Tag Archives: RG Kar Hospital

R G Kar Murder: আজই জিবি বৈঠক চিকিত্‍সকদের! আন্দোলন নিয়ে নেওয়া হবে বড় সিদ্ধান্ত, কারা উপস্থিত থাকবেন?

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিত্‍সককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এবার জিবি বা ‘জেনারেল বডি’র মিটিং শুরু হবে। কলকাতা মেডিক‍্যাল কলেজে শুরু হবে জিবি। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে পাঠরত চিকিত্‍সক পড়ুয়াদের জিবি বৈঠক হবে কলকাতা মেডিক‍্যাল কলেজে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, কলকাতা মেডিকেল কলেজ, এনআরএস মেডিকেল কলেজ, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, এসএসকেএম-সহ আরও বেশ কয়েকটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা উপস্থিত থাকবেন এই জিবিতে। এখান থেকে বৃহত্তর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জিবি শেষে প্রেস ব্রিফ করে জানানো হবে। ছবি যাবে জিবিতে ডাক্তার ইউজি, পিজি ট্রেনিদের। আর জি করের কিছু জুনিয়র ডাক্তার এবং পিজি ট্রেনিদের আসার কথা এই বৈঠকে।

আরও পড়ুন: টকটকে লাল নয়, ঘন নীল! বলুন তো কোন প্রাণীর রক্তের রং নীল? এক লিটারের দামই ১০ লাখ!

জানা গিয়েছে রবিবার বিকেল ৪:৩০ নাগাদ এই জিবি বৈঠক শুরু হবে। সন্ধ‍্যা ৬ টা নাগাদ করা হবে সাংবাদিক বৈঠক। ছবি যাবে জিবিতে ডাক্তার ইউজি, পিজি ট্রেনিদের। আর জি করের কিছু জুনিয়র ডাক্তারের, পিজি ট্রেনিদেরও আসার কথা। প্রসঙ্গত গতকাল অর্থাত্‍ শনিবারই জিবি বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: পাশবিক অত‍্যাচার, ধর্ষণ, ক্ষত-বিক্ষত তরুণীর দেহ, খুন, আর জি কর উস্কে দিচ্ছে কামদুনির স্মৃতি! পৌঁছে গেলেন মৌসুমি, টুম্পা

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার আর জি কর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয় চিকিত্‍সক পড়ুয়ার ক্ষত বিক্ষত দেহ। আর জি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে খুন করা হয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিল ক্ষত এবং আঘাতের চিহ্ন। গোপনাঙ্গ, দু’চোখ-সহ একাধিক জায়গা থেকে রক্তপাতের প্রমাণও মিলেছে। ঘটনায় ইতিমধ‍্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় রায় নামে এক ব‍্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অপরাধের কথা ইতিমধ‍্যেই স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত। এই ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

RG Kar lady doctor rape and murder case: ‘পক্ষপাতদুষ্ট তদন্ত! সরানো হোক অধ্যক্ষকে’, প্রেস বিবৃতিতে সরব এসএসকেএমের চিকিৎসকরা

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে সরব হলেন এসএসকেএম-এর আবাসিক ডাক্তাররা। এ দিন এক সাংবাদিক বৈঠকে এসএসকেএম-এর আবাসিক ডাক্তাররা জানান, আরজি কর হাসপাতালের মধ্যেই ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তাঁরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং চিন্তিত। ঘটনার ঠিকমতো তদন্ত হচ্ছে না বলেও তাঁদের দাবি। যে কারণে, কী ভাবে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে তা স্পষ্ট হচ্ছে না বলে জানান তাঁরা। নবীন চিকিৎসকদের মতে, এই তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট।

উপরন্তু, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এসএসকেএম-এর দুই আবাসিক ছাত্রের নিগ্রহের ঘটনাও সামনে আনা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে নিগৃহীতদের সহকর্মী চিকিৎসকরা জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন ওই দুই আবাসিক চিকিৎসক। এর পরই পুলিশ এবং স্বঘোষিত আরজি কর চিকিৎসকদের হাতে তাঁরা নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ। প্রেস বিবৃতিতে সতীর্থ ডাক্তারদের উপর এই হিংসাত্মক আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন আবাসিক ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, “আরজি কর কাণ্ড এবং এ ধরনের চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা বাকস্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিচ্ছে।”

