Tag Archives: Sandip Ghosh

CBI Sandip Ghosh Arrest: ১৮ দিন সিজিওতে টানা তলব…! দুর্নীতি প্রশ্নে হোঁচটের পর হোঁচট…! ঠিক কী ভাবে CBI জালে সন্দীপ? চমকে দেবে ঘটনা পরম্পরা!

গত ১৬ অগাস্ট সিবিআই-এর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ নোটিশ দেওয়ার পরেও না আসায় রাস্তা থেকে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তুলে আনে সিবিআই। সোজা নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায় সিবিআই এর সিজিও দফতরে। এরপর শুরু হয় টানা জিজ্ঞাসাবাদ।
গত ১৬ অগাস্ট সিবিআই-এর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ নোটিশ দেওয়ার পরেও না আসায় রাস্তা থেকে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তুলে আনে সিবিআই। সোজা নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায় সিবিআই এর সিজিও দফতরে। এরপর শুরু হয় টানা জিজ্ঞাসাবাদ।
পর পর ১৮ দিন সন্দীপ ঘোষকে তলব করে সিবিআই সিজিওতে সিবিআই দফতরের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে। আরজি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করা হয় তাঁর। খুনের পর তাঁর কী পদক্ষেপ? বা প্রমান লোপাট নিয়েও দফায় দফায় চলে প্রশ্ন। রেকর্ড করা হয় বয়ান।
পর পর ১৮ দিন সন্দীপ ঘোষকে তলব করে সিবিআই সিজিওতে সিবিআই দফতরের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে। আরজি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করা হয় তাঁর। খুনের পর তাঁর কী পদক্ষেপ? বা প্রমান লোপাট নিয়েও দফায় দফায় চলে প্রশ্ন। রেকর্ড করা হয় বয়ান।
এরই পাশাপাশি সন্দীপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই-এর অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ। কারণ দেবল ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে টালায় একটি মামলা রুজু হয়। অন্যদিকে রাজ্য সরকারও সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে এই সন্দীপের বিরুদ্ধে। কিন্তু এরইমধ্যে হাইকোর্ট মামলাটি দিয়ে দেয় সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চকে।
এরই পাশাপাশি সন্দীপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই-এর অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ। কারণ দেবল ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে টালায় একটি মামলা রুজু হয়। অন্যদিকে রাজ্য সরকারও সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে এই সন্দীপের বিরুদ্ধে। কিন্তু এরইমধ্যে হাইকোর্ট মামলাটি দিয়ে দেয় সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চকে।
সোমবার অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ থেকে একটি ৪-৫ জনের দল যায় সিজিওতে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে। এরপরে সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ সিজিওর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে গিয়ে বৈঠক করে অনুমতি নেয়। এরপর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সেই আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ-এর অফিসাররা।
সোমবার অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ থেকে একটি ৪-৫ জনের দল যায় সিজিওতে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে। এরপরে সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ সিজিওর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে গিয়ে বৈঠক করে অনুমতি নেয়। এরপর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সেই আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ-এর অফিসাররা।
সূত্রের খবর, আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বার বারই তাঁর উত্তরে অসঙ্গতি মেলে। তাঁর ঘনিষ্টদের নানাবিধ নথি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বারংবার হোঁচট খায় সন্দীপ। ২০২১ সালের টেন্ডার বেআইনি ভাবে পাইয়ে দেওয়া নিয়ে প্রশ্নে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি সন্দীপ।
সূত্রের খবর, আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বার বারই তাঁর উত্তরে অসঙ্গতি মেলে। তাঁর ঘনিষ্টদের নানাবিধ নথি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বারংবার হোঁচট খায় সন্দীপ। ২০২১ সালের টেন্ডার বেআইনি ভাবে পাইয়ে দেওয়া নিয়ে প্রশ্নে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি সন্দীপ।
এরপর সিবিআই ২৮ অগাস্ট তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে। সন্দীপ ঘোষ ও তিন সংস্থা ( M/s ক্ষমা লাউহা, M/s এশান ক্যাফে, M/s মা তারা ট্রেডার্স নামে ) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন দেবল ঘোষ। তাঁর অভিযোগে টালা থানায় মামলা হয়। এই প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের প্রশ্নের সামনে বার জবাব দিতে না পারায় ও সন্দীপ ঘোষের উত্তরে একাধিক অসংগতি থাকায় তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ।
এরপর সিবিআই ২৮ অগাস্ট তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে। সন্দীপ ঘোষ ও তিন সংস্থা ( M/s ক্ষমা লাউহা, M/s এশান ক্যাফে, M/s মা তারা ট্রেডার্স নামে ) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন দেবল ঘোষ। তাঁর অভিযোগে টালা থানায় মামলা হয়। এই প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের প্রশ্নের সামনে বার জবাব দিতে না পারায় ও সন্দীপ ঘোষের উত্তরে একাধিক অসংগতি থাকায় তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ।
সূত্রের খবর, শেষদিকে প্রশ্নোত্তর চলাকালীনই কার্যত ভেঙে পড়েন সন্দীপ। আর বাঁচার পথ নেই বুঝতে পেরেই সন্দীপ ক্রমশ ভেঙে পড়তে দেখা যায়। যেহেতু নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ তাই অফিসিয়াল গ্রেফতারির জন্য সন্দীপকে সিজিও থেকে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ নিয়ে বেরোয় নিজামের উদ্দেশ্যে।
সূত্রের খবর, শেষদিকে প্রশ্নোত্তর চলাকালীনই কার্যত ভেঙে পড়েন সন্দীপ। আর বাঁচার পথ নেই বুঝতে পেরেই সন্দীপ ক্রমশ ভেঙে পড়তে দেখা যায়। যেহেতু নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ তাই অফিসিয়াল গ্রেফতারির জন্য সন্দীপকে সিজিও থেকে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ নিয়ে বেরোয় নিজামের উদ্দেশ্যে।
নিজামে পৌঁছনর পর সিবিআই অ্যান্টি করাপশন সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে। রাতে কান্নায় ভেঙ্গে পরে সন্দীপ ঘোষ। রাতে কোনও কথা বলেননি সন্দীপ। শুধু কাঁদতে থাকেন নিজামে সিবিআই দফতরে।
নিজামে পৌঁছনর পর সিবিআই অ্যান্টি করাপশন সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে। রাতে কান্নায় ভেঙ্গে পরে সন্দীপ ঘোষ। রাতে কোনও কথা বলেননি সন্দীপ। শুধু কাঁদতে থাকেন নিজামে সিবিআই দফতরে।
রাতে নিরাপত্তার স্বার্থে শিয়ালদহ বি আর সিং হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে গিয়ে নিজামে মেডিকেল করানো হয় সন্দীপ ঘোষের। মেডিকেলের জন্য সন্দীপকে নিয়ে যাবে নাকি চিকিৎসকদের দল আসবে সেটা নিয়েও একপ্রস্থ বৈঠক চলে নিজামে। শেষ পর্যন্ত সন্দীপ-সহ গ্রেফতার মোট ৪ জনেরই মেডিকেল হয় নিজামেই।
রাতে নিরাপত্তার স্বার্থে শিয়ালদহ বি আর সিং হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে গিয়ে নিজামে মেডিকেল করানো হয় সন্দীপ ঘোষের। মেডিকেলের জন্য সন্দীপকে নিয়ে যাবে নাকি চিকিৎসকদের দল আসবে সেটা নিয়েও একপ্রস্থ বৈঠক চলে নিজামে। শেষ পর্যন্ত সন্দীপ-সহ গ্রেফতার মোট ৪ জনেরই মেডিকেল হয় নিজামেই।

