Tag Archives: RG Kar Hospital

Lalbazaar Abhijan বিনীতের পদত্যাগ দাবি, সারা রাত রাস্তায় বসে জুনিয়র চিকিৎসকরা! সমর্থন জানাতে এলেন দেবলীনা, সুদীপ্তা, চৈতি

কলকাতা: সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারিকে নিজেদের নৈতিক জয় বলে মেনে নিলেও নগরপাল বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ নিজেদের ঘোষণা মতো সোমবার সারারাত বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রিটের উপরে লালবাজারগামী রাস্তায় বসে থাকেন তাঁরা৷ রাতেই বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্তরা৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে জানিয়েছেন, নগরপালের পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে বিনীত গোয়েলকে৷

সোমবার লালবাজারের কাছে জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল ব্যারিকেড করে আটকে দেয় পুলিশ৷ এর পরই রাস্তার উপরেই বসে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ তাঁরা দাবি করেন, হয় বিনীত গোয়েলকে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, নয়তো পদত্যাগ করতে হবে৷ পাল্টা পুলিশের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে নগরপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা নিজের দাবি দাওয়া জানাতে পারেন৷

আরও পড়ুন: একা সন্দীপ নন, আরজি কর দুর্নীতিতে চারজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই! বাকি তিন জন কারা?

বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা সেই প্রস্তাব মানেননি৷ দুপুর দুটোর পর থেকে রাস্তার উপরেই বসে থাকেন তাঁরা৷ তখনই তাঁরা হুঁশিয়ারি দেন, প্রয়োজনে সারা রাত তাঁরা রাস্তাতেই বসে থাকবেন৷

এরই মধ্যে রাতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির খবর এসে পৌঁছয় জমায়েতে৷ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারিতে খুশি হলেও নগরপালের পদ থেকে বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবি থেকে সরে আসেননি বিক্ষোভকারী চিকিৎসকরা৷ তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি তাঁদের কাছে নৈতিক জয় হলেও বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি থেকে তাঁরা সরে আসবেন না৷ তবে বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তাঁরা কোনও অশান্তি পাকাবেন না৷

চিকিৎসকদের এই অবস্থান চলতে থাকায় অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা৷ সোমবার সারারাত স্লোগান দিতে থাকেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ একটানা রাস্তায় বসে থাকার সিদ্ধান্তে বিক্ষোভকারীরা অনড়৷ মঙ্গলবার সকালেও জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকলে পুলিশ কোন পন্থা নেয়, সেটাই এখন দেখার৷

রাতে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল, দেবলীনা দত্ত এবং সুদীপ্তা চক্রবর্তী৷ জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করার পর তাঁরা বলেন, নগরপাল চাইলে বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতেই পারতেন৷

Sandip Ghosh Arrest: ‘৪ সেপ্টেম্বর রাতে…’, সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারিতে মুখ খুললেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা! বিস্ফোরক ইঙ্গিত

কলকাতা: ১৬ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্তভার নেওয়ার ১৮ দিনের মাথায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তবে প্রাক্তন দাপুটে এই অধ্যক্ষের গ্রেফতারিতে মোটেই খুশি নন নির্যাতিতার বাবা। সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর নিউজ ১৮ বাংলাকে তিনি বলেন, “সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে খুশি নই। আরও যারা দোষী রয়েছে তারা যতক্ষণ গ্রেফতার না হবে, বিচারের আশায় আন্দোলন চালিয়ে যাব। শুধু সন্দীপ ঘোষ বা সঞ্জয় নয়, এর পেছনে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। তাদেরও গ্রেফতার করতে হবে।”

এখানেই শেষ নয়, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ‘রাত জাগো’ কর্মসূচিতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। পাশাপাশি ছাত্র ও চিকিৎসকরা যেভাবে তাঁর মেয়ের বিচারের জন্য রাস্তায় নামে আন্দোলন করছেন। তাদের সেই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ কৌশিকী অমাবস্যার রাত ভাসবে বৃষ্টিতে? আগামী ৪৮ ঘণ্টা বাংলার জেলায় জেলায় কেমন থাকবে আবহাওয়া? জানুন