আরও পড়ুন- খুন ও ধর্ষণের পর জুতো থেকে রক্ত ধুয়েছিল সঞ্জয়! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

এর পরই প্রেস বিবৃতিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, নন এমারজেন্সি পরিষেবা বন্ধই থাকবে এসএসকেএম-এ, যদি না তাঁদের দাবি পূরণ করা হয়। কী কী দাবি, স্পষ্ট করা আছে ওই বিবৃতিতেই।
প্রথমত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ চান তাঁরা। দাবি করেন, “সঠিক পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। কর্তৃপক্ষকে মানতে হবে, তারা ব্যর্থ।” আবাসিক ডাক্তাররা আরও বলেন, “পদক্ষেপ করা হোক, সেটাই দেখতে চাইছি। নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি। সিবিআই তদন্ত চাইছি।” সেই সঙ্গে এসএসকেএম-এর প্রতিবাদ করতে যাওয়া ডাক্তারদের মারধর করার জন্যও ক্ষমা চাইতে হবে, এমনই জানান তাঁরা।

RG Kar Rape and Murder Case: ১৩ বছরের প্রেম বিবাহবন্ধনে পূর্ণতা পেত নভেম্বরেই, অভিশপ্ত রাতে সাড়ে এগারোটায় শেষবার কথা প্রেমিকের সঙ্গে, চোখের কোণায় জল নিয়ে যা বললেন হবু স্বামী

উত্তর ২৪ পরগনা: ১৩ বছরের ভালোবাসার মিলল না অন্তিম পরিণতি। নভেম্বর মাসে বিয়ের চূড়ান্ত দিন নির্ধারণ করার কথা ছিল কয়েক দিনের মধ্যেই। তাই দু’বাড়ির তরফ থেকেই একপ্রকার প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছিল চার হাত এক হওয়ার। তার  মধ্যেই   ঘটে গেল নৃশংস ঘটনা।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আর জি করে ধর্ষণ করে খুন করা ডাক্তারি পড়ুয়া তরুনীর বিয়ের কথা ছিল নভেম্বরেই। বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগেই শববাহী গাড়িতে হবু বউয়ের সেই মুখ যেন এখনও ভুলতে পারছেন না, বয়সে কয়েক বছরের বড় সিনিয়র ডাক্তার প্রেমিক।

আরও পড়ুন – IPL Mega Auction: কোনও নড়চড় নয়, মেগা নিলাম হচ্ছেই, তবে প্লেয়ার ধরে রাখার বিষয়ে নতুন ভাবনা বোর্ডের

উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে মেডিক্যাল জয়েন্টে বসেছিলেন ওই চিকিৎসক তরুণী। সেই সূত্রে ভর্তি হন দমদমের একটি প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় ব্যারাকপুর পলতার বাসিন্দা ওই যুবকের। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিলেন দু’জনেই।

কিন্তু সব যেন থমকে গেল ওই অভিশপ্ত এক রাতেই। প্রেমিক এখন নদিয়ার একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। তবে মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন তিনি। ১৩ বছরের অপেক্ষার শেষ হতো আর মাত্র কয়েক মাস বাদেই।

খড়দহ থানা এলাকায় মৃত ডাক্তারি তরুণীর বাড়ির সামনে এখনও সোনালী রঙের জ্বলজ্বল করছে রেসপিরেটরি মেডিসিনের নেমপ্লেট। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বাবা-মায়ের ছোট থেকেই ছিল অনেক স্বপ্ন। তবে মেধাবী তরুণীর ইচ্ছে ছিল বড় ডাক্তার হওয়ার।