 

Sandip Ghosh Arrest: গ্রেফতারের পর হাউ হাউ করে কান্না সন্দীপ ঘোষের, কী ঘটল দেখুন ভিডিও

মঙ্গলবার দুপুরে নিজাম প্যালেস থেকে সন্দীপ ঘোষকে আদালতে নিয়ে আসে সিবিআই। সেইসময় আদালত চত্বরে হুলুস্থুল পরিস্থিতি বেঁধে যায়।আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখান। সন্দীপ ঘোষের ফাঁসির দাবিতে সরব হন।  ধাক্কাধাক্কি করা হয় সন্দীপের গাড়ি।  এর পরে আদালত সন্দীপকে আট দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। সন্দীপকে আদালত থেকে বার করার সময়েই ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। আদালত চত্বরের চতুর্দিকে তখন ‘চোর চোর’ স্লোগান। কার-ও বা মুখে ‘মর-মর’ অভিশাপ। একদল মানুষ সন্দীপের দিকে তেড়ে যান। শুরু হয় হুড়োহুড়ি। সেই সময়েই কোনও এক বিক্ষোভকারী সন্দীপের মাথায় পিছন থেকে চড় মারে। যদিও দ্রুত পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কড়া ঘেরাটোপে সন্দীপকে নিয়ে গাড়িতে ওঠেন সিবিআই কর্তারা। তাঁকে ফের নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়।