প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই৷ এ দিন সন্ধ্যায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে নিয়ে আসা হয়৷ এর পরই জানা যায়, সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷

আরও পড়ুনঃ আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ! জালে তুলল সিবিআই

হাসপাতালেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই তদন্ত শুরু হয়েছিল৷ সন্দীপের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতি, এমন কি মৃতদেহ পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার৷ সেই অভিযোগের তদন্তে একাধিক বার আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করেছে সিবিআই৷ এমন কি, হাসপাতালের মর্গেও হানা দিয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা৷

সুবীর দে

RG Kar Doctor Murder Case CBI: খুন-ধর্ষণের কথা জানাজানি হওয়ার পরও হাসপাতালেই ছিলেন সঞ্জয়? বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের হাতে!

কলকাতা: আরজি করের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেও ওই বিল্ডিংয়েই ছিল সঞ্জয় রায়? চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআই সূত্রে। সিবিআই সূত্রে খবর, এমনটাই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকি বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই সোমবার বয়ান রেকর্ড করে পিনাকির। প্রায় ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ছাড়া হয় তাঁকে।

সিবিআইয়ের কাছে পিনাকির দাবি, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার ৮ অগাস্ট সন্ধে ৬.৩০ টার সময় ধৃত সঞ্জয় রায়কে দেখেন উপরে উঠতে। ফের শুক্রবার ৯ অগাষ্ট, ঘটনার পরদিন সকাল ১০টা নাগাদ নামতে দেখেন সঞ্জয়কে।

আরও পড়ুন: ফের কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, মুহূর্তে বদলাবে আবহাওয়া! বড় খবর

এখানেই প্রশ্ন উঠছে, ঘটনা জানাজানি হয় হাসপাতালে ৯ অগাস্ট সাড়ে ৯ টার সময়। নিরাপত্তারক্ষীর দাবি, সকাল ১০ টায় ধৃত সঞ্জয় রাইকে তিনি দেখেছিলেন বিল্ডিং থেকে নামতে। সঞ্জয় মাঝে মধ্যে রোগীভর্তির জন্য আসত ওই বিল্ডিংয়ে এমনটাই দাবি পিনাকির। সঞ্জয়কে সিভিক হিসেবে চিনতেন বলে দাবি পিনাকির। বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে পিনাকিকে। আরও কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই কলকাতা পুলিশের ‘মুখ’ ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, MNC-র চাকরি ছাড়া এই IPS-এর পরিচয় জানেন?

প্রায় এক মাস হতে চলেছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার। এরই মধ্যে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে। সঞ্জয় আপাতত জেল হেফাজতে। ঘটনার তদন্তে গতি আনতে কোমর বেঁধে নেমেছেম কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আর সেখানেই গোয়েন্দাদের চিন্তা বাড়িয়েছে এক বিশেষ ঘটনা।

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ৮ অগস্ট রাত থেকে ৯ অগস্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালে চেস্ট ডিপার্টমেন্টে যাতায়াতকারী সকলের মোবাইলের ‘কল ডিটেলস’ এবং ‘টাওয়ার লোকেশন’ পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই রাতে কর্তব্যরত জুনিয়র-সিনিয়র চিকিৎসক, নিরাপত্তা কর্মী এবং নার্সদের অবস্থান মোবাইল থেকে নিশ্চিত ভাবে জানার চেষ্টা চলছে।

অর্পিতা হাজরা

RG Kar Case: কোন পথে গ্রেফতার সন্দীপ? খবর পৌঁছল ‘অভিযানে’, কিন্তু ‘আসল’ দাবিতে অনড় ডাক্তাররা

কলকাতা: গ্রেফতার আরজি হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা। ১৮ দিন টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সন্দীপকে গ্রেফতার করল সিবিআই। আরজি কর কাণ্ডে নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সেই সমস্ত তথ্য প্রমাণ হাতিয়ার করেই সন্দীপকে গ্রেফতার করল সিবিআই। আর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে রীতিমতো উচ্ছ্বাস ধরা পড়ে। প্রসঙ্গত, এদিনই লালবাজার অভিযান করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে অনড় চিকিৎসকরা। সেই দাবিতে এখনও অনড় রয়েছেন তাঁরা। তবে, সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ায় রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা।