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাত সাডে় ১১টা নাগাদ তরুণীর সঙ্গে তাঁর হবু স্বামীর শেষ কথা হয়। ডিউটিতে ছিলেন বলে তখন বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেননি ওই চিকিৎসক তরুণী৷ কিন্তু পরে অনেকটা সময় চলে গেলেও, ডাক্তার প্রেমিকার ফোন না পাওয়ায় কল করতে থাকেন ওই প্রেমিক চিকিৎসক যুবক। মেসেজেও বেশ কয়েকবার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি বলেও জানান। কিন্তু মেলেনি কোন উত্তর। যুবক ভেবেছিলেন, ডিউটিতে ব্যস্ত আছে বলেই হবু স্ত্রী হয়তো রিপ্লাই দিতে পারছে না৷ কিন্তু ওই এক রাতেই যে এমন বদলে যাবে পরিস্থিতি তা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি।

এরপর কি হবে! কিভাবে ভালবাসার সেই মানুষকে ছাড়া কাটাবেন বাকি জীবন! বুঝে উঠতে পারছেন না আর জি কর কাণ্ডে খুন হওয়া তরুনীর হবু স্বামী। যারা এই কাণ্ড ঘটাল তাদের নজিরবিহীন শাস্তি হোক, চোখের কোণায় জল নিয়ে এমনই আক্ষেপের সুর শোনা গেল মৃতার প্রেমিক ওই চিকিৎসকের গলায়।

Rudra Narayan Roy

RG Kar Murder Case: ‘ডাক্তার দিদিমনির’ সঙ্গে এমন হবে তা অবিশ্বাস্য! আরজিকর কাণ্ডে মৃতার স্মৃতিচারণায় একদা সহকর্মীরা

উত্তর ২৪ পরগনা: দেশ জুড়ে চলা করোনাকালীন পরিস্থিতিতেও নিজের দায়িত্বে থেকেছেন অবিচল। এমারজেন্সিতে আসা রোগীদের ক্ষেত্রে তার কাজ যেন এখনও চোখে আটকে মধ্যমগ্রাম মাতৃসদন হাসপাতালে কর্মরত বহু নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে। সেই মানবিক, স্বল্পভাষী, নরম ব্যবহারের ‘ডাক্তার দিদিমনির’ যে এমন অবস্থা হবে তা বিশ্বাস হচ্ছে না একদা সহকর্মীদের।

আর জি কর হাসপাতাল কাণ্ডে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ডাক্তারি পড়ুয়ারা। ক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে হাসপাতালের দায়িত্ব সামলে সেদিনের ‘ডাক্তার দিদিমনির’ জন্য রীতিমতো চাপা কষ্টে মধ্যমগ্রাম মাতৃসদন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। এই হাসপাতেলেই আরজিকর কাণ্ডে মৃত ডাক্তার তরুনী ২০১৯ থেকে কর্মরত ছিলেন। এই ঘটনা শোনার পর থেকেই, মর্মাহত হাসপাতলে সেই সময়ে তাঁর সঙ্গে কাজ করা নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই ঘটনায় তারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

আর জি কর হাসপাতালের মত জায়গায় যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে! তবে কোন জায়গাই তো সুরক্ষিত নয় বলেই মত হাসপাতাল কর্মীদের। আর পাওয়া যাবে না ‘ডাক্তার দিদিমনির’ মতো মেয়ে। তার ব্যবহার, তার চিকিৎসা পদ্ধতি, রোগীদের বোঝানো, তার জরুরী বিভাগে ডিউটি করার সময় কাজের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ কোনও কিছুই যেন ভুলতে পারছেন না একদা মৃতার সহকর্মীরা।

আরও পড়ুনঃ GK: নেই কোনও জাতীয় পশু! এমন দেশের নাম বলুন তো দেখি, উত্তর দিতে হোঁচট খাচ্ছেন অনেকেই

