Tag Archives: RG Kar Hospital

R G Kar Case Kolkata Police: ‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না!,’ রক্তাক্ত-আহত মহিলাকর্মীর ছবি প্রকাশ্যে এনে প্রশ্ন পুলিশের

কলকাতা: ‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না? ও-ও তো কর্মস্থলেই ছিল!’ মেয়েদের রাত দখলের রাতে কর্তব্যরত অবস্থায় এক মহিলা পুলিশকর্মীর রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা এবার সামনে আনল রাজ্য পুলিশ৷ প্রশ্ন তুলল, ‘রাতটা তো শম্পারও ছিল…’

এদিনের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রাজ্য পুলিশের তরফে লেখা হয়েছে, গত ১৪ অগাস্ট ‘রাতটা মেয়েদের হওয়ার কথা ছিল৷ কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তা পুন্র্দখল করতে চাওয়া হয়েছিল৷ নিজের কর্মস্থলে এক তরুণী যে ভাবে নির্যাতিতা হয়েছেন, তার স্মরণেই ছিল এই কর্মসূচি’৷

‘আমাদের সহকর্মী শম্পা প্রামাণিক বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে কর্মরত৷ গত ১৪ অগাস্ট রাতে যাঁরা পথে নেমেছিলেন, তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থে কর্তব্যরত ছিলেন বাগুইআটিতে৷

আরও পড়ুন: ‘এটা জ্যোতিবাবু, বুদ্ধবাবুর পুলিশ নয়,’ উপ নির্বাচনের জন্যই সবকিছু? সন্দেশখালি মনে করালেন মমতা

এমন সময় হঠাৎ করেই বিনা প্ররোচনায়, এক ঝাঁক ইট পাটকেলের টুকরো ভিড়ের মধ্যে থেকে উড়ে এল পুলিশের দিকে৷ তার মধ্যেই একটা সজোরে লাগে শম্পার মুখে৷ এই পোস্টের সঙ্গে থাকা ছবিটি ওই ঘটনারই কয়েক মিনিট পরে তোলা৷

ঘটনায় আমরা ৫ জনকে গ্রেফতার করেছি৷ আমরা তাদের শাস্তি দেওয়ারও চেষ্টা করব৷

কিন্তু, প্রশ্নটা হচ্ছে, এটা কি শম্পারও রাত ছিল না?’

আরও পড়ুন: প্রমাণ লোপাট করতে আরজি করে ভাঙচুর করেছে বাম-বিজেপি, দাবি মমতার

গত বুধবার ‘মেয়েদের রাত দখলের’ দিন রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন সমাজের সর্বস্তরের, সব বয়সের মহিলারা৷ পা মিলিয়েছিলেন পুরুষেরাও৷ কিন্তু, ওই দিনও অশান্তির ঘটনা ঘটে দু’ একটি জায়গায়৷ তার মধ্যে আরজি কর হাসপাতালের ব্যারিকেড ভেঙে তাণ্ডব চালানোর ঘটনা সারা ফেলে দেয় সর্বত্র৷

R G Kar Case: মেয়েদের উপরে অকথ্য অত্যাচারে আসুক আরও কড়া আইন! এবার অমিত শাহকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

কলকাতা: আরজি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ছাত্রীর উপরে পাশবিক নির্যাতন, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার জের৷ মেয়েদের উপরে অত্যাচার বন্ধ করতে এবার শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া আইন প্রণয়নের কথা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়৷

এই মর্মে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ৷ চিঠিতে সাংসদ দাবি জানিয়েছে, ‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ আসলেই তড়িঘড়ি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করতে হবে। কোনও গড়িমসি চলবে না।’

আরও পড়ুন: ‘এটা জ্যোতিবাবু, বুদ্ধবাবুর পুলিশ নয়,’ উপ নির্বাচনের জন্যই সবকিছু? সন্দেশখালি মনে করালেন মমতা

পাশাপাশি সাংসদের দাবি, ‘কোনও সরকারি কর্মচারী দায়িত্ব না নিলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ কর‍তে হবে। সারা দেশে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, সিনেমা হল, সহ জনবহুল জায়গায় সশস্ত্র নারী সুরক্ষা বাহিনী গড়তে হবে’।

চিঠিতে সুখেন্দুশেখর জানিয়েছেন, ‘দেশের সব জেলায় অন্তত তিনটে ফাস্ট ট্র‍্যাক কোর্ট করতে হবে। সেখানে যেন ছয় মাসের মধ্যে এই ধরণের অত্যাচারের সাজা ঘোষণা হয়। যদি আদালত সেই সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম না হয়, তাহলে উচ্চ আদালতের সাথে কথা বলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।’

