লাইফস্টাইল Tooth Ache Control Tips: কড়া সব ওষুধ লাগবে না! হেঁশেলের ৩ উপাদানই দাঁতে ব্যথার যম, কী ভাবে কাজে লাগাবেন Gallery August 25, 2024 Bangla Digital Desk অনেক সময় দাঁতের ব্যথা খুব ভোগায়। মানুষ এই ব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক উপশম পেতে ঘরোয়া প্রতিকারের খোঁজেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেক ধরনের জিনিস ব্যবহার করা হয়। কী কী ব্যবহার করলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে? বিস্তারিত জানাচ্ছেন চিকিৎসক পঙ্কজ কুমার। দাঁত ব্যথা কমাতে হলুদ এবং কালো নুন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত আয়ুর্বেদ এবং ঐতিহ্যগত চিকিৎসায় দাঁতের ব্যথা কমাতে হলুদ, কালো নুন এবং সরষের তেল ব্যবহার করা হয়। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো শুধু ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় না, মাড়িকেও শক্তিশালী করে। চিকিৎসক জানান যে, মানুষ সাধারণত হলুদ, নুন এবং সরষের তেল ব্যবহার করেন। তবে এর পরিবর্তে হলুদের সঙ্গে রক সল্ট, তিলের তেল এবং লবঙ্গ ব্যবহার করা উচিত। এটি তাৎক্ষণিক সুবিধা দেয়, যা দ্রুত ব্যথা উপশমে সাহায্য। হলুদে প্রাকৃতিকভাবে প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণ রয়েছে। এটি দাঁত এবং মাড়ির ফোলাভাব কমায়। এবং ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। রক সল্টে ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ রয়েছে, যা দাঁত এবং মাড়ির সংক্রমণ কমায়। এটি ব্যথা এবং ফোলাভাব প্রশমিত করতেও সাহায্য করে। নুনে পাওয়া খনিজ উপাদান দাঁতের পুষ্টির পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়ক। প্রথমে একটি ছোট পাত্রে আধা চামচ তিলের তেল নিন। এতে এক চিমটি হলুদ এবং এক চিমটি রক সল্ট যোগ করুন। এই মিশ্রণটি ভাল করে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। আঙুল বা তুলোর সাহায্যে এই পেস্টটি দাঁত এবং মাড়িতে লাগান। হালকা হাতে মাড়ি ম্যাসাজ করুন এবং প্রায় এক থেকে দু’মিনিট রেখে দিন। এর পর গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হলুদ এবং রক সল্টের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী দাঁত এবং মাড়িতে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে। যার ফলে ক্যাভিটি এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। তিলের তেল দাঁতের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং দাঁতের দাগ কমায়। ব্যথা সম্পূর্ণরূপে উপশম না হওয়া পর্যন্ত এই জিনিসটি দিনে একবার বা দু’বার ব্যবহার করা যেতে পারে।
দক্ষিণ দিনাজপুর, লাইফস্টাইল Health Tips: দাঁতে হলদে ছোপ, হারিয়েছে ঔজ্জ্বল্য! একটা কলা দিয়ে ঝকঝকে মুক্তোর মতো হাসি! জানুন পদ্ধতি Gallery August 21, 2024 Bangla Digital Desk *পাতিলেবুর রসে থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড। পাতিলেবুর রস আর লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে দাঁত মাজলে সহজেই সাদা হয় দাঁত। দাঁত ঘষতে ব্যবহার করা যেতে পারে পাতিলেবুর খোসাও। এতে দাঁতের হলদে ভাব দূর হয়। *দাঁত সাদা করার আরও একটি পদ্ধতি হল বেকিং সোডার ব্যবহার। ব্যবহৃত টুথপেস্টের সঙ্গে সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে সেটি দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে অল্প সময়েই দাঁতের হারানো জেল্লা ফিরে পাওয়া যায়। *কলা খেয়ে কলার খোসা ফেলে না দিয়ে দিনে দু’বার কলার খোসা নিয়ে ৫ মিনিট ধরে দাঁতে ঘষতে হবে। ৭ দিনের মধ্যে দাঁতের রঙের পরিবর্তন হয়ে যাবে। *খানিকটা নারকেল তেল মাউথওয়াশের মতো মুখে নিয়ে ভাল করে কুলকুচি করতে হবে। দুই থেকে তিন মিনিট এভাবে কুলকুচি করার পর তেলটা ফেলে দিলে দাঁত ঝকঝকে তো থাকবেই পাশাপাশি দাঁতের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। *প্রতিদিন ব্রাশ করার পরে দাঁতে এক টুকরো লেবু নিয়ে ঘষতে থাকুন। এতে যে শুধু আপনার দাঁত পরিষ্কার হবে তা নয় বরং দাঁতের রঙ ও ফিরবে। *কেবল লেবু নয়, নুনও বেশ ভাল কাজ করে দাঁত পরিষ্কার করতে। দাঁত মাজা হয়ে গেলে আঙুলের ডগায় অল্প নুন নিয়ে দাঁতে ঘষে নিলে দাঁতের গোড়া শক্ত ও মজবুত হবে। দাঁতের রঙ হবে ঝকঝকে।