করোনাকালীন পরিস্থিতিতে এই হাসপাতালেই সামলেছেন দায়িত্ব। সময়মত ডিউটিতে আসা, এমারজেন্সি তে ডিউটি, এবং সর্বশেষ আইসিইউতেও নিজের চিকিৎসার দক্ষতা দেখিয়েছেন ‘ডাক্তার দিদিমনি’। আর জি করে যোগ দেওয়ার আগের দিনও এখানেই ডিউটি করেছিলেন তিনি। ২০১৯ থেকে ২০২১ এই দীর্ঘ সময়ের সেই ‘ডাক্তার দিদিমনির’ স্মৃতি যেন বারবার ঘুরে ফিরে আসছে মধ্যমগ্রাম মাতৃ সদন হাসপাতালের সহকর্মীদের কাছে। অপরাধীদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় এখন এটুকুই চাইছেন সকলে।

Rudra Narayan Roy

R G Kar Medical College: ছুটি বাতিল আর জি করের ডাক্তার-সহ সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের, বিজ্ঞপ্তি জারি কর্তৃপক্ষের

কলকাতা: আর জি কর মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই সঞ্জয় রায় নামে কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়েছে গোটা শহর। দফায় দফায় কর্মবিরতিতে স্তব্ধ হয়েছে আরজি কর মেডিকেল কলেজের পরিষেবা । এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক নার্স স্বাস্থ্যকর্মী-সহ সমস্ত কর্মীর ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা আগে থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে ছুটি নিয়েছেন তাদের ব্যতীত নতুন করে আর এই মুহূর্তে ছুটি নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরে পদক্ষেপ! সরানো হল আর জি কর হাসপাতালের সুপারকে

অন্যদিকে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তৎপর হয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের আগে মদ্যপান করেছিলেন সঞ্জয়। খুনের পর পুলিশের ব্যারাকে ফিরেও মদ্য়পান করেন। তার পর ঘুমিয়ে পড়েন। এমনকী পুলিশের সামনেও মদ্যপান করেই হাজির হয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতোই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার অ্যাকশন নেয় পুলিশ। তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে।

আর জি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারের নির্যাতনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়কে ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। অপরাধীর শাস্তির দাবিতে উত্তাল কলকাতা। সঞ্জয়কে নিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীরা তুলে ধরার পর যখন সঞ্জয় বুঝতে পরে যে সে ধরা পড়ে গিয়েছে, তখন কোনও পথ না পেয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে।

R G Kar Medical College Student Death: ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরে পদক্ষেপ! সরানো হল আর জি কর হাসপাতালের সুপারকে

কলকাতা:  তরুণী চিকিৎসককে নির্যাতন করে খুনের ঘটনার জের৷ ঘটনার দু’দিন পরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সুপারকে সরানোর নির্দেশ৷ হাসপাতালের এমএসভিপি বা সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে সরিয়ে দেওয়া হল৷ তার বদলে নতুন সুপার নিযুক্ত হলেন ডক্টর বুলবুল মুখোপাধ্যায়৷ তিনি ডিন অফ স্টুডেন্টস এফেয়ার ছিলেন৷ বর্তমান তরুণী হত্যার ঘটনায় গঠিত ১১ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট-এরও অন্যতম সদস্য তিনি৷

যদিও ঘটনার কথা সামনে আসার পরে হাসপাতালের প্রিন্সিপালের করা মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে৷ আন্দোলনকারীদের তরফেও তাঁকে বরখাস্ত করার দাবি জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু, বদলে সুপারকে সরিয়ে স্বাস্থ্য দফতর সেই ক্ষোভ খানিকটা হলেও প্রশমনের চেষ্টা করল বলে মনে করা হচ্ছে৷ সঞ্জয়কে সরিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।

গত শুক্রবার সকালে আর জি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের চার তলার সেমিনার রুম থেকে রহস্যজনক ভাবে উদ্ধার হয় এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ৷ তিনি ওই হাসপাতালে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন৷ তার আগের দিন অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার রাতে অন কল ডিউটিতে হাসপাতালে ছিলেন তিনি৷ দুপুর ২টো নাগাদ খেয়ে ২ ঘণ্টার জন্য সেমিনার রুমে বিশ্রাম নিতে এবং পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন৷

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে পড়ুয়াদের সমস্ত দাবি দাবি মেনে নিল স্বাস্থ্য দফতর, কী কী পদক্ষেপ?