আরও পড়ুন: প্রমাণ লোপাট করতে আরজি করে ভাঙচুর করেছে বাম-বিজেপি, দাবি মমতার

সবশেষে, সাংসদ জানিয়েছেন, যৌন হেনস্থার ঘটনায় বেঁচে থাকলে এককালীন ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও সরকারি চাকরি দিতে হবে সরকারকে। মৃত্যু হলে পরিবারকে ৫০ লক্ষ আর্থিক সাহায্য। ও একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি।

Mamata Banerjee attacks CPIM: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে হিংসা, তাই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে নাটক করছে সিপিএম! অভিযোগ মমতার

কলকাতা: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে কালিমালিপ্ত করতেই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে নাটক শুরু করেছে সিপিএম৷ এ দিন এমনই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে এ দিন মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেন তৃণমূলনেত্রী৷ মিছিলের শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অভিযোগ তোলেন তিনি৷

এ দিনও মুখ্যমন্ত্রী বার বার অভিযোগ করেছেন, আরজি কর কাণ্ডে সমাজমাধ্যমে ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা৷ যাতে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়৷
ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেটা সত্য সেটা উদঘাটিত হোক। কিন্তু মিথ্যাটাকে সামনে এনে সত্যিটাকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগানো হচ্ছে। কেউ কেউ রাজনীতি করার জন্য টাকা দিয়ে ডিজিটাল মিডিয়ায় টোটাল মিথ্যা ঘটনা বানিয়ে ছাড়ছে। একাজে এআই- কে কাজে লাগানো হচ্ছে। বাম-রাম একাজ করছে।

আরও পড়ুন: কত ভিড় হবে, আন্দাজই করতে পারেনি পুলিশ! আরজি কর ভাঙচুরে কাণ্ডে ব্যর্থতা মানলেন নগরপাল

এর পর সিপিএমকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা নতুন এসেছেন তাদের বলব দাদাদের ইতিহাসটা ভাল করে জানুন। সিপিএমের ইতিহাসটা জানুন। সিপিএম আপনি মেয়েটার পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানাতে পারতেন। আপনার হিংসা তো লক্ষীর ভাণ্ডারের এর উপর।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে আক্রমণ করে লোকসভা নির্বাচনের আগে আক্রমণে নেমেছিল সিপিএম সহ বামেরা৷ যদিও ভোটের ফলে বিপর্যয়ের পর দলীয় রিপোর্টেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সিপিএমের অবস্থানকে নির্বাচনী ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছিল৷ এবার আরজি কর কাণ্ডে সিপিএমকে আক্রমণ করতে গিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডারকেই অস্ত্র করলেন মমতা৷

Mamata Banerjee on R G Kar: ‘এটা জ্যোতিবাবু, বুদ্ধবাবুর পুলিশ নয়,’ উপ নির্বাচনের জন্যই সবকিছু? সন্দেশখালি মনে করালেন মমতা

কলকাতা: ‘‘আমাকে মারবেন? আমাকে গুলি করে মারুন। আপনি জায়গা বলুন। আমি একা যাব। আমার সাথে পুলিশ থাকবে না। কী ভাবছেন আমাকে সরালেই, ফাঁকা জায়গা পেয়ে যাবেন?’’ আর জি কর কাণ্ডের দোষীর ফাঁসির দাবিতে করা মিছিল শেষে মঞ্চে উঠে ঠিক এভাবেই বিরোধী বাম-বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

তৃণমূলনেত্রীর অভিযোগ, সামনেই ৬টা উপনির্বাচন, তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির মতো এবারও রাজনীতি করতে চাইছে বিরোধী বাম-বিজেপি৷ শুধু তাই নয়, বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘গুলি চালানোর উস্কানি’ দেওয়ার অভিযোগও তুললেন তৃণমূলনেত্রী৷

বিরোধীদের নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘আন্দোলনে আমার জন্ম। আন্দোলনেই আমার মৃত্যু হবে। ক্ষমতা থাকলে রাজা থেকে দিল্লির নেতা আমার গায়ে টাচ করে দেখাক।’’