প্রসঙ্গত, নগরপালের ইস্তফার দাবি তুলে লালবাজারের সামনে রাস্তা দখল করে বসে রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ এ দিন জুনিয়র চিকিৎসকদের লালবাজার অভিযানের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল৷ কিন্তু বেলা দুটো নাগাদ জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল লালবাজারের কাছে পৌঁছতেই ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়৷ তখনই ব্যারিকেডের সামনে রাস্তার উপরে বসে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

আরও পড়ুন: নগরপালের পদত্যাগ দাবি, রাস্তা দখল করে বসে পড়লেন জুনিয়র চিকিৎসকরা! অনড় পুলিশও

বিক্ষোভকারীরা দাবি তোলেন, নগরপাল বিনীত গোয়েলকে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে৷ পাশাপাশি তাঁদের মিছিল লালবাজারের কাছে বেনটিংক্ট স্ট্রিট পর্যন্ত যেতে দিতে হবে৷

যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের সেই দাবি মানা হয়নি৷ পাল্টা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, চাইলে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল লালবাজারে গিয়ে নগরপালের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবি দাওয়া জানাতে পারেন৷ পুলিশের এই প্রস্তাব অবশ্য ফিরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা৷ তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল যতক্ষণ না পদক্ষেপ করবেন, তাঁরা রাস্তার উপরেই বসে থাকবেন৷ বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, পুলিশ আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে৷ আমরা একটানা ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা নাইট ডিউটি করি৷ ফলে রাত জাগতে আমরা তৈরি৷

চিকিৎসকদের অনড় মনোভাব দেখে পুলিশের পক্ষ থেকে ফের বিক্ষোভকারীদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, নগরপালের বদলে অ্যাডিশনাল সিপি (১) এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন৷ বিক্ষোভকারীরা সেই প্রস্তাবে রাজি হলেও জানিয়ে দেন, নিজেদের অবস্থান থেকে তাঁরা সরবেন না৷ বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, তাঁদের এই কর্মসূচির অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়, তখন পুলিশ জানিয়েছিল তাদের বেনটিক্ট স্ট্রিট পর্যন্ত যেতে দেওয়া হবে৷ কিন্তু এ দিন তাঁদের মিছিল ফিয়ার্স লেনের কাছে আটকে দেওয়া হয়৷

Sukhendu Sekhar Ray: সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই ফের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট সুখেন্দুশেখরের! এরপর কে? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ

কলকাতাঃ আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই৷ এ দিন সন্ধ্যায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে নিয়ে আসা হয়৷ এর পরই জানা যায়, সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এ দিন সন্দীপ ঘোষকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসার আগেই সেখানে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়৷

আরও পড়ুনঃ ‘একটা সময় শাসক ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, প্রেম খেলা!’ কাদের বিঁধলেন কাঞ্চন-ঘরনি শ্রীময়ী

সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের। সুখেন্দুশেখর রায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোষ্ট করেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনটি স্ট‍্যাম্প তার মধ‍্যে মধ‍্যেখানের স্ট‍্যাম্পটি ভেঙে গেছে। তিনি ক‍্যাপশানে লেখেন, ‘ মিডল স্ট্যাম্প উপড়ে গিয়েছে। এরপর কী?’


এর আগেও আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তাঁর অবস্থান দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিল। তবুও সেই সুখেন্দুশেখর তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেননি। রবিবার, বাস্তিল দুর্গের পতনের কথা মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি লেখেন, ‘ বাস্তিল দুর্গের ছবি শেয়ার লিখেছেন, ১৭৮৯ সালের জুলাই মাসে ক্ষুব্ধ জনতার হাতে পতন হয় বাস্তিল দুর্গের। বাস্তিল দুর্গের পতনের পর জন্ম হয়েছিল ফরাসি বিপ্লবের।’

Sandip Ghosh-Rg Kar Case: সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে কোথায় গেল সিবিআই? তুমুল চাঞ্চল্য! আজ রাতেই কি ‘বড়’ কিছু?