পরেরদিন, অর্থাৎ শুক্রবার সেমিনার হলে উদ্ধার হয় ওই চিকিৎসকের দেহ৷ পোশাক ছিল অবিন্যস্ত৷ পরবর্তীকালে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, ওই তরুণীর সারা শরীরে কমপক্ষে ১০টি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে৷ গলা টিপে ভেঙে দেওয়া হয়েছে গলার দু’পাশ ও থাইরয়েড গ্রন্থির হাড়৷ মুখে, গলায় কালশিটে৷ পেটেও আঘাত৷ ভেঙে দেওয়া হয়েছে ডান হাতের অনামিকা আঙুলটি৷ পায়েও কালশিটে, ক্ষত৷ ক্ষত গোপনাঙ্গেও৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রথমে খুন ও শনিবার ধর্ষণের মামলা রুজু করে পুলিশ৷

ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ব্লু টুথ হেডফোন এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায়কে৷ পুলিশি জেরায় সে অপরাধের কথা স্বীকারও করে৷ জানা যায়, শনিবার ভোট ৪টে নাগাদ মত্ত অবস্থায় সেমিনার রুমে গিয়েছিল সে৷ তরুণীকে খুন করে ধর্ষণ করার পরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ফর মদ খায়৷ পোশাকে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও চালায় সে৷ ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়কে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য! সিভিকের চাকরি…আর কী কী?

অন্য দিকে, আরজি কর হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক এবং অচিকিৎসক কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে উদ্ভূত সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। একটি নোটিস জারি করে আরজি কর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অবিলম্বে ছুটি বাতিলের এই নির্দেশ কার্যকর হবে। তবে আগে থেকে যাঁদের ছুটি অনুমোদিত হয়ে গিয়েছিল, তাঁদের আপাতত ছুটি বাতিল করে কাজে যোগ দিতে হবে না৷

RG Kar Medical College rape and murder case: আরজি কর কাণ্ডের পর মহিলাদের নিরাপত্তায় জোর! বড় পদক্ষেপ পুলিশ কমিশনারের

কলকাতা:  আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণীকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর সাবধান হচ্ছে রাজ্য। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে মহিলাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হচ্ছে রাজ্যে। চিহ্নিত করা হবে অপরাধপ্রবণ এলাকা।

পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ, এলাকায় কী ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয় তা জানতে হবে। পুলিশ মোতায়েন বাড়াতে হবে। মহিলাদের বাইকবাহিনী বা উইনার্সকে কাজে লাগাতে হবে বেশি করে। মহিলা পুলিশকে আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে। বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার নজরদারি বাড়াতে হবে, সরকারি হাসপাতাল, মহিলা হস্টেলের মতোও জায়গাগুলোতে নিরাপত্তা পর্যালোচনা করা উচিত।

আরও পড়ুন- মামলা নিষ্পত্তি করতে সাব-ইন্সপেক্টর যা ঘুষ চাইলেন…ভাইরাল অডিওতে সব ফাঁস

রাজ্যে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে। এমন কি এই নজরদারির আওতায় বাহিনীর কর্মীরাও থাকবেন। মহিলাদের ওপর কোনও ধরনের অপরাধ সংগঠিত হলে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, এমনই নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের।

আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারের নির্যাতনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়কে ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। অপরাধীর শাস্তির দাবিতে উত্তাল কলকাতা। সঞ্জয়কে নিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীরা তুলে ধরার পর যখন সঞ্জয় বুঝতে পরে যে সে ধরা পড়ে গিয়েছে, তখন কোনও পথ না পেয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে।

আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে খুন করা হয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিল ক্ষত এবং আঘাতের চিহ্ন। গোপনাঙ্গ, দু’চোখ-সহ একাধিক জায়গা থেকে রক্তপাতের প্রমাণও মিলেছে। এই ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