এর পাশাপাশি বিরোধীদের নিশানা করে তাঁর অভিযোগ, ‘‘সামনে ছটা উপনির্বাচন আছে। তাই এই সব করেছেন। দেখেছিলেন তো সন্দেশখালি নিয়ে কী করেছিলেন। ইলেকশনে জেতার জন্য। মনে রাখবেন কলকাতা পুলিশের সব রিপোর্ট সিবিআইয়ের হাতে গেছে। সারারাত আমি জেগেছিলাম যতক্ষণ না শান্তি আসে।’’

আরও পড়ুন: প্রমাণ লোপাট করতে আরজি করে ভাঙচুর করেছে বাম-বিজেপি, দাবি মমতার

তৃণমূলনেত্রীর জোরাল কটাক্ষ, ‘‘আপনারা কি ইনসিস্ট করছেন গুলি চালানোর জন্য? গুলি চালাবে না। এটা জ্যোতিবাবু, বুদ্ধবাবুর পুলিশ নয়৷ নিজেদের সংশোধন করুন। অনেক পাপ করেছেন। আর করবেন না। নিজেদের আয়নায় মুখ দেখুন৷’’

আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি করার আগে আমি মানুষ!,’ দেশের সামনে অপমান করার চক্রান্ত, বাম-বিজেপিকে তুমুল আক্রমণ মমতার

শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ আর জি কর কাণ্ডে দোষীর ফাঁসির দাবিতে মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন শতাব্দী রায়, জুন মালিয়া, মহুয়া মৈত্র সহ দলের অন্য নেতা, বিধায়ক, সাংসদও৷ মিছিল শেষে ডোরিনা ক্রসিংয়ে মঞ্চেও নিজের পাশে দলের মহিলা বাহিনীকেই রেখেছিলেন তৃণমূলনেত্রী৷ এদিন তাঁর বক্তৃতার পরতে পরতে ছিল বিরোধী বাম-বিজেপিকে আক্রমণ৷

RG Kar Murder Case: ‘ফেসবুক, ট্যুইটার করে কিছু হবে না’ আরজি করের ঘটনায় অন্য রূপে অরিজিৎ সিং, রোমান্টিক নয় রুদ্ররূপে গায়ক

মুর্শিদাবাদ: আরজি কর কান্ডে প্রতিবাদে ইতি মধ্যেই রাত দখল করেছিলেন মহিলারা। নেমেছেন টলিউডের এক ঝাঁক তারকা। পিছিয়ে থাকলেন না এই রাজ্যের অন্যতম খ্যাতনামা গায়ক অরিজিৎ সিং। মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জের ভুমিপুত্র গায়ক অরিজিৎ সিং তিনি এবার ধর্ষণের বিরুদ্ধে শুধু রুখে দাঁড়ানো নয়, নিলেন এক সাহসী পদক্ষেপ।

ইতি মধ্যেই ১৪ অগাস্ট রাতে পথে নেমেছিলেন টলিপাড়ার তারকারাও। ‘রাত দখল’ মিছিলে শামিল হন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, পার্নো মিত্র, সোহিনী সরকার, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় থেকে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন-সহ আরও অনেক চেনা মুখকেই দেখা গিয়েছে এই ভিড়ে। এই ঘটনায় এবার নতুন পদক্ষেপ করলেন সঙ্গীতশিল্পী অরিজিত্‍ সিং বলেই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন – Bollywood Gossip: কোনও লাজলজ্জা নেই, হিরোইনকে সবার সামনেই প্রেগন্যান্ট করে দেওয়ার প্রস্তাব, রইল হিরোর ভাইরাল ভিডিও

জিয়াগঞ্জে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। নিজের জন্মভূমিতেই সরব গায়ক। ভাইরাল অরিজিতের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি স্টেজে নিজের বক্তব্য রাখছেন সঙ্গীতিশিল্পী। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ফেসবুক, ট্যুইটার করে কিছু হবে না। আমি এসব ব্যাপারে আপডেট দিতে পছন্দ করি না। আমি আজ থেকে কাজ শুরু করলাম। তোমরা কে কে কাজ করছ? আপনাদের সহযোগিতা চাই আমাদের। ‘অ্যান্টি রেপ’ লোগো লঞ্চ করলাম।’

পাশাপাশি অরিজিৎ সিং একটি প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়েছেন তাতে লেখা আছে ‘রেপ থেকে আমাদের বাঁচান।’ ফেসবুকে অরিজিতের ফ্যান পেজ থেকে ইনস্টাগ্রামের বিভিন্ন প্রোফাইলে ঘুরছে এই একটাই ভিডিও ও এই ছবি। যা ইতি মধ্যেই প্রশংসার দাবি রেখেছে। নির্ভয়ার পাশে দাঁড়িয়ে সাহসী পদক্ষেপের জন্য পেয়েছেন ভুয়সী প্রশংসাও।

