মালদহ: মালদহের সামসিতে বিদ্যুৎ দফতরে ব্যাপক গণ্ডগোল। কাটমানি আদায় সহ কিছু অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে গেলে বিদ্যুৎ দফতরেই পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিদের বেধড়ক মার। অভিযোগ, রেহাই পাননি মহিলা কর্মাধ্যক্ষরাও। মারধর, গলাধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ। স্টেশন ম্যানেজারের প্ররোচনায় বিদ্যুৎ কর্মীদের একাংশ হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
তৃণমূল পরিচালিত রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির দুই মহিলা জনপ্রতিনিধি বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ রুকসানা পারভিন ও ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ ফাতেমা খাতুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরও একাধিক পঞ্চায়েত সমিতি সদস্যকে বিদ্যুৎ দপ্তরে মারধর ও হামলার অভিযোগ।এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ দফতরে পৌঁছন প্রচুর তৃণমূল কর্মী।
আরও পড়ুন – KKR New Player: হয়ে গেল বদল, কেকেআরের জার্সিতে এই মরশুমে মাঠ কাঁপাতে আসছেন এই স্পিডস্টার
তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। সামসির বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজারের গ্রেফতারির দাবি তোলে শাসকদল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সব মিলিয়ে দিনভর উত্তপ্ত ছিল সামসির বিদ্যুৎ দফতর। শেষ পর্যন্ত বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে বিদ্যুৎ আধিকারিকদের উদ্ধার করে। আক্রান্ত তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, সামসি বিদ্যুৎ দফতর ঘুঘুর বাসা। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে কাটমানি, অবৈধ লেনদেন চলে। সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে স্টেশন ম্যানেজার দুর্ব্যবহার করার পাশাপাশি কর্মীদের একাংশকে দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের হেনস্থা ও মারধর করেন। হামলার শিকার হন মহিলা জনপ্রতিনিধিরাও। সমস্ত ঘটনায় হয়েছে স্টেশন ম্যানেজারের প্ররোচনায় এমনটাই দাবি আক্রান্তদের।পরিস্থিতি সামাল দিতে নামতে হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে।
যদিও বিদ্যুৎ দফতরের মালদহের রিজিওনাল ম্যানেজার উজ্জ্বল রায় বলেন, বিদ্যুৎ চুরি সংক্রান্ত শুনানি চলার সময় গোলমাল হয়েছে বলে শুনেছি। তবে, মহিলা বা জনপ্রতিনিধিদের মারধরের অভিযোগ সত্য নয়। বিদ্যুৎ কর্মী ও আধিকারিকদের কয়েকজন আক্রান্ত ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে খবর মিলেছে। বিদ্যুৎ দফতরের কেউ মারধর করে থাকলে পুলিশ তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেবে। এদিকে সরকারি দফতরের ভিতরে জনপ্রতিনিধি আর সরকারি আধিকারিক ও কর্মীদের মারামারি, বচসা, হাঙ্গামার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Sebak DebSarma