কলকাতা: সোমবারই কি আরজি করের ঘটনায় নতুন মোড় আসতে চলেছে? ‘নিয়ম’ মাফিক সোমবারও সিবিআইয়ের সিজিও কমপ্লেক্স দফতরে আসেন সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু সন্ধ্যা নাগাদই সন্দীপকে নিয়ে বেরল সিবিআই। সূত্রের খবর, সন্দীপকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। তাহলে কি সোমবারই গ্রেফতার হবেন সন্দীপ ঘোষ? পারদ চড়ছে চড়চড়িয়ে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্ট দায়িত্ব দিয়েছে সিবিআইকে। তার পর থেকে কেটে গিয়েছে ১৮ দিন। এই ১৮ দিনে ১৫ বার সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে ১৫০ ঘণ্টা মতো জেরা করা হয়েছে তাঁকে। মাঝে একদিন তাঁর বাড়িতেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেদিন অবশ্য সন্দীপকে আর সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে হয়নি। কিন্তু তারপর দিন থেকে শুরু হয় আবার। অবশেষে এই শনিবার ও রবিবার সেই ‘নিয়মে’ ছেদ পড়ল। শনিবার ও রবিবার সন্দীপকে সিবিআই দফতরে আসতে দেখা যায়নি। তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন নাকি তাঁকে ডাকাই হয়নি, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ যে বন্ধ হয়নি, তা স্পষ্ট হয়ে গেল সোমবার। ‘নিয়ম’ মতো সোমবার সকালে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে চলে এলেন সন্দীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: রবিতে আরজি করে কী এমন পেল সিবিআই? ফের সোমে সিজিও-তে সন্দীপ ঘোষ! শনি-রবি কোথায় ছিলেন?

আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বও পেয়েছে সিবিআই। দু’টি মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে। প্রথম মামলাটিতে প্রশাসক হিসাবে ঘটনার দায় বর্তেছে তাঁর উপর। দ্বিতীয় মামলায় সরাসরিই অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

সন্দীপের প্রাক্তন সহকর্মী তথা আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আদালতে জানিয়েছেন সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, ভেন্ডার নির্বাচনে স্বজনপোষণ, নির্মাণে আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের কথা। সেই সূত্রেই তাঁকে জেরা করছে সিবিআই। সম্প্রতি তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও চালান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে ৯ অগস্ট। তার পর থেকেই আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের পদত্যাগ চেয়ে সরব হন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা। সন্দীপকে তার পরে সরিয়ে দেওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যালে। কিন্তু সেই নিয়োগের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে সরব হন রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা। অবশেষে আদালতের নির্দেশে ন্যাশনাল মেডিক্যাল থেকেও সন্দীপকে সরিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়। এর পরে আদালত আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার দেয় সিবিআইয়ের হাতে। গত ১৬ অগাস্ট থেকে তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। প্রতি দিন সকালেই সন্দীপ সিজিও কমপ্লেক্সে যান এবং জেরা শেষে বাড়ি ফেরেন রাতে। শনিবার ও রবিবার সেই ‘নিয়ম’ বদলে গেল। সিজিও-তে দেখা গেল না সন্দীপকে। যদিও সোমবার ফের সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। আর সোমবার সন্ধ্যেতেই সন্দীপকে নিয়ে সিবিআইয়ের ‘যাত্রা’ নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Mamata Banerjee: রাস্তায় জুনিয়র ডাক্তারদের ‘অভিযান’, নবান্নতে জরুরি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী! কী সিদ্ধান্ত হল?

কলকাতা: জুনিয়র ডাক্তারদের লালবাজার অভিযানের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্যসচিব বৈঠক হল নবান্নে। মূলত পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্য সচিব বৈঠক হয়েছে জানা গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা কেমন চলছে? স্বাস্থ্য সচিবের থেকে জেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী, সূত্রের খবর এমনই।

কোন কোন হাসপাতালে কোথায় কোথায় পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে? অস্ত্রোপচার সব জায়গায় হচ্ছে? প্রত্যেকটি হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসকদের উপস্থিতি কেমন? স্বাস্থ্য সচিবের থেকে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ‘নজিরবিহীন অসভ্যতা!’ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় এবার কে?

হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে খুব শীঘ্রই অর্থের অনুমোদন করা হবে। স্বাস্থ্য সচিবকে এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যসচিবের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন স্বাস্থ্য সচিব।

Junior doctor Lalbazaar Abhijan: নগরপালের পদত্যাগ দাবি, রাস্তা দখল করে বসে পড়লেন জুনিয়র চিকিৎসকরা! অনড় পুলিশও

কলকাতা: নগরপালের ইস্তফার দাবি তুলে লালবাজারের সামনে রাস্তা দখল করে বসে পড়লেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ এ দিন জুনিয়র চিকিৎসকদের লালবাজার অভিযানের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল৷ কিন্তু বেলা দুটো নাগাদ জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল লালবাজারের কাছে পৌঁছতেই ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়৷ তখনই ব্যারিকেডের সামনে রাস্তার উপরে বসে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

বিক্ষোভকারীরা দাবি তোলেন, নগরপাল বিনীত গোয়েলকে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে৷ পাশাপাশি তাঁদের মিছিল লালবাজারের কাছে বেনটিংক্ট স্ট্রিট পর্যন্ত যেতে দিতে হবে৷

আরও পড়ুন: ‘এই বাংলাই দেখতে চেয়েছিলাম…’ আরজি কর ইস্যুতে মুখ খুলেই বোমা ফাটালেন মিঠুন চক্রবর্তী

যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের সেই দাবি মানা হয়নি৷ পাল্টা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, চাইলে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল লালবাজারে গিয়ে নগরপালের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবি দাওয়া জানাতে পারেন৷ পুলিশের এই প্রস্তাব অবশ্য ফিরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা৷ তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল যতক্ষণ না পদক্ষেপ করবেন, তাঁরা রাস্তার উপরেই বসে থাকবেন৷

বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, পুলিশ আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে৷ আমরা একটানা ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা নাইট ডিউটি করি৷ ফলে রাত জাগতে আমরা তৈরি৷

চিকিৎসকদের অনড় মনোভাব দেখে পুলিশের পক্ষ থেকে ফের বিক্ষোভকারীদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, নগরপালের বদলে  অ্যাডিশনাল সিপি (১) এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন৷ বিক্ষোভকারীরা সেই প্রস্তাবে রাজি হলেও জানিয়ে দেন, নিজেদের অবস্থান থেকে তাঁরা সরবেন না৷

বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, তাঁদের এই কর্মসূচির অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়, তখন পুলিশ জানিয়েছিল তাদের বেনটিক্ট স্ট্রিট পর্যন্ত যেতে দেওয়া হবে৷ কিন্তু এ দিন তাঁদের মিছিল ফিয়ার্স লেনের কাছে আটকে দেওয়া হয়৷

RG Kar Protest: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রেসক্রিপশনে এ কী লিখলেন ডাক্তার? মুহূর্তে ভাইরাল, দেখুন

উত্তর ২৪ পরগনা: এবার চিকিৎসকের দেওয়া প্রেসক্রিপশনেও ধরা পরল অভিনব প্রতিবাদের ছবি। “এক ধ্বনী এক স্বর জাস্টিস ফর আরজি কর”। এবার নিজের প্রেসক্রিপশনে এই স্লোগানই স্ট্যাম্প মেরে রোগীদের হাতে তুলে দিতে দেখা গেল বারাসাতের এক চিকিৎসককে।

বারাসাত জেলা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের কাছেই বিশিষ্ট দন্ত চিকিৎসক সুমিত কুমার সাহার চেম্বার। সেখানেই এদিন পরিষেবা নিতে আসা রোগীদের হাতে এমন প্রেসক্রিপশন দেখে অবাক সকলে। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা রাজ্য, ডাক্তাররা পরিষেবা বন্ধ রেখে চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে মানুষের পাশে থেকেও যে প্রতিবাদ জানানো যায় তাই যেন তুলে ধরলেন এই চিকিৎসক।

আরও পড়ুন: এভাবেও প্রতিবাদ করা যায়, আরজি করের বিচার চেয়ে এই দম্পতি যা করলেন অভাবনীয়!