Kaushik Adhikary

Mamata Banerjee on R G Kar: প্রমাণ লোপাট করতে আরজি করে ভাঙচুর করেছে বাম-বিজেপি, দাবি মমতার

কলকাতা: গত ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় এবার সরাসরি বাম-বিজেপিকে দায়ী করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর সরাসরি অভিযোগ, ওই দিনের হামলা এবং ভাঙচুরের পিছনে বিরোধীরাই দায়ী৷ শুধু তাই নয়, বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘এভিডেন্স লুট’ করার অভিযোগ তোলেন তিনি৷ জানালেন, ‘‌‘ফ্লোর ভুল করায় বুঝতে পারেনি৷’’

শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ আর জি কর কাণ্ডে দোষীর ফাঁসির দাবিতে মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন শতাব্দী রায়, জুন মালিয়া, মহুয়া মৈত্র সহ দলের অন্য নেতা, বিধায়ক, সাংসদও৷ মিছিল শেষে ডোরিনা ক্রসিংয়ে মঞ্চেও নিজের পাশে দলের মহিলা বাহিনীকেই রেখেছিলেন তৃণমূলনেত্রী৷ এদিন তাঁর বক্তৃতার পরতে পরতে ছিল বিরোধী বাম-বিজেপিকে আক্রমণ৷

মমতার অভিযোগ, গত ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি করের জরুরি বিভাগে যে ভাঙচুর চালানো হয়েছে তার পিছনে দায়ী বিরোধীরাই৷ তাঁর অভিযোগ, ‘‘গিয়েছিলেন রাতের বেলা এভিডেন্স লুট করতে। মেশিন ভেঙেছেন। সিসিটিভি ভেঙেছেন। ফ্লোর ভুল করায় বুঝতে পারেননি। হাসপাতাল গুন্ডাগিরির জায়গা নয়। হাসপাতাল মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জায়গা। প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাম-বিজেপি দেবেন নাকি এই টাকাটা।’’

আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি করার আগে আমি মানুষ!,’ দেশের সামনে অপমান করার চক্রান্ত, বাম-বিজেপিকে তুমুল আক্রমণ মমতার

ঘটনার দিন রাতের পরিস্থিতি নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ তৃণমূলনেত্রীর প্রশ্ন, ‘‘রাতে ঘটনা ঘটল কী করে? এটাই আমার প্রশ্ন। মেয়েটা রাত একটা অবধি খাওয়া দাওয়া করেছে। তারপর তাঁর কাছে ওষুধের জন্য যায় নার্স। সকাল ৯টা অবধি খোঁজ নিলেন না। যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন তাঁরা কী করছিলেন?’’

বিরোধীদের নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘আন্দোলনে আমার জন্ম। আন্দোলনেই আমার মৃত্যু হবে। ক্ষমতা থাকলে রাজা থেকে দিল্লির নেতা আমার গায়ে টাচ করে দেখাক। আমাকে মারবেন? আমাকে গুলি করে মারুন। আপনি জায়গা বলুন। আমি একা যাব। আমার সাথে পুলিশ থাকবে না। কী ভাবছেন আমাকে সরালেই, ফাঁকা জায়গা পেয়ে যাবেন?’’

আরও পড়ুন: অবশেষে ভোট হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে, দিল্লি থেকে দিন ঘোষণা কমিশনের, ভোট হরিয়াণাতেও

মমতার কটাক্ষ, ‘‘সিপিএমের হিংসা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপর। আগে নিজেদের ক্ষত সারান৷ দু’টো পা এখন টেম্পোরারি। যত হিংসা, সবকটা আমার উপর। আমরা আদর্শ বিক্রি করে খাই না।… একজন বিজেপি নেতা সিপি-কে বলছে রাস্কেল। বিজেপির হাতে কে তামাক খাচ্ছে সিপিএম, কংগ্রেস, সবাই। আমাদের মহিলা ক্ষমতায়ন বোঝাতে হবে না।’’

Mamata Banerjee on R G Kar: ‘রাজনীতি করার আগে আমি মানুষ!,’ দেশের সামনে অপমান করার চক্রান্ত, বাম-বিজেপিকে তুমুল আক্রমণ মমতার