Suvendu Adhikari: সন্দীপ ঘোষের মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাক সিবিআই, জোরালো দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘‘সিবিআই সন্দীপ ঘোষের মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাক। জোরালো দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যে দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন সেই মামলা বাইরের রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হোক রোজভ্যালি মামলার মতো।’’ আরজি কর ইস্যুতে বিজেপির সপ্তাহব্যাপী ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধরনা অবস্থান মঞ্চে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখার সময় মঙ্গলবার এই দাবি জানান শুভেন্দু।

আরও পড়ুন– সাদ্দাম হুসেনের নাতনিকে চেনেন ? এখন কেমন আছেন তিনি

বিরোধী দলনেতা এও বলেন, ‘‘আমি সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে এই মর্মে চিঠি লিখব। নির্যাতিতার পরিবারকেও এই বিষয়ে অনুরোধ করে বলব আপনারাও একই দাবি জানান।’’ সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও কেন সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল না রাজ্য সরকার? ধর্মতলার দলীয় মঞ্চ থেকে এই প্রশ্নও এদিন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর এই প্রশ্ন তোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সন্দীপ ঘোষকে‌ সাসপেনশনের অর্ডার কপি সামনে আসে।

শুভেন্দু অধিকারীর সাফ কথা, ‘‘আমরা চাই সিবিআই এই রাজ্যের মামলা গুলো অন্য রাজ্যে নিয়ে যাক। যেমন রোজ ভ্যালির মামলা ভুবনেশ্বরে নিয়ে গিয়েছিল। সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি মামলাও বাইরে নিয়ে যেতে হবে।’’ প্রয়োজনে শীঘ্রই রাজ্যের অপোজিশন লিডার হিসেবে তিনি সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে অনুরোধ করে চিঠি লিখবেন বলেও জানান শুভেন্দু।

Sandip Ghosh Suspended:সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্য দফতর! CBI গ্রেফতারির পরেই সিদ্ধান্ত রাজ্যের

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের পর এক পদ থেকে আর এক পদে, এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। শেষমেশ সন্দীপ ঘোষ পদচ্যুত হলেন। ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের জন্য সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এর আগেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে সন্দীপকে। সিবিআই গ্রেফতার করার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে অবশেষে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

আরও পড়ুন- বিল পাসেই কি ধরা পড়বে ধর্ষক? কতটা সুরক্ষিত হল মেয়েরা? জানুন ‘অপরাজিতা’ ইতিবৃত্ত

আগেই সন্দীপের সাসপেনশনের দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তখন কর্ণপাত করেনি রাজ্য সরকার, এমনই দাবি বিরোধী দলগুলির। শেষমেশ, সিবিআইয়ের গ্রেফতারির পরে চাপে পড়েই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকেও বিতাড়িত সন্দীপ ঘোষ। সরানো হল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্যানেল ও এথিক্স কমিটি থেকেও।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সন্দীপের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার তদন্তের প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ। সোমবার সন্ধ্যায় আরজি কর আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধষর্ণ ও খুনের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভের পারদ বাড়ছে, রাগে ফুঁসছে গোটা রাজ্য। এবার সন্দীপ ঘোষকে আদালত চত্বরে সপাটে চড় মারলেন এক বিক্ষোভকারী।

আরও পড়ুন- চশমা পরার দিন শেষ! পুজোর সময়েই আসছে নতুন আই ড্রপ, কারা কিনতে পারবেন?

