Tag Archives: Nisith Pramanik

BJP: ইটবৃষ্টি, কাঁদানে গ‍্যাস, লাঠিচার্জ..বিজেপির ডিএম অফিস অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড কোচবিহারে! আটক নিশীথ

কলকাতা: বিজেপির জেলা শাসক দফতর অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড কোচবিহারে। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির এই অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার সাগরদিঘি চত্বর। বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিককে আটক করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অভিযানের কারণে কোচবিহারের পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় কোচবিহার জেলা শাসকের দফতর। রাখা হয়েছিল জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস আন্দোলনকারীদের আটকানোর জন্য দুটি অস্থায়ী ব্যারিকেড বানানো হয়েছিল। আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতেই এই অভিযান করা হয় বলেই জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে।

আরও পড়ুন: ATM কার্ড ছাড়াই দিব‍্যি তোলা যাবে ক‍্যাশ টাকা! শুধু ফোন থাকলেই…কীভাবে হাতে পাবেন কড়কড়ে নোট? ৯৯% লোকজনই জানেন না

সূত্রের খবর, বিজেপি কর্মীরা জেলা শাসকের দফতরের সামনে আসতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আটক করা হয় বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিককে। বিক্ষুব্ধ বিজেপি সমর্থকরা ইট বৃষ্টি শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জল কামান এবং কাঁদানে গ‍্যাসের ব‍্যবহার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: চালের বস্তায় মুখ গুঁজে পড়েছিল ৪ বছরের শিশুকন‍্যার দেহ! খুন করেছিল তারই ঠাকুমা-কাকিমা..কেন? হল সাজা

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “ঘটনায় বেশকিছু বিজেপি কর্মী সমর্থককে আটক করেছে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এছাড়াও আটক করে রাখা হয়েছে বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিককে। আন্দোলনকারীদের ছোঁড়া পাথরের ঢিলে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কিছু পুলিশ কর্মী। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।” সাগরদিঘি চত্বরের পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে। পুলিশি পাহারা রাখা হয়েছে গোটা এলাকায়।

TMC Joining: শুরু হয়ে গেল! বিজেপিতে তুমুল ভাঙন তৃণমূলের! ‘বড় নেতা’ হারতেই বিজেপিতে ধস

কোচবিহার: উনিশের পুনরাবৃত্তি হল না চব্বিশে! ২০১৯ সালে না পারলেও এবার লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি দুর্গে ফাটল ধরাতে সক্ষম হল তৃণমূল কংগ্রেস। সবাইকে চমকে দিয়ে কোচবিহার কেন্দ্রে জয়ী হয় ঘাসফুল শিবির। আর তারপরই শুরু হয়ে গিয়েছে দলবদলের খেলা। কোচবিহার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্রবর্মা বসুনিয়ার কাছে পর্যুদস্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক। এই জয় যে ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে বিরাট অক্সিজেন দেবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এরই মধ্যে কোচবিহার বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ভেটাগুড়ি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ ৯ সদস্য। ফলে এই পঞ্চায়েতের দখল চলে এল তৃণমূলের হাতে। সদ্য নির্বাচিত সাংসদের থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েতের উন্নতির স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: দিলীপের সঙ্গে মিলে গেল সুর! কার জন্য হারলেন? বিস্ফোরক লকেট চট্টোপাধ্যায়

জগদীশ বসুনিয়া বলেন, “যাঁরা আজকে দলে এলেন তাঁরা এক সময় আমাদের দলেরই কর্মী ছিলেন। কোনও ভুল বোঝাবুঝি বা টিকিট না পাওয়ার ফলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এখন ভুল বুঝতে পেরে সকলে ফিরে এসেছেন।” এরপরই নিশীথকে আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, “ভেটাগুড়ি এলাকায় মানুষকে ভয় দেখিয়েছিল বিজেপি। এমনকী বিজেপির প্রধান, উপ-প্রধানদেরও নিগ্রহ করেছে দলেরই সদস্যরা। গুন্ডারাজ চালাচ্ছিলেন নিশীথ। সেই অরাজকতা শেষ হয়েছে।”

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কোচবিহার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ ৭,৮৮,৩৮৫টি ভোট পেয়েছেন। আর বিজেপি নিশীথ পেয়েছেন ৭,৪৯,১২৫টি ভোট। ৩৯ হাজার ২৫০ নিশীথকে উড়িয়ে দিয়েছেন জোড়াফুলের প্রার্থী। এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী নীতিশচন্দ্র রায়। প্রাপ্ত ভোট ৩০,২৬৭। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর ২০১৮ সালের রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মানুষকে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বছর ঘুরতেই হাতেনাতে এর ফল পায় তৃণমূল। উত্তরবঙ্গে ৮টি লোকসভা আসনের সবকটিতেই জয় পায় বিরোধীরা। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মালদহ উত্তর, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাট কেন্দ্রে জেতেন বিজেপি প্রার্থীরা। আর মালদহ দক্ষিণ যায় কংগ্রেসের ঝুলিতে। এরপর ফের উত্তরবঙ্গ পুনরুদ্ধারে নামেন তৃণমূল নেত্রী। ২১-এর বিধানসভা ভোটে তুলনামূলক ভাল ফল করলেও, এবার একেবারে কোচবিহার লোকসভা দখল করে নিল তৃণমূল। আর তারপরই শুরু হয়েছে দলবদলের খেলা।