কলকাতা: দাবি একটাই, দোষীর ফাঁসি চাই৷ জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ, শতাব্দী রায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়দের পাশে নিয়ে মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত দীর্ঘ পথ হাঁটলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঞ্চে তো বটেই, দর্শকাসনের প্রথমসারিতেও প্রাধান্য রইল সেই মহিলা বাহিনীরই৷ সর্বসমক্ষে ফের জানালেন, ‘‘রাজনীতি করার আগে আমি একজন মানবিক মানুষ৷ ঘটনায় জ্বলে যাচ্ছিলাম৷ আমি কারও ক্ষতি করিনি৷’’ তবে তাঁর বক্তৃতার সিংহভাগজুড়েই রইল বাম-বিজেপিকে এক বন্ধনীতে রেখে জোরাল আক্রমণ৷

মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রতিবাদ, প্রতিরোধ মিছিলে আসার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এমপি, এমএলএ, মন্ত্রী ও অনেক নেতৃবৃন্দ আছেন৷ যাঁরা স্লোগান দিয়েছেন তাদেরকে আপনারা চেনেন৷ আগামিকাল সব ব্লকে ব্লকে মিছিল বেরবে। ফাঁসির দাবি ও বাম-রাম চক্রান্তের বিরুদ্ধে৷ দরকার হলে দল, সাধারণ মানুষ কী বলছে তাতে গুরুত্ব দিন। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সত্য নয়। ঘটনা না ঘটলেও ফেক ভিডিও করে ডিজিটাল মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। এআই আজকে কী জিনিস জানেন? আমি বললাম না। আমি গেলাম না। কিন্তু আমার গলা নকল করে হয়ে যেতে পারে। মনে রাখবেন এটা কলিযুগ৷’’

এরপরেই মিডিয়া ট্রায়ালের প্রসঙ্গ টানেন মমতা৷ তাঁর দাবি, ছাত্রছাত্রীরা যা দাবি করেছেন, পুলিশের তরফে তা-ই করা হয়েছে৷ মমতার কথায়, ‘‘ঘটনার এভিডেন্স মিডিয়া ট্রায়ালের জন্য বাইরে আসতে পারে না। ছাত্র-ছাত্রীরা যা করতে বলেছেন কলকাতা পুলিশ তাই করেছে। ডিএনএ টেস্ট, ফরেন্সিক, ডগ স্কোয়াড অবধি পাঠিয়েছে।’’

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে একটাই দাবি, ‘ফাঁসি চাই’, নারী-বাহিনী নিয়ে এবার পথে নামলেন মমতা!

বিজেপি-কে জোরাল আক্রমণ করে মমতার সওয়াল, ‘‘বিলকিসের পরিবারের সাথে অত্যাচার কে করেছে? হাথরস, উন্নাও কে করেছে? উত্তরাখণ্ডে কী হল? নয়দিন পরে নার্সের দেহ পেয়েছে। সাক্ষী মালিককে অত্যাচার করেছিল? ছেলে টিকিট পেয়েছে৷ বাংলাতে বিচার হয়। আপনাদের শাসিত রাজ্যে বিচার হয় না। দোষীদের নিকৃষ্টতম শাস্তি হোক আমরা চাই।’’

তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘বাম, বিজেপি রবিবার অবধি অপেক্ষা করতে পারতেন। তা নয় মঙ্গলবার আপনারা আদালতে চলে গেলেন। পুলিশ ৯০% এভিডেন্স কানেক্ট করেছিল। পুলিশ যা তদন্ত করেছে তার ভিডিও বাবা-মা’কে দেখিয়ে এসেছে। আমি রবিবার অবধি সময় দিয়েছিলাম। আমি পরিবারকে দোষ দিইনা। আপনাদের সহ্য হল না। আপনাদের দাবি কী? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের সামনে অপমান করতে হবে।’’

আরও পড়ুন: অবশেষে ভোট হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে, দিল্লি থেকে দিন ঘোষণা কমিশনের, ভোট হরিয়াণাতেও

