নয়াদিল্লি: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পরে দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হবেন অতীশি মারলেনা। কেজরিওয়ালের দিল্লির বাসভবনে পরিষদীয় বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে। অতীশির নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল সেখানেই। সব ঠিক থাকলে আজ, মঙ্গলবারই ইস্তফা দিতে পারেন আপ শীর্ষ নেতা। দুনীর্তির দায় মুক্ত হয়েই তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফিরবেন৷ আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়ার পর এমনটাই ঘোষণা করেছেন কেজরিওয়াল। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে স্যাক্সেনার সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- মোদির পোষ্যকে নিয়ে হইচই! ছোট্ট মিষ্টি এই বাছুর বিশ্বে বিরল! জানলে চমকে যাবেন…
শীলা দীক্ষিত ও সুষমা স্বরাজের পর অতীশি হতে চলেছেন দিল্লির তৃতীয় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। আপ নেতা গোপাল রাইয়ের মতে, অতীশিকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। প্রথমত, বিজেপির চাপ সত্ত্বেও তাঁকে দিল্লির জনগণের সেবা চালিয়ে যেতে হবে। দ্বিতীয়টি হল, বিজেপি যদি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারের ইতিবাচক কাজগুলিকে নষ্ট করার চেষ্টা হলে তিনি বাঁচাবেন।
দিল্লির আবগারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেননি কেজরিওয়াল। তিনিই দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি গ্রেফতার হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরেই আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান কেজরীওয়াল ঘোষণা করেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। গত রবিবার দুপুরে দলীয় এক সম্মেলনে আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান জানিয়েছেন, দু’দিন পরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেবেন তিনি। সঙ্গে এ-ও জানিয়েছেন, পুনরায় ভোটে না জেতা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদে তিনি আর ফিরবেন না। ১৩ সেপ্টেম্বর, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তিহার জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তার দু’দিন পরে, রবিবার, কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, যে তিনি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন- ‘সঞ্চয় করতে গিয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে ফেলবেন না…’ সতর্ক করলেন অর্থমন্ত্রী সীতারমণ
তিনি দিল্লিতে আগাম নির্বাচন চেয়েছিলেন, এবং লোকেরা তাকে “সততার শংসাপত্র” না দেওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে না বসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী পদে কেজরীওয়ালের উত্তরাধিকারী হিসাবে পাঁচ জন আপ বিধায়কের নাম নিয়ে আলোচনা ছিল আপের অন্দরে। এই পাঁচ বিধায়ক হলেন অতিশী মারলেনা, সৌরভ ভরদ্বাজ, কৈলাস গহলৌত, গোপাল রাই এবং ইমরান হুসেন। এই পাঁচ বিধায়ক ছাড়াও আলোচনায় ছিলেন কেজরীওয়ালের স্ত্রী সুনীতাও। সে ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে না থাকলেও স্বামীর গ্রেফতারির পর সুনীতাকেই দলের সামনের সারিতে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় দিল্লির বাসিন্দাদের কাছে জেলবন্দি কেজরীওয়ালের বার্তাও তুলে ধরতেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে সকলকে পিছনে ফেলে দিলেন অতিশী।