মঙ্গলবার দুপুরে নিজাম প্যালেস থেকে সন্দীপ ঘোষকে আদালতে নিয়ে আসে সিবিআই। সেইসময় আদালত চত্বরে হুলুস্থুল পরিস্থিতি বেঁধে যায়।আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখান। সন্দীপ ঘোষের ফাঁসির দাবিতে সরব হন। ধাক্কাধাক্কি করা হয় সন্দীপের গাড়ি। এর পরে আদালত সন্দীপকে আট দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।

সন্দীপকে আদালত থেকে বার করার সময়েই ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। আদালত চত্বরের চতুর্দিকে তখন ‘চোর চোর’ স্লোগান। কার-ও বা মুখে ‘মর-মর’ অভিশাপ। একদল মানুষ সন্দীপের দিকে তেড়ে যান। শুরু হয় হুড়োহুড়ি। সেই সময়েই কোনও এক বিক্ষোভকারী সন্দীপের মাথায় পিছন থেকে চড় মারে। যদিও দ্রুত পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কড়া ঘেরাটোপে সন্দীপকে নিয়ে গাড়িতে ওঠেন সিবিআই কর্তারা। তাঁকে ফের নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ১৬ অগাস্ট থেকে টানা ১৫ দিন সিবিআই জেরা করে সন্দীপকে। সোমবার ফের তাঁকে তলব করা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। সন্ধ্যায় সেখান থেকে সিবিআই আধিকারিকেরা সন্দীপকে নিয়ে যান নিজাম প্যালেসে। তার পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।

Sandip Ghosh Arrested : আলিপুর কোর্টে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চোর চোর স্লোগান, বিক্ষোভ আইনজীবীদের, কী ঘটল দেখুন

গতকাল গ্রেফতারির পর আজ আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ চার জনকে পেশ করা হল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে৷ যদিও সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছতেই তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় আদালত চত্বরে৷ সন্দীপ ঘোষকে লক্ষ্য করে চোর, চোর স্লোগান, ধিক ধিক ধিক্কারের মতো স্লোগান দিতে থাকেন আইনজীবীরাই৷

Sandip Ghosh Arrest: ‘স্বস্তি পেয়েছি, তবে…’ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর বড় দাবি নির্যাতিতার পরিবার

উওর ২৪ পরগনা: আরজি কর কাণ্ডে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। আর এই খবর পেতেই রীতিমত খুশি নির্যাতিতার পরিবার-সহ প্রতিবেশীরা। তবে, এই খুশি সাময়িক। কারণ যতদিন না প্রকৃত খুনীরা, আসল অপরাধীরা সাজা পাচ্ছে ততদিন শান্তি মিলবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে। প্রকৃত ঘটনা রহস্য এখনও রয়েছে অজানা।

নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করতেই নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করতেই হয়তো চেয়েছিল চিকিৎসক তরুণী। তার জন্যই হয়ত খুন করা হয়েছে তাঁকে, তাই এই ঘটনার সঙ্গেও সন্দীপ ঘোষ জড়িত রয়েছেন পাশাপাশি আরও অনেকে জড়িত রয়েছেন বলেও অনুমান নির্যাতিতার পরিবার-সহ প্রতিবেশীদের।

আরও পড়ুনঃ নিজাম প্যালেসে সন্দীপ ঘোষ! হঠাৎ সেই অফিসেরই রেসিডেন্সিয়াল কোয়ার্টারে আগুন, পৌঁছল দমকল

এদিন নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত চিকিৎসক তরুনীর কাকিমা বলেন, “২৫ দিন ধরে যে ছাত্রছাত্রীরা বা ডাক্তাররা আন্দোলন করছে, এটা তাঁদের নৈতিক জয়। সঙ্গে আমাদের পরিবারেরও একটা নৈতিক জয়। আমাদের মনে হচ্ছে যে বিচার ঠিক পথেই এগোচ্ছে এবং আমরা সুবিচার পাব। আমাদের এও মনে হচ্ছে এই ঘটনার পিছনে যে সমস্ত রাঘব বোয়ালরা আছে তারা একটা সময় গ্রেফতার হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের মেয়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছে, সেক্ষেত্রে ডা: সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতার কোথাও গিয়ে কিছুটা হলেও যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত নির্যাতিতার আত্মা শান্তি পায়নি বলেও মনে করেন কাকিমা।

