সাহারানপুর: এক ফুলের চাষ রাতারাতি বদলে দিয়েছে কৃষকদের ভাগ্য৷ কী সেই ফুল, কী ভাবে চাষে মিলছে বিশাল লাভ৷ সেটাই এবার বিস্তারিত জেনে নিন৷
সাহারানপুর জেলা মূলত আখের বেল্ট হিসাবেই পরিচিত৷ তবে এখানে বেশ কিছু কৃষক রয়েছেন যাঁরা ফুলের চাষও করে থাকেন। সাহারানপুরের তিতার শহরের তেমনই এক বাসিন্দা ভিকি সাইনি৷ যিনি জমিতে গোলাপ ফুলের চাষ শুরু করেছেন। ভিকি জানিয়েছেন, অন্যান্য ফসল চাষের বদলে গোলাপ ফুলের চাষে লাভ এখন অনেক বেশি হচ্ছে৷
আরও পড়ুন : মহিলাদের জন্য ধামাকা সরকারি প্রকল্প! সরাসরি অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা
এখানেই শেষ নয়৷ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই ফুলের চাহিদাও নাকি দারুণ৷ সেই প্রসঙ্গে সাহারানপুরের ওই কৃষক জানিয়েছেন, গোলাপ ফুলের চাহিদা হরিয়ানা, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, দিল্লির মতো রাজ্যগুলিতে ব্যাপকভাবে রয়েছে৷ এই লাভজনক ব্যবসা এখন অন্যান্য কৃষকদেরও আগ্রহ বাড়িয়েছে৷
প্রসঙ্গত, ফুলচাষের পাশাপাশি সমান তালে পড়াশোনাও করছেন ভিকি সাইনি। সে শুধু গোলাপ চাষেই যে নিজেকে সীমাবদ্ধ করে রেখেছে তা নয়৷ নিজের জমিতে অন্যান্য ফুলের চাষও করছে সে৷। ভিকিকে ফুল চাষ করতে দেখে এখন গ্রামের অন্যান্য কৃষকরাও ফুলচাষ শুরু করে দিয়েছেন, এবং লাভের মুখ দেখছেন তারাও।
আরও পড়ুন : সপ্তাহের শুরুতেই সোনার দামে বড় চমক ! দেখে নিন ১০ গ্রামের দাম কত হল
নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভিকি তাঁর গোলাপ চাষের ব্যাপারে মুখ খুলেছেন৷ জানিয়েছেন, গত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে তিনি ক্ষেতে ভালো জাতের গোলাপের চাষ করছেন। দেড় বিঘা খামারে ৮০০ সুপার জাতের গোলাপ গাছ রয়েছে। চাষের অভিজ্ঞতা ভাগ করতে গিয়ে ভিকে জানিয়েছেন, গাছ রোপনের পর গোলাপ ক্ষেতে প্রায় এক বছর কোনও ফুল আসে না। তারপর আসতে আসতে ফলন বাড়তে থাকে৷
ভিকি সাইনি এটাও জানিয়েছেন, আগে তিনি অন্য ফুল চাষ করতেন৷ তবে ভিন্ন কিছু করার কথা ভেবেই তিনি গোলাপ চাষ শুরু করেন। এবং এই পরীক্ষায় তিনি সফল৷ কেমন দাম পাওয়া যায় বাজারে? ওই কৃষকের মতে, গোলাপের চাহিদা কম বেশি সারা বছরই থাকে৷ কখনও চা ৭০ টাকা কেজি আবার কখনও ৪০০ টাকা প্রতি কেজিতেও বিক্রি করা হয়৷ বিয়ের মরশুমে এই ফুলের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি৷ সেই সময় ফুলের দামও বেড়ে যায় অনেকটা৷