এদিন আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়েও মুখ খোলেন মমতা৷ সরাসরি আঙুল তোলেন বাম এবং বিজেপির দিকে? তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমি জানি আরজি করে ভাঙচুর চালিয়েছে সিপিএম-বিজেপি। সিপিএম-এর ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা ছিল। আর বিজেপি নিয়েছিল জাতীয় পতাকা। জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নিয়ম আছে। জাতীয় পতাকা নিয়ে গুন্ডাগিরি হয় না। আমাকে ধমকাবেন, চমকাবেন না। আমরা নিজেরা জিতে আসিনি। আমাদের নির্বাচিত করেছেন জনগণ। বাংলায় কোনও ঘটনা ঘটলে প্রশাসন তা সামলাতে পারে। সমস্যা সামলাতে তারা পারে৷ যান আগে দেশ সামলান৷’’

Kolkata police on RG Kar vandalize incident: কত ভিড় হবে, আন্দাজই করতে পারেনি পুলিশ! আরজি কর ভাঙচুরে কাণ্ডে ব্যর্থতা মানলেন নগরপাল

কলকাতা: বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে উন্মত্ত জনতার ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের ব্যর্থতা কার্যত স্বীকার করে নিলেন নগরপাল বিনীত গোয়েল৷ এ দিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কলকাতা পুলিশের সিপি স্বীকার করে নেন, আরজি করের সামনে যে অত বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েত হবে, তা আন্দাজই করতে পারেনি কলকাতা পুলিশ৷ তবে একই সঙ্গে ওই দিন হাসপাতালে হামলার ঘটনায় যারা জড়িত, তারা বিচ্ছিন্ন ভাবেই জমায়েত করেছিল৷ ফলে পরিকল্পিত ভাবে হাসপাতালে ভাঙচুর করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল, তা মানতে চাননি নগরপাল৷

একই সঙ্গে এ দিনও নগরপাল দাবি করেছেন, কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে কোনও কিছুই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়নি৷ মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ নিয়ম বিরুদ্ধ কিছু করেনি বলেই দাবি করেছেন নগরপাল৷
আর জি কর হাসপাতালে উন্মত্ত জনতার তাণ্ডবের পর পুলিশের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা ব্যর্থতার অভিযোগ উঠছে৷ দুষ্কৃতীরা জড়ো হয়ে যে হাসপাতালে হামলা চালাতে পারে, সেই খবর কেন পুলিশের কাছে আগাম ছিল না, সেই প্রশ্নও উঠছে৷

যদিও গোয়েন্দা ব্যর্থতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নগরপাল বলেন, ওই দিন গোটা কলকাতা জুড়েই আলাদা একটি কর্মসূচি ছিল৷ কিন্তু ওই কর্মসূচিতে কত মানুষের ভিড় হতে পারে, তা আগাম আন্দাজ করা সম্ভব হয়নি৷ কারণ এই কর্মসূচি সংগঠিত ছিল না, নেতৃত্ব স্থানীয় কেউ ছিলেন না৷ ফলে ভিড় কত হতে পারে সেই অনুযায়ী বাহিনী মোতায়েন করাও আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি৷ তাছাড়া, প্রথম দিকে পুলিশ অনেক সংযমও দেখিয়েছে৷

আরও পড়ুন: মাঝরাস্তা থেকে সন্দীপ ঘোষকে পাকড়াও করল সিবিআই, সোজা নিয়ে গেল সিজিও-তে

বিনীত গোয়েল অবশ্য দাবি করেছেন, ওই দিন যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা ছিল৷ কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷ এ কথা বলেও অবশ্য নগরপাল বলেন, ‘ভিড়ের পরিমাণ এতই ছিল ঠেকানো সম্ভব হয়নি, ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার পর কোনওমতেই সম্ভব হয়নি তাদেরকে ঠেকানো। আপনারা যদি বলেন এটা আমাদের ব্যর্থতা, তাহলে অবশ্যই এটা আমাদের ব্যর্থতা।’

হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তবে ধর্ষণ খুন কাণ্ডের প্রমাণ লোপাটের জন্যই হাসপাতালে হামলা হয়েছে, সরাসরি এই অভিযোগ মানতে চাননি নগরপাল৷ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদেও সেরকম কোনও তথ্য মেলেনি বলেই দাবি করেছেন তিনি৷ বরং নগরপাল দাবি করেছেন, এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছে, তারা বিচ্ছিন্ন ভাবেই বুধবার রাতে আরজি করের সামনে এসেছিলেন৷ বিনীত গোয়েল বলেন, কেউ হাওড়া থেকে এসেছিল, কেউ আবার দমদম, মুরারিপুকুর থেকে৷ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে৷

নগরপাল এই যুক্তি দিলেও এ দিন পুলিশের ভূমিকায় ফের একবার তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনাতেও পুলিশের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট৷ হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