তাঁর কোথায়, ‘যেদিন এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি মানুষ ফাঁসি কাঠে ঝুলবে বা চরম শাস্তি পাবে সেদিনকে আমরা বলতে পারব আমাদের মেয়ে শান্তি পেয়েছে এবং আমরাও পরিবারের পক্ষ থেকে শান্তি পেয়েছি।’ তবে প্রতিবেশীদের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়, যেহেতু এখনও পর্যন্ত সিবিআই আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সন্দীপ ঘোষ কে সেই জায়গা থেকে নির্যাতিতাকে খুনের ঘটনার সঙ্গে সন্দীপ ঘোষ যে জড়িত তা যতক্ষণ না প্রকাশ্যে আসছে পাশাপাশি যে নৃংশসভাবে খুন করা হয়েছে ওই চিকিৎসক তরুণীকে তার গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে ও প্রকৃত দোষীরা চরম থেকে চরমতম শাস্তি পাচ্ছে ততদিন যেন স্বস্তি মিলবে না নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবেশী সহ আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদেরও এমনটাই মত প্রতিবেশীদের।

আরও পড়ুনঃ চিকিৎসক বা নাগরিক সমাজের উদ্দেশ্যে কোনও কটু কথা নয়, কর্মীদের কড়া বার্তা অভিষেকের

তাঁদের অনুমান, সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও অনেকেই এই নৃশংস খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এখন দেখার সিবিআই গ্রেফতার করার পর দুর্নীতির পাশাপাশি নির্যাতিতার খুনের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা কতটা তা প্রকাশ্যে আসে। আন্দোলনরত ছাত্রদের ডাকে আরজিকরের প্রতিবাদ মঞ্চেও নির্যাতিতার গোটা পরিবার যোগ দেবে বলেও জানানো হয়।

Rudra Narayan Roy

Sandip Ghosh Breaks Down: হাউহাউ করে কান্না…! গাড়ি নিজামে ঢুকতেই ভেঙে পড়লেন! সিবিআই হেফাজতে কেমন আছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ?

কলকাতা: দুর্নীতি তদন্ত মামলায় গত ১৬ অগাস্ট সন্দীপ ঘোষকে নোটিস দেয় সিবিআই। তা সত্ত্বেও নোটিশ দেওয়ার পরেও তিনি পৌছননি হাজিরা দিতে। এরপরে সিবিআই দিল্লি টিমের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ রীতিমতো রাস্তা থেকে গাড়িতে তুলে সিজিওতে নিয়ে আসে সন্দীপ ঘোষকে। সেই সময় তাঁকে ঘাবড়াতে দেখলেও সেই ভাবে ভেঙে পড়তে দেখা যায়নি।

সিবিআই সদর দফতরে বার বার হাজিরা দিতে হলেও, দিনভর প্রশ্নোত্তর পর্বেও কখনই ভেঙে পড়তে দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকি তাঁর বাড়িতে সাত সকালে সিবিআই টিম পৌঁছলে আরজি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দলকে দরজা খোলেননি এক ঘণ্টারও বেশি সময়। এ হেন সন্দীপ ঘোষকেই এবার দেখা গেল একেবারে অন্য চেহারায়।

আরও পড়ুন:স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বড় সুখবর..! সেপ্টেম্বরে তিন তিনদিন টানা ছুটি রাজ্যে? চেক করে নিন তারিখ-সহ ছুটির সম্পূর্ণ তালিকা

সোমবার রাতে সিজিও থেকে নিজামে আনার সময় সন্দীপ ঘোষ কার্যত ভেঙ্গে পড়েন। সিজিওতেই দফতরে বসে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সন্দীপ রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন বলেও সূত্রের খবর। রাস্তায় জিগ্যেস করা হলে মাথা নিচু করে গাড়ির মধ্যে সিবিআই আধিকারিকদের মাঝে বসে ছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

সূত্রের খবর রাতে সিজিওতে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীনই কার্যত ভেঙে পড়েন সন্দীপ। সিবিআই দফতরে চোখ ছলছল করে জিজ্ঞাসাবাদের পরই এদিন নিজামে নিয়ে যাওয়ার পথে ও দুর্নীতি দমন শাখার দফতরে এসে রীতিমতো কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সন্দীপ ঘোষ।

আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজে দুর্নীতির মামলায় গতকাল রাতেই CBI গ্রেফতার করেছে আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী আফসর আলি খানকে। এদিকে, পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ চেয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের লালবাজার অভিযান অবস্থান বিক্ষোভ জারি রয়েছে আজও। পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে রাত থেকেই অবস্থানে রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণ নিয়ে কার্যত উত্তাল গোটা দেশ।