লাইফস্টাইল Tooth Health Tips: কতদিন পরপর ব্রাশ বদল করা উচিত জানেন তো? ‘এই’ ছোট্ট ভুলে অকালে শেষ হয়ে যেতে পারে দাঁত! সতর্ক করলেন খোদ বিশেষজ্ঞ Gallery April 6, 2024 Bangla Digital Desk Teeth Care: দাঁত আমাদের মুখের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। খাবার খাওয়ার পাশাপাশি এর উপস্থিতি আমাদের হাসিকে বহুগুন বাড়িয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে দাঁতের যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। Teeth Care: কনৌজের ডেন্টাল সার্জন জানান, শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রায় সকলেই দাঁতের যত্ন নিতে গিয়ে একটি ভুল করেন, এর কারণে তাঁদের দাঁতে সমস্যা শুরু হয়। এটি ভবিষ্যতে আরও বড় সমস্যায় পরিণত হতে পারে। কেবলমাত্র সতর্ক থাকার মাধ্যমে দাঁতের ক্ষতিকারক রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। Teeth Care: ডেন্টাল সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. আশিস ভূষণ বলেন, শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের দাঁতের সমস্যার প্রধান কারণ হচ্ছে সঠিক ভাবে দাঁত পরিষ্কার না করা। সঠিক সময়ে ও সঠিক ভাবে দাঁত পরিষ্কার করা হলে দাঁতে কোনও সমস্যা হবে না। Teeth Care: দাঁতে কোনও সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞের কাছে দেখানো উচিত। কোনও ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করা উচিত নয়। শিশু হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, রাতের খাবারের পর অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে। সময়মতো টুথব্রাশও বদলাতে হবে। Teeth Care: দাঁতের যত্ন- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাঁত নিয়ে নানা ধরনের অসাবধানতা অবলম্বন করা হয়। যেমন, খাওয়ার পর দাঁত ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে দাঁতের মাঝে খাবার আটকে যায়, যা কিছুক্ষণ পর স্লো-পয়জনে রূপ নিতে শুরু করে। Teeth Care: এই ময়লা দাঁতের সাহায্যে পাকস্থলীতে প্রবেশ করে এবং এই পচা খাবার পাকস্থলীতে প্রবেশ করে নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি করে। গ্যাস, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি নানা সমস্যা হতে পারে। এমনকি পাকস্থলীর ক্যানসারের সমস্যাও দেখা দেয় এর কারণে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শিশুদের দাঁতের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। Teeth Care: সঠিক সময়ে টুথব্রাশ পরিবর্তন করা- শিশু হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, সময়ে সময়ে টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। তিন থেকে ছয় মাসের ব্যবধানে টুথব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে। একইসঙ্গে একজনকে দিনে অন্তত দুবার ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। Teeth Care: রাতে খাবার খাওয়ার পর ব্রাশ করা খুবই জরুরি, কারণ ব্রাশ করার পর দাঁতের মাঝখানে আটকে থাকা খাবার উঠে যায়। সঠিক ভাবে ব্রাশ করা না হলে এই খাবার দাঁতের মাঝে আটকে যায় এবং পচন ধরে।