R G Kar Murder: পাশবিক অত‍্যাচার, ধর্ষণ, ক্ষত-বিক্ষত তরুণীর দেহ, খুন, আর জি কর উস্কে দিচ্ছে কামদুনির স্মৃতি! পৌঁছে গেলেন মৌসুমি, টুম্পা

কলকাতা: আর জি কর মেডিক‍্যাল কলেজে ধর্ষণ করে খুন করা হয় মহিলা চিকিত্‍সক পড়ুয়াকে। তরুণী চিকিত্‍সক ছাত্রীর ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হওয়ার পরেই আলোড়ন রাজ‍্যজুড়ে। আর জি করের ঘটনা উস্কে দিচ্ছে ১১ বছর আগের আর এক ভয়ঙ্কর ঘটনার স্মৃতি। কামদুনিতে ২০ বছরের ছাত্রীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। কামদুনিতে ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের পরে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল। রবিবার আর জি করে পৌঁছলেন কামদুনির দুই প্রতিবাদী।

কামদুনির পর ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন মৌসুমি এবং টুম্পা। এবার তাঁরা এলনে আর জি কর হাসপাতাতলে। আর জি করের মৃতা তরুণীর বাড়িতেও যাবেন মৌসুমি, টুম্পা কয়াল এবং কামদুনির মৃতা তরুণীর ভাই।

আরও পড়ুন: ক্যানসারে সদ্য মৃত স্ত্রী, একাধিক বিয়ে! নিজেকে পুলিশকর্মী পরিচয় দিত আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়

২০১৩ সালের ৭ জুন। এক বুধবারের বিকেল। বৃষ্টি হচ্ছিল সেদিন। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পথেই একটি পাঁচিল ঘেরা বাড়িতে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় ৯ দুষ্কৃতি। গণধর্ষণ করে তাঁকে খুন করা হয়। পাশবিক অত‍্যাচার করেই থেমে যায়নি দুষ্কৃতিরা। তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালানোর পর দুষ্কৃতীরা তাঁর দেহ চিরে দেয় নাভি পর্যন্ত। মর্মান্তিক এই ঘটনার পরেই ৯ দুষ্কৃতির সাজার জন‍্য সরব হয় নির্যাতিতার পরিবার এবং তার গ্রামের প্রচুর মানুষ।

তবে এই আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন নির্যাতিতার দুই বান্ধবী টুম্পা কয়াল এবং মৌসুমি। এই ঘটনায় নড়ে উঠেছিল গোটা রাজ‍্য তথা দেশ। আর জি করের ঘটনায় কোথাও যেন আবার ফিরে ফিরে কামদুনির স্মৃতি। মনে পড়ে যাচ্ছে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের কথা।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন জিনিস বাগানে সবুজ, বাজারে কালো আর ‘বাড়িতে লাল’ হয়? রান্নাঘরেই আছে কিন্তু! ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

সূত্রের খবর অনুযায়ী, আর জি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে খুন করা হয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিল ক্ষত এবং আঘাতের চিহ্ন। গোপনাঙ্গ, দু’চোখ-সহ একাধিক জায়গা থেকে রক্তপাতের প্রমাণও মিলেছে। ঘটনায় ইতিমধ‍্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় রায় নামে এক ব‍্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অপরাধের কথা ইতিমধ‍্যেই স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত। এই ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

RG Kar Rape and Murder Case Update: তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে আর কে জড়িত? ধৃত সঞ্জয়ের সঙ্গী কোনও মহিলা নাকি পুরুষ? বাড়ছে ধোঁয়াশা

কলকাতা: আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহে যে ধরনের এবং যত সংখ্যক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে, তা কি এক জনের পক্ষে করা সম্ভব? শুধু কি সঞ্জয় একা না কি অন্য কেউ ঘটনার রাতে সঙ্গী ছিল তার? জানতে মরিয়া কলকাতা পুলিশ।

অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ডিএনএ টেস্টের পরিকল্পনা তদন্তকারীদের। সেমিনার রুম অর্থাৎ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক। সেই নমুনার সঙ্গে ডিএনএ মিলিয়ে দেখার ভাবনা পুলিশের। কারণ ঘটনাস্থল থেকে চুল পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া নির্যাতিতার নখ থেকেও নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। কারণ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন নির্যাতিতা চিকিৎসক। ফলে নখে প্রমাণ থাকবে অত্য়াচারী এক না একাধিক।

আরও পড়ুন: আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনে বিন্দুমাত্র অনুতাপ নেই ধৃতের, পুলিশের সামনে যা বলছেন অবিশ্বাস্য!

