ডেন রিচ ৯ মিমি।

আরও পড়ুন- গঙ্গা উপচে বানভাসি হতে পারে কলকাতা! রাত থেকে কোথায় কত বৃষ্টি হল জেনে নিন

Nabanna Waterlogging control: জলযন্ত্রণা কমাতে বড় পদক্ষেপ নবান্নের! বর্ষায় কী কী মেনে চলতে হবে পুরসভাকে?

কলকাতা: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজ্যের বহু এলাকা। গত কয়েক দিনে ব্যাপক হারে বৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। তার জেরেই এবার জেলাগুলিকে সতর্ক করল নবান্ন।
রবিবার পর্যন্ত একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ নবান্নের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের। জল জমলে সঙ্গে সঙ্গে তা বের করার জন্য পাম্পের ব্যবহার করতে হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন।

লোকালয়ে জল ঢুকছে। বাড়িঘরেও জল ঢুকে বিপর্যস্ত জনজীবন। নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, নদীগুলিতে বিভিন্ন ব্যারেজ থেকে কত জল ছাড়ছে, তার প্রতিনিয়ত রিপোর্ট দিতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরাতে হবে।

এলাকায় এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। একবার বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে গেলে সেটি সঙ্গে সঙ্গে যাতে পাম্প করে বের করে দেওয়া হয়, এ নিয়ে যত্নবান হতে হবে, এমনই নির্দেশ। সব মিলিয়ে জেলায় জেলায় জলযন্ত্রণা এড়াতে কড়া নির্দেশ দিল নবান্ন কলকাতা পুরসভার কমিশনারকে।

এ দিকে সপ্তাহান্তেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ঘূর্ণাবর্ত সরে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছে। মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয়, বাংলার উপর দিয়ে বিস্তৃত। বাঁকুড়া থেকে কলকাতার উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলায় আজ, শুক্রবার দিনভর মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

পশ্চিমের তিন-চার জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই মেঘলা আকাশ; হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ৷ বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। আগামিকাল, শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কমতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে উপরের দিকের পাঁচ জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে শুধু পার্বত্য এলাকায়। রবিবার থেকে বৃষ্টি ফের বাড়বে।