কলকাতা: সোমবার চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ৷ এদিন সকাল ৭টা থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে যায় হুগলি, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুরে সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৫.৩৫ শতাংশ৷ নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, সকাল ৯ টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি জমা পড়েছে তৃণমূলের৷ তৃণমূল দিয়েছে ৩০টি, বিজেপি ২২টি ও সিপিআইএম-এর ২৫টি অভিযোগ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, সকাল ন’টা পর্যন্ত মোট অভিযোগ জমা পড়েছে ৪৭১টি। সরাসরি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছে, ৭২টি, যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৩০টি, সিপিএম ২৫টি ও বিজেপি ২২টি। এছাড়া, এনজিআরএস ও সি-ভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জমা পড়েছে যথাক্রমে ৩০০টি ও ৯৯টি।
বেলা বাড়তে না বাড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির ধনেখালি ২ ব্লকের বোসো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে৷ বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন, ওই বুথে ভোটার সহায়তা কেন্দ্রের নামে আশাকর্মীদের দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছিল তৃণমূল৷ এক আশাকর্মীকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া স্লিপ সহ হাতেনাতে ধরেও ফেলেন লকেট৷ তাঁর অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছিল৷
হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া স্লিপ ভোটারদের বিলি করছিলেন ওই আশা কর্মী৷ স্লিপ কেড়ে নিয়ে ওই আশাকর্মীকে ফেরত পাঠান লকেট৷ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানান তিনি৷
যদিও বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়নি কমিশন৷ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আশা কর্মীরা ভোটার সহায়তা কেন্দ্রে থাকতে পারেন৷ তৃণমূলের দাবি, লকেট প্রত্যেকবারই ভোটের সময় এসে একই নাটক করেন৷
এদিন নদিয়ার গয়েশপুরে বিজেপি-এর এজেন্টকে মারধরের ঘটনায় রিপোর্ট চাইল কমিশন। ফোর্স পাঠিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নির্দেশ কমিশনের।
আরও পড়ুন : ভোটের আগের রাতে রক্তাক্ত আরামবাগ, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আহত ১২! রিপোর্ট তলব কমিশনের
আরেকটি ঘটনায়, প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধর করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাওড়ার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসারের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইল কমিশন। কী অভিযোগ ও কী ঘটনা ঘটেছে, তা জানতে চাইল কমিশন।
সকাল ৯টা পর্যন্ত তৃণমূল এর অভিযোগ সব থেকে বেশি সিএমএস-এ। তৃণমূল এর তরফ থেকে ৩০টি,বিজেপি ২২টি ও সিপিআইএমের ২৫টি অভিযোগ।
সকাল ন’টা পর্যন্ত মোট অভিযোগ জমা পড়েছে ৪৭১ টি। সরাসরি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছে ৭২ টি, যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৩০ টি, সিপিএম ২৫ টি ও বিজেপি ২২ টি। এছাড়া এনজিআরএস ও সি-ভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জমা পড়েছে যথাক্রমে ৩০০ টি ও ৯৯ টি।