Sandip Ghosh Arrest: ‘৪ সেপ্টেম্বর রাতে…’, সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারিতে মুখ খুললেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা! বিস্ফোরক ইঙ্গিত

কলকাতা: ১৬ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্তভার নেওয়ার ১৮ দিনের মাথায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তবে প্রাক্তন দাপুটে এই অধ্যক্ষের গ্রেফতারিতে মোটেই খুশি নন নির্যাতিতার বাবা। সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর নিউজ ১৮ বাংলাকে তিনি বলেন, “সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে খুশি নই। আরও যারা দোষী রয়েছে তারা যতক্ষণ গ্রেফতার না হবে, বিচারের আশায় আন্দোলন চালিয়ে যাব। শুধু সন্দীপ ঘোষ বা সঞ্জয় নয়, এর পেছনে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। তাদেরও গ্রেফতার করতে হবে।”

এখানেই শেষ নয়, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ‘রাত জাগো’ কর্মসূচিতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। পাশাপাশি ছাত্র ও চিকিৎসকরা যেভাবে তাঁর মেয়ের বিচারের জন্য রাস্তায় নামে আন্দোলন করছেন। তাদের সেই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ কৌশিকী অমাবস্যার রাত ভাসবে বৃষ্টিতে? আগামী ৪৮ ঘণ্টা বাংলার জেলায় জেলায় কেমন থাকবে আবহাওয়া? জানুন

প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই৷ এ দিন সন্ধ্যায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে নিয়ে আসা হয়৷ এর পরই জানা যায়, সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷

আরও পড়ুনঃ আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ! জালে তুলল সিবিআই

হাসপাতালেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই তদন্ত শুরু হয়েছিল৷ সন্দীপের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতি, এমন কি মৃতদেহ পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার৷ সেই অভিযোগের তদন্তে একাধিক বার আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করেছে সিবিআই৷ এমন কি, হাসপাতালের মর্গেও হানা দিয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা৷

সুবীর দে

RG Kar Case: কোন পথে গ্রেফতার সন্দীপ? খবর পৌঁছল ‘অভিযানে’, কিন্তু ‘আসল’ দাবিতে অনড় ডাক্তাররা

কলকাতা: গ্রেফতার আরজি হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা। ১৮ দিন টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সন্দীপকে গ্রেফতার করল সিবিআই। আরজি কর কাণ্ডে নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সেই সমস্ত তথ্য প্রমাণ হাতিয়ার করেই সন্দীপকে গ্রেফতার করল সিবিআই। আর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে রীতিমতো উচ্ছ্বাস ধরা পড়ে। প্রসঙ্গত, এদিনই লালবাজার অভিযান করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে অনড় চিকিৎসকরা। সেই দাবিতে এখনও অনড় রয়েছেন তাঁরা। তবে, সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ায় রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা।

প্রসঙ্গত, নগরপালের ইস্তফার দাবি তুলে লালবাজারের সামনে রাস্তা দখল করে বসে রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ এ দিন জুনিয়র চিকিৎসকদের লালবাজার অভিযানের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল৷ কিন্তু বেলা দুটো নাগাদ জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল লালবাজারের কাছে পৌঁছতেই ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়৷ তখনই ব্যারিকেডের সামনে রাস্তার উপরে বসে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

আরও পড়ুন: নগরপালের পদত্যাগ দাবি, রাস্তা দখল করে বসে পড়লেন জুনিয়র চিকিৎসকরা! অনড় পুলিশও

বিক্ষোভকারীরা দাবি তোলেন, নগরপাল বিনীত গোয়েলকে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে৷ পাশাপাশি তাঁদের মিছিল লালবাজারের কাছে বেনটিংক্ট স্ট্রিট পর্যন্ত যেতে দিতে হবে৷

যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের সেই দাবি মানা হয়নি৷ পাল্টা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, চাইলে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল লালবাজারে গিয়ে নগরপালের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবি দাওয়া জানাতে পারেন৷ পুলিশের এই প্রস্তাব অবশ্য ফিরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা৷ তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল যতক্ষণ না পদক্ষেপ করবেন, তাঁরা রাস্তার উপরেই বসে থাকবেন৷ বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, পুলিশ আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে৷ আমরা একটানা ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা নাইট ডিউটি করি৷ ফলে রাত জাগতে আমরা তৈরি৷

