কলকাতা: লোকসভা ভোটে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন দেব ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাকতালীয়ভাবে দু’জনেই একে অপরের প্রতিবেশী। শহরের এক বিলাসবহুল আবাসনের একই টাওয়ারে থাকেন দু’জনে। ভোটে জয়লাভ করার পর সেই আবাসনে কেক কেটে একে অপরকে খাইয়ে দিলেন দেব ও রচনা।
রাজনীতির ময়দানে প্রথমবার রচনা। টেলিভিশনের দিদি নাম্বার ওয়ান এবার হুগলির এক নম্বর দিদি। তাই তাঁকে নিয়ে প্রতিবেশীরা আবির খেলে, বিজয় মিছিল করে, আতশবাজি ফাটিয়ে গোটা আবাসন পরিক্রমা করলেন।
পাশাপাশি ঘাটাল থেকে টানা তিন বার জিতে দেব জানালেন, মানুষের ভালোবাসাই তাঁকে তিন বারের জন্য সংসদে পাঠাল। বড় রাজনীতিবিদ হওয়ার চাইতে ভালো মানুষ হওয়া অনেক বেশি প্রয়োজন। ঘাটালের মানুষ দেবকে চিনতে পেরেছেন তাই বার বার বিজয়ী করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ঘাটালের মানুষের পাশে থাকতে হবে উন্নয়নের কাজ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বুঝিয়ে দিয়েছে যে বিজেপির মতো কুৎসার রাজনীতি করে জয়লাভ করা যায় না। বিজেপির এই রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি তাঁদেরকে বাংলায় ধরাশায়ী করে দিয়েছে”।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের সাংসদদের নিয়ে শনিবার কালীঘাটে বৈঠক ডাকলেন নেত্রী মমতা, কী কারণে বৈঠক?
হিরণকে নিয়ে দেব প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, হিরণ যা করেছেন সেই রকম আক্রমণাত্মক রাজনীতি তিনি কোনও দিন করেননি অ্যার করবেনও না। হিরণকে আগামী দিনের জন্য শুভেচ্ছা জানালেন দেব। রাজনীতিতে সৌজন্যের বড়ই প্রয়োজন। ঘাটাল থেকে জিতে দেব পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাও।
লকেটকে হারিয়ে সাংসদ হয়ে উচ্ছ্বসিত রচনাও। তিনি জানান, গত তিন মাস ধরে তিনি যে পরিশ্রম করেছেন সেই পরিশ্রমই তাঁকে আজ এই জয়ের মুখ দেখিয়েছে, মানুষ ব্যক্তি রচনা কে চিনতে পেরেছেন। সেটাই ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাকে ৮ তারিখে সাক্ষাতের জন্য ডেকেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আশা নিয়ে রাজনীতিতে তাঁকে এনেছেন তিনি তাঁর মুখ রক্ষা করতে পেরেছেন। নিয়মিত হুগলিতে যাতায়াত থাকবে। এখন থেকে হুগলি তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি।
লকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, লকেটের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব আগের মতোই রয়েছে। তিনি লকেটের উদ্দেশ্য কোনও খারাপ কথা আগেও বলেননি এখনো বলবেন না।