Nisith Pramanik: নিশীথ প্রামাণিকের বাড়িতে কী লুকিয়ে রাখা? কারাই বা আছে লুকিয়ে? ভয়ঙ্কর অভিযোগে কমিশনে তৃণমূল

মাথাভাঙ্গা: গোটা দেশজুড়ে শুরু হল লোকসভা ভোট। প্রথম দফায় নির্বাচনে মোট ২১টি রাজ্যের ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ শুরু হল৷ এ রাজ্যের মোট তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ হচ্ছে প্রথম দফায়৷ উত্তরবঙ্গের মোট তিনটি আসনে ভোটগ্রহণ করা হল। এরই মধ্যে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক ইনসপেক্টরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতেই কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের নামে অভিযোগ জানাল তৃণমূল।

লোকসভা ভোটের প্রথম দফার ঠিক আগের রাতে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল তৃণমূল। কোচবিহারে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, নিশীথের বাড়িতে অস্ত্র মজুত করা এবং দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়া, এই তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশনে অভিযোগ জানায় তৃণমূল। নিশীথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জিও জানিয়েছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: ভোট শুরুর সকালেই বড় ঘটনা! মৃত্যু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের! চর্চায় ‘সেই’ মাথাভাঙ্গা

নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় কোচবিহারে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন নিশীথ প্রামাণিক। কেন্দ্রীয় বাহিনী যে হেতু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতায় পড়ে এবং নিশীথ সেই মন্ত্রকেরই প্রতিমন্ত্রী, তাই তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিজের সুবিধা মতো মোতায়েন করতে চাইছেন বলে অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের। তৃণমূলের অভিযোগ, সম্প্রতি নিশীথ তাঁর বাড়িতে দুষ্কৃতীদেরও আশ্রয় দিয়েছেন। যাঁরা তাঁর বাড়িতে রয়েছেন তাঁরা কেউই কোচবিহারের ভোটার নন বলে দাবি।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ মাথাভাঙ্গায় বাথরুমে অচেতন হয়ে পড়ে যান এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। কিউআরটি টিমে থাকার কথা ছিল তাঁর। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তথ্য কমিশন সূত্রে। জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম মিলেশ কুমার নিলু(৪২)। তিনি মাথাভাঙ্গা বেলতলা এলাকায় একটি স্কুলে ভোটের ডিউটিতে এসেছিলেন বিহার থেকে। তবে গভীর রাতে তার সহকর্মীরা অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁকে। এরপর মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই জওয়ানকে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।

Nisith Pramanik: বাম ভোট টানতে মরিয়া পদ্ম শিবির ? বামেদের ভোট চাইলেন নিশীথ প্রামাণিক! তুমুল শোরগোল

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কোচবিহার: লোকসভা ভোটে গেরুয়ার টার্গেট কি লাল? বাম ভোটকে কি নিজেদের দিকে টানাতে মরিয়া পদ্ম শিবির? কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের মন্তব্য ঘিরে নতুন করে এই প্রশ্নই উঠছে।

নিশীথ প্রামাণিক। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী এবং বিদায়ী সাংসদ। চব্বিশের ভোটে তাঁর নজর বামেদের ভোটে! সোমবার নিশীথ প্রামাণিক লোকসভা ভোটের মুখে শীতলকুচির এক প্রকাশ্য সভায় বলেন, ‘‘যেখানে যেখানে বামপন্থী ভাইদের যত পার্টি অফিস তৃণমূল দখল করেছে, তাঁরা উদ্ধার করতে না পারলে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভারতীয় জনতা পার্টি সেই সব পার্টি অফিস উদ্ধার করে বামপন্থী ভাইদের হাতে তুলে দেবে।’’ তবে বামপন্থীদের দলীয় কার্যালয় উদ্ধারের জন্য শর্তও দেন নিশীথ। বলেন, ‘‘কিন্তু অনুরোধ একটাই, ভোটগুলো নষ্ট করবেন না। যেখানে ভোট দিলে আপনাদের ভোট কাজে লাগবে, আপনাদের ভোট সেখানে দেবেন।’’

আরও পড়ুন– ‘ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলকে হারাব, এক লক্ষ বিজেপি কর্মী ময়দানে থাকবে…’! হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর

পাল্টা তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর খোঁচা, ‘‘কোচবিহারের বামেদের পার্টি অফিস ফেরত দেওয়ার আগে ত্রিপুরায় গিয়ে সিপিআইএমের যত অফিস বিজেপি দখল করেছে তার একটা অংশ ফেরত দিক। যে কথাটা বলেছে সেটা ওর চরিত্রের সঙ্গে মানানসই। কারণ ও হচ্ছে, সুপারি কিলারের মতো। সুপারি কিলার যেমন পয়সার বিনিময়ে মানুষ খুন করে, ও তেমন ভোটের বিনিময়ে সিপিআইএমের পার্টি অফিস উদ্ধারের কথা বলছে।’’ বলা বাহুল্য, একসময় বামেদের গড় ছিল কোচবিহার।