চিকিৎসকদের অনড় মনোভাব দেখে পুলিশের পক্ষ থেকে ফের বিক্ষোভকারীদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, নগরপালের বদলে অ্যাডিশনাল সিপি (১) এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন৷ বিক্ষোভকারীরা সেই প্রস্তাবে রাজি হলেও জানিয়ে দেন, নিজেদের অবস্থান থেকে তাঁরা সরবেন না৷ বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, তাঁদের এই কর্মসূচির অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়, তখন পুলিশ জানিয়েছিল তাদের বেনটিক্ট স্ট্রিট পর্যন্ত যেতে দেওয়া হবে৷ কিন্তু এ দিন তাঁদের মিছিল ফিয়ার্স লেনের কাছে আটকে দেওয়া হয়৷

Sandip Ghosh-Rg Kar Case: সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে কোথায় গেল সিবিআই? তুমুল চাঞ্চল্য! আজ রাতেই কি ‘বড়’ কিছু?

কলকাতা: সোমবারই কি আরজি করের ঘটনায় নতুন মোড় আসতে চলেছে? ‘নিয়ম’ মাফিক সোমবারও সিবিআইয়ের সিজিও কমপ্লেক্স দফতরে আসেন সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু সন্ধ্যা নাগাদই সন্দীপকে নিয়ে বেরল সিবিআই। সূত্রের খবর, সন্দীপকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। তাহলে কি সোমবারই গ্রেফতার হবেন সন্দীপ ঘোষ? পারদ চড়ছে চড়চড়িয়ে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্ট দায়িত্ব দিয়েছে সিবিআইকে। তার পর থেকে কেটে গিয়েছে ১৮ দিন। এই ১৮ দিনে ১৫ বার সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে ১৫০ ঘণ্টা মতো জেরা করা হয়েছে তাঁকে। মাঝে একদিন তাঁর বাড়িতেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেদিন অবশ্য সন্দীপকে আর সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে হয়নি। কিন্তু তারপর দিন থেকে শুরু হয় আবার। অবশেষে এই শনিবার ও রবিবার সেই ‘নিয়মে’ ছেদ পড়ল। শনিবার ও রবিবার সন্দীপকে সিবিআই দফতরে আসতে দেখা যায়নি। তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন নাকি তাঁকে ডাকাই হয়নি, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ যে বন্ধ হয়নি, তা স্পষ্ট হয়ে গেল সোমবার। ‘নিয়ম’ মতো সোমবার সকালে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে চলে এলেন সন্দীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: রবিতে আরজি করে কী এমন পেল সিবিআই? ফের সোমে সিজিও-তে সন্দীপ ঘোষ! শনি-রবি কোথায় ছিলেন?

আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বও পেয়েছে সিবিআই। দু’টি মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে। প্রথম মামলাটিতে প্রশাসক হিসাবে ঘটনার দায় বর্তেছে তাঁর উপর। দ্বিতীয় মামলায় সরাসরিই অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

সন্দীপের প্রাক্তন সহকর্মী তথা আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আদালতে জানিয়েছেন সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, ভেন্ডার নির্বাচনে স্বজনপোষণ, নির্মাণে আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের কথা। সেই সূত্রেই তাঁকে জেরা করছে সিবিআই। সম্প্রতি তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও চালান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে ৯ অগস্ট। তার পর থেকেই আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের পদত্যাগ চেয়ে সরব হন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা। সন্দীপকে তার পরে সরিয়ে দেওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যালে। কিন্তু সেই নিয়োগের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে সরব হন রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা। অবশেষে আদালতের নির্দেশে ন্যাশনাল মেডিক্যাল থেকেও সন্দীপকে সরিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়। এর পরে আদালত আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার দেয় সিবিআইয়ের হাতে। গত ১৬ অগাস্ট থেকে তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। প্রতি দিন সকালেই সন্দীপ সিজিও কমপ্লেক্সে যান এবং জেরা শেষে বাড়ি ফেরেন রাতে। শনিবার ও রবিবার সেই ‘নিয়ম’ বদলে গেল। সিজিও-তে দেখা গেল না সন্দীপকে। যদিও সোমবার ফের সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। আর সোমবার সন্ধ্যেতেই সন্দীপকে নিয়ে সিবিআইয়ের ‘যাত্রা’ নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।