প্রতিবাদের ভাষা অন্য হলেও, এই প্রতিবাদ তিনি চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগীদের প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন বলেই মত। ডাঃ সুমিত কুমার সাহা একাধারে যেমন দন্ত চিকিৎসক পাশাপাশি তিনি বারাসাত পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেরও জনপ্রতিনিধি। এদিন তিনি জানান, যে ঘটনা ঘটেছে চিকিৎসক তরুণীর সঙ্গে তা নৃশংস এবং নিন্দনীয়।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই কলকাতা পুলিশের ‘মুখ’ ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, MNC-র চাকরি ছাড়া এই IPS-এর পরিচয় জানেন?

প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে দোষীদের শাস্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। আবার চিকিৎসক পড়ুয়ারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার, ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা। ফলে অসুস্থতা নিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। আন্দোলনের নাম করে পরিষেবা ব্যাহত রাখলেও , ওই চিকিৎসকদের একাংশ বেসরকারি নার্সিংহোম-সহ অন্যান্য জায়গায় চিকিৎসা পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

যা চিকিৎসা পরিষেবার মতো পেশার ক্ষেত্রে কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই চিকিৎসক। পাশাপাশি তিনি জানান, তাঁর প্রতিবাদের স্বাধীনতা রয়েছে। সেই স্বাধীনতা থেকেই তিনি এমন প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকের এমন প্রতিবাদ রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। রোগীরাও চিকিৎসকের হাত থেকে এমন প্রেসক্রিপশন পেয়ে বলছেন, এমন প্রতিবাদ আগে দেখেননি তাঁরা। ফলে একজন চিকিৎসকের পরিষেবা স্বাভাবিক রেখে, আরজি কর-কাণ্ডে এমন প্রতিবাদকে রীতিমতো কুর্নিশ জানাচ্ছেন চিকিৎসকমহল-সহ সাধারণ মানুষজনও।

Rudra Narayan Roy

RG Kar Doctor: আরজি করের ডাক্তার না হয়েও কেন উপস্থিত ছিলেন? বর্ধমান মেডিক্যালেও সেই অভীক দে-র এ কী ‘কীর্তি’!

বর্ধমান: জন্মদিন থেকে আইবুড়োভাত- বর্ধমান মেডিক্যালে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সব অনুষ্ঠানই পালন করত অভীক দে। অভিযোগ, পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ভর্তি প্রক্রিয়া-অভীকই ছিল শেষ কথা। বর্তমানে, এসএসকেএম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের পিজিটি অভীক। তিনি বর্ধমান মেডিক্যালে রেডিওলজির নোডাল অফিসার ছিলেন। আরজি কর কাণ্ডে যে ‘ক্ষমতাশালী গোষ্ঠীর’ কথা উঠে আসছে, তার মধ্যে নাম রয়েছে অভীকেরও।

যে অভীক দে’কে নিয়ে এত হৈচৈ এত বিতর্ক, সেই চিকিৎসকের আইবুড়ো ভাতের অনুষ্ঠান করা হয়েছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসের গেস্ট হাউসে। শুধু তাই নয়, অভীক দে’র জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় মেডিকেল কলেজের গেস্ট হাউসের একটি রুমে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোদ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়, এমএসভিপি তথা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি স্বরাজ ঘোষ।

আরও পড়ুন: ওই রাতে কী এমন দেখেছিলেন! এবার CBI-এর মুখে আরজি করের সিকিউরিটি গার্ড! সঞ্জয়কে সে চিনত কীভাবে?

কীভাবে সরকারি জায়গায় এইভাবে আইবুড়ো ভাতের অনুষ্ঠান করা যায়, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, এই ভাবেই দিনের পর দিন নিজের প্রভাব খাটিয়ে যা খুশি করে গেছেন অভীক দে। কখনও জন্মদিন তো কখনও আইবুড়ো ভাতের অনুষ্ঠান।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে ঘটনার দিন বেলায় আরজি কর মেডিক্যালের স্টাফ না হয়েও কীভাবে সেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন অভীক? অভিযোগ অভীক দে রাতের অন্ধকারে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের লেকচারার থিয়েটারে ঢুকে এক অভিও বার্তায় সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ। সেটা ভাইরালও হয়েছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।