১৯৭৭ সাল থেকে ২০০৯। টানা এই লোকসভা কেন্দ্রে জেতে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। ২০১৪ সালে জেতে তৃণমূল। ২০১৯ সালে বিজেপি। ভোটের ফলেই স্পষ্ট, বামেদের ভোট রামে যাওয়াতেই ২০১৯ সালে কোচবিহারে জেতে বিজেপি। ২০১৪ সালে কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী পান প্রায় ৩৩ শতাংশ ভোট।

আরও পড়ুন- ঢাকাই পোড়া মাংস থেকে নলেন গুড় চিজ কেক প্ল্যাটার; জমে উঠতে চলেছে পয়লা বৈশাখের বিশেষ ভূরিভোজ!

২০১৯ সালে তা দাঁড়ায় তিন শতাংশে। অর্থাৎ বামেদের ভোট কমে তিরিশ শতাংশ। অন্যদিকে বিজেপির ভোট শতাংশ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালে কোচবিহারে বিজেপি প্রায় ১৬ শতাংশ ভোট পায়। উনিশে সেটাই হয় প্রায় ৪৮ শতাংশ। অর্থাৎ বিজেপির ভোট বাড়ে ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ বামেদের ভোট কমল ৩০ শতাংশ। বিজেপির ভোট বাড়ল ৩২ শতাংশ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের কথায়, এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট যে বামেদের ভোট গিয়েছিল বিজেপিতে।

এক কথায় বাম ভোট রামে। শুধু কোচবিহার নয়, ২০১৯ সালে রাজ্যজুড়েই এই সমীকরণ দেখা গিয়েছে। যার জেরেই বিজেপি ২ থেকে একলাফে পৌঁছে যায় ১৮-এ। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বামেরা পায় ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। উনিশে যা কমে হয় সাড়ে সাত শতাংশ। অর্থাৎ বামেদের ভোট কমে প্রায় ১৮ শতাংশ। আর উনিশে কংগ্রেসের কমেছিল প্রায় সাত শতাংশ ভোট। দুই দল মিলিয়ে ভোট কমে প্রায় ২৫ শতাংশ। আর ষোলোর তুলনায় উনিশে বিজেপির ভোট বাড়ে প্রায় তিরিশ শতাংশ। এই অঙ্কেই স্পষ্ট, উনিশের লোকসভা ভোটে বামেদের ভোটের একটা অংশ গিয়েছিল রামে। এবার কি চব্বিশেও বামেদের ভোট পেতে মরিয়া পদ্ম শিবির? নিশীথ প্রামাণিকের বক্তব্যে অন্তত তেমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।

TMC-BJP: ফের নিশীথ-উদয়ন সংঘাতে তুলকালাম! কাচ ভাঙল কনভয়ের গাড়ির, দিনহাটায় যা ঘটল…! জানুন

দিনহাটা: নির্বাচনী বিধি লাগু হতেই কয়েকদিন আগে একবার উত্তপ্ত হয়েছিল দিনহাটা মহকুমা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ালেন রাজ্যের বর্তমান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও একবার উত্তপ্ত কোচবিহার। তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বাঁধল তুমুল সংঘর্ষ। ঘটনায় মুহুর্তে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের সদর শহর সংলগ্ন ঘুঘুমারি। কর্মী সমর্থকদের মধ্যে আক্রমণের ঘটনায় গাড়ির কাঁচ ভাঙল উদয়ন গুহর। গোটা পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, “রবিবার সন্ধ্যায় দলীয় কর্মকাণ্ডের জন্য কোচবিহার আসছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। তখন কোচবিহারের ঘুঘুমারি এলাকায় চলছিল বিজেপির একটি মিছিল। উদয়ন গুহর মিছিল পেরিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই সংঘর্ষে জড়ায় দু’পক্ষ। তখনই আক্রমণ করা হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কনভয়ের গাড়ির উপর। ঘটনায় মুহূর্তে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরবর্তী সময়ে ঘুঘুমারি রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী।”

আরও পড়ুনঃ ঠিক যেন টর্নেডো! ক্ষণিকের তাণ্ডবে তছনছ উত্তরবঙ্গ, আজ ফের কোন কোন জেলায় ঝড়বৃষ্টি-বাজের সতর্কতা? জানুন

উদয়ন গুহ জানান, “ঘুঘুমারি এলাকায় বিজেপি কর্মীদের মিছিল চলছিল। সেই সময় তিনি দিনহাটা থেকে কোচবিহারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। তখন আচমকাই তাঁর কনভয়ের গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নিশীথ প্রামানিক। ঘটনায় কনভয়ের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে পড়ে।”

যদিও নিশীথের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “বারংবার এ ধরনের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে উত্তপ্ত হচ্ছে কোচবিহার। তবে গোটা ঘটনা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ণ মন্ত্রীর সাজানো বলে জানিয়েছেন তিনি।” তবে বর্তমান সময়ে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে কোচবিহার সংলগ্ন ঘুঘুমারি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

Sarthak Pandit