বাঁকুড়া, লাইফস্টাইল Tooth Care: মুক্তোর মতো ঝকঝক করবে আপনার দাঁত! সকালে উঠে এই কাজ ভুলেও নয়! জীবন পাল্টে দেওয়া টিপস Gallery April 1, 2024 Bangla Digital Desk *হাজার হাজার টাকা খরচ নয়, আপনার ঘরে বসেই দাঁত সাদা করুন বিশেষ এক পদ্ধিতিতে। *বাঁকুড়ার দাঁতের ডাক্তার বিক্রম ব্রহ্মচারী জানিয়েছেন দুর্দান্ত টিপস, যাতে দাঁত থাকবে একেবারে দুধের মতো সাদা। *প্রাপ্তবয়স্কের দাঁত সামান্য হলদেটে হওয়া স্বাভাবিক। তবে দাঁতের দাগ দু-ধরনের হয়। একটি বাহ্যিক এবং অপরটি ভিতর থেকে। *চিকিৎসক বলেন, নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। জোরে জোরে ঘষলে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হবে। উপর-নিচ এবং সার্কুলার মোশনে দাঁত মাজতে হবে। *যে খাবার দাঁতে আটকে যায়, সেই খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি। দাঁতে খাবার আটকে থাকলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। *ভিতরের দিক থেকে দাঁতের ক্ষতি হলে, অবশ্যই ডাক্তারের কাছে আসতে হবে বলেই জানিয়েছেন বিক্রম ব্রহ্মচারী।
দক্ষিণ দিনাজপুর, লাইফস্টাইল Pyria Teeth Solution: আচমকা মুখে দুর্গন্ধ-দাঁতে হাল্কা ব্যথা? ডাক্তারের এই কথাগুলি জানুন, বড় ক্ষতি হতে পারে! Gallery March 22, 2024 Bangla Digital Desk দাঁত বা মাড়ির কোনও সমস্যা হলে সেটা নিয়ে তেমন চিন্তা কেউ করে না, যতক্ষণ না এ নিয়ে মারাত্মক কষ্টে ভুগতে হয়। এমনই একটি সমস্যা হল পায়রিয়া। যা দাঁত ও মাড়ির প্রদাহজনিত একটি রোগ। দাঁত ঠিকমতো পরিষ্কার না করার কারণে ময়লা জমে। তার থেকে মুখে দুর্গন্ধ হওয়া স্বাভাবিক। দীর্ঘদিনের অযত্ন ও অবহেলায় দাঁতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তেমনই এক সমস্যা হল দাঁতে পায়রিয়া। এক্ষেত্রে দাঁতে স্থায়ীভাবে ময়লা জমে হলদে থেকে কালচে হয়ে যায়। যা দাঁতের সৌন্দর্য একেবারেই নষ্ট করে দেয়। তবে কিভাবে পায়রিয়া থেকে মুক্তি মিলবে জানুন চিকিৎসকের পরামর্শ। দন্ত চিকিৎসক স্বর্ণায়ু মৈত্র জানান,”নিয়মিত ভাবে দাঁত না মাজলে দাঁতের গোড়ায় ময়লা জমে থাকে। দিনের পর দিন দাঁতের গোড়ায় খাবার, ময়লা জমতে থাকলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। খাওয়া-দাওয়ার কারণে দাঁত ও মাড়ির আঠালো কণা অ্যাসিডে পরিণত হয়। যেখান থেকে এই পাইরিয়া রোগের জন্ম হয়। পায়রিয়া রোগের মূল লক্ষণ হল তা হল ব্রাশ না করা, খাওয়ার পর মুখ না ধোওয়া, নিয়মিত ভাবে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ইত্যাদি।” প্লেক-প্ররোচিত পায়রিয়ার কারণ হল ব্যাকটেরিয়া ফলক। যা শরীরের হোস্ট প্রতিক্রিয়া শুরু করতে কাজ করে। এটি ঘুরে জিঞ্জিভাল টিস্যুগুলির ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা পিরিওডন্টাল সংযুক্তি যন্ত্রের ধ্বংসের দিকে অগ্রসর হতে পারে। দাঁতের মাঝখানের ছোট ফাঁকে, মাড়ির খাঁজে এবং প্লেক ট্র্যাপ নামে পরিচিত জায়গাগুলিতে প্লেক জমা হয়। এমন জায়গা যা ফলক জমাতে এবং বজায় রাখতে কাজ করে। জানা গিয়েছে, মুখ থেকে দুর্গন্ধ ওঠা একেবারেই ভাল ব্যাপার নয়। প্রাথমিক ভাবে আমাদের যে কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম হল রোজ নিয়ম করে দাঁত মাজা। মুখ থেকে যদি সবসময় দুর্গন্ধ ওঠে, মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়, মাড়িতে ব্যথা হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার পায়রিয়া হয়েছে। পায়রিয়া হলে মাড়ি আর দাঁতের গোড়ায় ব্যথা হয়। সংক্রমণ হয়। যে কারণে মাড়ি আলগা হয়ে যায়, সঙ্গে মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হয়। আর তাই এই রোগটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন বিপজ্জনক তেমনই নিজেকেও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। মাড়ি ফুলে যায়, দাঁত থেকে পুঁজ বের হওয়া, দাঁতের ক্ষত সঙ্গে লিভারের সমস্যারও ঝুঁকি থেকে যায়। পায়রিয়া প্রতিরোধ করতে পিরিওডন্টিস্ট দ্বারা নির্ধারিত সঠিক এবং কার্যকর ব্রাশিং কৌশলের পাশাপাশি ফ্লসিং বা ইন্টারডেন্টাল ব্রাশের সঙ্গে ভাল মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে হবে। যেহেতু পায়রিয়া বা মাড়ির রোগগুলি সাধারণত দাঁতে জমা/টার্টার বিশেষ করে মাড়ির নীচে জমা হওয়ার ফলে হয়, তাই প্রতি ৬ মাস বা বছরে অন্তত একবার একজন পিরিওডন্টিস্ট দ্বারা দাঁত পরিষ্কার/স্কেল করা উচিৎ। (রিপোর্টার–সুস্মিতা গোস্বামী)