নির্যাতিতার শরীরেও একাধিক জায়গায় আঁচড়ের ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। সেই অংশ থেকেও নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। ওই আঁচড় কি শুধু সঞ্জয়ের না কি অন্য আরও কারও উপস্থিতি ছিল ওই ঘরে? কোনও মহিলা নাকি কোনও পুরুষ? এই উত্তর জানতেই এই ধরনের পরীক্ষা করতে চাইছে কলকাতা পুলিশ।

আরও পড়ুন: এই একটি ফল নিয়ে বিমানে ওঠা নিষেধ, হতে পারে জেল-জরিমানা! জানেন কোন ফল?

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার জের। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ, মহিলা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহিলা নিরাপত্তায় জোর দিতে চিহ্নিত করতে হবে অপরাধপ্রবণ এলাকা। ওই এলাকায় কী ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয় তা জানতে হবে। পুলিশ মোতায়েন বাড়াতে হবে। উইনার্সকে কাজে লাগাতে হবে বেশি করে। মহিলা পুলিশকে আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে। বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার নজরদারি বাড়াতে হবে। সরকারি হাসপাতাল, মহিলা হস্টেলের মতো জায়গাগুলিতে নিরাপত্তা পর্যালোচনা করা হবে। মহিলাদের উপর কোনও ধরনের অপরাধ সংগঠিত হলে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

অমিত সরকার

RG Kar Hospital Junior Doctor rape and murder case: খুন ও ধর্ষণের পর জুতো থেকে রক্ত ধুয়েছিল সঞ্জয়! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারের নির্যাতনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়কে ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। অপরাধীর শাস্তির দাবিতে উত্তাল কলকাতা। সঞ্জয়কে নিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীরা তুলে ধরার পর যখন সঞ্জয় বুঝতে পরে যে সে ধরা পড়ে গিয়েছে, তখন কোনও পথ না পেয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে।

সূত্রের খবর, খুন ও ধর্ষণ করে নিজের জুতো ও জামাকাপড়ে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিল সঞ্জয়। পরে নিজের জুতোর নীচে লেগে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে ফেলেছিল সে। জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে নিজের পরনে থাকা টি-শার্ট ও বারমুডায় লেগে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে প্রমান লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন সঞ্জয়। ইতিমধ্যে সেই জুতো ও পরনের পোশাক সবকিছু উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের জেরার মুখে পড়ে সঞ্জয় বলে, “আমায় ফাঁসি দেন বরং”।

প্রসঙ্গত, আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে খুন করা হয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিল ক্ষত এবং আঘাতের চিহ্ন। গোপনাঙ্গ, দু’চোখ-সহ একাধিক জায়গা থেকে রক্তপাতের প্রমাণও মিলেছে। এই ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

আরও পড়ুন-সরকারি জমিই বর্ষায় সাক্ষাৎ যম! ক্রিকেট খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই পড়ুয়ার

সূত্রের দাবি, অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ২০১৯ সালে সিভিক ভলান্টিয়রের চাকরি পেয়েছিল। সঞ্জয়ের পোস্টিং ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। তবে সেখান থেকে তার কীর্তি শুরু। এরপরে নাকি সঞ্জয় প্রভাব খাটিয়ে একদিনও সেখানে কাজ না করে চলে যায় ওয়েলফেয়ার কমিটিতে। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভেঙে পুলিশের ব্যারাকে থাকত আরজি কর নির্যাতনকাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। তবে মহিলা সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগেও নাম জড়িয়েছে তার। আগে নিজের সহকর্মীদের উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ রয়েছে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে।